গোপালগঞ্জে চলমান কারফিউ ১৪ ঘণ্টা শিথিল করা হয়েছে। শনিবার (১৯ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে।
শুক্রবার রাতে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ কামরুজ্জামান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গোপালগঞ্জের সার্বিক পরিস্থিতি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সময়ে কারফিউ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে, শনিবার কারফিউ শিথিল থাকায় গোপালগঞ্জের রাস্তাঘাটে ও বাজারে লোকসমাগম বেড়েছে। মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে দোকানে আসছে। সকাল হওয়ায় অন্য সময়েরে চেয়ে মানুষের উপস্থিত একটু কম ছিল। তবে শহরের কাঁচাবাজার, ফল বাজারে বেচাকেনা কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে গ্রেফতার আতঙ্ক রয়েছে।
জানা গেছে, গোপালগঞ্জের সব ধরনের মার্কেট শনিবার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকার কারণে সেগুলো এখনও খোলেনি। হোটেল ও রেস্টুরেন্ট বন্ধ রয়েছে।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক আদেশে শুক্রবার জানানো হয়, গত বুধবার (১৬ জুলাই) গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের জন্য শুক্রবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত জেলায় কারফিউ বলবৎ রাখার নির্দেশ দেওয়া হলো।
উল্লেখ্য, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গোপালগঞ্জে প্রথমে ১৬ জুলাই রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ অব্যাহত থাকবে।
ওই দিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল থাকবে। দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারফিউ চলবে।
তবে সর্বশেষ শুক্রবার রাত ১১টার দিকে জেলা প্রশাসক গণমাধ্যমকে জানান, শনিবার সকাল ছয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/একেএ