শনিবার, ২১ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

একরাম হত্যার দায়ে ফাঁসির ১৭ আসামি ৮ বছর পলাতক

ফেনী প্রতিনিধি

ফুলগাজী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি একরামুল হক একরাম হত্যাকাণ্ডের আট বছর পার হয়েছে গতকাল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একরামের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া চাওয়া ও বিচারের দাবির বিষয়টি ভাইরাল হলেও আওয়ামী লীগ বা কোনো সংগঠনের পক্ষ থেকে দিনটি উপলক্ষে আয়োজন করা হয়নি কোনো কর্মসূচি। নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের আট বছরেও ধরা পড়ল না ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ১৭ আসামি। ২০১৪ সালের ২০ মে প্রকাশ্য দিবালোকে ফেনী শহরের একাডেমিতে একরামকে গুলি করে, কুপিয়ে ও গাড়িসহ পুড়িয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। দলীয় কোন্দলের কারণে হত্যা করা হয় একরামকে। হত্যার সঙ্গে রাঘববোয়ালদের নাম বেরিয়ে পড়লে গা ঢাকা দিয়ে আত্মগোপনে যায় হত্যাকারীরা। হত্যার পর ফুঁসে ওঠে এলাকাবাসী, হরতাল-অবরোধ-বিক্ষোভসহ মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে তারা।

একরাম হত্যার শতদিন পর ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ ৫৬ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ মামলার রায়ে ৩৯ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৬ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। ফেনীর জেলা ও দায়রা জজ আমিনুল হক এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আদেল, পৌর কমিশনার আবদুল্লাহিল মাহমুদ শিবলু রয়েছেন। জামিন নিয়ে পলাতকদের মধ্যে ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ চৌধুরী ও ফেনী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিলুফা ইয়াসমিন বড় মনির ছেলে আবিদুল ইসলাম আবিদ রয়েছেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ২২ জন কারাগারে রয়েছেন। আটজন জামিনে মুক্ত হয়ে পলাতক। নয়জন শুরু থেকে পলাতক। রুটি সোহেল নামে একজন জামিনে থাকা অবস্থায় র‌্যাবের ক্রস ফায়ারে নিহত হন।

হত্যার রায়ের ব্যাপারে একরামের পরিবারের সদস্যরা জানান, হাশরের মাঠে তাদের বিচার হবে। দিনটি উপলক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে ঘরোয়াভাবে মিলাদ মাহফিল ও এতিম খানায় খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর