লেখক ও গবেষক মেজর (অব.) রেজাউল করিম তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে প্রশ্ন তুলেছেন, 'বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে? নাকি শিয়ালের কাছে মুরগী দেয়ার মতো অবস্থা?' তিনি লিখেছেন, 'প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছি। শকিং!'
এর আগে তিনি একটি বাড়ির ডিজাইন, ক্রেতা-বিক্রেতার নাম এবং প্রোপার্টির ডকুমেন্টের কিছু ছবি পোস্ট করে দাবি করেছিলেন, দুবাইয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের মেয়ের নামে ১৩ মিলিয়ন ৫০০০০০ দিরহাম (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৫ কোটি টাকা) মূল্যের একটি সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গেছে। তিনি বলেছিলেন, 'বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচিত দ্রুত তদন্ত করা।'
মেজর (অব.) রেজাউল করিম তার স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেছিলেন যে তার হাতে যেসব তথ্য রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে- বাড়ির পূর্ণাঙ্গ ডিজাইন, ক্রেতা ও বিক্রেতার নাম, প্রোপার্টির অফিসিয়াল ডকুমেন্ট ও ফ্ল্যাটের ছবি।
এছাড়াও তিনি আরও এক নতুন তথ্য তুলে ধরেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, 'জানতে পারলাম, প্রিমিয়ার ব্যাংক গত মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিট হেড অফিসে গিয়ে ৫০০ কোটি টাকার তছরুপের ঘটনা ধরে ফেলেছে।' তার দাবি অনুযায়ী, ব্যাংকের কিছু শীর্ষ কর্মকর্তার জালিয়াতির মাধ্যমে এ টাকা নগদে উত্তোলন করে গোপন জায়গায় সরিয়ে ফেলা হয়।
তিনি আরও লিখেছিলেন, 'শোনা যাচ্ছে, এই টাকা গভর্নর অথবা কোনো উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দিয়ে ব্যাংকের বোর্ড ভাঙা ঠেকানো হয়।'
তবে তার দাবি অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট অফিসারদের কাছ থেকে একটি 'আন্ডারটেকিং' স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছে—যার শর্ত অনুযায়ী, আগামী জুনের মধ্যে পুরো টাকা ফেরত না দিলে বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল