শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৫

সিটি নির্বাচনে বিএনপিকে কি সরকার ভয় পাচ্ছে?

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
সিটি নির্বাচনে বিএনপিকে কি সরকার ভয় পাচ্ছে?

তিন সিটির যে নির্বাচন জনমনে শান্তি ও স্বস্তির পরশ বুলিয়েছিল, শেষদিকে এসে তা শঙ্কা ও উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করেছে। প্রশ্ন জেগেছে, এই নির্বাচন কি অবাধ, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ হবে? বিরোধী দল বিএনপি, এমনকি শাসকলীগের ঘনিষ্ঠ মিত্র জাতীয় পার্টির প্রার্থীরাও অভিযোগ করেছেন যে, তারা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড পাননি। আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও কর্মীবাহিনী তাদের নানাভাবে হয়রানি করছে। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য চলছে হুমকি-ধমকিসহ নানা ধরনের চাপ। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।

এর আগের দুটি লেখায়ও লিখেছি যে, তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন সরকারে কোনো অদল-বদল ঘটাবে না। ক্ষমতাসীনরা যদি তিনটি সিটিতেই পরাজিত হন, তাহলেও যারা জিতবেন তাদের দল রাষ্ট্রক্ষমতা পাবে না। তবে সরকার বদল না হলেও এই নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুচারুভাবে সম্পন্ন হলে দেশের রাজনীতির চেহারা বদলে যাবে এমন একটা উচ্চাশা ছিল। এ বছর জানুয়ারির শুরু থেকে মার্চের শেষ অবধি তিন মাস দেশ ছিল শান্তিহীন, স্বস্তিহীন, এমনকি গন্তব্যহীন। হিংসা-হানাহানি-সহিংসতা-নাশকতায় বিবর্ণ হয়ে গিয়েছিল বাংলার সবুজ দৃষ্টিনন্দন রূপ। প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় নানা প্রকার পরিসংখ্যান ছাপা হলেও এবং শাসক দলের লোকেরা বিভিন্ন জন বিভিন্ন সংখ্যা উল্লেখ করলেও দেশের দায়িত্বশীল জাতীয় সংবাদপত্রগুলোর অধিকাংশের হিসাব অনুযায়ী ওই তিন মাসে সহিংসতা-নাশকতায় মৃতের সংখ্যা ১৪২ জন। সরকারি দলের পক্ষ থেকে সব মৃত্যুকে পেট্রলবোমা হামলা ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে হত্যা বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং অভিযুক্ত করা হচ্ছে বিএনপি-জামায়াতকে। কিন্তু এই ঢালাও অভিযোগটাও সত্য নয়। মিডিয়ায় প্রকাশিত পরিসংখ্যান বলে, পেট্রলবোমা ও আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃতের সংখ্যা ৭৯। বাকি ৬৩ জন মারা গেছেন বিচারবহূর্ভূত ক্রসফায়ার, সংঘর্ষ ও অন্যান্য কারণে। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ যাই থাক তিন মাস দেশে শ্বাসরুদ্ধকর একটা পরিস্থিতি ছিল। তিন সিটি নির্বাচন মানুষের শ্বাস ফেলার একটা ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। ধারণা করা গিয়েছিল, এই নির্বাচন অসহনীয় পরিস্থিতির অবসান ঘটাবে এবং দেশ ফের নৈরাজ্যকর জগতে প্রবেশ করবে না; সিটি নির্বাচনের পর আরও বড় কোনো রাজনৈতিক অর্জন হবে। অন্তরালের কোনো শুভ উদ্যোগেরই 'সোনালি ফসল' ভেবেছিল মানুষ এই ছোট্ট নির্বাচনকে। এই নির্বাচনী সিদ্ধান্তের গোড়ার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি সরকারের সদাচরণও মানুষের মধ্যে এমন ধারণার সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু তিন সিটি নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর এই নির্বাচন যেমনটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে বলে ভাবা হয়েছিল সেই ভাবনাগুলো সরকার ও নির্বাচন কমিশন ওলট-পালট করে দিচ্ছে বলে মনে হয়। এমন একটি আশা-জাগানিয়া নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য সরকার, বিশেষ করে নির্বাচন কমিশন যা কিছু করণীয় সবকিছুই করবে এমন একটা দৃঢ় প্রত্যাশা ছিল সবার। নির্বাচনে সব প্রার্থী নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সব কাজে সমান সুযোগ পাবেন এটা কারও দয়া-দক্ষিণার বিষয় নয়। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, সব প্রার্থী, বিশেষ করে সরকারবিরোধী প্রার্থীরা সে সুযোগ পাচ্ছেন না। ঢাকার দুই সিটির ৯৩ ওয়ার্ডের বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর মধ্যে ৫৪ জনের বিরুদ্ধেই বর্তমানে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এসব মামলার বেশির ভাগই ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা। নির্বাচন কমিশন এদের সবার প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেছে। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করেনি। প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থক এবং পরিবারের লোকজনকেও হয়রানি করছে হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অথবা সরকারদলীয় প্রার্থী কিংবা তাদের লোকজন। ঢাকা দক্ষিণে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাস সশরীরে প্রচারণায়ই নামতে পারেননি জামিন না পাওয়ায়। অন্যরাও জামিন পাননি। গ্রেফতারের ভয়ে আদালতে যেতেও সাহস পাননি অনেকে। অথচ আওয়ামী লীগ সমর্থিত অনেক প্রার্থীর বিরুদ্ধেও ফৌজদারি মামলা ছিল; কারও কারও বিরুদ্ধে ছিল হত্যা মামলা বা হত্যা প্রচেষ্টার মামলা। কিন্তু নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণাসহ অন্যান্য কর্মকাণ্ডে অবাধে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে তাদের কারও মামলা সরকার আগেই প্রত্যাহার করে নিয়েছে, কেউ কেউ জামিন নিয়ে নিশ্চিন্তে কাজ করছেন।

১৭.৪.২০১৫ দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী সলিম উল্লাহ সলুর বিরুদ্ধে ৩০২/৩৪ দণ্ডবিধিতে চারটি মামলা ছিল। এর মধ্যে সব কটি থেকেই অব্যাহতি বা খালাস পেয়েছেন তিনি। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী জামাল মোস্তফার বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা ছিল। কাফরুল থানায় ৩০৭ ধারায় করা একটি মামলা (২৮ নম্বর মামলা) তদন্ত কর্মকর্তা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে তাকে অব্যাহতি দিয়েছেন। বাকি চারটি মামলার তিনটি প্রত্যাহার ও একটি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুর রউফও দুটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী সফিউল্লার বিরুদ্ধে ৩০২/৩৪ দণ্ডবিধিতে ২০০২ সালে তেজগাঁও থানায় মামলা হলেও তাকে অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অন্য ধারায় আরও দুই মামলায় অব্যাহতি ও চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।

দক্ষিণ সিটির ২ নম্বর ওয়ার্ডের ক্ষমতাসীন দলের কাউন্সিলর প্রার্থী আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে ২০০৫ সালে ৩০২ ধারায় একটি হত্যা মামলা হয়। এ ছাড়া ২০০৭ সালে বিস্ফোরক আইনে ও অন্য ধারায় দুটি মামলা হয়। তিনটি মামলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহার করেছে।

১৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হোসেন হায়দারের বিরুদ্ধে ১৯৯৯ সালে হত্যা মামলা হয়েছিল। মামলাটি ২০১০ সালে প্রত্যাহার করা হয়। ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী গোলাম মোস্তফার মোট চারটি মামলা প্রত্যাহার করা হয়। এর মধ্যে একটি হত্যাচেষ্টার। বাকিগুলো বিস্ফোরক আইনসহ দণ্ডবিধির অন্যান্য ধারায়।

দুটি মামলায় পুলিশের অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মোহাম্মদ সাহিদকে। ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের সায়েম খন্দকারের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা ছিল। সবকটি থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি হত্যা ও তিনটি হত্যাচেষ্টার মামলা।

৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ইলিয়াস রশীদের নামে ২৩টি মামলা ছিল। এর মধ্যে একটি হত্যা ও দুটি হত্যাচেষ্টার। এগুলোর মধ্যে ৮টি প্রত্যাহার করা হয়েছে। বাকিগুলো থেকে তিনি অব্যাহতি অথবা খালাস পেয়েছেন। তবে তার নামে ২০০৭ সালের একটি হত্যা মামলা এখনো বিচারাধীন।

বিএনপির ক্ষেত্রে চিত্রটি ভিন্ন। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামার আগে-পরে তাদের অনেকেই জামিন না পেয়ে পালিয়ে থেকে আতঙ্কের মধ্যে নির্বাচনী কাজ পরিচালনা করছেন স্ত্রী, সন্তান, পরিবারের লোকজন, কর্মী-সমর্থকদের দিয়ে। সেখানেও বাধা পাচ্ছেন তারা। দু-একটি দৃষ্টান্ত তুলে ধরা যায়- মির্জা আব্বাসের নির্বাচনী সেল থেকে পাঠানো বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে, ১৬ এপ্রিল-২০১৫ প্রচারণাকালে জজকোর্ট এলাকায় কয়েকজন সমর্থককে মারধর করা হয়েছে এবং প্রচারণার মাইক ছিনিয়ে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। ১৬ এপ্রিল-২০১৫ রাতে খিলগাঁও বাগিচা মোড়ে পোস্টার টানানোর সময় আব্বাসের প্রচারকর্মী শরীফুল ইসলাম উজ্জ্বলের ওপর হামলা করে সরকার সমর্থকরা। পরে শাজাহানপুর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে দুটি মামলা করে। এ ছাড়া ঝিলপাড়ে সাদা পোশাকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও কিছু স্থানীয় সন্ত্রাসী নির্বাচনী প্রচার কাজে বাধা দিয়ে একটি রিকশা-ভ্যানে স্থাপিত মগ প্রতীক ভেঙে দেয় এবং হুমায়ুন নামে মির্জা আব্বাসের এক সমর্থককে মারধর করে। ১৯ এপ্রিল-২০১৫ সকালে ঝিগাতলায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণের সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা খায়ের মহিউদ্দিনের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ কর্মীরা।

১৬ এপ্রিল-২০১৫ সন্ধ্যায় মিরপুর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাবউদ্দিনকে গণসংযোগ চালানোর সময় গ্রেফতার করে মিরপুর থানা পুলিশ। একইভাবে প্রচারণা চালানোর সময় ১৮ এপ্রিল-২০১৫ রাত ৮টায় রাজধানীর চামেলীবাগ থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী বিএনপি নেতা কাজী হাসিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে পল্টন থানা পুলিশ। এ ছাড়া ঢাকা দক্ষিণ ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মো. নাঈমের বাসায় ১৬ এপ্রিল রাতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। এসব ঘটনার পর যারা প্রকাশ্যে আসার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তারাও ফের আত্দগোপনে চলে যান। ঢাকা দক্ষিণ ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মো. মোহন জানান, বাসার সামনে সবসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনার পরও তাদের এমন আচরণ দেখে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, সরকার বড় না পুলিশ বড়।

এরশাদের জাতীয় পার্টিরও অভিযোগের অন্ত নেই। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের অনেককেই ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিষয়টি নিয়ে দলটির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু ঢাকা মহানগর জাতীয় পার্টি দক্ষিণের আহ্বায়ক সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এবং সদস্য সচিব জহিরুল আলম রুবেলকে সঙ্গে নিয়ে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের গুলশানের বাসায় বৈঠকও করেন। কোন কোন কাউন্সিলর প্রার্থীকে হয়রানি করা হচ্ছে এর একটি তালিকাও তার কাছে দেন জাতীয় পার্টির নেতারা।

মাহবুব-উল আলম হানিফের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি স্বীকার করে জহিরুল আলম রুবেল বলেন, তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে তাদের আশ্বস্ত করলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাটের সঙ্গেও কয়েক দফা টেলিফোনে কথা বলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।

১১ নম্বর ওয়ার্ডে জাতীয় পার্টি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী সেলিম আহম্মদের কাজিরবস্তি এলাকায় অবস্থিত একটি নির্বাচনী ক্যাম্প ১৮ এপ্রিল-২০১৫ আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীর লোকজন বন্ধ করে দেয়। এর আগে তার খিলগাঁও বাগিচা এবং ঝিলপাড়ের আরও দুটি নির্বাচনী ক্যাম্প বন্ধ করে দেয় আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীর লোকজন।

এ ছাড়াও জাতীয় পার্টি সমর্থিত ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হাজী ইসমাইল হোসেন, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী আশরাফ হোসেন রাসেল, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মো. আলমাস উদ্দিন, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী জুবের আলম রবিন, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হুমায়ুন মজুমদার, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হাজী আমানত উল্লাহ, ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী কাওছার আহম্মেদকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে নানাভাবে হয়রানি এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেন।

সবচেয়ে উদ্বেগজনক খবর হলো নির্বাচনী প্রচারাভিযানকালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ওপর শাসক দলের ক্যাডারদের হামলা। বেগম জিয়া নিজে বলেছেন, তাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই তার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। হামলার ঘটনা একবার ঘটেনি, ঘটেছে তিনবার। প্রতিবারই হামলার ভয়াবহতা বেড়েছে। সরকারি মন্ত্রী-মিনিস্টাররা বলছেন, তিন মাসের সহিংস আন্দোলনের জন্য খালেদা জিয়ার ওপর ক্ষুব্ধ জনগণ এ হামলা করেছে। কিন্তু বহুল প্রচারিত অনেক প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় ছবি ছাপানো ও দেখানো হয়েছে হামলাকারীদের। ২৩ এপ্রিল একটি ইংরেজি দৈনিকে ছবিসহ কারওয়ান বাজারে খালেদা জিয়ার ওপর হামলাকারীদের যে রাজনৈতিক পরিচয় ছাপা হয়েছে তারা সবাই ছাত্রলীগের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি। সরকারপক্ষ কোন মুখে বলছেন বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা করেছে খালেদা জিয়ার ওপর?

ভোট গ্রহণের ৮/১০ দিন আগে বেগম জিয়ার ব্যাপারে সরকারের যে মনোভাব ছিল তা কী পাল্টে গেল? নাকি এটা সরকারের মধ্যকার কোনো সরকারের খেলা- যারা চায় না এই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হোক! তারা হয়তো ভাবছে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে সরকার সমর্থিত প্রার্থীরা জিততে পারবেন না। তাতে এ মুহূর্তে ক্ষমতা না হারালেও দ্রুত নড়বড়ে হয়ে যাবে মসনদ। ক্ষমতার স্বাদ, ভোগ বিলাস এবং বিত্ত-বৈভব গড়ার সুযোগ নষ্ট হয়ে যাবে। তাই এভাবেই চলুক। এমনকি কেউ বিএনপিকে হয়তো এভাবে সংঘাতের পথে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। সেনা মোতায়েন নিয়ে নির্বাচন কমিশনই বা কী করল? সরকার পক্ষ ছাড়া সবাই সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন। কেন তা চেয়েছেন তা মানুষ জানে। নির্বাচন কমিশন ২৬ এপ্রিল থেকে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সবাই খুশি হয়েছিল। ভোটটা স্বস্তিতে দেওয়া যাবে ভেবেছিল। কিন্তু ইসি সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেলল। এখন বলছে, সেনাবাহিনী সেনানিবাসেই থাকবে, ডাকলে আসবে। সেনাবাহিনী তো কারও বাড়িতে থাকে না, সেনানিবাসেই থাকে। এ আবার নতুন কী? এতে মানুষের কাছে কিন্তু ভালো বার্তা গেল না। সরকারের 'দলদাসরা' যাই বলুক, মানুষ বলছে, সেনাবাহিনী তিন দিন টহলে থাকলে দুর্বৃত্তরা শহর ছাড়বে, আর তাতে সরকারি প্রার্থীদের সর্বনাশের কথা ভেবেই ব্যবস্থাটি রাতারাতি পাল্টে দেওয়া হয়েছে। এসব কর্মকাণ্ড থেকে সিটি নির্বাচন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। সংশয় জেগেছে জাতীয় রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়েও।

যে কোনো নির্বাচনে সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার দায়িত্বই শুধু নয়, নির্বাচন কমিশনের এটা অবশ্য কর্তব্যও। বহুল আলোচিত তিন সিটি নির্বাচনে সমান সুযোগ সৃষ্টি তো দূরের কথা, তেমন একটি পরিবেশও তৈরি করতে পারেনি বর্তমান নির্বাচন কমিশন। ইসির বিতর্কিত ভূমিকা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ওপর বার বার সশস্ত্র হামলা, কয়েকজন মন্ত্রী ও প্রার্থীর আচরণবিধি লঙ্ঘন, সরকারি দলের কোনো কোনো নেতার উসকানিমূলক বক্তব্য এবং সর্বশেষ সেনা মোতায়েন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের নানা টালবাহানার কারণে রাজনৈতিক স্বস্তির এ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ ও অগ্রহণযোগ্য হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অনেকেই নির্বাচন কমিশনকে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের জন্য অভিযুক্তও করছেন।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট

ই-মেইল :[email protected]

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
বিবিসিতে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার : দূরদৃষ্টির অনন্য দৃষ্টান্ত
বিবিসিতে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার : দূরদৃষ্টির অনন্য দৃষ্টান্ত
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
সর্বশেষ খবর
'কালি মুছে গেলেও জাল ভোটের সুযোগ নেই'
'কালি মুছে গেলেও জাল ভোটের সুযোগ নেই'

১ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

মালয়েশিয়ায় দুই বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় দুই বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ উদ্ধার

১ মিনিট আগে | পরবাস

১০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা কাঠের সেতু এখন অকেজো
১০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা কাঠের সেতু এখন অকেজো

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শুক্রবার থেকে সারাদেশে বৃষ্টির আভাস
শুক্রবার থেকে সারাদেশে বৃষ্টির আভাস

২১ মিনিট আগে | জাতীয়

'অশ্লীল' তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ করা হয় মাধুরীর গান
'অশ্লীল' তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ করা হয় মাধুরীর গান

২২ মিনিট আগে | শোবিজ

মা ইলিশ রক্ষায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভা
মা ইলিশ রক্ষায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভা

২৭ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা স্ত্রীর, বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ স্বামী
গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা স্ত্রীর, বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ স্বামী

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দরিদ্র ভ্যানচালকের ৬ মেয়ের শিক্ষার দায়িত্ব নিলো ছাত্রদল
দরিদ্র ভ্যানচালকের ৬ মেয়ের শিক্ষার দায়িত্ব নিলো ছাত্রদল

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টানা জয়ের বিশ্বরেকর্ড এককভাবে মরক্কোর
টানা জয়ের বিশ্বরেকর্ড এককভাবে মরক্কোর

৩০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাকচাপায় জাবি ছাত্রী নিহত
ট্রাকচাপায় জাবি ছাত্রী নিহত

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৫ দফা দাবিতে গোপালগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন
৫ দফা দাবিতে গোপালগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

একজন ধনী ব্যক্তি মার্কিন সেনাদের বেতন দিতে চান
একজন ধনী ব্যক্তি মার্কিন সেনাদের বেতন দিতে চান

৪৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পঞ্চগড়ে ‘ঘরে ঘরে জনে জনে’ কর্মসূচিতে মিলছে সাড়া
পঞ্চগড়ে ‘ঘরে ঘরে জনে জনে’ কর্মসূচিতে মিলছে সাড়া

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে, প্রয়োজনে আমরাই করব: ট্রাম্প
হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে, প্রয়োজনে আমরাই করব: ট্রাম্প

৫০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কর জাল সম্প্রসারণে এনবিআরের ১২ নতুন ইউনিট গঠন
কর জাল সম্প্রসারণে এনবিআরের ১২ নতুন ইউনিট গঠন

৫১ মিনিট আগে | জাতীয়

১৬ লাশের মধ্যে সাত লাশ হস্তান্তর হতে পারে
১৬ লাশের মধ্যে সাত লাশ হস্তান্তর হতে পারে

৫৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

তারেক রহমানের নেতৃত্বেই গড়ে উঠবে সম্প্রীতির বাংলাদেশ
তারেক রহমানের নেতৃত্বেই গড়ে উঠবে সম্প্রীতির বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদপুরে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে আটক ৬১ জেলে
চাঁদপুরে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে আটক ৬১ জেলে

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই-আগস্টের ৭ মামলায় সালমান-আনিসুলসহ ৪৫ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির
জুলাই-আগস্টের ৭ মামলায় সালমান-আনিসুলসহ ৪৫ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুদকের পরিচালক হলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা
দুদকের পরিচালক হলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উষ্ণায়নের ফলে ধ্বংসের পথে প্রবাল প্রাচীর
উষ্ণায়নের ফলে ধ্বংসের পথে প্রবাল প্রাচীর

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আবারও সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলা পাকিস্তান-আফগানিস্তানের
আবারও সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলা পাকিস্তান-আফগানিস্তানের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমাদের সম্মান বাড়বে: চবি উপাচার্য
নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমাদের সম্মান বাড়বে: চবি উপাচার্য

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে স্থায়ীভাবে অপসারণ
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে স্থায়ীভাবে অপসারণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন
সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জামায়াত নেতা হত্যা: একজনের আমৃত্যুসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন
জামায়াত নেতা হত্যা: একজনের আমৃত্যুসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত
নারায়ণগঞ্জে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯
যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার
ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ব্রিকসের দেশগুলোকে শুল্ক দিতে হবে, হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
ব্রিকসের দেশগুলোকে শুল্ক দিতে হবে, হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

২৩ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঝালকাঠিতে জলাতঙ্কে যুবকের মৃত্যু
ঝালকাঠিতে জলাতঙ্কে যুবকের মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১৯৬৭ সালের আগের সীমান্ত অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের আহ্বান
১৯৬৭ সালের আগের সীমান্ত অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের আহ্বান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন আমদানি বন্ধ চীনের, ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি
যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন আমদানি বন্ধ চীনের, ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার
ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের তিন কাশির সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা জারি
ভারতের তিন কাশির সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা জারি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯
যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবতীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবতীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগামী ৫ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল অধিদপ্তর
আগামী ৫ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল অধিদপ্তর

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ট্যারিফ আজ থেকে, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা
চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ট্যারিফ আজ থেকে, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

নারীকে জড়িয়ে ভয়ংকর অপতথ্যের জাল
নারীকে জড়িয়ে ভয়ংকর অপতথ্যের জাল

পেছনের পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

রাকিবের গোলে ১ পয়েন্ট
রাকিবের গোলে ১ পয়েন্ট

মাঠে ময়দানে

অধরাই বিকল্প বাজার
অধরাই বিকল্প বাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

১২ বছর চলছে ১১ কিমি সড়কের কাজ!
১২ বছর চলছে ১১ কিমি সড়কের কাজ!

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮

নগর জীবন