আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন, ক্লিন ইমেজের নেতাদের মাধ্যমে ওয়ার্ড, ইউনিট ও থানা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করতে হবে। কোনো ধরনের বিতর্কিত, দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ ও ভূমিদস্যুদের স্থান দেওয়া যাবে না। মনে রাখবেন, একজন দুর্নীতিবাজকে কমিটিতে রাখলে সে ২০ জন দুর্নীতিবাজকে স্থান দেবে। একজন চাঁদাবাজ ২০ জন চাঁদাবাজকে স্থান দেবে।
গতকাল সকালে ডেমরা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে ডেমরা থানা ও ৬৪, ৬৬, ৬৭, ৬৮, ৬৯ ও ৭০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডেমরা থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খান মাসুদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। বক্তব্য দেন মহানগরী দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সহসভাপতি মিজবাহুর রহমান ভূঁইয়া রতন, শরফুদ্দিন আহমেদ সেন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এস কে বাদল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এফ এম শরিফুল ইসলাম শরিফ, সদস্য সালাউদ্দিন বাদল প্রমুখ।
মির্জা আজম বলেন, আজ (শনিবার) ডেমরা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। এ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ জোয়ার আগে দেখা যায়নি। কিছুদিন আগে ঢাকা-৫ আসনে উপনির্বাচন হয়। সে নির্বাচনে আমি সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করেছিলাম। সেদিন এমন জোয়ার আমাদের চোখে পড়েনি। কিন্তু আজ দেখলাম। আগে ওয়ার্ড ইউনিট সম্মেলন হয়নি। সে কাজ আমরা করতে পেরেছি। নেতা-কর্মীদের জোয়ার সেই সম্মেলনের সুফল। আজ ঢাকা মহানগরী আওয়ামী লীগ শক্তিশালী সংগঠন ইউনিট হিসেবে দুর্গ গড়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, সংগঠন চালাতে হলে দলের গঠনতন্ত্র জানতে হবে। দায়িত্ব নিয়ে ঘরে বসে থাকলে চলবে না। প্রতি মাসে ওয়ার্ড ইউনিট নেতাদের সঙ্গে নিয়ে মিটিং করতে হবে। সেই মিটিংয়ের মধ্য দিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে দল আরও শক্তিশালী হবে। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকদের বলতে চাই- কোনো দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যুর স্থান কমিটিতে দেওয়া যাবে না।
