শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৭ মে, ২০১৫

জামায়াতিরা বলে বিএনপি খান খান হয়ে যাবে

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
জামায়াতিরা বলে বিএনপি খান খান হয়ে যাবে

বিএনপির ভবিষ্যৎ কী তা নিয়ে শাসক লীগ এবং জামায়াতিরা নানা কথা বলছে। লীগপন্থিদের কথাবার্তায় কিছুটা উপহাস এবং টিটকারির ভাব থাকলেও জামায়াতে ইসলামীর বক্তব্য সুদূরপ্রসারী ও গভীর। বিএনপি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ; শক্তিশালী প্রতিপক্ষও বটে। দুই দলের সম্পর্ক এখন একেবারেই সাপে-নেউলে। দুই নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনার সম্পর্ক তার চেয়েও খারাপ। দুজনের পারস্পরিক অসহিষ্ণু সম্পর্কই সংক্রমিত হয়েছে দুই দলের একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে। ফলে দুই দলের লড়াইকে কোনো কোনো বিদেশি সংবাদ মাধ্যম চিত্রিত করছে 'দুই বেগমের লড়াই' হিসেবে। সরকারি ক্ষমতা এবং রাষ্ট্রীয় বাহিনীসমূহ ব্যবহার বা অপব্যবহারের সুযোগ না থাকলে সমর্থক শক্তির প্রকৃত বিবেচনায় দুই দলের অবস্থান এখনো প্রায় সমান সমানই বলা চলে। তবে রাজনৈতিক ও আদর্শিক কমিটমেন্টের দৃঢ়তা এবং নেতৃত্ব গুণ বিবেচনায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিঃসন্দেহে এগিয়ে।

ব্যর্থ নেতৃত্ব, বিশৃঙ্খলা এবং সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে বিএনপি তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারছে না। সবার এটি জানা যে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিতর্কিত নির্বাচনটি বিএনপি ও তার মিত্ররা বর্জন করেছিল। সরকার পক্ষ ছাড়া দেশি-বিদেশি নানা গুরুত্বপূর্ণ মহল সেই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছিল, তা এখনো জারিই আছে। সেই দশম সংসদ নির্বাচন প্রকৃত অংশগ্রহণমূলক ছিল না। ৩০০ আসনের সংসদে ভোট গ্রহণের আগেই ১৫৩ জন জিতে বসে থাকেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতাই হয়নি সেই নির্বাচনে। সমঝোতার ভিত্তিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং এরশাদের জাতীয় পার্টি আসন ভাগাভাগি করে নিয়েছে, যদিও ভোট গ্রহণের আগে এরশাদকে নিয়ে নানা নাটক হয়েছে। পরে বোঝা গেছে, রওশন এরশাদ সরকারের সঙ্গে যে অ্যারেঞ্জমেন্টে গিয়েছিলেন, তাতে এরশাদেরও সম্মতি ছিল। অর্থাৎ নির্বাচনটি পাতানো ছিল বলে বিএনপি ও নির্বাচন বর্জনকারী বিরোধী দলগুলো যে অভিযোগ করে চলেছে, তা সর্বাংশেই সত্য।

আগাম বা মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতেই ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকায় সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট। সরকার সে সমাবেশ করতে দেয়নি। বালুর ট্রাক দিয়ে পথ আটকে রেখে খালেদা জিয়াকে তার গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। খালেদা জিয়া তার নয়াপল্টনের পার্টি অফিসের দিকে রওনা দিতে গেলে তার ওপর বিষাক্ত পিপার স্প্রে নিক্ষেপ করাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আরও কী আচরণ করেছে তা বেসরকারি টেলিভিশনগুলোর পর্দায় সরাসরি দেখেছে দেশ-বিদেশের মানুষ। খালেদা জিয়ার সঙ্গে সরকার খুবই অন্যায় আচরণ করেছে। গণতান্ত্রিক শিষ্টাচারের নূ্যনতম কিছুই অবশিষ্ট রাখেনি। ব্যাহত এ পরিস্থিতিতে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষিত হলেও কর্মসূচিটি খালেদা জিয়ার পূর্বনির্ধারিত ছিল বলেই বলা যায়।

দীর্ঘ তিন মাস গণদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী সেই আন্দোলন থেকে বিএনপির ঝুড়িতে কী জমা হয়েছে? আগাম বা মধ্যবর্তী নির্বাচন প্রশ্নে ক্ষমতাসীন সরকারকে কতটা নমনীয় করতে পেরেছে বিএনপি জোট- এই প্রশ্ন এখন চতুর্দিকে। তাদের দলের ভিতর এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক আলোচনা-পর্যালোচনা, সমালোচনা-আত্দসমালোচনা না হলেও অনানুষ্ঠানিকভাবে দলের বিভিন্ন পর্যায়ে কথাবার্তা হচ্ছে না, তা নয়। তবে দলটির চরিত্র এতটাই অগণতান্ত্রিক যে, গঠনমূলক কোনো সমালোচনা করলেও দল থেকে পত্রপাঠ বিদায়। দায়িত্বশীল কেউ কেউ কথা বলেন; কিন্তু নাম প্রকাশ করতে চান না। কেউ এমনও বলেন, 'কোনো ধরনের মন্তব্য করে বিপদে পড়তে চাই না।' রাজনীতি এবং রাজনৈতিক দল করতে গিয়ে যেন তারা খালেদা জিয়া আর তারেক রহমানের মালিকানাধীন কোনো করপোরেট হাউসে চাকরি করছেন। পদে পদে চাকরি হারানোর ভয়। কিন্তু যারা বিএনপি সরাসরি করেন না; দলটি ভালোবাসেন, তাদের তো চাকরি হারানোর ভয় নেই। আবার যেসব রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক বা বিশ্লেষক বিএনপির মতো একটি জাতীয়তাবাদী দলের শক্তিমত্তার সঙ্গে টিকে থাকা দেশের স্বার্থে ও গণতন্ত্রের স্বার্থে জরুরি মনে করেন, তারা তিন মাসের ঘটনার নির্মোহ বিশ্লেষণ শুরু করে দিয়েছেন এরই মধ্যে। তারা মনে করেন, ঘোষিত কর্মসূচির মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে সরকারকে কিছুটা ভয় পাইয়ে দিতে পেরেছিল ২০ দল। এক মাস সারা দেশ থেকে রাজধানী ঢাকা বিচ্ছিন্নই ছিল বলা চলে। কিন্তু তাতে সরকার যতটা না ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার চেয়ে অনেকগুণ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জনগণ। তারপরও আন্দোলনটি যদি নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ হতো, মানুষ দেখত আরও কিছু দিন। কিন্তু পেট্রলবোমা হামলা, অগ্নিসংযোগ, রাস্তার ধারে শত-সহস্র বৃক্ষ নিধন করে ব্যারিকেড দেওয়ার চেষ্টা এবং প্রায় পৌনে ২০০ মানুষ নিহতের ঘটনা বিএনপির ভাবমূর্তির বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। ফলে ব্যর্থ হয়েছে আন্দোলন। জনগণের জন্য আন্দোলনে জনসমর্থন পাওয়ার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই যে কোনো আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নকালে অনেক বিষয় বিবেচনায় নিতে হয়। আন্দোলনের কর্মসূচির বিষয়টি 'পূর্বনির্ধারিত' ছিল বটে; কিন্তু তা সুপরিকল্পিত ও সুবিবেচিত ছিল না। একটি রাজনৈতিক দলের সরকারবিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নের সময় লক্ষ্য রাখতে হয়- ১. কর্মসূচির গুরুত্ব এবং তাতে জনস্বার্থ ২. কর্মসূচির ওপর দলীয় নিয়ন্ত্রণ ও নেতৃত্ব প্রদানে দলের দক্ষতা ও সক্ষমতা ৩. নেতৃত্বের সততা, সাহস ও দৃঢ়তা ৪. বিশ্বস্ত ও নিবেদিতকর্মী-সংগঠকের প্রতুলতা ৫. সব পর্যায়ের নেতাকর্মী-সংগঠকরা কতদিন কর্মসূচিটি চালিয়ে নিতে সক্ষম, কষ্ট সহিষ্ণুতাই বা কতটুকু ৬. দালাল, লোভী ও আপসকামীদের ব্যাপারে সতর্কতা ও ৭. আন্দোলনে জনগণের সংশ্লিষ্টতা এবং তারা কতটা কষ্ট, ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুতও কতটা সম্ভব।

অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, একটি সফল আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নের উল্লিখিত শর্তগুলোর প্রথমটি ছাড়া বাকি একটিও বিবেচনা করেননি বা এসব নিয়ে ভাবেননি বিএনপির 'মালিকরা'।

বিএনপির নেতা কারা? সমালোচকরা বলেন, বিএনপির নেতা বলেন আর মালিক বলেন, দুজনই আছেন- খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। বিভিন্ন পদের অধিকারী যারা আছেন, তারা খালেদা-তারেকের স্টাফ অফিসারের মতো। সন্তুষ্টি অনুযায়ী 'ডিউটি' করতে না পারলে পত্রপাঠ বিদায়। কারারুদ্ধ না হলে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরেরই নাকি 'চাকরি' যায় যায় অবস্থায় ছিল। স্থায়ী কমিটি নামে একটি 'নীতিনির্ধারণী' কমিটি আছে। কিন্তু নীতিনির্ধারণে এ কমিটির সদস্যদের কি কোনো মূল্য আছে? বছরে কটা সভা হয়েছে এই কমিটির? তিন মাসের যে 'অবিবেচক' কর্মসূচি দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল, স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে কি তা প্রণয়ন করা হয়েছিল? সভা ডাকলে ১৯ সদস্যের (দুজন সাইফুর রহমান ও খন্দকার দেলোয়ার হোসেন মারা গেছেন) ১৭ জনের মধ্যে কজন উপস্থিত হতে শারীরিকভাবে সক্ষম? কজন দায়িত্ব পালনে দক্ষ, সক্ষম ও সাহসী? সহ-সভাপতিমণ্ডলী, উপদেষ্টামণ্ডলী, সম্পাদকমণ্ডলী- শত শত 'কাগুজে বাঘ', নেতা কজন- যাদের রাজনৈতিক অতীত আছে, সংগঠন গড়ার ও আন্দোলনের অভিজ্ঞতা আছে? জনগণ নেতা হিসেবে রিকগনাইজ করে কজনকে? অথচ বিএনপিতে নেতা হওয়ার নবীন-প্রবীণ ক্যারিয়ার রাজনীতিবিদের অভাব নেই বলেই শোনা যায়। দখলদারদের ধাক্কায় অন্যদের টেকা তো দূরের কথা, ঢোকাই নাকি দায়। এসব কারণে আন্দোলনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলে ২০-দলীয় জোটের 'দ্বিতীয় পক্ষ' জামায়াতে ইসলামী। আগাম বা মধ্যবর্তী নির্বাচন তাদের এজেন্ডা নয়। তাদের এজেন্ডা তাদের দল ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডিত নেতাদের রক্ষা করা। দেশের স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে তাদের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়। আন্দোলনকে তারা নিয়ে গেছে তাদের পথে।

তিন সিটি নির্বাচনেও বিএনপি তার সাংগঠনিক শক্তিমত্তার পরিচয় দিতে পারেনি। নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে প্রতিবাদী কোনো কর্মসূচি নিতেও সাহস করেনি তারা।

বিএনপি কি তাহলে শেষ হয়ে গেল? বিএনপি কি অবশেষে মুসলিম লীগের ভাগ্যবরণ করতে যাচ্ছে? সরকার পক্ষ তো বেশ জোর দিয়ে তেমন কথাই বলছে। তাদের কথা ফলবে কিনা নির্ভর করবে খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান দল নিয়ে কী ভাবছেন, কী করছেন তার ওপর। তবে একটা কথা বলা যায়, মুসলিম লীগের জন্ম যে কারণে হয়েছিল, পাকিস্তান সৃষ্টির পর তার প্রয়োজন অর্ধেকটাই ফুরিয়ে যায়। তাদের মূল এজেন্ডাই ছিল ভূখণ্ডের মুসলমানদের জন্য একটি স্বতন্ত্র আবাসভূমি প্রতিষ্ঠা। দেশ গড়ার, অর্থনৈতিক উন্নয়নের এবং স্বাধীন পাকিস্তানের উভয় অঞ্চলের সমন্বিত ও সমান্তরাল উন্নয়ন এবং জনকল্যাণের ব্যাপক-বিস্তৃত কোনো কর্মসূচি ও পূর্ব পরিকল্পনা তাদের ছিল না; যেমনটা ছিল ভারত গড়ার ব্যাপারে কংগ্রেসের। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর সেই দলের প্রয়োজন একেবারেই ফুরিয়ে যায়। বিএনপির ক্ষেত্রে বিষয়টা ভিন্ন। একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক অবস্থানের ওপর দাঁড়ানো আছে দলটি, অবশ্য দলের মালিক-চালকরা সে ব্যাপারে কতটা সচেতন তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়া মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তি নায়ক। দলের ঘোষণাপত্রের সূচনাটাই তিনি করেছেন মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি অঙ্গীকার দিয়ে। সেই আবেদন ফুরিয়ে যায়নি, যাবেও না। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের এক কালোত্তীর্ণ দর্শন তিনি দিয়ে গেছেন জাতিকে।

বিএনপি-আওয়ামী লীগের কথা কাটাকাটির অর্থ মানুষের কাছে এরকম। আওয়ামী লীগ এবং তাদের 'দলদাসরা' বিএনপিকে মুসলিম লীগ হয়ে যাবে বলা কিংবা বিএনপির 'দলদাসরা' আওয়ামী লীগকে বাকশালী আলখেল্লাধারী নব্য ফ্যাসিস্ট বলে গাল দেওয়া সাময়িক উত্তেজনার প্রকাশ। বাস্তবতার সঙ্গে তা মিল খায় না। কিন্তু জামায়াতিরা যা বলছে তা বেশ উদ্বেগের। বিএনপিকে নিয়ে তারা রীতিমতো গবেষণা শুরু করে দিয়েছে। স্পষ্ট হচ্ছে, বিএনপির সঙ্গে তাদের মৈত্রীর বন্ধনের উদ্দেশ্য ছিল সুদূরপ্রসারী। চরম মুহূর্তে বিএনপিকে 'গিলে খাওয়াই' ছিল তাদের উদ্দেশ্য। গদিতে বসানোর লোভ দেখিয়ে প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে ওপর কাঠামোয় বিভাজন সৃষ্টি করে এবং অর্থ ছড়িয়ে তৃণমূল সংগঠনে কর্মী ভাগিয়ে নিয়ে নিজেরা শক্তিশালী হওয়াই ছিল তাদের লক্ষ্য। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে সম্মোহিত করে রেখে দলটির সঠিক নেতৃত্ব গড়ে উঠতে এবং শক্তিশালী হতে কৌশলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে তারা। এমন ভাব ধরেছিল যে, তারাই তো আছে, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আর কী দরকার? তারা ভাবে, বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য ভালো নয়, তারেক রহমানের অদূর ভবিষ্যতে দেশে ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই। বেগম জিয়ার অবর্তমানে তারেক রহমান বিলাতে বসে তার সঙ্গে সম্পর্কিত অধিকতর বিতর্কিত লোকগুলোকে দিয়ে বিএনপির বর্তমান অবস্থা ধরে রাখতে পারবেন না। তখন হবে তাদের পোয়াবারো! এমন বক্তব্যই প্রকাশ্যে বেরিয়ে এসেছে তাদের পক্ষের এক গবেষণাপত্রে। জামায়াতে ইসলামীর তিন বুদ্ধিজীবীর বিএনপি সম্পর্কিত মূল্যায়ন সম্প্রতি ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রকাশিত 'লিমিটস অব ইসলামিজম, জামায়াত ইন কনটেম্পরারি ইন্ডিয়া অ্যান্ড বাংলাদেশ' গ্রন্থে ছাপা হয়েছে। কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক শইদুল ইসলাম বইটি লিখেছেন। বইয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক আদর্শ হিসেবে ইসলামিজমের ওপর বিশেষভাবে আলোকপাত করা হয়েছে। এই গ্রন্থে জামায়াতের তিনজন বুদ্ধিজীবীর সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়েছে। সাক্ষাৎকারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের অধ্যাপক চৌধুরী মাহমুদ হাসান বলেন, '...বিএনপি দুর্বল হয়ে গেলে জামায়াত সাফল্যের সঙ্গে ভারতবিরোধী ও আওয়ামী লীগবিরোধী বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে এটা একটা প্রকৃত সম্ভাবনা হিসেবে দেখা দেবে। কারণ বেগম খালেদা জিয়ার পরে বিএনপি টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। বিএনপি মতাদর্শগতভাবে একটি শিথিল এবং অসংগঠিত সংগঠন' (দৈনিক মানবজমিন ১২ মে ২০১৫)। এর অন্তর্নিহিত বক্তব্য দুর্বোধ্য নয়। বিএনপির সঙ্গে জোট বাঁধার পর থেকেই তারা কৌশলে কাজ চালিয়ে যায়। আগে হাতেগোনা কয়েকটি স্থানে জামায়াতের সংগঠন ছিল। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের ঘাড়ে সওয়ার হয়ে তারা শক্তি আহরণ করে নিয়েছে সারা দেশে। খবর নিলেই জানা যাবে, থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মধ্য থেকেই তারা শক্তি আহরণ করেছে। বিএনপি দুর্বল হয়েছে, জামায়াত শক্তিশালী হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার পরে বিএনপি ভেঙে খান খান হয়ে গেলে দলে দলে সবাই যোগ দেবে জামায়াতে। তাদের হিসাবটা এমনই। তাদের এই হিসাব বিএনপির প্রগতিশীল গণতন্ত্রীরাই গরমিল করে দিতে পারে যদি বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দেন। জিয়ার পরে যেমন বেগম জিয়া ছিলেন, সত্যি হচ্ছে বেগম জিয়ার পর সেরকম কেউ নেই। এটা তারেক রহমানেরও স্বীকার করা উচিত। দলের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পন্থায় নেতৃত্ব নির্বাচনের ব্যবস্থাটা যদি সিস্টেমে পরিণত করা যায়, তাহলে বেগম জিয়ার পরও বিএনপিকে গিলে ফেলতে পারবে না জামায়াত। জামায়াতের ব্যাপারে দৃষ্টিভঙ্গি এবং অবস্থানটা স্পষ্ট করে ফেলতে হবে এবং তা এখনই। সময় যত যাবে জামায়াত ততই বিএনপির লোক ভাগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবে। ভারতের সঙ্গে বিএনপির শীতল সম্পর্ক নিয়ে যে প্রচার আছে সেই ব্যাপারেও জনগণকে স্পষ্ট ধারণা দিতে হবে। 'চল চল দিল্লি চল, লাল কেল্লা দখল কর' জাতীয় জিহাদি মনোভাব নিয়ে বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতার রাজনীতিতে টিকে থাকার চিন্তাই করা যায় না। এসব মৌলিক বিষয়ের ফায়সালা হয়ে গেলে প্রবর্তিত সিস্টেমই বিএনপিকে টিকিয়ে রাখবে। বিএনপি তখন মুসলিম লীগও হবে না, জামায়াতও হবে না। আওয়ামী বুদ্ধিজীবী (!) এবং জামায়াতি বুদ্ধিজীবীদের সব চিন্তা ও গবেষণা চুলায় যাবে।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট

ই-মেইল : [email protected]

 

এই বিভাগের আরও খবর
বিবিসিতে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার : দূরদৃষ্টির অনন্য দৃষ্টান্ত
বিবিসিতে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার : দূরদৃষ্টির অনন্য দৃষ্টান্ত
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
সর্বশেষ খবর
'কালি মুছে গেলেও জাল ভোটের সুযোগ নেই'
'কালি মুছে গেলেও জাল ভোটের সুযোগ নেই'

১ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

মালয়েশিয়ায় দুই বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় দুই বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ উদ্ধার

১ মিনিট আগে | পরবাস

১০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা কাঠের সেতু এখন অকেজো
১০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা কাঠের সেতু এখন অকেজো

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শুক্রবার থেকে সারাদেশে বৃষ্টির আভাস
শুক্রবার থেকে সারাদেশে বৃষ্টির আভাস

২১ মিনিট আগে | জাতীয়

'অশ্লীল' তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ করা হয় মাধুরীর গান
'অশ্লীল' তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ করা হয় মাধুরীর গান

২২ মিনিট আগে | শোবিজ

মা ইলিশ রক্ষায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভা
মা ইলিশ রক্ষায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভা

২৭ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা স্ত্রীর, বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ স্বামী
গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা স্ত্রীর, বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ স্বামী

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দরিদ্র ভ্যানচালকের ৬ মেয়ের শিক্ষার দায়িত্ব নিলো ছাত্রদল
দরিদ্র ভ্যানচালকের ৬ মেয়ের শিক্ষার দায়িত্ব নিলো ছাত্রদল

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টানা জয়ের বিশ্বরেকর্ড এককভাবে মরক্কোর
টানা জয়ের বিশ্বরেকর্ড এককভাবে মরক্কোর

৩০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাকচাপায় জাবি ছাত্রী নিহত
ট্রাকচাপায় জাবি ছাত্রী নিহত

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৫ দফা দাবিতে গোপালগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন
৫ দফা দাবিতে গোপালগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

একজন ধনী ব্যক্তি মার্কিন সেনাদের বেতন দিতে চান
একজন ধনী ব্যক্তি মার্কিন সেনাদের বেতন দিতে চান

৪৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পঞ্চগড়ে ‘ঘরে ঘরে জনে জনে’ কর্মসূচিতে মিলছে সাড়া
পঞ্চগড়ে ‘ঘরে ঘরে জনে জনে’ কর্মসূচিতে মিলছে সাড়া

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে, প্রয়োজনে আমরাই করব: ট্রাম্প
হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে, প্রয়োজনে আমরাই করব: ট্রাম্প

৫০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কর জাল সম্প্রসারণে এনবিআরের ১২ নতুন ইউনিট গঠন
কর জাল সম্প্রসারণে এনবিআরের ১২ নতুন ইউনিট গঠন

৫১ মিনিট আগে | জাতীয়

১৬ লাশের মধ্যে সাত লাশ হস্তান্তর হতে পারে
১৬ লাশের মধ্যে সাত লাশ হস্তান্তর হতে পারে

৫৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

তারেক রহমানের নেতৃত্বেই গড়ে উঠবে সম্প্রীতির বাংলাদেশ
তারেক রহমানের নেতৃত্বেই গড়ে উঠবে সম্প্রীতির বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদপুরে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে আটক ৬১ জেলে
চাঁদপুরে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে আটক ৬১ জেলে

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই-আগস্টের ৭ মামলায় সালমান-আনিসুলসহ ৪৫ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির
জুলাই-আগস্টের ৭ মামলায় সালমান-আনিসুলসহ ৪৫ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুদকের পরিচালক হলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা
দুদকের পরিচালক হলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উষ্ণায়নের ফলে ধ্বংসের পথে প্রবাল প্রাচীর
উষ্ণায়নের ফলে ধ্বংসের পথে প্রবাল প্রাচীর

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আবারও সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলা পাকিস্তান-আফগানিস্তানের
আবারও সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলা পাকিস্তান-আফগানিস্তানের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমাদের সম্মান বাড়বে: চবি উপাচার্য
নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমাদের সম্মান বাড়বে: চবি উপাচার্য

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে স্থায়ীভাবে অপসারণ
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে স্থায়ীভাবে অপসারণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন
সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জামায়াত নেতা হত্যা: একজনের আমৃত্যুসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন
জামায়াত নেতা হত্যা: একজনের আমৃত্যুসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত
নারায়ণগঞ্জে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯
যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার
ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ব্রিকসের দেশগুলোকে শুল্ক দিতে হবে, হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
ব্রিকসের দেশগুলোকে শুল্ক দিতে হবে, হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

২৩ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঝালকাঠিতে জলাতঙ্কে যুবকের মৃত্যু
ঝালকাঠিতে জলাতঙ্কে যুবকের মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১৯৬৭ সালের আগের সীমান্ত অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের আহ্বান
১৯৬৭ সালের আগের সীমান্ত অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের আহ্বান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন আমদানি বন্ধ চীনের, ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি
যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন আমদানি বন্ধ চীনের, ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার
ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের তিন কাশির সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা জারি
ভারতের তিন কাশির সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা জারি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯
যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবতীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবতীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগামী ৫ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল অধিদপ্তর
আগামী ৫ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল অধিদপ্তর

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ট্যারিফ আজ থেকে, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা
চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ট্যারিফ আজ থেকে, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

নারীকে জড়িয়ে ভয়ংকর অপতথ্যের জাল
নারীকে জড়িয়ে ভয়ংকর অপতথ্যের জাল

পেছনের পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

রাকিবের গোলে ১ পয়েন্ট
রাকিবের গোলে ১ পয়েন্ট

মাঠে ময়দানে

অধরাই বিকল্প বাজার
অধরাই বিকল্প বাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

১২ বছর চলছে ১১ কিমি সড়কের কাজ!
১২ বছর চলছে ১১ কিমি সড়কের কাজ!

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮

নগর জীবন