বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াতে রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর বিভাগে পাঁচটি আলাদা ত্রাণ কমিটি গঠন করে আজ মঙ্গলবার থেকেই কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। গতকাল বিকালে বৈঠকের পর দলের কেন্দ্রীয় ত্রাণ কমিটির আহ্বায়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘সারা দেশে যে ভয়াবহ বন্যা শুরু হয়েছে তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা দলের জাতীয় ত্রাণ কমিটি প্রতিটি বিভাগে ত্রাণ পরিচালনার জন্য একটি করে কমিটি গঠন করেছি। এছাড়া প্রতিটি জেলায়ও একটি করে ত্রাণ কমিটি থাকবে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে রিলিফ কমিটি কাজ শুরু করবে। এই টিমের সঙ্গে মেডিকেল টিম থাকবে, আমরা ভ্রামমাণ মেডিকেল ক্যাম্প করব।’
দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন ময়মনসিংহে, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মিজানুর রহমান মিনু রাজশাহী ও খন্দকার মোক্তাদির সিলেট, দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল রংপুর ও খায়রুল কবির খোকনকে ফরিদপুর বিভাগের আহ্বায়ক করে বিভাগীয় ত্রাণ কমিটি গঠন করা হয়। বিকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের ২১ সদস্যের কেন্দ্রীয় ত্রাণ কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকে লন্ডন থেকে স্কাইপেতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্ত হন এবং ত্রাণ কার্যক্রম চালাতে যথাযথ নির্দেশনাও দেন। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে আরও ছিলেন, দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, হারুনুর রশীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, আসাদুল হাবিব দুলু, ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিলকিস জাহান শিরিন, শামা ওবায়েদ, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সপু, আবদুল লতিফ জনি, আমিরুল ইসলাম আলীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। রংপুর বিভাগের ত্রাণ কমিটি ২৭ জুলাই লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম এবং ২৮ জুলাই গাইবান্ধায় ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করবে বলে জানিয়েছে জাতীয় ত্রাণ কমিটি।
