শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৭ মে, ২০১৫

জামায়াতিরা বলে বিএনপি খান খান হয়ে যাবে

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
জামায়াতিরা বলে বিএনপি খান খান হয়ে যাবে

বিএনপির ভবিষ্যৎ কী তা নিয়ে শাসক লীগ এবং জামায়াতিরা নানা কথা বলছে। লীগপন্থিদের কথাবার্তায় কিছুটা উপহাস এবং টিটকারির ভাব থাকলেও জামায়াতে ইসলামীর বক্তব্য সুদূরপ্রসারী ও গভীর। বিএনপি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ; শক্তিশালী প্রতিপক্ষও বটে। দুই দলের সম্পর্ক এখন একেবারেই সাপে-নেউলে। দুই নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনার সম্পর্ক তার চেয়েও খারাপ। দুজনের পারস্পরিক অসহিষ্ণু সম্পর্কই সংক্রমিত হয়েছে দুই দলের একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে। ফলে দুই দলের লড়াইকে কোনো কোনো বিদেশি সংবাদ মাধ্যম চিত্রিত করছে 'দুই বেগমের লড়াই' হিসেবে। সরকারি ক্ষমতা এবং রাষ্ট্রীয় বাহিনীসমূহ ব্যবহার বা অপব্যবহারের সুযোগ না থাকলে সমর্থক শক্তির প্রকৃত বিবেচনায় দুই দলের অবস্থান এখনো প্রায় সমান সমানই বলা চলে। তবে রাজনৈতিক ও আদর্শিক কমিটমেন্টের দৃঢ়তা এবং নেতৃত্ব গুণ বিবেচনায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিঃসন্দেহে এগিয়ে।

ব্যর্থ নেতৃত্ব, বিশৃঙ্খলা এবং সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে বিএনপি তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারছে না। সবার এটি জানা যে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিতর্কিত নির্বাচনটি বিএনপি ও তার মিত্ররা বর্জন করেছিল। সরকার পক্ষ ছাড়া দেশি-বিদেশি নানা গুরুত্বপূর্ণ মহল সেই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছিল, তা এখনো জারিই আছে। সেই দশম সংসদ নির্বাচন প্রকৃত অংশগ্রহণমূলক ছিল না। ৩০০ আসনের সংসদে ভোট গ্রহণের আগেই ১৫৩ জন জিতে বসে থাকেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতাই হয়নি সেই নির্বাচনে। সমঝোতার ভিত্তিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং এরশাদের জাতীয় পার্টি আসন ভাগাভাগি করে নিয়েছে, যদিও ভোট গ্রহণের আগে এরশাদকে নিয়ে নানা নাটক হয়েছে। পরে বোঝা গেছে, রওশন এরশাদ সরকারের সঙ্গে যে অ্যারেঞ্জমেন্টে গিয়েছিলেন, তাতে এরশাদেরও সম্মতি ছিল। অর্থাৎ নির্বাচনটি পাতানো ছিল বলে বিএনপি ও নির্বাচন বর্জনকারী বিরোধী দলগুলো যে অভিযোগ করে চলেছে, তা সর্বাংশেই সত্য।

আগাম বা মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতেই ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকায় সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট। সরকার সে সমাবেশ করতে দেয়নি। বালুর ট্রাক দিয়ে পথ আটকে রেখে খালেদা জিয়াকে তার গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। খালেদা জিয়া তার নয়াপল্টনের পার্টি অফিসের দিকে রওনা দিতে গেলে তার ওপর বিষাক্ত পিপার স্প্রে নিক্ষেপ করাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আরও কী আচরণ করেছে তা বেসরকারি টেলিভিশনগুলোর পর্দায় সরাসরি দেখেছে দেশ-বিদেশের মানুষ। খালেদা জিয়ার সঙ্গে সরকার খুবই অন্যায় আচরণ করেছে। গণতান্ত্রিক শিষ্টাচারের নূ্যনতম কিছুই অবশিষ্ট রাখেনি। ব্যাহত এ পরিস্থিতিতে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষিত হলেও কর্মসূচিটি খালেদা জিয়ার পূর্বনির্ধারিত ছিল বলেই বলা যায়।

দীর্ঘ তিন মাস গণদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী সেই আন্দোলন থেকে বিএনপির ঝুড়িতে কী জমা হয়েছে? আগাম বা মধ্যবর্তী নির্বাচন প্রশ্নে ক্ষমতাসীন সরকারকে কতটা নমনীয় করতে পেরেছে বিএনপি জোট- এই প্রশ্ন এখন চতুর্দিকে। তাদের দলের ভিতর এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক আলোচনা-পর্যালোচনা, সমালোচনা-আত্দসমালোচনা না হলেও অনানুষ্ঠানিকভাবে দলের বিভিন্ন পর্যায়ে কথাবার্তা হচ্ছে না, তা নয়। তবে দলটির চরিত্র এতটাই অগণতান্ত্রিক যে, গঠনমূলক কোনো সমালোচনা করলেও দল থেকে পত্রপাঠ বিদায়। দায়িত্বশীল কেউ কেউ কথা বলেন; কিন্তু নাম প্রকাশ করতে চান না। কেউ এমনও বলেন, 'কোনো ধরনের মন্তব্য করে বিপদে পড়তে চাই না।' রাজনীতি এবং রাজনৈতিক দল করতে গিয়ে যেন তারা খালেদা জিয়া আর তারেক রহমানের মালিকানাধীন কোনো করপোরেট হাউসে চাকরি করছেন। পদে পদে চাকরি হারানোর ভয়। কিন্তু যারা বিএনপি সরাসরি করেন না; দলটি ভালোবাসেন, তাদের তো চাকরি হারানোর ভয় নেই। আবার যেসব রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক বা বিশ্লেষক বিএনপির মতো একটি জাতীয়তাবাদী দলের শক্তিমত্তার সঙ্গে টিকে থাকা দেশের স্বার্থে ও গণতন্ত্রের স্বার্থে জরুরি মনে করেন, তারা তিন মাসের ঘটনার নির্মোহ বিশ্লেষণ শুরু করে দিয়েছেন এরই মধ্যে। তারা মনে করেন, ঘোষিত কর্মসূচির মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে সরকারকে কিছুটা ভয় পাইয়ে দিতে পেরেছিল ২০ দল। এক মাস সারা দেশ থেকে রাজধানী ঢাকা বিচ্ছিন্নই ছিল বলা চলে। কিন্তু তাতে সরকার যতটা না ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার চেয়ে অনেকগুণ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জনগণ। তারপরও আন্দোলনটি যদি নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ হতো, মানুষ দেখত আরও কিছু দিন। কিন্তু পেট্রলবোমা হামলা, অগ্নিসংযোগ, রাস্তার ধারে শত-সহস্র বৃক্ষ নিধন করে ব্যারিকেড দেওয়ার চেষ্টা এবং প্রায় পৌনে ২০০ মানুষ নিহতের ঘটনা বিএনপির ভাবমূর্তির বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। ফলে ব্যর্থ হয়েছে আন্দোলন। জনগণের জন্য আন্দোলনে জনসমর্থন পাওয়ার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই যে কোনো আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নকালে অনেক বিষয় বিবেচনায় নিতে হয়। আন্দোলনের কর্মসূচির বিষয়টি 'পূর্বনির্ধারিত' ছিল বটে; কিন্তু তা সুপরিকল্পিত ও সুবিবেচিত ছিল না। একটি রাজনৈতিক দলের সরকারবিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নের সময় লক্ষ্য রাখতে হয়- ১. কর্মসূচির গুরুত্ব এবং তাতে জনস্বার্থ ২. কর্মসূচির ওপর দলীয় নিয়ন্ত্রণ ও নেতৃত্ব প্রদানে দলের দক্ষতা ও সক্ষমতা ৩. নেতৃত্বের সততা, সাহস ও দৃঢ়তা ৪. বিশ্বস্ত ও নিবেদিতকর্মী-সংগঠকের প্রতুলতা ৫. সব পর্যায়ের নেতাকর্মী-সংগঠকরা কতদিন কর্মসূচিটি চালিয়ে নিতে সক্ষম, কষ্ট সহিষ্ণুতাই বা কতটুকু ৬. দালাল, লোভী ও আপসকামীদের ব্যাপারে সতর্কতা ও ৭. আন্দোলনে জনগণের সংশ্লিষ্টতা এবং তারা কতটা কষ্ট, ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুতও কতটা সম্ভব।

অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, একটি সফল আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নের উল্লিখিত শর্তগুলোর প্রথমটি ছাড়া বাকি একটিও বিবেচনা করেননি বা এসব নিয়ে ভাবেননি বিএনপির 'মালিকরা'।

বিএনপির নেতা কারা? সমালোচকরা বলেন, বিএনপির নেতা বলেন আর মালিক বলেন, দুজনই আছেন- খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। বিভিন্ন পদের অধিকারী যারা আছেন, তারা খালেদা-তারেকের স্টাফ অফিসারের মতো। সন্তুষ্টি অনুযায়ী 'ডিউটি' করতে না পারলে পত্রপাঠ বিদায়। কারারুদ্ধ না হলে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরেরই নাকি 'চাকরি' যায় যায় অবস্থায় ছিল। স্থায়ী কমিটি নামে একটি 'নীতিনির্ধারণী' কমিটি আছে। কিন্তু নীতিনির্ধারণে এ কমিটির সদস্যদের কি কোনো মূল্য আছে? বছরে কটা সভা হয়েছে এই কমিটির? তিন মাসের যে 'অবিবেচক' কর্মসূচি দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল, স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে কি তা প্রণয়ন করা হয়েছিল? সভা ডাকলে ১৯ সদস্যের (দুজন সাইফুর রহমান ও খন্দকার দেলোয়ার হোসেন মারা গেছেন) ১৭ জনের মধ্যে কজন উপস্থিত হতে শারীরিকভাবে সক্ষম? কজন দায়িত্ব পালনে দক্ষ, সক্ষম ও সাহসী? সহ-সভাপতিমণ্ডলী, উপদেষ্টামণ্ডলী, সম্পাদকমণ্ডলী- শত শত 'কাগুজে বাঘ', নেতা কজন- যাদের রাজনৈতিক অতীত আছে, সংগঠন গড়ার ও আন্দোলনের অভিজ্ঞতা আছে? জনগণ নেতা হিসেবে রিকগনাইজ করে কজনকে? অথচ বিএনপিতে নেতা হওয়ার নবীন-প্রবীণ ক্যারিয়ার রাজনীতিবিদের অভাব নেই বলেই শোনা যায়। দখলদারদের ধাক্কায় অন্যদের টেকা তো দূরের কথা, ঢোকাই নাকি দায়। এসব কারণে আন্দোলনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলে ২০-দলীয় জোটের 'দ্বিতীয় পক্ষ' জামায়াতে ইসলামী। আগাম বা মধ্যবর্তী নির্বাচন তাদের এজেন্ডা নয়। তাদের এজেন্ডা তাদের দল ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডিত নেতাদের রক্ষা করা। দেশের স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে তাদের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়। আন্দোলনকে তারা নিয়ে গেছে তাদের পথে।

তিন সিটি নির্বাচনেও বিএনপি তার সাংগঠনিক শক্তিমত্তার পরিচয় দিতে পারেনি। নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে প্রতিবাদী কোনো কর্মসূচি নিতেও সাহস করেনি তারা।

বিএনপি কি তাহলে শেষ হয়ে গেল? বিএনপি কি অবশেষে মুসলিম লীগের ভাগ্যবরণ করতে যাচ্ছে? সরকার পক্ষ তো বেশ জোর দিয়ে তেমন কথাই বলছে। তাদের কথা ফলবে কিনা নির্ভর করবে খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান দল নিয়ে কী ভাবছেন, কী করছেন তার ওপর। তবে একটা কথা বলা যায়, মুসলিম লীগের জন্ম যে কারণে হয়েছিল, পাকিস্তান সৃষ্টির পর তার প্রয়োজন অর্ধেকটাই ফুরিয়ে যায়। তাদের মূল এজেন্ডাই ছিল ভূখণ্ডের মুসলমানদের জন্য একটি স্বতন্ত্র আবাসভূমি প্রতিষ্ঠা। দেশ গড়ার, অর্থনৈতিক উন্নয়নের এবং স্বাধীন পাকিস্তানের উভয় অঞ্চলের সমন্বিত ও সমান্তরাল উন্নয়ন এবং জনকল্যাণের ব্যাপক-বিস্তৃত কোনো কর্মসূচি ও পূর্ব পরিকল্পনা তাদের ছিল না; যেমনটা ছিল ভারত গড়ার ব্যাপারে কংগ্রেসের। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর সেই দলের প্রয়োজন একেবারেই ফুরিয়ে যায়। বিএনপির ক্ষেত্রে বিষয়টা ভিন্ন। একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক অবস্থানের ওপর দাঁড়ানো আছে দলটি, অবশ্য দলের মালিক-চালকরা সে ব্যাপারে কতটা সচেতন তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়া মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তি নায়ক। দলের ঘোষণাপত্রের সূচনাটাই তিনি করেছেন মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি অঙ্গীকার দিয়ে। সেই আবেদন ফুরিয়ে যায়নি, যাবেও না। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের এক কালোত্তীর্ণ দর্শন তিনি দিয়ে গেছেন জাতিকে।

বিএনপি-আওয়ামী লীগের কথা কাটাকাটির অর্থ মানুষের কাছে এরকম। আওয়ামী লীগ এবং তাদের 'দলদাসরা' বিএনপিকে মুসলিম লীগ হয়ে যাবে বলা কিংবা বিএনপির 'দলদাসরা' আওয়ামী লীগকে বাকশালী আলখেল্লাধারী নব্য ফ্যাসিস্ট বলে গাল দেওয়া সাময়িক উত্তেজনার প্রকাশ। বাস্তবতার সঙ্গে তা মিল খায় না। কিন্তু জামায়াতিরা যা বলছে তা বেশ উদ্বেগের। বিএনপিকে নিয়ে তারা রীতিমতো গবেষণা শুরু করে দিয়েছে। স্পষ্ট হচ্ছে, বিএনপির সঙ্গে তাদের মৈত্রীর বন্ধনের উদ্দেশ্য ছিল সুদূরপ্রসারী। চরম মুহূর্তে বিএনপিকে 'গিলে খাওয়াই' ছিল তাদের উদ্দেশ্য। গদিতে বসানোর লোভ দেখিয়ে প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে ওপর কাঠামোয় বিভাজন সৃষ্টি করে এবং অর্থ ছড়িয়ে তৃণমূল সংগঠনে কর্মী ভাগিয়ে নিয়ে নিজেরা শক্তিশালী হওয়াই ছিল তাদের লক্ষ্য। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে সম্মোহিত করে রেখে দলটির সঠিক নেতৃত্ব গড়ে উঠতে এবং শক্তিশালী হতে কৌশলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে তারা। এমন ভাব ধরেছিল যে, তারাই তো আছে, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আর কী দরকার? তারা ভাবে, বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য ভালো নয়, তারেক রহমানের অদূর ভবিষ্যতে দেশে ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই। বেগম জিয়ার অবর্তমানে তারেক রহমান বিলাতে বসে তার সঙ্গে সম্পর্কিত অধিকতর বিতর্কিত লোকগুলোকে দিয়ে বিএনপির বর্তমান অবস্থা ধরে রাখতে পারবেন না। তখন হবে তাদের পোয়াবারো! এমন বক্তব্যই প্রকাশ্যে বেরিয়ে এসেছে তাদের পক্ষের এক গবেষণাপত্রে। জামায়াতে ইসলামীর তিন বুদ্ধিজীবীর বিএনপি সম্পর্কিত মূল্যায়ন সম্প্রতি ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রকাশিত 'লিমিটস অব ইসলামিজম, জামায়াত ইন কনটেম্পরারি ইন্ডিয়া অ্যান্ড বাংলাদেশ' গ্রন্থে ছাপা হয়েছে। কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক শইদুল ইসলাম বইটি লিখেছেন। বইয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক আদর্শ হিসেবে ইসলামিজমের ওপর বিশেষভাবে আলোকপাত করা হয়েছে। এই গ্রন্থে জামায়াতের তিনজন বুদ্ধিজীবীর সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়েছে। সাক্ষাৎকারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের অধ্যাপক চৌধুরী মাহমুদ হাসান বলেন, '...বিএনপি দুর্বল হয়ে গেলে জামায়াত সাফল্যের সঙ্গে ভারতবিরোধী ও আওয়ামী লীগবিরোধী বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে এটা একটা প্রকৃত সম্ভাবনা হিসেবে দেখা দেবে। কারণ বেগম খালেদা জিয়ার পরে বিএনপি টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। বিএনপি মতাদর্শগতভাবে একটি শিথিল এবং অসংগঠিত সংগঠন' (দৈনিক মানবজমিন ১২ মে ২০১৫)। এর অন্তর্নিহিত বক্তব্য দুর্বোধ্য নয়। বিএনপির সঙ্গে জোট বাঁধার পর থেকেই তারা কৌশলে কাজ চালিয়ে যায়। আগে হাতেগোনা কয়েকটি স্থানে জামায়াতের সংগঠন ছিল। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের ঘাড়ে সওয়ার হয়ে তারা শক্তি আহরণ করে নিয়েছে সারা দেশে। খবর নিলেই জানা যাবে, থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মধ্য থেকেই তারা শক্তি আহরণ করেছে। বিএনপি দুর্বল হয়েছে, জামায়াত শক্তিশালী হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার পরে বিএনপি ভেঙে খান খান হয়ে গেলে দলে দলে সবাই যোগ দেবে জামায়াতে। তাদের হিসাবটা এমনই। তাদের এই হিসাব বিএনপির প্রগতিশীল গণতন্ত্রীরাই গরমিল করে দিতে পারে যদি বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দেন। জিয়ার পরে যেমন বেগম জিয়া ছিলেন, সত্যি হচ্ছে বেগম জিয়ার পর সেরকম কেউ নেই। এটা তারেক রহমানেরও স্বীকার করা উচিত। দলের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পন্থায় নেতৃত্ব নির্বাচনের ব্যবস্থাটা যদি সিস্টেমে পরিণত করা যায়, তাহলে বেগম জিয়ার পরও বিএনপিকে গিলে ফেলতে পারবে না জামায়াত। জামায়াতের ব্যাপারে দৃষ্টিভঙ্গি এবং অবস্থানটা স্পষ্ট করে ফেলতে হবে এবং তা এখনই। সময় যত যাবে জামায়াত ততই বিএনপির লোক ভাগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবে। ভারতের সঙ্গে বিএনপির শীতল সম্পর্ক নিয়ে যে প্রচার আছে সেই ব্যাপারেও জনগণকে স্পষ্ট ধারণা দিতে হবে। 'চল চল দিল্লি চল, লাল কেল্লা দখল কর' জাতীয় জিহাদি মনোভাব নিয়ে বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতার রাজনীতিতে টিকে থাকার চিন্তাই করা যায় না। এসব মৌলিক বিষয়ের ফায়সালা হয়ে গেলে প্রবর্তিত সিস্টেমই বিএনপিকে টিকিয়ে রাখবে। বিএনপি তখন মুসলিম লীগও হবে না, জামায়াতও হবে না। আওয়ামী বুদ্ধিজীবী (!) এবং জামায়াতি বুদ্ধিজীবীদের সব চিন্তা ও গবেষণা চুলায় যাবে।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট

ই-মেইল : [email protected]

 

এই বিভাগের আরও খবর
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
সর্বশেষ খবর
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চিন্ময়কে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ
চিন্ময়কে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

৪ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১
মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১

৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা
উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা

৯ মিনিট আগে | জাতীয়

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

১০ মিনিট আগে | জাতীয়

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

১২ মিনিট আগে | জাতীয়

নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা
নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা

২০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’
‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’

২৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

২৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বরিশালে দুর্ঘটনায় মুদি দোকানির মৃত্যু
বরিশালে দুর্ঘটনায় মুদি দোকানির মৃত্যু

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সরকার ৫ দেশে নতুন মিশন খুলছে
সরকার ৫ দেশে নতুন মিশন খুলছে

৩৩ মিনিট আগে | জাতীয়

পোশাক শিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ : বিজিএমইএ সভাপতি
পোশাক শিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ : বিজিএমইএ সভাপতি

৩৬ মিনিট আগে | অর্থনীতি

বগুড়ায় পিস্তল ও গুলিসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
বগুড়ায় পিস্তল ও গুলিসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার

৪৭ মিনিট আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় শিয়াল শিকারের অপরাধে জরিমানা
কলাপাড়ায় শিয়াল শিকারের অপরাধে জরিমানা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু
গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির সমন্বয় কমিটি ঘোষণা
বগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির সমন্বয় কমিটি ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশিদের বিদেশে নিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি গঠন
বাংলাদেশিদের বিদেশে নিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি গঠন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড
ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুকুরে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
পুকুরে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সে খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন শুরু
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সে খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন শুরু

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এমপিওভুক্ত এক লাখ পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
এমপিওভুক্ত এক লাখ পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জামালপুরে কৃষক হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার দাবি
জামালপুরে কৃষক হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার দাবি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় গোল্ডকাপের উদ্বোধন
অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় গোল্ডকাপের উদ্বোধন

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা
চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে কিশোরের ডান পা বিচ্ছিন্ন
ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে কিশোরের ডান পা বিচ্ছিন্ন

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মোটরসাইকেল থেকে পড়ে নারীর মৃত্যু
মোটরসাইকেল থেকে পড়ে নারীর মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা
প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বগুড়ায় উন্নয়নের দাবীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান
বগুড়ায় উন্নয়নের দাবীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভয়াবহতা দেখে যা বললেন নেতানিয়াহু
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভয়াবহতা দেখে যা বললেন নেতানিয়াহু

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর
ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে যা বলেছে তুরস্ক, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইরাক
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে যা বলেছে তুরস্ক, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইরাক

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু
‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ভয়ে নেতানিয়াহুর ছেলের বিয়ে স্থগিত
ইরানের ভয়ে নেতানিয়াহুর ছেলের বিয়ে স্থগিত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক

১২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান
নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা
সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রও, ট্রাম্পের ইঙ্গিত
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রও, ট্রাম্পের ইঙ্গিত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন
ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত
ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু, ইসরায়েলে ফের সতর্কতা সাইরেন
ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু, ইসরায়েলে ফের সতর্কতা সাইরেন

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’
‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার
তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৮ ঘণ্টায় ভূপাতিত ৪৪টি ইসরায়েলি ড্রোন ও কোয়াডকপ্টার
৪৮ ঘণ্টায় ভূপাতিত ৪৪টি ইসরায়েলি ড্রোন ও কোয়াডকপ্টার

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা
ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা
নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বৃষ্টি ও তাপপ্রবাহ নিয়ে নতুন বার্তা
বৃষ্টি ও তাপপ্রবাহ নিয়ে নতুন বার্তা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা
দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল শিগগিরই চুক্তিতে আসছে— দাবি ট্রাম্পের
ইরান-ইসরায়েল শিগগিরই চুক্তিতে আসছে— দাবি ট্রাম্পের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি হামলায় ইরানে দুই দিনে নিহত ১২৮
ইসরায়েলি হামলায় ইরানে দুই দিনে নিহত ১২৮

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত
ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
তারেক ফিরছেন দেড় মাসের মধ্যে
তারেক ফিরছেন দেড় মাসের মধ্যে

প্রথম পৃষ্ঠা

ইসরায়েলে ধ্বংসস্তূপ
ইসরায়েলে ধ্বংসস্তূপ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশে নতুন বিপর্যয়ের শঙ্কা
দেশে নতুন বিপর্যয়ের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

আমের ‘ঢলন’ প্রথায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষি
আমের ‘ঢলন’ প্রথায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষি

নগর জীবন

হামজাদের দেখে ভারতীয় দলেও প্রবাসী ফুটবলার
হামজাদের দেখে ভারতীয় দলেও প্রবাসী ফুটবলার

মাঠে ময়দানে

কুশাসক-সুশাসক নির্ণয়ের দাঁড়িপাল্লা
কুশাসক-সুশাসক নির্ণয়ের দাঁড়িপাল্লা

সম্পাদকীয়

নাটক-সিনেমায় অনবদ্য তাসনিয়া ফারিণ
নাটক-সিনেমায় অনবদ্য তাসনিয়া ফারিণ

শোবিজ

সাত বছরে হলো কয়েকটি পিলার
সাত বছরে হলো কয়েকটি পিলার

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মাথায় হাত আলুচাষিদের
মাথায় হাত আলুচাষিদের

নগর জীবন

করোনা ঠেকাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার
করোনা ঠেকাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

এক ঘরে দুই পীর থাকতে পারে না
এক ঘরে দুই পীর থাকতে পারে না

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রোটিয়া ক্রিকেটের মহানায়ক টেম্বা বাভুমা
প্রোটিয়া ক্রিকেটের মহানায়ক টেম্বা বাভুমা

মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ
যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

পাঁচ ইসলামি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে, চাকরি হারাবে না কেউ
পাঁচ ইসলামি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে, চাকরি হারাবে না কেউ

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগ ভোটকে হাস্যরসে পরিণত করে
আওয়ামী লীগ ভোটকে হাস্যরসে পরিণত করে

প্রথম পৃষ্ঠা

এটিএম বুথে কিশোরী ধর্ষণ, পলাতক নিরাপত্তাকর্মী
এটিএম বুথে কিশোরী ধর্ষণ, পলাতক নিরাপত্তাকর্মী

পেছনের পৃষ্ঠা

অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধে নতুন কৌশল
অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধে নতুন কৌশল

পেছনের পৃষ্ঠা

এবার ব্যাংক থেকে ফেরার পথে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই
এবার ব্যাংক থেকে ফেরার পথে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই

প্রথম পৃষ্ঠা

সড়কে তবুও মেয়াদোত্তীর্ণ বাস
সড়কে তবুও মেয়াদোত্তীর্ণ বাস

পেছনের পৃষ্ঠা

ইতিহাস গড়লেন রুকসানা
ইতিহাস গড়লেন রুকসানা

মাঠে ময়দানে

হদিস মেলেনি কোটি টাকার, কেউ হয়নি গ্রেপ্তার
হদিস মেলেনি কোটি টাকার, কেউ হয়নি গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু মারা গেছেন
গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু মারা গেছেন

নগর জীবন

শাহিনের বক্তব্যে তোলপাড় বাফুফে
শাহিনের বক্তব্যে তোলপাড় বাফুফে

মাঠে ময়দানে

বিএনপির কমিটি গঠন না হওয়ায় ক্ষোভ
বিএনপির কমিটি গঠন না হওয়ায় ক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

আলোচনার পর ভোটের তারিখ সরকারের দিকে তাকিয়ে ইসি
আলোচনার পর ভোটের তারিখ সরকারের দিকে তাকিয়ে ইসি

প্রথম পৃষ্ঠা

আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইশরাকের
আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইশরাকের

প্রথম পৃষ্ঠা

সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়
সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

জাতীয় বাজেট ও কৃষি খাত
জাতীয় বাজেট ও কৃষি খাত

সম্পাদকীয়

সরকারি পরিত্যক্ত ভবনে চামড়ার আড়ত, দুর্গন্ধে ভোগান্তি
সরকারি পরিত্যক্ত ভবনে চামড়ার আড়ত, দুর্গন্ধে ভোগান্তি

নগর জীবন