জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব সরকারকে মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়াদের কাছ থেকে ধান না কিনে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সরকার এপ্রিল মাসে ধান না কিনে কৃষককে মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে জিম্মি করে ফেলেছে। কৃষকরা উৎপাদন বন্ধ করে দিলে উন্নয়নের রোল মডেল খুঁজেও পাওয়া যাবে না। আর কৃষক যে পাকা ধান ক্ষেতে আগুন দিচ্ছে- এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ধানের ন্যায্যমূল্য থেকে কৃষকদের বঞ্চিত করার প্রতিবাদে জেএসডির বিক্ষোভ সমাবেশে আ স ম রব এ কথা বলেন। জেএসডির সহসভাপতি মিসেস তানিয়া রবের সভাপতিত্বে সমাবেশে জেএসডি নেতা শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সিরাজ মিয়া, অ্যাড. সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল, মোশারফ হোসেন, আবদুর রাজ্জাক রাজা, আবদুল্লাহ আল তারেক, অ্যাড. সৈয়দ ফাতেমা হেনা, তৌফিক উজ-জামান পীরাচা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আ স ম রব বলেন, ধানের ন্যায্যমূল্য না থাকায় টাঙ্গাইলের কালিহাতী, জয়পুরহাটসহ বিভিন্ন স্থানে কৃষক পাকা ধানক্ষেতে আগুন দিচ্ছে, এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। উৎপাদন খরচ থেকে ৩০০ টাকা কমে প্রতিমণ ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। পুঁজিপতিরা ব্যাপক ঋণ মওকুফ পাচ্ছে, হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হচ্ছে। মেগা প্রকল্পের নামে শত শত কোটি টাকা অপচয় হচ্ছে। অথচ ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের জোগানদাতা কৃষকদের ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে না। কৃষকরাই বাংলাদেশের আত্মা, দেশের প্রাণ। কৃষকদের রক্ষা না করলে বাংলাদেশে অভিশাপ নেমে আসবে। কৃষকরা উৎপাদন বন্ধ করে দিলে দেশে দুর্ভিক্ষ নেমে আসবে।
তিনি আরও বলেন, একদিকে চাল রপ্তানি করা, অন্যদিকে আমদানি করার এ ভানুমতির খেল বন্ধ করতে হবে। মধ্যস্বত্বভোগী সিন্ডিকেটের সদস্যদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
আ স ম রব পাটকল শ্রমিকদের ৯ দফা দাবি, গার্মেন্টস শ্রমিকদের দাবি মেনে মজুরি কমিশন ঘোষণার আহ্বান জানান। জাতীয় সংসদ, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদসহ সর্বস্তরে শ্রমজীবী-কর্মজীবী ও পেশাজীবীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করাসহ এই রাষ্ট্রব্যবস্থা ছুড়ে ফেলে দিয়ে নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রবর্তনের আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তোলার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
