প্রায় আট কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৬০ কোটি টাকার সন্দেহভাজন লেনদেনের অভিযোগে পতিত স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে দুইটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
প্রথম মামলায় বলা হয়, চাঁদপুর-৩ আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পাঁচ কোটি ৯২ লাখ দুই হাজার ৫৩০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া, তার নিজ নামে বিভিন্ন ব্যাংকে পরিচালিত মোট ২৮টি হিসাবে ৫৯ কোটি ৭৯ লাখ ৯২ হাজরদার ৭৩১ টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।
দ্বিতীয় মামলায় তার স্বামী তাওফিক নেওয়াজের সঙ্গে দীপু মনিকেও আসামি করা হয়। মামলায় ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে পরস্পর যোগসাজশে এক কোটি ৯৬ লাখ ৩৯ হাজার ২০৫ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২, এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়েছে।
২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট মন্ত্রী দীপু মনিকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত ১৮ জুলাই চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলায় দীপু মনি ও তার বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপুকে আসামি করা হয়।
আগস্ট মাসেই দীপু মনি, তার স্বামী তৌফীক নাওয়াজ এবং বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপুর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়। একইসঙ্গে তাদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করা হয়ে বলে জানা গেছে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ