আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচ্যাম) সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ বলেছেন, ২০২৪ সালে প্রণীত একটি লজিস্টিকস নীতিমালা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে অংশীজনদের সমন্বয়, কার্যকর লজিস্টিকস কৌশল এবং নীতিমালার প্রয়োগের প্রয়োজন যাতে খাতটির পূর্ণ সম্ভাবনা উন্মোচিত হয়। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে অ্যামচ্যাম আয়োজিত ‘পোর্ট ও লজিস্টিকস ম্যানেজমেন্ট’ বিষয়ক একটি ব্রেকফার্স্ট মিটিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন এলিকট ড্রেজ এন্টারপ্রাইজ এলএলসি ব্যবসা উন্নয়ন পরিচালক ফিলিপ গ্রভ, অ্যামচ্যাম বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক চৌধুরী কায়সার মোহাম্মদ রিয়াদ, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন সোহাইল হাসান প্রমুখ। অ্যামচ্যাম সংলাপের স্পনসর ছিল ইউপিএস বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানে অ্যামচ্যাম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের লজিস্টিকস খাতে প্রায় ৭০ লাখেরও বেশি মানুষকে কর্মসংস্থান প্রদান করছে এবং মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় ২০ শতাংশ অবদান রাখছে।
এত বড় পরিসরের খাত হওয়া সত্ত্বেও এটি এখনো অপর্যাপ্তভাবে সমন্বিত এবং উন্নয়নশীল। বিশ্বব্যাপী সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান দুর্বল, বিশেষ করে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স ও অবকাঠামোয় স্কোর ২.৩। ফিলিপ গ্রভ লজিস্টিকস খাতে পণ্য, খরচ ও তথ্যের রিয়েল-টাইম ট্র্যাকিংয়ের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তিনি ক্লাউড-ভিত্তিক ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-চালিত প্রযুক্তির মাধ্যমে লজিস্টিকস দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেন এবং বাংলাদেশি অংশীজনদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি সরবরাহকারীদের সংযোগ স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেন। আর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান বাংলাদেশের দ্রুতগতির পোর্ট আধুনিকায়নের বিষয়টি তুলে ধরেন, যেখানে চট্টগ্রাম বন্দর দেশের ৯৬% বাণিজ্য এবং ৯৮% কনটেইনার পরিচালনা করে।