সোমবার, ৭ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

সুন্দরবনে ৩৪টি ডিম পেড়েছে বাটাগুর বাসকা কচ্ছপ

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে আবারও ডিম দিয়েছে মহাবিপন্ন প্রজাতির বাটাগুর বাসকা কচ্ছপ। গতকাল সকালে ওই প্রজনন কেন্দের পুকুরপাড়ে বাটাগুর বাসকা কচ্ছপের ৩৪টি ডিমের সন্ধান মিলেছে। এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো করমজলে ডিম পাড়ল মহাবিপন্ন প্রজাতির কচ্ছপ বাটাগুর বাসকা। সবগুলো ডিমই প্রাকৃতিক উপায়ে (বালুর মধ্যে রেখে) বাচ্চা ফুটানো হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মধ্যে এসব ডিম থেকে বাচ্চা ফুটবে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ। বর্তমানে করমজল প্রজনন কেন্দ্রে ৪৩৬টি বাটাগুর বাসকা কচ্ছপ রয়েছে।

সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার আজাদ কবির জানান, বাটাগুর বাসকা পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে এমনটি মনে করা হয়। তবে ২০০৮ সালে নোয়াখালী ও বরিশালের বিভিন্ন নদ-নদীতে আটটি বাটাগুর বাসকা পাওয়া যায়।

এর মধ্যে ২০১৪ সালে চারটি বাটাগুর বাসকা কচ্ছপ নিয়ে সুন্দরবনে করমজল প্রজনন কেন্দ্রের যাত্রা শুরু হয়। মূলত বাটাগুর বাস্কা প্রজাতির কচ্ছপের বংশবিস্তার, প্রজনন, খাদ্যাভাস, আচরণ ও বিচরণক্ষেত্রসহ নানা বিষয়ে গবেষণার জন্যই বন বিভাগের পাশাপাশি এ প্রকল্পের সঙ্গে রয়েছে অস্ট্রিয়ার জুভিয়েনা, আমেরিকার টিএসএ ও ঢাকার প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন। ২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছরই করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে বাটাগুর বাসকা কচ্ছপের ডিম থেকে বাচ্চা জন্ম নেওয়া শুরু করে। ২০১৭ সালে এ প্রজনন কেন্দ্রে দুটি বাটাগুর বাসকা কচ্ছপের ৬৩টি ডিম থেকে ৫৭টি বাচ্চা, ২০১৮ সালে দুটি কচ্ছপের ৪৬টি ডিম থেকে ২১টি বাচ্চা, ২০১৯ সালে একটি কচ্ছপের ৩২টি ডিম থেকে ৩২টি বাচ্চা, ২০২০ সালের দুটি কচ্ছপের ৫৬টি ডিম থেকে ৫২টি বাচ্চা ও ২০২১ সালে চারটি কচ্ছপ মোট ৯৬টি ডিম দেয়, যা থেকে ৭৯টি বাচ্চা জন্ম নেয়। বর্তমানে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে ৪৩৬টি বাটাগুর বাসকা কচ্ছপ রয়েছে। মুজিব শতবর্ষে সুন্দরবনের নদীতে ১২টি বাটাগুর বাসকা কচ্ছপ অবমুক্ত করা হয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর