শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৫

শুভ নববর্ষ

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
অনলাইন ভার্সন
শুভ নববর্ষ

শুভ নববর্ষ বাঙালির জীবনে এ এক বহু কাঙ্ক্ষিত দিন। আল্লাহ আমাদের ১৬ কোটি মানুষকে বাংলা নববর্ষের অনাবিল আনন্দে ভরিয়ে দিন। বছরটি যেন আমাদের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধির হয়।

আমাদের অবস্থানের আজ ৭৮ দিন। মতিঝিলের ফুটপাথে একনাগাড়ে ৬৫ দিন থেকে এখন কর্মসূচি সারা দেশে বয়ে বেড়াচ্ছি। গত পর্বে লিখেছিলাম ৬ তারিখ জাতীয় স্মৃতিসৌধের গেটে ছিলাম। কী বলব, আমি যাওয়ার আগে যেখানে শান্তির ব্যানার লাগাতে দেয়নি। গেটের ডানপাশে তাঁবু টানিয়ে যখন শুয়েছিলাম, তখন দেখি স্মৃতিসৌধের সব জায়গায় বাতি আছে, শুধু আমার মাথার উপর নেই, হঠাৎ করেই বন্ধ করে দেয়। কেন যেন মন ভারি হয়ে এসেছিল। হায়রে কপাল! শহীদের স্মৃতিতে নির্মিত সৌধে সবখানে বাতি আছে, আমি জীবিত বলে আমার মাথার উপর নেই। একজন মুক্তিযোদ্ধার বেঁচে থাকা কত বড় অপরাধ, ভেবে কোনো কূলকিনারা পাইনি। ৭ তারিখ পদ্মার পশ্চিম পাড়ে আমাদের পাঁচ্চরে থাকা হয়নি। ৭ তারিখ রাত কাটিয়েছি কর্নেল ফারুক খানের নির্বাচনী এলাকা কাশিয়ানীর হোগলাকান্দি কুমার নদের পাড়ে ১৫৬নং হোগলাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছোট্ট মাঠে। সে কি বৃষ্টি! অমন দুর্যোগ খুব একটা মোকাবিলা করিনি। কত মানুষ এসেছিলেন। কত মুক্তিযোদ্ধা, যার মধ্যে আওয়ামী লীগই বেশি। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাংবাদিক সালাউদ্দিন রাজ্জাক তার বিয়েতে দাওয়াত করেছিল। কথা ছিল, যাব। কিন্তু বাইরে থাকায় যেতে পারিনি। তাই ধরেছিল টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার পথে তার গ্রামে যেতে। রাজি হয়েছিলাম। বিয়েতে যাওয়া হয়নি, একেবারে বাড়িতে গিয়েছিলাম। বড় তৃপ্তি নিয়ে তার বাড়ি দুই বেলা খেয়েছি। সালাউদ্দিনের বোনের মেয়ে আড়াই-তিন বছরের ফাতেমা বড় অসাধারণ। আমরা বসতে বসতেই এক ফলের বাটি নিয়ে ছুটে এসেছিল ফাতেমা- যেটা মনে হচ্ছিল তার চেয়ে ভারী। কোলে চড়ে যাওয়ার পথে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তুমি কোলে কেন? হাঁটতে পার না? সঙ্গে সঙ্গে জবাব, আমার পা নেই, হাত নেই, নাক নেই, ঠোঁট নেই। এক সময় বলে বসল, আমিও নেই। ফুলের মতো হাসিখুশি অসাধারণ ছোট্ট মেয়ে। পরদিন চলে আসার পথে প্রাইমারি স্কুলের বাচ্চারা মন কেড়ে নিয়েছিল। মিম্মা, সখিনা এটা ওটা জিজ্ঞেস করছিল। এক সময় মিম্মা বলেছিল, আঙ্কেল, বিস্কুট খাবেন? বলেই ছুটে গিয়ে আগের দিন স্কুলে দেওয়া সরকারি বিস্কিট নিয়ে এসেছিল। একটা বিস্কিট আমি খুব তৃপ্তি সহকারে খেয়েছিলাম। একটু পরে সালাউদ্দিনের বাড়িতে নাশতা খেয়ে রওনা দেওয়ার আগে স্কুলের সব বাচ্চা ঘিরে ধরেছিল। কিছুতেই ছাড়তে চাচ্ছিল না। মিম্মারা কজন মিলে একটা কলম উপহার দিয়েছিল। বাচ্চারা কলমটি যখন দেয় তখন বুঝতে পারছিলাম না, আমি স্বর্গে, না মর্তে। কোনো দিন দেখিনি, মাত্র এক রাত ছিলাম, সকালে এক-দুই ঘণ্টা কথা হয়েছে। তাতেই এত মায়া। একদল ছোট্ট বাচ্চার একটা কলম উপহার আর ধনবানের বিএমডবি্লউ-মার্সিডিজ গাড়ি উপহারে পার্থক্য কী? আনন্দে কৃতজ্ঞতা ভালোবাসায় বুক ভরে গিয়েছিল। গাড়িতে যখন উঠতে যাচ্ছিলাম কম করে ৩০-৪০ জন একজন আরেকজনকে ধাক্কাধাক্কি করে আমার দুই হাত ধরার চেষ্টা করছিল। ওভাবে কিলবিল করা বাচ্চাদের সঙ্গে হাঁটা যায় না। পায়ে পা লেগে কতবার পড়ে যাওয়ার অবস্থা হয়েছে। কী করব! ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চা কিছুতেই ছাড়ছিল না। কয়েকজন বলছিল, দাদু তোমার জন্য কান্না পাচ্ছে। আমারও যে বুক তোলপাড় করছিল না, তা তো নয়। আজ ৫-৬ দিন পর যখন লিখছি, তখনো হোগলাকান্দির ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চাদের কেন যেন ভুলতে পারছি না। এক মুহূর্তে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, বাচ্চা-কাচ্চার মায়ায় জড়িয়ে গিয়েছিলাম।

৮ তারিখ টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারতের কথা ছিল। যে কারণে ছেলেমেয়ে নিয়ে নাসরীন সরাসরি ঢাকা থেকে রওনা হয়েছিল। কাশিয়ানীতে যখন ছিলাম তখন জানলাম আমার স্ত্রীর শিশুকালের বন্ধু রেনুর বাড়ি পাশের থানা মুকসুদপুরে। আমি যেখানে ছিলাম সেখান থেকে খুব একটা বেশি দূর নয়, ১২-১৩ কিলোমিটার হবে। আমার স্ত্রী ছোটকালের বন্ধুদের জন্য পাগল। ওর ভালো লাগবে, খুশি হবে সেজন্য মুকসুদপুরের বনগ্রামে বিজনকান্তি সাহা কানুর ছোট বোন রেনুর বাড়ি গিয়েছিলাম। কানুর দাদা নির্মল সাহা ১৯৬০ সালের দিকে জুট ইন্সপেক্টর হিসেবে টাঙ্গাইলে গিয়েছিলেন। সেই থেকে ওদের সঙ্গে পরিচয়। একেবারে নিচের ক্লাস থেকে বন্ধুত্ব। মুকসুদপুরের বনগ্রামে রেনুদের বিশাল দোতলা বাড়ি। সেখানে এক নব্য আওয়ামী লীগার এনিমি প্রপার্টির দোহাই দিয়ে একেবারে পেটের ভিতর গোদের উপর বিষফোঁড়ের মতো ঘর তুলে দখলের চেষ্টা করছে। যদিও এখন আর এনিমি প্রপার্টি বলে কিছু নেই। এ জন্য মুক্তিযোদ্ধা হান্নান ফকির ভীষণ ক্ষিপ্ত। আমিও এক সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এলাকা দেখাশোনাকারী আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক জনাব শেখ আবদুল্লাহকে বলেছিলাম। আর বিজনকান্তি সাহা কানু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে ৭-৮ বছর থেকে তাকে দেখাশোনা করেছে। তাই তার সম্পত্তি নিয়ে এত টানাটানি হবে ভাবতেই পারিনি। কিন্তু তারপরও কী করা যাবে- হয়েছে। ৮ তারিখ দুপুরে বনগ্রামে রেনুদের বাড়িতে খেয়ে সোজা টুঙ্গিপাড়ায় সেই কাতার বাকা মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় করেছি। টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার পথেই আমাদের নারায়ণগঞ্জ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার এবং তার বড় ভাই দলবল নিয়ে ফিরে গিয়েছিল। টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধুর কবরে সব সময় আমার ভীষণ ভালো লাগে। ২ এপ্রিল গিয়েছিলাম হুজুর মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর কবরে, ৮ তারিখ আমার রাজনৈতিক পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবরে। টুঙ্গিপাড়া এখন আর আগের মতো নেই, অনেক দালানকোঠা উঠেছে। কিন্তু প্রাণ মরে গেছে। জনাব শেখ সেলিমের বাড়ির গেট বন্ধ, শিকের ফাঁক দিয়ে পাতা পড়ে থাকতে দেখলাম। আমু ভাইর শ্বশুরবাড়িতে বড় ভাই ছাড়া কেউ নেই। মাজারের উত্তরে মুন্নীদের বাড়ি। মুন্নীর বিয়ে হয়েছে, রুনু কাজী, সেও নেই। অনেক দালানকোঠা হয়েছে, কিন্তু জীবনের কোলাহল চোখে পড়েনি। যখন কিছুই ছিল না, তখন বঙ্গবন্ধুর কবরে পায়ের কাছে যেখানে শুয়ে থাকতাম, এবারও সেখানেই ছিলাম। ফজরের আজানে ঘুম ভাঙে। নামাজ আদায় করে বসতে বসতেই কবরের গার্ড বাহিনীর লোকেরা নাশতা দিয়েছিল। গার্ড বাহিনীর সাব-ইন্সপেক্টর ফরিদ আমার বাসাইল থানার কাশিলের লোক। বড় যত্ন করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির কেয়ারটেকার বৈকুণ্ঠ, নির্মল, আতিয়ার তাদের সেবাযত্নের তুলনা হয় না। বিশেষ করে আক্কাস সারা রাত জেগেছে। অজুর জন্য বাথরুম খুলে রেখেছে। তাদের অসাধারণ আন্তরিকতা আমাদের মুগ্ধ করেছে। বিশেষ করে আক্কাস, আমরা যখন টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করতাম তখন রাস্তার দুই পাশের জঙ্গল পরিষ্কার করত। ছোট বাচ্চাদের মধ্যে আক্কাস, ওবায়দুল এরা হাত মিলাত, আমার সঙ্গে রাস্তা ঝাড়ু দিত। মেয়েদের মধ্যে ছোট্ট রুনু কাজী থ্রি-ফোরের মেয়ে মামা মামা বলে ছায়ার মতো লেগে থাকত। সেই আক্কাস সবাইকে নাশতা খাইয়েছে। নির্মল ঘুম ভাঙতেই চা এনে দিয়েছিল। রাতে দুই রুটি খেয়ে যেমন আনন্দে রাত কাটিয়েছিলাম, সকালের নাশতাও ছিল ঠিক সেই রকম। নির্মল, আক্কাস, পুলিশরা যে নাশতা দিয়েছিল তা আরও ১০ জনকে খাইয়েছিলাম। টুঙ্গিপাড়া গেলে ওরা যে কী ভালোবাসে হৃদয় ছিঁড়ে যেতে চায়। কারও জন্য কিছুই করতে পারি না, তবু বড় বেশি ভালোবাসে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর টুঙ্গিপাড়ায় বাড়ি। কিন্তু আশপাশে অনেক অসহায়ের বাস। বলতেই যেন কেমন লাগে। সবকটা বাড়িতে একটা করে চাকরি হলে হয়তো এত কষ্ট থাকত না। বঙ্গবন্ধুর কবরের পাশে কয়েকটা ঘণ্টা বড় আনন্দে কেটেছে। সাড়ে ১০টার দিকে রওনা হয়েছিলাম। ফেরিতে কোনো অসুবিধা হয়নি। শ্রমিক লীগের সভাপতি শুকুর মাহমুদ সেই '৯০ সাল থেকে সব সময় টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়া-আসায় অসম্ভব সহযোগিতা করে, এবারও করেছে। ফেরি পার হয়ে সিরাজদিখানের কুচিয়ামোড়া বিক্রমপুর আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে ছেলেমেয়ে স্ত্রী নিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে রাত কাটিয়েছি। মাঠের পাশেই আসিফদের বাড়ি। রাতে আসিফের মা সবজি পাঠিয়ে বলেছিল, সকালের নাশতা দেবে। মানুষের কত মায়া! জানা নেই, শোনা নেই এক অপরিচিত গৃহকর্ত্রী ভিনদেশি মুসাফিরদের জন্য সে কি মায়া। সকাল ৭টায় ক্লাস নাইনের শ্যামলা এক ছোট্ট ছেলে আসিফ রুটি, পরটা, ডিম, ডাল নিয়ে হাজির। আমি খুব একটা ডিম খাই না, পরটাও না। সকালে সাধারণত ছোট ১-২টা আটার রুটি খেয়েই নাশতা করি। গরম পরটা একটু ছিঁড়ে মুখে দিতেই এক অসাধারণ স্বাদ অনুভব করি। একটু-আধটু খেতে খেতে একটা পরটা পুরোটাই খেয়ে ফেলি। দুটার বেশি খাব না, তাই আরেকটা একটু ডিম দিয়ে খাই। পরে কোনো কিছু ছাড়াই আর একটা খেয়ে ফেলি। বড় ভালো লেগেছে কুচিয়ামোড়ার কলেজ মাঠে। আবার কালো দিক হলো, আমাদের নেতা নারায়ণগঞ্জের পারভেজ গিয়েছিল কলেজের প্রিন্সিপালের কাছে। তিনি বড় খুশি হয়ে জানিয়েছিলেন, কাদের সিদ্দিকীর মতো একজন বরেণ্য ব্যক্তি আমাদের এখানে এলে আমরা ধন্য হব। কলেজের হল ব্যবহারে কোনো অসুবিধা হবে না। আমি পৌঁছার পর শুধু খবর দিলেই প্রিন্সিপাল ছুটে আসবেন। এটা ছিল ১০-১১টার দিকের কথা। ১২টার দিকে ভোট ছাড়া এমপি শ্রী সুকুমার ঘোষ নাকি প্রিন্সিপালকে বলেন, প্রয়োজনে কলেজের গেট বন্ধ করে রাখতে হবে। কাদের সিদ্দিকীকে থাকতে দেওয়া যাবে না। আমাদের অবস্থান কর্মসূচি কারও ঘরে নয়, সম্পূর্ণই বাইরে। আজ ৭৮ দিনে এক রাতও ঘরে থাকিনি, ঝড়-তুফান যা কিছুই হোক বাইরে রাস্তায়, মাঠে থেকেছি। কুচিয়ামোড়াতেও তাই থেকেছি। অনেক মানুষ দেখা করতে এসেছে। প্রায় সবাই ভালো মানুষ। অধিকাংশ মানুষ বিদেশে থাকায় শূন্যতা যাই থাক আর্থিকভাবে সচ্ছল। যে মাঠে তাঁবু ফেলেছিলাম সেই মাঠের পূর্বে এক সময়ের বিখ্যাত বাঙালি পৃথিবীর সেরা সাঁতারু ব্রজেন দাসের বাড়ি। বিক্রমপুর আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এক সময় শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের বদন্যতা পেয়েছিল। কুচিয়ামোড়ায় রাতটা প্রচণ্ড শিশিরভেজা হলেও আমার ভালো লেগেছে।

কুচিয়ামোড়া থেকে ১০ তারিখ সকাল ১০টায় বনানী কবরস্থানে জাতীয় তিন নেতা এবং বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নিহতদের কবর জিয়ারত করে ঠিক ১১টা ১০ মিনিটে বীরউত্তম জিয়াউর রহমানের কবরে গিয়েছিলাম। কি এক টিভি চ্যানেল জিজ্ঞাসা করেছিল, কী কারণে সেখানে গেছি। কিছু বলার ইচ্ছা ছিল না, তবু বলেছিলাম একজন মুসলমান হিসেবে আরেকজন মুসলমানের কবরে ফাতেহা পাঠ করতে এসেছি। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেছি। ২ তারিখ সকালে মতিঝিলের ফুটপাথ ছেড়েছিলাম। আবার ১০ তারিখ বেলা ২টায় অল্প সময়ের জন্য সেখানে গিয়েছিলাম। দীপ, কুঁড়ি, কুশির মা খুব শখ করে অনেক খাবার নিয়ে গিয়েছিল। ভালোভাবে তৃপ্তির সঙ্গে খেয়ে গাজীপুরের পিরুজালী স্কুল মাঠের পাশে মসজিদের সামনে তাঁবু ফেলেছিলাম।

বহুদিন এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করি, একঘেয়ে জীবনে কোনো বৈচিত্র্য নেই। পিরুজালী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ঢুকেই দেখি ছেলেরা ক্রিকেট খেলছে। যদিও লোকজন অবসর দিতে চাচ্ছিল না, তবু ওর ফাঁকেই খেলা দেখছিলাম। বড় ভালো লাগছিল। কয়েকটা যুবক একটা বল নিয়ে কীভাবে লেগে থাকে। ইদানীং টেনিস বলে টেপ পেঁচিয়ে গ্রামগঞ্জের ছেলেরা ক্রিকেট খেলে। কদিন আগে টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার পথে ফরিদপুরের ভাঙ্গার জামিয়া ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম ঈদগাহ মাদ্রাসার মাঠে সফেদা গাছের নিচে কিছুক্ষণ বসেছিলাম। সেখানে একপাল বাচ্চা ঘিরে ধরেছিল। তাদের ব্যাট-বল কিনে দিয়েছি। একটি ছোট্ট ছেলে বড় সুন্দর করে বলে টেপ পেঁচাচ্ছিল, আমি অবাক হয়ে দেখছিলাম। মাঠে কিছুক্ষণ খেলা দেখে সময় কাটিয়েছিলাম। স্কুলের সভাপতি জনাব নুরুল ইসলাম মণ্ডলের বাড়িতে রাতে খাবারের ব্যবস্থা ছিল। তার ছোট্ট ছোট্ট নাতিপুতি ঝিনুক, প্লাবন, প্রাণ অসম্ভব সুন্দর। দেখে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। ফাতেমা, রিপা, ইয়ামিন, শিখা, স্মৃতি, কত বাচ্চা যে পেয়েছিলাম বলার মতো না। দুটি রাত বড় আনন্দে কেটেছে। কতজন কতভাবে খাবার এনেছে, কোনো সমস্যা হয়নি। গাজীপুরের এসপি নামকরা আওয়ামী লীগার। তাই তার কাছে সাধারণ সৌজন্য বা নিরাপত্তা পাওয়া যায়নি, বরং উসকানি পাওয়া গেছে। ১১ তারিখ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাওনা ফ্লাইওভার উদ্বোধন করেন। আমাকে নিয়ে নাকি এসপি খুব চিন্তায় ছিলেন। যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাপথে বাধার সৃষ্টি করি। কী বলব? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাওনা গিয়েছিলেন আকাশপথে। আমি তখন পিরুজালী স্কুলের পাশে মসজিদের সামনে তাঁবুতে। আমার কোনো আকাশযান ছিল না, বাধা দেব কী করে? আর বাধা দিতে যাবই-বা কেন?

যাক ওসব কথা! গরিব মানুষের একটা ঘটনা বলি। ১১ তারিখ সাড়ে ১১-১২টার দিকে ফাতেমাতুল মৌ নামে ক্লাস ওয়ানের ছোট্ট একটা মেয়ে তার নানী মাজেদাকে নিয়ে এসেছিল। এক ডিশ ভাত, সঙ্গে ৫-৬ রকমের ভাজি-ভুজি, সবজি। তিসি বাটা, ডাঁটার তরকারি, আলু ভাজা, কুমড়া ভাজা, কাঁচা কলা দিয়ে মাছের ঝোল- সে এক এলাহি কারবার। জানা নেই, চেনা নেই ছোট্ট বাচ্চা এসে বলল, 'দাদু তোমার জন্য খাবার এনেছি।' সেই খাবার খেতে গিয়ে যাদের খাবার খাওয়ার কথা ছিল তাদের খাবার খাওয়া হয়নি। আরও কতজন খাবার এনেছিল। স্কুলের হেডমাস্টার আবু আহমেদ, অন্য শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের সামনে দুই কথা বলতে অনুরোধ করেছিলেন। বলার ইচ্ছা ছিল না, তবু দুই কথা বলেছি, বাচ্চাদের মধ্যে বেশ চেতনা লক্ষ্য করেছি। তারা দেশের হানাহানিতে খুবই উদ্বিগ্ন, দুই নেত্রীর প্রতিও বেশ বিক্ষুব্ধ। শান্তির জন্য অবস্থান কর্মসূচিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা স্বাক্ষর করেছে। দূর থেকে ছেলেমেয়েদের স্বাক্ষর করতে দেখে মনে হয়েছে, ওর মধ্যে একজনও যদি সত্যিকারের মানুষের মতো মানুষ হয়, তাহলেই আমার এ কষ্টের সার্থকতা।

ফাতেমাতুল মৌ নানী মাজেদার সঙ্গে ভাত নিয়ে এসেছিল। মৌ-এর মা সাবিনা যখন খুব ছোট তখন সে বিধবা হয়েছে। অনেক কষ্টে মেয়েকে পড়াত। মনে হয় সেভেন-এইটের সময় বার্ষিক পরীক্ষায় সে প্রথম হয়। সাবিনা যখন মাকে গিয়ে বলে তার রোল এক হয়েছে। মাত্র এক হয়েছে শুনেই সাবিনার মা মাজেদা রেগেমেগে আগুন। চিৎকার করে মেয়েকে মারতে থাকে, 'আমি কষ্ট করে তোরে পড়াই, তুই মাত্র এক নম্বর হইলি?' মারতে মারতে মেয়েটির হাত-পা ফাটিয়ে ফেলে রা রা করে স্কুলে যায়। সব মাস্টারকে জড়ো করে, 'আমি গরিব মানুষ বলে আপনারা আমার মেয়ারে এক নম্বর বানান। আর ধনী মানসের কত ছেলেমেয়ে ১০ নম্বর, ১৫ নম্বর, এমনকি ৫০ নম্বর হয়। কত কষ্ট করে মেয়েটারে পড়াই। আপনেগোরে দয়া নাই। আপনাগো স্কুলে আর আমার মেয়া পড়ামু না।' সেই যে মেয়ে নিয়ে গিয়েছিল তাকে আর স্কুলে যেতে দেয়নি। এক সময় বিয়ে হয়। বিয়ে কতটা ভালো হয়েছে বলতে পারব না। ছোট বাচ্চা ফাতেমাকে যখন জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তোমার বাবা কোথায়? সে বলেছিল, 'চাকরি করার কথা বলে এক মাস আগে ভালুকা গেছে। যাওয়ার সময় তারে কোলেও নেয়নি।' বলেছিলাম, বাবা তোমাকে আদর করে না? মেয়েটি বলছিল, 'আমি বাবা বাবা করলে আমার দিকে বড় চোখ করে তাকায়। খুব একটা কোলে নেয় না।' কথাগুলো শুনে আমার কেমন যেন লাগছিল, ঔরসজাত সন্তান তাকে আদর না করে থাকা যায়? গরিব হলেই যে সন্তানকে আদর করতে হবে না, এমন তো নয়। বরং ধনবানদের চেয়ে নিঃস্ব-রিক্তরাই সন্তানের জন্য বেশি ভাবে। সাবিনার মা এলে হেডমাস্টার আবু আহমেদ আমায় যখন ঘটনাটি বলছিলেন, তখন সাবিনার মা মাজেদা কিছুটা লজ্জিত হয়ে বলছিল, 'মূর্খ মানুষ, আমি কী সেই সময় বুঝতাম। আমার মনে হইছে মাদবরগোরের ছেলে মেয়েগো আপনেরা ১০, ২০, এমনকি ৫০ নম্বর দেন। আমি কত কষ্ট করে টাকা-পয়সা সংগ্রহ করে মেয়া পড়াই। আমার মেয়ারে শুধু এক দিলেন?' পরীক্ষা দিয়ে স্কুলের রোল এক হওয়া যে ভালো সেটা সে তখন বুঝতে পারেনি। এখন কিছুটা বুঝে। পিরুজালী থেকে যখন চলে আসি তখন অনেক বাচ্চার মন ভারী হয়েছিল, আমারও যে হয়নি তা নয়। সেখান থেকে এম. সি. বাজারে হাজী ছোট কলিম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাঁবু ফেলেছি। এখানকার ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, সাধারণ মানুষ অসাধারণ। চারদিকে শিল্প-কারখানা, তাই বাইরের মানুষ বেশি। বড় বেশি আশ্চর্য হয়েছিলাম সাধারণ মানুষ এবং সাংবাদিকরা পর্যন্ত আমার নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। সন্ধ্যার দিকে কয়েকজন সাংবাদিক ক্ষোভের সঙ্গে বললেন, 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাওনা এসেছিলেন। সেখানে ১০ হাজার পুলিশ ছিল। আপনি একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রবীণ নাগরিক, আপনার জন্য ১০ জন পুলিশের ব্যবস্থাও নেই, এ কেমন কথা?' বলেছিলাম, বন্ধুরা অধৈর্য হবেন না, সবই আল্লাহর ইচ্ছা।

লেখক : রাজনীতিক।

 

এই বিভাগের আরও খবর
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
সর্বশেষ খবর
সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ
সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ

এই মাত্র | রাজনীতি

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চিন্ময়কে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ
চিন্ময়কে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

৯ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১
মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা
উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা

১৫ মিনিট আগে | জাতীয়

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

১৫ মিনিট আগে | জাতীয়

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

১৭ মিনিট আগে | জাতীয়

নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা
নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’
‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’

৩৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৩৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বরিশালে দুর্ঘটনায় মুদি দোকানির মৃত্যু
বরিশালে দুর্ঘটনায় মুদি দোকানির মৃত্যু

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সরকার ৫ দেশে নতুন মিশন খুলছে
সরকার ৫ দেশে নতুন মিশন খুলছে

৩৯ মিনিট আগে | জাতীয়

পোশাক শিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ : বিজিএমইএ সভাপতি
পোশাক শিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ : বিজিএমইএ সভাপতি

৪২ মিনিট আগে | অর্থনীতি

বগুড়ায় পিস্তল ও গুলিসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
বগুড়ায় পিস্তল ও গুলিসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার

৫২ মিনিট আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় শিয়াল শিকারের অপরাধে জরিমানা
কলাপাড়ায় শিয়াল শিকারের অপরাধে জরিমানা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু
গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির সমন্বয় কমিটি ঘোষণা
বগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির সমন্বয় কমিটি ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশিদের বিদেশে নিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি গঠন
বাংলাদেশিদের বিদেশে নিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি গঠন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড
ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুকুরে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
পুকুরে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সে খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন শুরু
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সে খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন শুরু

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এমপিওভুক্ত এক লাখ পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
এমপিওভুক্ত এক লাখ পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জামালপুরে কৃষক হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার দাবি
জামালপুরে কৃষক হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার দাবি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় গোল্ডকাপের উদ্বোধন
অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় গোল্ডকাপের উদ্বোধন

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা
চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে কিশোরের ডান পা বিচ্ছিন্ন
ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে কিশোরের ডান পা বিচ্ছিন্ন

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মোটরসাইকেল থেকে পড়ে নারীর মৃত্যু
মোটরসাইকেল থেকে পড়ে নারীর মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা
প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভয়াবহতা দেখে যা বললেন নেতানিয়াহু
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভয়াবহতা দেখে যা বললেন নেতানিয়াহু

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর
ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে যা বলেছে তুরস্ক, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইরাক
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে যা বলেছে তুরস্ক, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইরাক

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু
‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ভয়ে নেতানিয়াহুর ছেলের বিয়ে স্থগিত
ইরানের ভয়ে নেতানিয়াহুর ছেলের বিয়ে স্থগিত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক

১২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান
নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা
সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রও, ট্রাম্পের ইঙ্গিত
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রও, ট্রাম্পের ইঙ্গিত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন
ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত
ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু, ইসরায়েলে ফের সতর্কতা সাইরেন
ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু, ইসরায়েলে ফের সতর্কতা সাইরেন

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’
‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার
তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৮ ঘণ্টায় ভূপাতিত ৪৪টি ইসরায়েলি ড্রোন ও কোয়াডকপ্টার
৪৮ ঘণ্টায় ভূপাতিত ৪৪টি ইসরায়েলি ড্রোন ও কোয়াডকপ্টার

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা
ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা
নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বৃষ্টি ও তাপপ্রবাহ নিয়ে নতুন বার্তা
বৃষ্টি ও তাপপ্রবাহ নিয়ে নতুন বার্তা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা
দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল শিগগিরই চুক্তিতে আসছে— দাবি ট্রাম্পের
ইরান-ইসরায়েল শিগগিরই চুক্তিতে আসছে— দাবি ট্রাম্পের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি হামলায় ইরানে দুই দিনে নিহত ১২৮
ইসরায়েলি হামলায় ইরানে দুই দিনে নিহত ১২৮

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত
ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
তারেক ফিরছেন দেড় মাসের মধ্যে
তারেক ফিরছেন দেড় মাসের মধ্যে

প্রথম পৃষ্ঠা

ইসরায়েলে ধ্বংসস্তূপ
ইসরায়েলে ধ্বংসস্তূপ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশে নতুন বিপর্যয়ের শঙ্কা
দেশে নতুন বিপর্যয়ের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

আমের ‘ঢলন’ প্রথায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষি
আমের ‘ঢলন’ প্রথায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষি

নগর জীবন

হামজাদের দেখে ভারতীয় দলেও প্রবাসী ফুটবলার
হামজাদের দেখে ভারতীয় দলেও প্রবাসী ফুটবলার

মাঠে ময়দানে

কুশাসক-সুশাসক নির্ণয়ের দাঁড়িপাল্লা
কুশাসক-সুশাসক নির্ণয়ের দাঁড়িপাল্লা

সম্পাদকীয়

নাটক-সিনেমায় অনবদ্য তাসনিয়া ফারিণ
নাটক-সিনেমায় অনবদ্য তাসনিয়া ফারিণ

শোবিজ

সাত বছরে হলো কয়েকটি পিলার
সাত বছরে হলো কয়েকটি পিলার

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মাথায় হাত আলুচাষিদের
মাথায় হাত আলুচাষিদের

নগর জীবন

করোনা ঠেকাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার
করোনা ঠেকাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

এক ঘরে দুই পীর থাকতে পারে না
এক ঘরে দুই পীর থাকতে পারে না

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রোটিয়া ক্রিকেটের মহানায়ক টেম্বা বাভুমা
প্রোটিয়া ক্রিকেটের মহানায়ক টেম্বা বাভুমা

মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ
যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

পাঁচ ইসলামি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে, চাকরি হারাবে না কেউ
পাঁচ ইসলামি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে, চাকরি হারাবে না কেউ

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগ ভোটকে হাস্যরসে পরিণত করে
আওয়ামী লীগ ভোটকে হাস্যরসে পরিণত করে

প্রথম পৃষ্ঠা

এটিএম বুথে কিশোরী ধর্ষণ, পলাতক নিরাপত্তাকর্মী
এটিএম বুথে কিশোরী ধর্ষণ, পলাতক নিরাপত্তাকর্মী

পেছনের পৃষ্ঠা

অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধে নতুন কৌশল
অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধে নতুন কৌশল

পেছনের পৃষ্ঠা

এবার ব্যাংক থেকে ফেরার পথে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই
এবার ব্যাংক থেকে ফেরার পথে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই

প্রথম পৃষ্ঠা

সড়কে তবুও মেয়াদোত্তীর্ণ বাস
সড়কে তবুও মেয়াদোত্তীর্ণ বাস

পেছনের পৃষ্ঠা

ইতিহাস গড়লেন রুকসানা
ইতিহাস গড়লেন রুকসানা

মাঠে ময়দানে

হদিস মেলেনি কোটি টাকার, কেউ হয়নি গ্রেপ্তার
হদিস মেলেনি কোটি টাকার, কেউ হয়নি গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু মারা গেছেন
গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু মারা গেছেন

নগর জীবন

শাহিনের বক্তব্যে তোলপাড় বাফুফে
শাহিনের বক্তব্যে তোলপাড় বাফুফে

মাঠে ময়দানে

বিএনপির কমিটি গঠন না হওয়ায় ক্ষোভ
বিএনপির কমিটি গঠন না হওয়ায় ক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

আলোচনার পর ভোটের তারিখ সরকারের দিকে তাকিয়ে ইসি
আলোচনার পর ভোটের তারিখ সরকারের দিকে তাকিয়ে ইসি

প্রথম পৃষ্ঠা

আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইশরাকের
আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইশরাকের

প্রথম পৃষ্ঠা

সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়
সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

জাতীয় বাজেট ও কৃষি খাত
জাতীয় বাজেট ও কৃষি খাত

সম্পাদকীয়

সরকারি পরিত্যক্ত ভবনে চামড়ার আড়ত, দুর্গন্ধে ভোগান্তি
সরকারি পরিত্যক্ত ভবনে চামড়ার আড়ত, দুর্গন্ধে ভোগান্তি

নগর জীবন