অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ পরিবেশ, স্বাস্থ্যসহ বহুমাত্রিক বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব যেমন শিশু স্বাস্থ্য ও মায়েদের প্রজনন স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, তেমনি অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশনের প্রবণতা বাড়ছে।’
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত সুইডেন রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস সৌজন্য সাক্ষাত করতে এলে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘সুইডেন বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা, মাতৃসেবাসহ নানা বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এমনকি মিডওয়াইফারি এবং প্রজনন স্বাস্থ্যেও সুইডিশ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থার (সিডা) ভূমিকা বেশ প্রশংসনীয়।’
সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস বলেন, ‘৫০ বছরের বেশি সময় ধরে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। আমাদের উন্নয়ন সহযোগিতা বহুক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলেছে। এখন আমরা আনন্দিত যে, আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের অংশীদারিত্বে বড় সম্ভাবনা দেখি এবং আমাদের সম্পর্ক আরও জোরদার করার প্রত্যাশা করি। বাংলাদেশ একটি সন্ধিক্ষণে রয়েছে। গণঅভ্যুত্থান ও আন্দোলনে নিরীহ মানুষের জীবনহানির জন্য আমি গভীরভাবে দুঃখিত। সুইডেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন করে।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘সরকার আগামীতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি ইডিসিএলকে একটি দক্ষ ও নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখতে চায়।’
জানা গেছে, সৌজন্য সাক্ষাতে প্রজনন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, মিডওয়াইফারি, ওষুধ ব্যবস্থাপনা, নার্স-ডাক্তারসহ নগর স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
এ সময় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের ডিজি অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন, সুইডেন দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি ফেলিক্স হেলগেসনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/কেএ