সব দলের অংশগ্রহণ আমাদের (নির্বাচন কমিশনের) ওপর নির্ভর করে না। দল অংশগ্রহণ করা নির্ভর করে দলের সিদ্ধান্ত এবং রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর। এর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। গতকাল দুপুরে কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউসে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিন দিনের সফরে কিশোরগঞ্জে এলে সার্কিট হাউসে তাকে স্বাগত জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলমসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ইসি মো. আনিছুর রহমান বলেন, গত দেড় বছরে সব দলকে আমরা একাধিকবার আহ্বান জানিয়েছি, এখনো আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। বিএনপিকে আমরা বহুবার ডেকেছি। আমাদের দরজা এখনো খোলা আছে। তারা যদি আমাদের কাছে আসতে চায়, আমরা ওয়েলকাম করব। সবাই মিলে অংশগ্রহণমূলক একটা নির্বাচন হবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আমরা নির্বাচনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করব।
তিনি বলেন, আমরা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়েছি। ধীরে ধীরে আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হচ্ছে। নভেম্বরের শুরুর দিকে হয়তো তফসিল ঘোষণা হতে পারে। নির্বাচন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে আমরা করব। রাজনৈতিক বিষয়ে আমরা কোনো কথা বলতে চাই না, কারণ আমরা নিরপেক্ষ সাংবিধানিক সংস্থা হিসেবে কাজ করছি।
আশা করছি ওই বিষয়গুলো কোনো না কোনোভাবে মীমাংসিত হয়ে যাবে।
কমিশনার মো. আনিছুর রহমান পরে এই নির্বাচন কমিশনার জেলা নির্বাচন অফিসের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত জাতীয় পরিচয়পত্র ও প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। সভায় কিশোরগঞ্জ জেলার উপজেলা নির্বাচন অফিসাররা অংশগ্রহণ করেন। বিকালে সদর উপজেলার সম্ভাব্য কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন তিনি। আজ সোমবার জেলার হাওর উপজেলার মিঠামইন ও অষ্টগ্রামে এবং মঙ্গলবার নিকলী উপজেলার সম্ভাব্য ভোট কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করবেন তিনি।
