চলতি বছরের নভেম্বরে কাতারের দোহায় ফিফা বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরপর বাংলাদেশ সফরে আসছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি। তিনি কাতারের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানও। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। এদিন বাংলাদেশে নিযুক্ত কাতারের রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে গিয়ে দেশটির আমিরের বাংলাদেশ সফর ও এলএনজি সরবরাহের বিষয়টি অবগত করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রতিরক্ষা, জনশক্তি ও বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় কর্মকান্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হওয়ার কাতারকে ধন্যবাদ জানান। গত সেপ্টেম্বরে কাতারের দোহায় উভয় দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ফরেন অফিস কনসালটেশনে (এফওসি) প্রস্তাবিত কাতারে ডাক্তার, নার্স, ইঞ্জিনিয়ার এবং টেকনিশিয়ানসহ জনশক্তি নিয়োগের বিষয়টি আবারও উল্লেখ করেন মোমেন। বৈঠকে তারা খাদ্যশস্য ও কৃষিজাত পণ্য, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক জোন এসইজেড ও হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগ এবং রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেন। কাতারের নেতৃত্বের সঙ্গে পুরনো স্মৃতি স্মরণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি গত দুই দশকে সে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং একটি আধুনিক, উন্নত এবং অগ্রগামী দেশে রূপান্তরিত করার ক্ষেত্রে কাতারের দ্রুত অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তিনি দেশটির স্মার্ট প্রস্তুতির জন্য কাতারি নেতৃত্বের প্রশংসাও করেন। বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক কর্মী নেওয়ায় কাতারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা দুই দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। বাংলাদেশ সরকার ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করেছে উল্লেখ করে বলেন, কাতারের বিনিয়োগকারীরা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে পারে এবং এলএনজি এবং বিদ্যুৎ খাতসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে পারে। কাতারের রাষ্ট্রদূত আগামী দিনে বাংলাদেশের পক্ষে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে ফিফা বিশ্বকাপের একটি রেপ্লিকা তুলে দেন।