শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৫

আছিম ফুলবাড়িয়ায় কিছু সময়

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
অনলাইন ভার্সন
আছিম ফুলবাড়িয়ায় কিছু সময়

ঘরের বাইরে মতিঝিলের ফুটপাথে ৬৫ দিন অবস্থান শেষে নিরন্তর যাত্রার আজ ৮৫ দিন। কেন যেন বেশ ভালোই লাগছে। রাস্তার সাধারণ মানুষ যে অনেক জ্ঞানী-গুণীর চেয়ে বিজ্ঞ, তা রাস্তায় রাস্তায় দেখতে পাচ্ছি। গতকাল ছিলাম ১২ নম্বর আছিম পাটুলী ইউনিয়ন পরিষদের খোলা চত্বরে। জায়গাটি বড় মনোরম। সামনে পাকা রাস্তা, পেছনে দোতলা পরিষদের ভবন, পুবপাশে পুকুর, পশ্চিমে অনেক নিরিবিলি খোলা জায়গা। আছিম আমার বহুদিনের পরিচিত, মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার। কত আনন্দ-বেদনার স্মৃতিবিজড়িত আছিম। বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিরোধ সংগ্রামে ১৬ বছর নির্বাসনে কাটিয়ে প্রথম যখন আছিম এসেছিলাম, তখন সভায় তিল ধরার ঠাঁই ছিল না। এই আছিমের বাশদি গ্রামের আবুল কাশেম মুক্তিযুদ্ধে ভুয়াপুরে শহীদ হয়েছিল। সভা শেষে তার বাড়ি গিয়েছিলাম। তখন কাঁচা রাস্তা থেকে চকের মধ্য দিয়ে অনেক দূর হেঁটে যেতে হয়েছিল। আজ প্রায় ছয় মাস কাশেমের কথা ভাবছি। এখন রাস্তাঘাট হয়ে যাওয়ায় বাড়িঘর চেনা যায় না। গতকাল সকালে হঠাৎই কাশেমের ভাতিজা লাল মিয়া এসে হাজির। মনে হলো এ যেন আল্লাহর দান, যা চেয়েছি তাই পেয়েছি। '৯১-এ আছিমের সেই সভা শেষে মফিজের বাড়িও গিয়েছিলাম। বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজ যেমন '৭১-এ ছিল, তেমনি '৭৫-এ প্রতিরোধ সংগ্রামে শরিক হয়েছিল। '৭৫-এর অক্টোবর-নভেম্বরের দিকে মুক্তাগাছায় এক চেয়ারম্যানের বাড়িতে আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় সরকারি বাহিনী তাদের ঘিরে ফেললে প্রচণ্ড সংঘর্ষ হয়। তাতে মফিজসহ চারজন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। বিশ্বজিৎ নন্দী মারাত্দক আহত হয়ে ধরা পড়ে। প্রায় বছর দুই চিকিৎসা করে শাসকগোষ্ঠী তাকে ফাঁসির আদেশ শোনায়। ১২-১৩ বছর ফাঁসির সেলে থেকে আল্লাহর অসীম দয়ায় শেষে মুক্তি পায়। কিন্তু এখন সরকার বা আওয়ামীরা তার কোনো খবর রাখে না। অবস্থানের এক পর্যায়ে ৮৪ দিনের মাথায় আছিমের মানুষের অভূতপূর্ব সমর্থন পেলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের একেবারে নাস্তানাবুদ করে দিয়েছে। আছিম পৌঁছার আগে এনায়েতপুর ইউনিয়নের সোয়াইতপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠ থেকে তাঁবু তুলে ভবানীপুরে কিছুক্ষণ ছিলাম। জোহরের নামাজ সেখানেই পড়েছি। জীবনে খাবারে কত কষ্ট করেছি, কিন্তু ভবানীপুর খাওয়ার জুলুমে মরতে বসেছিলাম। সে এক নতুন অভিজ্ঞতা। সোয়াইতপুর স্কুল মাঠে দুপুরের খাবার এসেছিল ২৮ বাড়ি থেকে। চান মিয়া সোয়াইতপুরে আমাদের দলের সভাপতি। দলীয় নেতা-কর্মীরা অসম্ভব সফলতার পরিচয় দিয়েছে। স্কুলের পুবপাশে মুক্তিযুদ্ধের সময় মাহু তালুকদারের দোতলা বাড়ি ছিল। তা এখন ভেঙে দালানকোঠা, টিনের ঘরদোর হয়েছে। চার ভাইয়ের তিনজন আমজাদ তালুকদার, লেজু তালুকদার, আলতা তালুকদার মারা গেছে। শুধু মনসুর উদ্দিন তালুকদার এখনো বেঁচে আছেন। কিছু দিন হলো প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু তার পরও সকালে আমাকে দেখতে আসায় আমি ভীষণ অভিভূত হয়েছি। তাই বিদায়ের সময় তাকে দেখতে গিয়েছিলাম। তিনি গাছতলায় বিশ্রামে ছিলেন। তালুকদারবাড়ির সব বউ খাওয়া-দাওয়ায় অসম্ভব সহযোগিতা করেছে। প্রায় সবাই আমাদের দলভুক্ত হয়ে গেছে। সোয়াইতপুর স্কুলের গভর্নিং কমিটির সদস্য সুস্বাস্থ্যের অধিকারী সোলেমান খাবার নিয়ে সব সময় দৌড়াদৌড়ি করেছে। সোলেমানের বাড়িতে এর আগেও খেয়েছিলাম। রাতে গুপ্ত বিন্দাবনের তমালতলার শুকুর মাস্টার এসেছিল। সে এবার হজে যাবে তাই দেখা করতে এসেছিল। মুক্তিযুদ্ধে শুকুর মাস্টার অনেক কাজ করেছে, আফাজ দূত হিসেবে আছিম এলাকায় যে কাজ করেছে তার তুলনা হয় না। রূপ শিকদারের ছেলে মোকদম ও জামাল শিকদারের ভাই লালুও সোয়াইতপুরে এসেছিল। সকালের নাশতা এনেছিল আকরাম। সোহেলের সঙ্গে আকরাম প্রায় ১০ বছর আমার বাড়িতে ছিল। বড় ভালো ছেলে। এখন মুরগির ডিমের চাষ করে মোটামুটি আছে। ছেলেটা আমার নজরে আসে বছর পঁচিশ আগে। তার বাবা যখন জমিজমা ছেলেমেয়েদের মধ্যে ভাগ করে দেয় তখন আকরাম ছিল ক্লাস এইটের ছাত্র। তার ভাগে পড়েছিল এক জোড়া মহিষসহ গাড়ি আর কিছু জমি। সে সেই মহিষের গাড়ি বেয়ে লেখাপড়া করেছে। আমি যখন তাকে প্রথম দেখি সে তখন করটিয়া কলেজে অনার্সের প্রথম বর্ষের ছাত্র। মহিষের গাড়ি চালিয়ে একটা ছেলে অনার্স পর্যন্ত পড়তে পারে, এতে আমি বড় উৎসাহী হয়েছিলাম। তবে সে কষ্ট করে পড়তে পারলেও আমার সহযোগিতায় এগোতে পারেনি। মিছিল-মিটিংয়ে জড়িয়ে পড়া, তারপর বিয়ে করা, পরে বাচ্চা-কাচ্চা- তাই আর লেখাপড়া হয়নি। কিন্তু এখন মুরগির ডিমে তার মোটামুটি সংসার চলে। সকালে আকরাম সবার জন্য নাশতা, আমার জন্যও আলাদা রুটি এনেছিল। সেখান থেকে এসেই ভবানীপুরে অমন বিপদে পড়েছিলাম। আছিম আমার প্রিয়। এখানে এসেও বিপদ কাটেনি। একে তো অতিরিক্ত খাদ্যের বিপদ, দুই ৪ বৈশাখ, ১৮ এপ্রিল সে কি প্রলয়ঙ্করী ঝড়! তাঁবু টিকে থাকলেও ঝড়তুফান সইতে পারেনি। কাপড়-চোপড়, বই-পুস্তক ভিজে একাকার। মারাত্দক তুফানে সহস্রবার 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ' পড়েছি। বরফের মতো ঠাণ্ডা পানি উপেক্ষা করে দলীয় কর্মীরা মাথার ওপর ত্রিপল ধরে রেখে বৃষ্টির হাত থেকে আমাকে রক্ষা করেছে।

আছিমের আগে সোয়াইতপুর, তারও আগে সখীপুরের কীর্তনখোলায় ছিলাম। কর্মসূচির মাঝে পয়লা বৈশাখ পড়ায় সখীপুরের কীর্তনখোলায় চার রাত কাটিয়েছি। প্রথম ইছাদীঘিতে থাকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পরে মনে হলো সিস্টোর-সখীপুর সড়কের পাশে বাঘবেড়ে থাকা ভালো। কিন্তু গিয়ে দেখি বৈশাখী মেলার প্রস্তুতি চলছে। তার পরও থাকতে চেয়েছিলাম। পরে হঠাৎই মনে হলো আরও দুই কিলোমিটার পশ্চিমে কীর্তনখোলায় তাঁবু ফেললে কেমন হয়। মুক্তিযুদ্ধের পর সখীপুরের কোথাও একনাগাড়ে চার রাত কাটাইনি। বড় ভালো লেগেছে। সবুর মেম্বার, বাদল বিডিআর, লাল মিয়া, সবুর মেম্বারের ছেলে হাবিব, দলের সভাপতি লাল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার শামীম, ছাত্রনেতা নাজমুল, আজাদ, রাসেল, ইদ্রিস শিকদার, খোয়াজ আলী, আক্কেল মাস্টার, আজিজ মাস্টার, রমজান, মতিয়ারসহ আরও কতজন যে ছায়ার মতো ছিল। নিষ্ক্রিয় কর্মীরা প্রাণ পেয়েছিল। পয়লা বৈশাখ বাঙালির হৃদয়ের স্পন্দন, হাজার বছরের কৃষ্টি সভ্যতা। কিন্তু বৈশাখ বা বৈশাখী মেলার নামে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায় মেয়েদের ওপর যে ন্যক্কারজনক আক্রমণ হয়েছে তার নিন্দার ভাষা আমার জানা নেই। দেশে এখন নারী নেতৃত্ব ও কর্তৃত্বের স্বর্ণযুগ। এই সময় আমাদের মেয়ে সন্তানরা নির্যাতিত কেন হবে? নারী নেতৃত্ব নারীদেরই যদি রক্ষা করতে না পারে তাহলে তারা পুরুষদের রক্ষা করবে কী করে? দেশ রক্ষা তো দূরের কথা। তাই নেতা-নেত্রীদের এ ব্যাপারে ভেবে দেখতে অনুরোধ করি। হয় দেশটাকে সুন্দরভাবে চালান, না পারলে গদি ছাড়ুন, পদত্যাগ করুন। ১৭ তারিখ মুজিবনগর দিবসে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া রওনা হওয়ার আগের দিন বিকালে এক কর্মিসভায় অসাধারণ ঘটনা ঘটেছে। সকাল সাড়ে ৭-৮টায় সেকান্দারের স্ত্রী মরিয়ম চার-পাঁচ বছরের নাতি সাব্বিরকে নিয়ে এসেছিল। মোতালেবের ছেলে সাব্বির বাবার কাছে বায়না ধরেছিল, কাদের সিদ্দিকীকে দেখতে যাবে, খালি হাতে যাওয়া যাবে না। তাই ১০ টাকার বিস্কুট নিয়ে এসেছিল। বিকালে কর্মিসভায় বিস্কুটের প্যাকেট নিলামে তুলতে চেয়েছিলাম। শ্রোতাদের বলেছিলাম, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের জনক মহাত্দা গান্ধীর এক প্রার্থনা সভায় শত মাইল দূর থেকে এক বৃদ্ধা এসে তাকে এক পয়সা দান করেছিলেন। সেই পয়সাটি তিনি সেই প্রার্থনা সভায়ই বিক্রি করতে চেয়ে জনতার উদ্দেশে বলেছিলেন, 'শত মাইল দূর থেকে আসা আশীর্বাদ স্বাধীনতার জন্য আমি বিক্রি করতে চাই। এই দান কে গ্রহণ করতে পারে?' শতবর্ষ আগে সেই এক পয়সা লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছিল, যা এখন কয়েক লাখ পাউন্ডের বিনিময়ে ইংল্যান্ডের জাতীয় জাদুঘরে শোভা পাচ্ছে। যেই বলেছিলাম, সাব্বিরের দাদির দেওয়া এই বিস্কুটের প্যাকেট বেচতে চাই। কেউ কেনার আছে? সঙ্গে সঙ্গে ৫০ টাকা দর উঠল। পাশের জন ১০০ টাকা। তারপর ২০০, ৫০০, ১০০০, ৩০০০ শেষ পর্যন্ত ৫০০০ টাকায় গিয়ে ঠেকে। কালিয়ার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সেলিম বিস্কুটের প্যাকেটটি শেষ পর্যন্ত ৫০০০ টাকায় করায়ত্ত করে। সেলিমের ছেলে রাজু ঢাকার অবস্থানে আমায় দেখতে গিয়েছিল, খুবই ভালো ছেলে রাজু। বড় ভালো লেগেছে সখীপুরের কীর্তনখোলায় কয়েকটা দিন। মনে হচ্ছিল পাহাড়ের মানুষ আবার জেগে উঠেছে।

গতকাল পর্যন্ত আছিম ইউনিয়ন পরিষদের সামনেই ছিলাম। ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের নেতা সাইফুল ইসলামের দুই দিনে দেখা নেই। এমনকি পরিষদের বিদ্যুতের লাইন ভিতর থেকে বন্ধ করে দিয়েছে। পায়খানা-পেশাবের ঘর এমন নোংরা যা আগেকার দিনে মেথরের মল বইবার চাড়ির চেয়েও খারাপ। এসবই বর্তমান সরকারের মুক্তিযোদ্ধাদের বিপুল সম্মানের নমুনা। ৬ তারিখ জাতীয় স্মৃতিসৌধের গেটে ছিলাম। সমগ্র স্মৃতিসৌধে বাতি ছিল, কিন্তু আমার উপরের বাতিগুলো ইচ্ছা করে নিভিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কেন জানি হঠাৎই মনে হয়েছিল, মৃত যোদ্ধাদের স্মৃতিতে হাজারো বাতি, জীবিত থাকার অপরাধে আমার উপরে বাতি নেই, নিভিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার পরও কী করে বলি, এটা মুক্তিযুদ্ধের সরকার। বেঁচে থাকা কি এতই অপরাধ? মরে গেলে বাতি জ্বলে, বেঁচে থাকলে জ্বলে না, নিভিয়ে দেওয়া হয়! একজন মুক্তিযোদ্ধাকে সামান্য আলো দিলে দেশের কী এমন ক্ষতি? রশিদ বয়াতি গাইতেন, 'পাগল মরলে বাতি জ্বলে, মুন্সী মরলে জ্বলে না'। তার গানই কি তাহলে সত্য? মৃতের জন্য হাজারো বাতির আলো ঝলমল ইন্দ্রপুরীর ইশারা আর জীবিতের কপালে অন্ধকার। এক বুক ব্যথা নিয়ে পদ্মা পেরিয়েছিলাম। থাকার কথা ছিল পাচ্চর। আওয়ামী কারসাজিতে সেখানে থাকা হয়নি। পরে সংসদ সদস্য কর্নেল ফারুক খানের নির্বাচনী এলাকা কাশিয়ানীর হোগলাকান্দির কুমার নদের পাড়ে ১৫৬ নম্বর হোগলাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছোট্ট মাঠে ছিলাম। সেখানে বাচ্চাদের সঙ্গে এক অনাবিল আনন্দে কয়েকটা ঘণ্টা কেটেছিল। ক্লাস থ্রির মিম্মা, সখিনা, তানজিলা, ইশরাত, রেহানা, ইয়াসমিন, আরিফা, জয়া, চৈতী, শাহীন, সামী, রুনা সাথীদের নিয়ে আমায় এক অমূল্য ধন কলম উপহার দিয়েছিল। গত পর্বে নামগুলো লিখতে ভুলে গিয়েছিলাম সে জন্য ক্ষমা চাইছি।

একজন জীবিত মুক্তিযোদ্ধার জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ অন্ধকার, তার মাথার উপরের বাতি নিভিয়ে দেওয়ায় কিছুটা বেসামাল হয়েছিলাম। তাই মহান ব্যক্তিদের কবরে ফাতিহা পাঠের অনুভূতি ভালোভাবে ব্যক্ত করার কথা ভুলে গিয়েছিলাম। ১০ এপ্রিল সকাল ১০টায় জেলখানায় নিহত জাতীয় নেতাদেরসহ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের কবর জিয়ারত করে বীরউত্তম জিয়াউর রহমান এবং তিন জাতীয় নেতা শেরেবাংলা, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও খাজা নাজিমউদ্দিনের কবরে ফাতিহা পাঠ করেছি। বনানীতে জাতীয় নেতা এবং বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের কবরে কিছুটা লোকজন ছিল। বনানী কবরস্থানের গেটের বাম পাশেই জাতীয় নেতা এবং বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের কবর। ওরকম কঠিন সময়েও গেটের পাশে অমন ভালো জায়গায় কেন কবর দেওয়া হয়েছে আমার বোধগম্য নয়। এখন অমন ঘটনা ঘটলে নিশ্চয় কবরস্থানের দুর্গম কোনো স্থানে ফেলে রাখা হবে, যাতে কবরগুলো খুঁজে পেতে কষ্ট হয়। জিয়ার কবর খুবই শানশওকত করে বিরাট জায়গা নিয়ে করা হয়েছে। যেহেতু বিরোধী সরকার, সেহেতু রক্ষণাবেক্ষণের কোনো উদ্যোগ নেই। একেবারে নোংরা, ধূলি-ময়লায় ভরা, এতিমের মতো পড়ে আছে, দেখাশোনার কেউ নেই। সবচেয়ে মর্মান্তিক তিন জাতীয় নেতার কবর। যেখানে কিছু নেই, কেউ নেই। পিডব্লিউবির তত্ত্বাবধানে কবর তিনটি এমন অবহেলা আর অনাদরে পড়ে আছে যা কহতব্য নয়। মূল কবরে ঢোকার পথ সব সময় তালাবদ্ধ থাকে, থাকাই উচিত। না হলে মাতালেরা ফাতিহা পাঠের বদলে নেশা করে। ১০ তারিখ সাড়ে ১১-পৌনে ১২টায় শেরেবাংলা, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও খাজা নাজিমউদ্দিনের কবর জিয়ারতে গিয়েছিলাম। এরা তিনজনই ছিলেন পুরুষ প্রধানমন্ত্রী। তাদের কবরে প্রায় ইঞ্চি দেড়েক ধুলা পড়ে আছে, পরিষ্কার করার কেউ নেই। বর্তমানরা যখন প্রাক্তন হবেন, তাদের কবরে শুধু ধুলা নয়, হয়তো ময়লার পাহাড় জমবে। জাতীয় তিন নেতা, জিয়াউর রহমান, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্য, এমনকি বঙ্গবন্ধুর কবরেরও সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ দেখিনি। এ ক্ষেত্রে হুজুর মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মাজারের মর্যাদা ভক্তদের কারণে কিছুটা ভিন্ন। বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকার বঙ্গবন্ধুর কবরে ৩০ জন গার্ড রেখেছে। কিন্তু কবর ধোয়ামোছা, পয়পরিষ্কার করে আলভী নামের ২০-২৫ বছরের একটি ছেলে। আমি বঙ্গবন্ধুর পায়ের কাছে রাত কাটিয়েছি। সেখানে ফুলের টবে পিঁপড়া-মাকড়সা দেখেছি কিন্তু হুজুরের মাজারে তা দেখিনি। শেরেবাংলা, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, খাজা নাজিমউদ্দিনের কবর অত অনাদরে পড়ে থাকলে বর্তমানে যারা শানশওকতে আছেন, তারা অতীত হলে তাদের কবরের অবস্থা যে এমন হবে না তা কে বলতে পারে, কেন যেন ব্যাপারগুলো আমায় খুবই ভাবায়। ঘরের বাইরে ঘুরতে গিয়ে কত অভিজ্ঞতা হচ্ছে, যার বিন্দু-বিসর্গ কদিন আগেও ছিল না।

গতকাল সকালেও একের পর এক লোকজন ১০, ২০, ১০০ টাকা কুচিমুচি করে আমাদের দানবাক্সে ফেলেছিল। তা দেখে চার-পাঁচ বছরের একটা বাচ্চা আমার হাত থেকে চকলেট নিয়ে দানবাক্সে ফেলে গুটি গুটি পায়ে কাছে এসে আমায় জড়িয়ে ধরে বলেছিল, 'ওটা তোমায় আমি দান করলাম'। কী আনন্দই না লেগেছে। আজ আমরা ফুলবাড়িয়া সদরে। কাল অথবা পরশু কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিবিজড়িত ত্রিশালের দিকে পা বাড়াব। তবে আছিমের সেদিনের ঝড়তুফান খুব সহজে ভুলব না। মুক্তিযুদ্ধের কারণে আছিম আমার স্মৃতিতে এমনিতেই অম্লান, তার ওপর নতুন করে অমন দুর্যোগ-দুর্বিপাক বাকি জীবন সব সময় আছিমের মিঠেকড়া মধুময় স্মৃতি মনে করিয়ে দেবে। সঙ্গে সঙ্গে হয়তো আওয়ামীপন্থি ১২ নম্বর আছিম পাটুলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কথাও।

লেখক : রাজনীতিক

 

এই বিভাগের আরও খবর
বিবিসিতে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার : দূরদৃষ্টির অনন্য দৃষ্টান্ত
বিবিসিতে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার : দূরদৃষ্টির অনন্য দৃষ্টান্ত
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
সর্বশেষ খবর
'কালি মুছে গেলেও জাল ভোটের সুযোগ নেই'
'কালি মুছে গেলেও জাল ভোটের সুযোগ নেই'

১ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

মালয়েশিয়ায় দুই বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় দুই বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ উদ্ধার

১ মিনিট আগে | পরবাস

১০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা কাঠের সেতু এখন অকেজো
১০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা কাঠের সেতু এখন অকেজো

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শুক্রবার থেকে সারাদেশে বৃষ্টির আভাস
শুক্রবার থেকে সারাদেশে বৃষ্টির আভাস

২১ মিনিট আগে | জাতীয়

'অশ্লীল' তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ করা হয় মাধুরীর গান
'অশ্লীল' তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ করা হয় মাধুরীর গান

২২ মিনিট আগে | শোবিজ

মা ইলিশ রক্ষায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভা
মা ইলিশ রক্ষায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভা

২৭ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা স্ত্রীর, বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ স্বামী
গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা স্ত্রীর, বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ স্বামী

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দরিদ্র ভ্যানচালকের ৬ মেয়ের শিক্ষার দায়িত্ব নিলো ছাত্রদল
দরিদ্র ভ্যানচালকের ৬ মেয়ের শিক্ষার দায়িত্ব নিলো ছাত্রদল

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টানা জয়ের বিশ্বরেকর্ড এককভাবে মরক্কোর
টানা জয়ের বিশ্বরেকর্ড এককভাবে মরক্কোর

৩০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাকচাপায় জাবি ছাত্রী নিহত
ট্রাকচাপায় জাবি ছাত্রী নিহত

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৫ দফা দাবিতে গোপালগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন
৫ দফা দাবিতে গোপালগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

একজন ধনী ব্যক্তি মার্কিন সেনাদের বেতন দিতে চান
একজন ধনী ব্যক্তি মার্কিন সেনাদের বেতন দিতে চান

৪৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পঞ্চগড়ে ‘ঘরে ঘরে জনে জনে’ কর্মসূচিতে মিলছে সাড়া
পঞ্চগড়ে ‘ঘরে ঘরে জনে জনে’ কর্মসূচিতে মিলছে সাড়া

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে, প্রয়োজনে আমরাই করব: ট্রাম্প
হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে, প্রয়োজনে আমরাই করব: ট্রাম্প

৫০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কর জাল সম্প্রসারণে এনবিআরের ১২ নতুন ইউনিট গঠন
কর জাল সম্প্রসারণে এনবিআরের ১২ নতুন ইউনিট গঠন

৫১ মিনিট আগে | জাতীয়

১৬ লাশের মধ্যে সাত লাশ হস্তান্তর হতে পারে
১৬ লাশের মধ্যে সাত লাশ হস্তান্তর হতে পারে

৫৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

তারেক রহমানের নেতৃত্বেই গড়ে উঠবে সম্প্রীতির বাংলাদেশ
তারেক রহমানের নেতৃত্বেই গড়ে উঠবে সম্প্রীতির বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদপুরে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে আটক ৬১ জেলে
চাঁদপুরে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে আটক ৬১ জেলে

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই-আগস্টের ৭ মামলায় সালমান-আনিসুলসহ ৪৫ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির
জুলাই-আগস্টের ৭ মামলায় সালমান-আনিসুলসহ ৪৫ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুদকের পরিচালক হলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা
দুদকের পরিচালক হলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উষ্ণায়নের ফলে ধ্বংসের পথে প্রবাল প্রাচীর
উষ্ণায়নের ফলে ধ্বংসের পথে প্রবাল প্রাচীর

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আবারও সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলা পাকিস্তান-আফগানিস্তানের
আবারও সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলা পাকিস্তান-আফগানিস্তানের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমাদের সম্মান বাড়বে: চবি উপাচার্য
নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমাদের সম্মান বাড়বে: চবি উপাচার্য

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে স্থায়ীভাবে অপসারণ
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে স্থায়ীভাবে অপসারণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন
সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জামায়াত নেতা হত্যা: একজনের আমৃত্যুসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন
জামায়াত নেতা হত্যা: একজনের আমৃত্যুসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত
নারায়ণগঞ্জে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯
যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার
ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ব্রিকসের দেশগুলোকে শুল্ক দিতে হবে, হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
ব্রিকসের দেশগুলোকে শুল্ক দিতে হবে, হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

২৩ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঝালকাঠিতে জলাতঙ্কে যুবকের মৃত্যু
ঝালকাঠিতে জলাতঙ্কে যুবকের মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১৯৬৭ সালের আগের সীমান্ত অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের আহ্বান
১৯৬৭ সালের আগের সীমান্ত অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের আহ্বান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন আমদানি বন্ধ চীনের, ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি
যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন আমদানি বন্ধ চীনের, ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার
ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের তিন কাশির সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা জারি
ভারতের তিন কাশির সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা জারি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯
যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবতীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবতীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগামী ৫ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল অধিদপ্তর
আগামী ৫ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল অধিদপ্তর

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ট্যারিফ আজ থেকে, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা
চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ট্যারিফ আজ থেকে, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

নারীকে জড়িয়ে ভয়ংকর অপতথ্যের জাল
নারীকে জড়িয়ে ভয়ংকর অপতথ্যের জাল

পেছনের পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

রাকিবের গোলে ১ পয়েন্ট
রাকিবের গোলে ১ পয়েন্ট

মাঠে ময়দানে

অধরাই বিকল্প বাজার
অধরাই বিকল্প বাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

১২ বছর চলছে ১১ কিমি সড়কের কাজ!
১২ বছর চলছে ১১ কিমি সড়কের কাজ!

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮

নগর জীবন