খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, বাংলাদেশের লক্ষ্য হলো অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে একটি ন্যায়সংগত, স্থিতিস্থাপক এবং পুষ্টি-সংবেদনশীল খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
মঙ্গলবার ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় দ্য গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশনের (গেইন) উদ্যোগে আয়োজিত ইউএন ফুড সিস্টেম সামিটের সাইডলাইন বৈঠকে প্যানেল বক্তা হিসেবে এ কথা বলেন। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
আলী ইমাম মজুমদার বলেন, বাংলাদেশের খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তরের যাত্রা উচ্চাকাঙ্খী এবং শিক্ষণীয়। আমাদের প্রধান খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন থেকে শুরু করে একটি সমন্বিত পুষ্টি- সংবেদনশীল নীতি কাঠামো চালু করা পর্যন্ত আমাদের অর্জনগুলো প্রশংসনীয়।
তিনি বলেন, তবে এক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জগুলো এখনো গুরুতর। আমাদের কৃষকরা এখনো তাদের উৎপাদিত পণ্যে কম লাভবান হচ্ছে। খাদ্যের ক্ষতি এবং অপচয় এখনো যথেষ্ট পরিমাণে কমিয়ে আনা যায়নি। পরিবেশগত হুমকি বিশেষ করে লবণাক্ততা, খরা এবং বন্যা তীব্র হচ্ছে। ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য আমাদের আর মাত্র পাঁচ বছর সময় আছে, খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তরের তাগিদ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশি।
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, লদ্ধ জ্ঞান, সরঞ্জাম এবং অনুশীলন বিনিময়ের জন্য বাংলাদেশ দক্ষিণ এশীয় এবং অন্যান্য এশীয় দেশগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে প্রস্তুত। আমাদের ৩ এফএস উদ্যোগ সকলের জন্য আঞ্চলিক মডেল হতে পারে।
তিনি বলেন, খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তর কেবল আমরা কী চাষ করি তা নয়, এটি আমাদের জনগণকে কীভাবে পুষ্টি জোগায়, আমাদের পৃথিবীকে কীভাবে রক্ষা করে এবং আমাদের উৎপাদকদের কীভাবে ক্ষমতায়ন করে তার উপর নির্ভর করে। বাংলাদেশ এই অ্যাজেন্ডাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি দৃষ্টান্ত থেকে কাজে, নীতি থেকে বিনিয়োগে, প্রতিশ্রুতি থেকে অগ্রগতির এই যাত্রায় বাংলাদেশের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
বিডি প্রতিদিন/কেএ