পাঁচ বছর পলাতক থাকার পর অবশেষে র্যাবের হাতে ধরা পড়লেন নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলামের মিডিয়া উইংয়ের অন্যতম সমন্বয়ক মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক খান ওরফে আবদুল্লাহ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৩-এর একটি দল মঙ্গলবার রাতে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার ইরতা কাশিমপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে। র্যাবের দাবি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন ইসহাক। এ মামলার তদন্ত নিতে তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করবেন।
গতকাল র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এমরানুল হক কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইসহাককে আমরা দীর্ঘদিন ধরেই খুঁজছিলাম, তবে তিনি ছদ্মনামে আত্মগোপনে থেকে জঙ্গি কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন। মানিকগঞ্জে তিনি আবদুল্লাহ নামে মারকাজুল কোরআন ওয়াল হিকমাহ নামে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন দুই বছর আগে। বাংলাবাজারে খান প্রকাশনী নামে তার নিজের একটি সংস্থার মাধ্যমে জসীম উদ্দীন রাহমানী, আনওয়ার আল আওলাকীর বইসহ বিভিন্ন উগ্রপন্থি বই প্রকাশ করে বিভিন্ন মাদ্রাসায় সরবরাহ করতেন।
এর বাইরে ইউটিউবে এমডি ইসহাক খান নামে এবং লাইট হাউস নামের ব্লগ পেজে উগ্রবাদী মতবাদ প্রচার করতেন। তার মানিকগঞ্জের মাদ্রাসায় নিয়মিত আনসার আল ইসলামের সদস্যদেও বৈঠক হতো।
র্যাব বলছে, ইসহাকের এক ভাই আশরাফ খান আনসার আল ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। আরেক ভাই রাকিব হিযবুত তাহরীরের সদস্য, বর্তমানে কারাগারে। ২০০৬ সালে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস পাস করে তিনি জসীম উদ্দীন রাহমানীর সংগেই থাকতেন। ২০১৩ সালে রাহমানী গ্রেফতার হওয়ার পরই তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
জিজ্ঞাসাবাদে ইসহাক জানান, তিনি আনওয়ার আল আওলাকী ও জসীম উদ্দীন রাহমানীর মতবাদে উদ্বুদ্ধ। তিনি গাজওয়াতুল হিন্দে বিশ্বাস করেন।
