শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ২২ মার্চ, ২০১৫

বেগম জিয়ার পাশে একজন মান্নান ভূঁইয়া কই

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
বেগম জিয়ার পাশে একজন মান্নান ভূঁইয়া কই

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধ কর্মসূচির আজ ৭৫তম দিন চলছে। এ ধরনের একটি চরম আন্দোলন কর্মসূচি এত দীর্ঘদিন অব্যাহত রাখার নজির আমাদের দেশে তো নেই-ই, পৃথিবীর অন্য কোনো গণতান্ত্রিক দেশেও নেই। শুরুটা যেমন ছিল, এমন কি সপ্তাহ দুই-তিনেক আগেও কর্মসূচি যতটা চলমান ছিল, বর্তমানে তা নেই। বলা চলে অনেকটাই বিবর্ণ হয়ে পড়েছে ২০ দলীয় জোটের টানা অবরোধ আন্দোলন। সপ্তাহে পাঁচ কর্মদিবসেই হরতাল রাজধানীতে তেমন কোনো ছাপ শুরু থেকেই ফেলতে পারেনি। ঢাকাসহ বড় বড় কয়েকটি শহর-নগরে পুলিশ-র‌্যাব-বিজিবি পাহারায় যানবাহন চালিয়েছে সরকার। তবে প্রায় জেলা শহরে প্রথমদিকে হরতাল একেবারে অসফল হয়েছে বলা যাবে না। কিন্তু তাও কতদিন এই কষ্ট সহ্য করতে পারে মানুষ? জীবন-জীবিকার তাগিদে মানুষ একসময় বেপরোয়া হয়ে যায়। বলা যায়, ২০ দলীয় জোট হরতাল ডাকে কিন্তু কোথাও এখন তার তেমন সাড়া নেই। এমন কি যারা বিএনপি-জামায়াতের সমর্থক-শুভানুধ্যায়ী তারাও আর মানতে চাইছেন না এসব টানা কর্মসূচি। আন্দোলনের যৌক্তিকতার প্রতি সমর্থনের কারণে দল-বিশেষের সমর্থক-অনুরাগী না হয়েও যারা নৈতিক সমর্থন দিয়েছিলেন কর্মসূচির প্রতি, তারাও এখন বলছেন সফলতার আলো দেখার জন্য আর কত অপেক্ষা? আর কত কষ্ট ভোগ? লীগ সরকার তার প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীকে থামানোর জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করেছে, রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোকে ব্যবহার করেছে, কোথাও কোথাও তারা আইনবহির্ভূত নিষ্ঠুর আচরণও করেছে; বিরোধী দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার, মামলা-মোকদ্দমায় জড়ানো চলছে সমানতালে- সবই ঠিক। কিন্তু এসব কারণেই বিরোধী দলের আন্দোলন স্তিমিত হয়ে পড়েছে এটা বলা যাবে না। মূলত জনগণের, এমনকি ২০ দলীয় জোটের, বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের অনাগ্রহের কারণেই পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে।

গভীর পর্যবেক্ষণে যেটা মনে হয়, ২০ দলীয় জোট, বিশেষ করে বিএনপি তার রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের কৌশল প্রণয়নে ও প্রয়োগে যোগ্যতা দক্ষতা, রাজনৈতিক পরিপক্বতা ও প্রজ্ঞার পরিচয় দিতে পারেনি। সঠিক রাজনীতি নির্ধারণ এবং তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যভেদী কৌশল নির্ণয়ের জন্য একটি রাজনৈতিক দলে প্রয়োজন দক্ষ পোড়খাওয়া কিছু কেরিয়ার রাজনীতিবিদের। রাজনীতি তো আত্দমর্যাদাসম্পন্ন স্বাধীনচেতা রাজনীতিবিদের কাজ; স্তাবক, তাঁবেদার, পা-চাটা সেবাদাসের কাজ নয়। ফুট-ফরমায়েশ খাটা চাকর-বাকর মার্কা লোকদের কাজ তো নয়-ই। তার ওপর ভিন্ন মতাদর্শের এজেন্টরা দলে ঢুকে যাওয়া তো আরও বিপদের। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে ত্যাগী, দক্ষ, অভিজ্ঞ কেরিয়ার রাজনীতিবিদ নেই বললে সত্যের অপলাপ হবে। বরং দুই দলেই এমন অনেকে আছেন যাদের ভূমিকা ও অবদান এদেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং সুমহান মুক্তিযুদ্ধে অত্যন্ত গৌরবোজ্জ্বল। এমনকি তৃণমূল পর্যায়েও এখনো অনেক প্রবীণ রাজনীতিবিদ আছেন, কেন্দ্র যাদের খবরই রাখে না। কিন্তু দলের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে এদের স্থান কোথায়? কর্মসূচি গ্রহণ-প্রণয়নে এদের মতামতের কি কোনো গুরুত্ব আছে? হ্যাঁ, এরা আছেন; রাখা হয়েছে দলের অলঙ্কার হিসেবে, 'সাইনবোর্ড' হিসেবে- ওই তো 'ওনারা আছেন' কথাটা বলার জন্য। লক্ষণীয় হচ্ছে, দল যখন খুব বিপর্যয়ে পড়ে যায়, তখন আবার এই প্রবীণ প্রাজ্ঞজনদেরই শরণাপন্ন হতে হয়, কাজ ফুরালেই আবার শেষ। দুই দলেই এমন কিছু রাজনীতিবিদের নাম উল্লেখ করে বলা যায় কিন্তু বলাটা সঙ্গত হবে না বিধায় বলছি না। সচেতন মানুষ কিন্তু জানেন। বিএনপিতে বিষয়টা অধিকতর পীড়াদায়ক। দেশি-বিদেশি বড় বড় ডিগ্রি আর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা যে এক নয় তা বুঝতে চান না তাদের 'নীতি-নির্ধারকরা'। সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব অর্থবিত্তের এবং ব্যক্তি ও পরিবার বিশেষের প্রতি অন্ধ আনুগত্যের। স্তুতি, তোষামোদ, কদমবুচিপন্থা যোগ্যতা। বিএনপির নেতৃত্ব কাঠামো কেমন হবে তা নির্ধারণের এখতিয়ার একান্তই বিএনপির নীতি-নির্ধারকদের, অন্য কারও নয়। বিএনপির অনুরাগী সমালোচকরা মনে করেন, এই দলের শর্ষেতেই ভূত আছে। এখানে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ব্যক্তি যেমন আছেন, অকর্মণ্য লোক, আছেন (হাঁটতে-চলতেও পারেন না), আবার এমন লোকও আছেন রাজনীতিতে বাপের নাম জিজ্ঞাসা করলে যিনি দুলাভাইয়ের নাম বলবেন। এরা দলের রাজনৈতিক লাইন নির্ধারণ এবং কর্মকৌশল প্রণয়ন করলে তা সঠিক হবে ভাবা বোকামি মনে করেন অনেকে। দলে আরও অনেক সংকটই দৃশ্যমান। এমতাবস্থায় দলের গৃহীত লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি এবং পরবর্তীকালে প্রতি সপ্তাহে পাঁচ দিন করে হরতাল অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত এখন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

কেউ কেউ বলেন, এমনকি সরকার পক্ষের বিদেশি ডিগ্রিধারী বুদ্ধিজীবীরাও বলেন এ বছর ৫ জানুয়ারি অবরুদ্ধ অবস্থায় সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসাতেই নাকি বেগম খালেদা জিয়া রাগে ও ক্রোধে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। এই বক্তব্য যথার্থ বলে মনে হয় না। বরং বলা চলে এই কর্মসূচি বেগম খালেদা জিয়ার সুচিন্তিত ও পূর্বপরিকল্পিত। বর্তমান সরকার, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে তার পর্যবেক্ষণ থেকে তিনি নিশ্চিত ছিলেন, তাকে ৫ জানুয়ারির কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে না। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বরের মতোই একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হবে। তাই তিনিও তার দল ও জোটের করণীয় ঠিক করে রেখেছিলেন। তবে দল ও জোটের যে শক্তির ওপর ভরসা করে তিনি এমন একটি কঠোর ও চ্যালেঞ্জিং কর্মসূচি ঘোষণা করেন, সেই শক্তির এসেসমেন্টটি সঠিক হয়নি। বোঝা গেছে, তিনি নির্ভর করেছিলেন তার জোট সঙ্গী জামায়াতে ইসলামীর ওপর। জামায়াত তাকে সম্পূর্ণ বিট্রে না করলেও একটা কৌশলী খেলা খেলেছে বলে মনে হয়। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে তাদের দলের দণ্ডিত নেতাদের ব্যাপারে এবং তাদের দলের অন্যদের বিচার প্রক্রিয়ার ব্যাপারে জামায়াত বিএনপির স্পষ্ট ভূমিকা দাবি করে থাকতে পারে। আন্দোলন সফল হলে, বিএনপি সরকার গঠনে সক্ষম হলে মন্ত্রিসভায় জামায়াতের অন্তর্ভুক্তিকরণ, একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া চালু রাখা না রাখার ব্যাপারে বিএনপির আগাম সিদ্ধান্তও তারা দাবি করে থাকতে পারে। কিন্তু বিষয়টা এতই জটিল ও স্পর্শকাতর যে, এই ব্যাপারে হ্যাঁ বা না কোনো স্থির সিদ্ধান্তে আসা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য এখন আর এত সহজ নয়। বলা হয়ে থাকে, বিএনপির লাইফ ব্লাড এখনো প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী তাকে নিঃশর্ত ও অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছিলেন। তিনি তার গোটা দল ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিটাই তুলে দিয়েছিলেন শহীদ জিয়ার হাতে। এমনকি দলের নির্বাচনী প্রতীক ধানের শীষও। এটা ছিল ন্যাপের প্রতীক। বিএনপি গঠনের আগে তিনি প্রথম ১৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে ১৯ দফা বাস্তবায়ন কমিটি ও পরে বিচারপতি আবদুস সাত্তারের নেতৃত্বে জাগদল গঠনে উৎসাহ দিয়েছিলেন। কেএম ওবায়দুর রহমান ও ফেরদৌস কোরেশীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি অংশও এতে যোগ দেয়। যোগ দেয় জাসদের কিছু তরুণ। ১৯ দফা বাস্তবায়ন কমিটি ও জাগদলে প্রগতিশীল গণতন্ত্রীরাই ছিলেন সংখ্যাধিক। পরে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে যে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট গঠিত হয় তার কম্পোনেন্ট ছিল-১. জাগদল, ২. ন্যাপ (ভাসানী) ৩. ইউনাইটেড পিপলস পার্টি-ইউপিপি, ৪. রশরাজমণ্ডলের নেতৃত্বাধীন তফসিলী ফেডারেশন, ৫. মাওলানা মতিনের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি এবং ৬. শাহ আজিজুর রহমানের নেতৃত্বাধীন মুসলিম লীগ। ক্ষয়িষ্ণু মুসলিম লীগের এখানে ওখানে কিছু বয়স্ক লোক ছাড়া কোনো শক্তি ছিল না। ফ্রন্টের মূল শক্তি ছিল প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ধারার ব্যক্তি ও শক্তি। বিএনপির জন্মের পরও এই শক্তিই ছিল দলের প্রাণ। সারা দেশে এরাই বিএনপিকে সংগঠিত করেছে। যে যত কথাই বলুন না কেন, সারা দেশে এখনো বিএনপি সাংগঠনিকভাবে দাঁড়িয়ে আছে সাবেক ন্যাপ, ইউপিপি, আওয়ামী লীগ, জাসদের লোকজনের ওপর ভিত্তি করেই। ৩৬-৩৭ বছর সময়ে বহু নতুনের সমারোহ ঘটেছে দলে। তবে নির্দ্বিধায় বলা চলে এরা সবাই প্রগতিমনা, গণতন্ত্রী, আধুনিক ও বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ। ছাত্রদল এক সময় দেশের বৃহত্তম ছাত্র সংগঠন ছিল, ডাকসুর নেতৃত্ব পর্যন্ত দিয়েছে। তারা কেউ জামায়াত-শিবির থেকে আগত নয়। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল শহীদ জিয়ার দেওয়া নাম। সবই গঠিত হয়েছিল গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল ঘরানার লোকদের সমন্বয়ে। সেই সংগঠনগুলো আগের অবস্থানে নেই সত্য, যেটুকু আছে তা এখনো মৌলবাদী প্রতিক্রিয়াশীলদের একেবারে দখলে চলে গেছে বলা যাবে না। তাই জামায়াতে ইসলামীর এজেন্ডা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিলে বিএনপিতে একটা বড়সড় ভাঙন অনিবার্য। আর ভাঙনের দায়িত্ব যদি কেউ নিতে না চান তা হলে দলটি হয়ে যাবে মুসলিম লীগের মতো একটি 'মরহুম' দল। আবার অন্যদিকে সংখ্যায়-শক্তিতে কমজোর হলেও বিএনপিতে, কেন খালেদা জিয়ার ওপর এবং দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর চরম প্রতিক্রিয়াশীল, দক্ষিণপন্থি মৌলবাদী শক্তি জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের ভাবধারার অনুসারীদের প্রভাব নাকি এখন দিগন্ত প্লাবিত। বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়া নাকি মনে করেন, এই শক্তির সমর্থন ও সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া বিএনপি ক্ষমতায় যেতে পারবে না। ভোট এবং আন্দোলনে নাকি অপরিহার্য। এই কারণে তাদের এজেন্ডা একেবারে অগ্রাহ্যও করতে পারছে না বেগম খালেদা জিয়া। কী ভুল চিন্তা! পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, বিএনপি আজ না হোক কাল বুঝবে, জামায়াত তাদের জন্য এসেট নয়, লায়াবিলিটি। দলটির কাছ থেকে বিএনপি যে সমর্থন-সুবিধা পায়, তাদের বাদ দিলে সমর্থন পাবে তার চেয়ে বেশি। বহু প্রগতিশীল, গণতন্ত্রী জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে মাখামাখির কারণে বিএনপিকে সমর্থন করতে পারছে না, যারা সমর্থন করত, ভোট দিত তারাও তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করেছে। যে জামায়াতের ওপর বেগম জিয়ার এত ভরসা, তারা ভরসার মর্যাদা দিচ্ছে না বলেই মনে হচ্ছে।

২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি লীগ সরকার বিএনপির সঙ্গে, তাদের নেত্রীর সঙ্গে যে আচরণ করেছে তা শোভন ছিল না, গণতান্ত্রিক শিষ্টাচারবহির্ভূত, এমনকি দেশের সংবিধানবহির্ভূতও ছিল। সে কারণে ঘোষিত কর্মসূচি আওয়ামী মহল ছাড়া অন্যদের সমর্থনও পেয়েছিল। এই ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করাতে একটা রাজনৈতিক দলের যেমন কৃতিত্ব থাকে, তার চেয়েও কৃতিত্বপূর্ণ কাজ আন্দোলনের ফসল ঘরে তুলে সঠিক সময়ে তার সমাপ্তি ঘোষণা করা। আন্দোলনে কোথায় থামতে হবে তা না জানলে বিপদ হয়। সব অর্জন নষ্ট হয়। বিপদের পর বিপদ বাড়ে। বিএনপি একটি বুর্জোয়া গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগাররা যতই বলুক, এটি কোনো জঙ্গি সংগঠন নয়, কর্মী-সমর্থকদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যও তেমন নয়। মৌলবাদী চিন্তার অনুসারীও বলা যাবে না তাদের। ধার্মিক আর ধর্মভীরু হলেই কেউ মৌলবাদী জঙ্গি হয় না। প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে তো সবাই জানেন যে, তিনি ধর্মপরায়ণা। তাহাজ্জতের নামাজও আদায় করেন। কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে দিবসের কাজ শুরু করেন। তাই বলে কি তিনি মৌলবাদী? নিশ্চয়ই না। কাজেই বিএনপির লোকজনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ সঠিক নয়। বিএনপি একটি বিপ্লবী দলও নয় যে, লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত সশস্ত্র লড়াই চালিয়ে যাবে। সভা-সমাবেশ, মিটিং-মিছিল, বিক্ষোভ, হরতাল, অবরোধ এমনকি অসহযোগ পর্যন্ত গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক পন্থার আন্দোলনেই বিএনপির কর্মীরা অভ্যস্ত। বোমাবাজি, সশস্ত্র সংঘাত বিএনপি কর্মীদের কাছে গ্রহণযোগ্য কর্মসূচি হওয়ার কথা নয়। অবরোধে কিন্তু পেট্রলবোমাবাজি হয়েছে, নিরীহ মানুষ দগ্ধ হয়ে মারা গেছে, অনেকে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। বিএনপি বলছে এসব তারা করেনি। তাহলে করল কারা? বিএনপি জোটের কর্মসূচির ছাতার তলেই তো হয়েছে এসব। স্বস্তির বিষয় হচ্ছে, এসব জঘন্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অনেকটাই কমেছে। মানুষ চায় এসব সম্পূর্ণ বন্ধ হোক। এটা শুধু সরকারের চাওয়া নয়। বিএনপির উচিত ছিল, একটা সময় তাদের ঘোষিত কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা। সরকারের ওপর প্রচণ্ড একটা চাপ বিরোধী দল সৃষ্টি করতে পেরেছিল। প্রায় দেড় মাস রাজধানী ঢাকা সারা দেশ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্নই ছিল। সত্যি বলতে কি, রাষ্ট্র পরিচালনার প্রায় সব ক্ষেত্রেই সরকার প্রায় ব্যর্থ হয়েছিল। কিন্তু এই যে, কোথায় থামতে হবে জানল না বিএনপি। 'ম্যাডাম চালিয়ে যান, ম্যাডাম চালিয়ে যান' রাজনীতিবিদদের পরামর্শ না নিয়ে কর্মচারী-তোষামোদকারীদের এমন কুমন্ত্রণাই বোধহয় কাল হয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার, বিএনপির। সময় মতো থামলেন না। দুটো সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল। এক. এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে কর্মসূচি প্রত্যাহার না হোক, স্থগিত করা যেত, দুই. সরকারের কাছে সংলাপ-সমঝোতার জন্য বিদেশি বন্ধুদের বিশেষ করে জাতিসংঘ মহাসচিবের চিঠিকে এবং দেশের ব্যবসায়ীমহলের অনুরোধ রক্ষা করে কর্মসূচি থেকে সরে আসা যেত। বেগম জিয়া যে অনর্থক সাংবাদিক সম্মেলন করলেন, তাকে খুবই অর্থপূর্ণ করে তুলতে পারতেন ওইদিন সাময়িকভাবে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে এবং সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আনুষ্ঠানিক লিখিত প্রস্তাব দিয়ে। তাতে সরকার ব্যাকফুটে চলে যেত।

এখন বিএনপি ব্যাকফুটে। সরকার উল্টো বেশি করে চড়াও হচ্ছে বিএনপির ওপর। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চলমান অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে আন্দোলন শিথিল হয়ে যাওয়ার সুযোগে। জানা গেছে, গত বছরের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ও পরে নাশকতার ঘটনায় দায়ের করা বিভিন্ন মামলা চাঙ্গা করা হচ্ছে। মামলাগুলো সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বিচার করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। পাশাপাশি বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন দলে থাকা দুর্নীতিসহ অন্য মামলাও চাঙ্গা করা হচ্ছে। জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ককে পুঁজি করে জঙ্গিবাদী তৎপরতায় ২০ দলীয় জোটকে দায়ী করতেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যাতে বহির্বিশ্বের কাছে দলটির ভাবমূর্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মানুষ হত্যার দায়ে খালেদা জিয়াকে শাস্তি পেতে হবে। ইতিমধ্যে অবরোধ ও হরতালে মানুষ হত্যার দায়ে বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধেও একই ধরনের মামলা দায়ের করে মা ও ছেলেকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর চিন্তা-ভাবনাও সরকারের মধ্যে কাজ করছে বলে আভাস মিলছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অন্য মামলার পাশাপাশি এই সংক্রান্ত মামলাও নাকি নিষ্পত্তি করে ফেলতে চায় সরকার। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দুজনই নির্বাচনে অযোগ্য হয়ে যাবেন। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি সংক্রান্ত বেগম জিয়াসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টের আদেশ দাখিলের জন্য আগামী ১৩ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়েছে। এছাড়া ডান্ডি ডায়িংয়ের ঋণখেলাপি মামলায় প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর ওয়ারিশ হিসেবে মা হিসেবে খালেদা জিয়াকে পক্ষভুক্ত করা হয়েছে। তারেক রহমানকেও দেশে ফেরত এনে বিচার করার চেষ্টা চলছে। অর্থাৎ বিএনপির সামনে আরও কঠিন দিন আসছে। আন্দোলনে সফল হলে পরিস্থিতি হতো অন্যরকম। সময়মতো থামলেও সম্মানজনক পরিণতি হতো। এখন তো আন্দোলন ব্যর্থতার মুখে। কোথায় অবরোধ? কোথায় হরতাল?

ব্যর্থতার গ্লানি কাটিয়ে বেগম খালেদা জিয়া কি পারবেন আবার ঘুরে দাঁড়াতে? তবে আর যাই করুন, নিজেরা কষ্ট না করে মানুষকে কষ্ট দেওয়ার কোনো পথ যেন না নেওয়া হয়। ততটুকুই নির্ধারণ করা উচিত যতটুকু শক্তিতে কুলোয়। যতটুকু দৌড়ানোর দম আছে দৌড়ের সীমা ততটুকুই নির্ধারণ করা উচিত। আমাদের মনে আছে, শেখ হাসিনার প্রথম সরকারের আমলেও কিছু লোক 'কট্টরপন্থি' সেজে হঠকারী পদক্ষেপ নিতে চেয়েছিলেন। তা ঠেকিয়েছিলেন দলের তৎকালীন মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়া। রক্ষা করেছিলেন বিএনপিকে, বলা যায় বিপর্যয়ের হাত থেকে বেগম জিয়াকেও। মান্নান ভূঁইয়াকে বলা হয়েছিল 'নরমপন্থি' 'আপোসকামী', এমনকি সরকারের দালাল। এরা মান্নান ভূঁইয়াকে বাদ দিয়ে খোন্দকার মোশাররফ বা সাকা চৌধুরীকে বিএনপির মহাসচিবও বানাতে চেয়েছিলেন। সাকা চৌধুরী গংয়ের তথাকথিত সেই কট্টরপন্থি গ্রুপের প্রমোটররা এখনো বেগম জিয়ার আশপাশেই আছেন, এমনকি 'আলোকিত' করে রেখেছেন তার গুলশান কার্যালয়; কিন্তু নেই একজন আবদুল মান্নান ভূঁইয়া। বেগম জিয়ার শুভানুধ্যায়ীদের ভয়টা এখানেই।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট

ই-মেইল : [email protected]

 

এই বিভাগের আরও খবর
বিবিসিতে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার : দূরদৃষ্টির অনন্য দৃষ্টান্ত
বিবিসিতে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার : দূরদৃষ্টির অনন্য দৃষ্টান্ত
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
সর্বশেষ খবর
'কালি মুছে গেলেও জাল ভোটের সুযোগ নেই'
'কালি মুছে গেলেও জাল ভোটের সুযোগ নেই'

১ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

মালয়েশিয়ায় দুই বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় দুই বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ উদ্ধার

১ মিনিট আগে | পরবাস

১০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা কাঠের সেতু এখন অকেজো
১০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা কাঠের সেতু এখন অকেজো

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শুক্রবার থেকে সারাদেশে বৃষ্টির আভাস
শুক্রবার থেকে সারাদেশে বৃষ্টির আভাস

২১ মিনিট আগে | জাতীয়

'অশ্লীল' তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ করা হয় মাধুরীর গান
'অশ্লীল' তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ করা হয় মাধুরীর গান

২২ মিনিট আগে | শোবিজ

মা ইলিশ রক্ষায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভা
মা ইলিশ রক্ষায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভা

২৭ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা স্ত্রীর, বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ স্বামী
গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা স্ত্রীর, বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ স্বামী

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দরিদ্র ভ্যানচালকের ৬ মেয়ের শিক্ষার দায়িত্ব নিলো ছাত্রদল
দরিদ্র ভ্যানচালকের ৬ মেয়ের শিক্ষার দায়িত্ব নিলো ছাত্রদল

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টানা জয়ের বিশ্বরেকর্ড এককভাবে মরক্কোর
টানা জয়ের বিশ্বরেকর্ড এককভাবে মরক্কোর

৩০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাকচাপায় জাবি ছাত্রী নিহত
ট্রাকচাপায় জাবি ছাত্রী নিহত

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৫ দফা দাবিতে গোপালগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন
৫ দফা দাবিতে গোপালগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

একজন ধনী ব্যক্তি মার্কিন সেনাদের বেতন দিতে চান
একজন ধনী ব্যক্তি মার্কিন সেনাদের বেতন দিতে চান

৪৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পঞ্চগড়ে ‘ঘরে ঘরে জনে জনে’ কর্মসূচিতে মিলছে সাড়া
পঞ্চগড়ে ‘ঘরে ঘরে জনে জনে’ কর্মসূচিতে মিলছে সাড়া

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে, প্রয়োজনে আমরাই করব: ট্রাম্প
হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে, প্রয়োজনে আমরাই করব: ট্রাম্প

৫০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কর জাল সম্প্রসারণে এনবিআরের ১২ নতুন ইউনিট গঠন
কর জাল সম্প্রসারণে এনবিআরের ১২ নতুন ইউনিট গঠন

৫১ মিনিট আগে | জাতীয়

১৬ লাশের মধ্যে সাত লাশ হস্তান্তর হতে পারে
১৬ লাশের মধ্যে সাত লাশ হস্তান্তর হতে পারে

৫৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

তারেক রহমানের নেতৃত্বেই গড়ে উঠবে সম্প্রীতির বাংলাদেশ
তারেক রহমানের নেতৃত্বেই গড়ে উঠবে সম্প্রীতির বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদপুরে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে আটক ৬১ জেলে
চাঁদপুরে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে আটক ৬১ জেলে

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই-আগস্টের ৭ মামলায় সালমান-আনিসুলসহ ৪৫ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির
জুলাই-আগস্টের ৭ মামলায় সালমান-আনিসুলসহ ৪৫ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুদকের পরিচালক হলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা
দুদকের পরিচালক হলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উষ্ণায়নের ফলে ধ্বংসের পথে প্রবাল প্রাচীর
উষ্ণায়নের ফলে ধ্বংসের পথে প্রবাল প্রাচীর

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আবারও সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলা পাকিস্তান-আফগানিস্তানের
আবারও সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলা পাকিস্তান-আফগানিস্তানের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমাদের সম্মান বাড়বে: চবি উপাচার্য
নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমাদের সম্মান বাড়বে: চবি উপাচার্য

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে স্থায়ীভাবে অপসারণ
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে স্থায়ীভাবে অপসারণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন
সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জামায়াত নেতা হত্যা: একজনের আমৃত্যুসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন
জামায়াত নেতা হত্যা: একজনের আমৃত্যুসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত
নারায়ণগঞ্জে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯
যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার
ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ব্রিকসের দেশগুলোকে শুল্ক দিতে হবে, হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
ব্রিকসের দেশগুলোকে শুল্ক দিতে হবে, হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

২৩ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঝালকাঠিতে জলাতঙ্কে যুবকের মৃত্যু
ঝালকাঠিতে জলাতঙ্কে যুবকের মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১৯৬৭ সালের আগের সীমান্ত অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের আহ্বান
১৯৬৭ সালের আগের সীমান্ত অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের আহ্বান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন আমদানি বন্ধ চীনের, ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি
যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন আমদানি বন্ধ চীনের, ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার
ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের তিন কাশির সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা জারি
ভারতের তিন কাশির সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা জারি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯
যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবতীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবতীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগামী ৫ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল অধিদপ্তর
আগামী ৫ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল অধিদপ্তর

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ট্যারিফ আজ থেকে, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা
চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ট্যারিফ আজ থেকে, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

নারীকে জড়িয়ে ভয়ংকর অপতথ্যের জাল
নারীকে জড়িয়ে ভয়ংকর অপতথ্যের জাল

পেছনের পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

রাকিবের গোলে ১ পয়েন্ট
রাকিবের গোলে ১ পয়েন্ট

মাঠে ময়দানে

অধরাই বিকল্প বাজার
অধরাই বিকল্প বাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

১২ বছর চলছে ১১ কিমি সড়কের কাজ!
১২ বছর চলছে ১১ কিমি সড়কের কাজ!

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮

নগর জীবন