বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের খবরদারি চলবে না। দেশের মানুষ বন্ধুত্ব চায় কিন্তু প্রভুত্ব চায় না।
গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলানগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধানিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুইডেন থেকে দেশে ফেরা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদ জিন্টু, চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদসহ নেতা-কর্মীরা।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, এতদিন দেখা গেছে দিল্লির সংকেত ছাড়া বাংলাদেশের একটা ব্যাংকের এমডিও নিয়োগ হয়নি। কে কোথায় বিচারপতি হবেন, কে কোথায় বড় বড় পদে থাকবেন, কে মন্ত্রী হবেন সেটা ভারত সিদ্ধান্ত দিত। শুধু এগুলো নয়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিয়ন্ত্রণ করার যে প্রবণতা, সেটাও ভারতকে পরিহার করতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণই ঠিক করবে কাকে কোথায় বসাতে হবে। এর জন্য অন্য দেশের পরামর্শের দরকার নেই। নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ কোনো স্বাধীন দেশের জনগণের কাম্য নয়। গয়েশ্বর বলেন, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব নতুন সম্পর্কের কথা বলেছেন। তাহলে বোঝা যাচ্ছে, পুরনো সম্পর্কের মধ্যে কোনো না কোনো ফাঁকফোকর ছিল। ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কটা হতে হবে দেশের সঙ্গে দেশের; কোনো ব্যক্তি বা দলের সঙ্গে নয়। একজন ব্যক্তি বা দলের সঙ্গে মিলে দীর্ঘ ১৬ বছর তারা বাংলাদেশের ভোটাধিকার বিনষ্ট করার চেষ্টা করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নেই। আমরা বন্ধুত্ব চাই, প্রভুত্ব চাই না। সমমর্যাদার ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকলে সেটা উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর হবে।