বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নির্বাচনে জেলা ও বিভাগের অ্যাডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর করা নিয়ে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ফলে আগামী ৬ অক্টোবর বিসিবি নির্বাচনে কোনো বাধা নেই।
বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের শুনানি শেষে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে বিসিবি সভাপতির চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে চার ব্যক্তি বাদী হয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন। রিটকারী চারজন হলেন রাজবাড়ীর মঞ্জুরুল আলম, গোপালগঞ্জের জসিম উদ্দিন খসরু, লক্ষ্মীপুরের মঈনুদ্দিন চৌধুরী এবং টাঙ্গাইলের আলী ইমাম।
রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল জানান, বিসিবি সভাপতির ১৮ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষরিত চিঠির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সেই চিঠি দিয়ে নতুন কাউন্সিলর মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্তের বৈধতা জানতে রুল জারি করেছেন আদালত। রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে ১০ দিনের মধ্যে। তবে এ সময়ের জন্য চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত থাকায় নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে না। আগের মনোনীত কাউন্সিলররাই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। কারণ, ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই তাদের নাম কাউন্সিলর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
বিসিবি নির্বাচন আগামী ৬ অক্টোবর। এর আগে জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা থেকে কাউন্সিলর হিসেবে মনোনীত হয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিসিবিতে ফরম জমা দিয়েছিলেন সাবেক খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠকরা। তবে অ্যাডহক কমিটি থেকে যেসব জেলা ক্রীড়া সংস্থা কাউন্সিলরের জন্য মনোনয়ন দেয়নি তাদের আবেদন বাতিল করেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
সেই সঙ্গে প্রধান নির্বাহীর পরিবর্তে নতুন করে নিজে সই করে অ্যাডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর দিতে বলেন বিসিবি সভাপতি, যা নিয়ে গত দু’দিন বেশ আলোচনা তৈরি হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত