বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

হাজারীবাগে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই ভাইসহ তিন শ্রমিক এবং পৃথক ঘটনায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকালে হাজারীবাগের রায়েরবাজার এলাকায় পাইলিংয়ের কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই ভাইসহ তিন শ্রমিক মারা গেছেন। তারা হলেনÑ সিরাজগঞ্জের জরু শেখ (৪৫) ও তার ভাই সাইফুল শেখ (৩৫) এবং বগুড়ার মঞ্জুরুল হক (৪০)। বুড়িগঙ্গা নদীর পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও দুই শ্রমিক আহত হয়েছেন। হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম আলী বলেন, সকালে বুড়িগঙ্গা নদীর পাশে বিআইডব্লিউটিএর নদী রক্ষার সীমানা পিলারের পাইলিংয়ের কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। পাইলিংয়ের সময় বিদ্যুতের ১১ হাজার ভোল্টের তারের সঙ্গে রড লাগলে বিদ্যুতায়িত হয়ে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হন। এতে তিন শ্রমিক ঘটনাস্থলেই মারা যান। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে। আগুনে তাদের শরীর পুড়ে গেছে। আহতদের সিকদার মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে, বনানীতে নুরুল ইসলাম (৬০), গুলশানে গৃহকর্মী স্বর্ণা (১৬), ভাটারায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থী জুলেখা আক্তার জুলি (১৫) ও সবুজবাগে নির্মাণ শ্রমিক ফিরোজ কবির (১৯) মারা যান। মৃত নুরুল ইসলামের স্বজন আবদুস সালাম বলেন, মঙ্গলবার রাতে বনানীর চেয়ারম্যানবাড়ি মোড়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় বেপরোয়া একটি বাসের চাপায় নুরুল ইসলাম মারা যান। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জে। তিনি চিকিৎসার জন্য সোমবার বনানীর টিঅ্যান্ডটি কলোনিতে তার বাসায় এসেছিলেন।

গুলশান থানার এসআই মোহাম্মদ মামুন মিয়া বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গুলশানের ৪৮ নম্বর রোডের, ১৮/বি, বাড়ির রেজাউল করিম খানের বাসা থেকে গৃহকর্মী স্বর্ণার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। মেয়েটি ওই বাসায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করত। তার বাবার নাম ফাইজুল এবং মায়ের নাম খোরশেদা। বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদর থানার বত্রিশগ্রামে।

ভাটারা থানার এসআই মো. নুর ইসলাম সিকদার জানান,  মঙ্গলবার দুপুরে ভাটারার বোর্ডঘাট এলাকার মজিবরের টিনশেড বাসা থেকে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী জুলির লাশ উদ্ধার করা হয়। মেয়েটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবা আবদুল জলিল সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক। তার মা মর্জিনা বেগম গার্মেন্টকর্মী। বাড়ি গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার ঘোরাইদ গ্রামে।

এদিকে, সবুজবাগ থানার এসআই মামুনুর রশিদ জানান, সবুজবাগের মধ্য বাসাবো এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে ফ্যানের হুকের সঙ্গে রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় নির্মাণ শ্রমিক ফিরোজের লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি নির্মাণাধীন ওই ভবনে রডমিস্ত্রির কাজ করতেন এবং সেখানেই থাকতেন। তার বাবার নাম মো. ইনছার আলী। বাড়ি গাইবান্ধার ফুলছড়ি থানার বনারপাড়া গ্রামে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর