গণমানুষের দল হিসেবে আওয়ামী লীগের দরজা সবার জন্য খোলা থাকলেও যারা মাদকের সঙ্গে যুক্ত, জায়গা দখলের সঙ্গে যুক্ত, দলের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করতে চায় যারা, যারা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, যারা অতীতে অন্য দল করে পিঠ বাঁচানোর জন্য আওয়ামী লীগে আসতে চায় তাদের আওয়ামী লীগে দরকার নেই। নৌকায় বেশি যাত্রী হলে বিপদের সম্ভাবনা থাকে, তাই নৌকায় বেশি যাত্রী না হওয়াই ভালো। গতকাল গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় যোগ দেওয়ার আগে গাইবান্ধা সার্কিট হাউসে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখার সময় তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন। সার্কিট হাউসে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি এমপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, গাইবান্ধা-৩ আসনের সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন, সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ শামছুল আলম হিরু, সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক। মন্ত্রী আরও বলেন, যারা দুঃসময়ে আওয়ামী লীগ করেছেন এবং দলের জন্য ত্যাগ ও পরিশ্রম করেছেন তাদের মূল্যায়ন করা হবে, তাদেরই নেতৃত্বে বসানো হবে।
তথ্যমন্ত্রী নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ২০০৭ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে যখন গ্রেফতার করা হয় তখন অনেক নেতা ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে আপসের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা সব সময় ঐক্যবদ্ধ ও অবিচল ছিলেন। তাদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতেই আমাদের নেত্রী কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছিলেন। আজ তাদের কারণেই আওয়ামী লীগ সফলতার সঙ্গে এতটা পথ পাড়ি দিতে পেরেছে। প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখে অতীতের মতো আগামীতেও দলকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী। দুপুরে মধ্যাহ্নভোজের পর গাইবান্ধার এসকেএস ইন রিসোর্টে তথ্যমন্ত্রী জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় যোগ দেন।
