শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ৩১ মে, ২০১৫

গুলশান অফিস এখন বিএনপির গলার কাঁটা

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
গুলশান অফিস এখন বিএনপির গলার কাঁটা

ইদানীং বিএনপি নিয়ে পত্র-পত্রিকায় এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় বেশ আলোচনা হচ্ছে। বিএনপি নেতৃত্বের ভুল-ভ্রান্তি এমন কি অবিমৃষ্যকারিতা নিয়েও চলছে নানা ধরনের বিশ্লেষণ। এ ব্যাপারে আমার ভালো লাগার কারণটা এখানে যে, বিএনপিকে ঘিরে আজ যে আলোচনা-পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ হচ্ছে, তা আমি চালিয়ে আসছি বছর খানেক আগে থেকে। বিএনপির অনেক পুরনো পরিচিতজন তা অব্যাহত রাখার আকুতি জানিয়ে বলেছেন, 'ভিতরে থেকে চাকরি হারানোর ভয়ে তো আমরা কিছু বলতে পারি না, আপনার তো চাকরি হারানোর ভয় নেই, আপনি চালিয়ে যান, আজ না হোক কাল, কাল না হোক পরশু এটা আমাদের কাজে লাগবে।' আবার কেউ বলেছেন, 'আপনি খুব নিষ্ঠুর সমালোচনা করছেন।' তাদের বলেছি, সত্য ও বাস্তব কখনো কখনো কঠিন ও নিষ্ঠুরই হয়। আমি সর্বদাই বলার চেষ্টা করেছি, বর্তমান বিএনপি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার বিএনপি থেকে বিচ্যুত, স্খলিত। প্রেসিডেন্ট জিয়ার হত্যাকাণ্ডের পর অনেকটা বাধ্য হয়েই বেগম খালেদা জিয়াকে দলের নেতৃত্ব হাতে নিতে হয়। অনেকেই হয়তো জানেন না যে, ত্রিধাবিভক্ত আওয়ামী লীগের ছিন্নভিন্ন অবস্থায় সবাই একমত হয়ে যেমন আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দলের নেতৃত্বে বরণ করেছিলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বিএনপির নেতৃত্বে আগমনটা কিন্তু তেমন মসৃণ ছিল না। বিএনপিতে তখন শক্তিশালী দুটি গ্রুপ জন্ম নিয়েছিল মূলত দলের ও সরকারের ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে। প্রথমে অস্থায়ী ও পরে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে কেন্দ্র করে একটি গ্রুপ এবং অপরটি বিদ্রোহী গ্রুপ।

এরা কেউই চাননি বেগম জিয়া দলের নেতৃত্বে আসুক এমন কি রাজনীতিতে আসুক। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়ই বিষয়টা প্রথম স্পষ্ট হয়। এখানে একটা কথা বলে নেওয়া দরকার যে, বিদ্রোহী গ্রুপ বা রিবেল গ্রুপ হিসেবে পরিচিতরা বেগম খালেদা জিয়ার কাছে যেতেন ঘন ঘন। এটা ছিল তাদের কৌশল। বিচারপতি সাত্তার গ্রুপের সঙ্গে যারা ছিলেন তাদের একটা চাপের মধ্যে রাখাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য, বেগম খালেদা জিয়াকে নেতা বানানো তাদের উদ্দেশ্য ছিল না। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে বিচারপতি সাত্তারকে নিবৃত্ত করার জন্য তারা খুব কৌশলী ভূমিকা পালন করে। প্রথমে তারা নিজেদের পছন্দের প্রার্থীর নাম প্রস্তাব না করে বেগম খালেদা জিয়ার নাম প্রস্তাব করে। বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিত একটি সভায় সংসদ সদস্য আলী তারেক এই প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু যখন বেগম জিয়ার কাছ থেকে কনফার্ম করার প্রশ্নে সভা ক্ষণিকের জন্য মুলতবি করা হয়, তারা প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেয়। কারণ, জানা যায়, এ ব্যাপারে বেগম জিয়ার সঙ্গে তাদের কোনো কথাই হয়নি। বেগম জিয়ার প্রস্তাব ছিল, বিচারপতি সাত্তারের নাম কেউ প্রস্তাব করবেন না। তিনি তেমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন, যা রিবেল গ্রুপ জানত। বিচারপতি সাত্তারের নাম প্রস্তাব না করা হলে রিবেল গ্রুপ তাদের প্রার্থী পরিবর্তন করত। একজনের তাৎক্ষণিক বুদ্ধিমত্তার কাছে তারা পরাস্ত হয়। পার্টি চেয়ারম্যান পদ নিয়েও একই গেইম চলে। বিদ্রোহী গ্রুপ প্রকাশ্যে বেগম জিয়ার নাম ঘোষণা করলেও তাদের প্রার্থী ছিল ভিন্ন। এ ক্ষেত্রেও বিচারপতি সাত্তারের নির্দেশ ছিল, বেগম খালেদা জিয়া মনোনয়নপত্র জমা দিলে তার মনোনয়নপত্র যেন জমা দেওয়া না হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও তারা ব্যর্থ হয়। ওদের চালাকি বুঝতে পেরে বেগম জিয়া নিজেই ঘোষণা দেন যে, তিনি প্রার্থী নন। বিচারপতি সাত্তারই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। অত্যন্ত নিবিড়ভাবে সবকিছু দেখার ও শোনার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, বিদ্রোহী গ্রুপ যদি বেগম জিয়ার ব্যাপারে আন্তরিক ও সৎ হতো, তিনিই শহীদ জিয়ার পর দেশের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হতেন, পার্টির চেয়ারপারসনও হতেন। মোট কথা, নেতৃত্বের দুগ্রুপের কেউই বেগম খালেদা জিয়াকে চাননি। তবে বেগম জিয়ার সৌভাগ্য বলতে হবে, তিনি নেতৃত্ব গ্রহণের পর অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মির্জা গোলাম হাফিজ, এস এ বারী এটি, জেনারেল মাজেদুল হক, কর্নেল (অব.) মুস্তাফিজুর রহমান, কে এম ওবায়দুর রহমান, আবদুস সালাম তালুকদার, আবদুল মান্নান ভূঁইয়া, শেখ রাজ্জাক আলী, কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ, আবদুর রহমান বিশ্বাস, আবদুল্লাহ আল নোমান, কবির হোসেন প্রমুখ প্রভাবশালী নেতার নিষ্ঠাপূর্ণ সমর্থন পেয়েছিলেন। অনেকেই বেগম জিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারতেন; প্রয়োজনে 'না' বলতে পারতেন।

এরশাদবিরোধী আন্দোলন শুরুর প্রাক্কালেই বিচারপতি সাত্তারের সঙ্গে থাকা গ্রুপের অধিকাংশ নেতা হুদা-মতিন-ভোলা মিঞার (এরশাদের মামা) নেতৃত্বে দল ভেঙে এরশাদের সঙ্গে চলে যায়। বিদ্রোহী গ্রুপের নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, শফিকুল গণি স্বপন প্রমুখও যোগ দেন স্বৈরাচার এরশাদের সঙ্গে। মতবিরোধের কারণে কে এম ওবায়দুর রহমানও দলত্যাগ করে নতুন দল গঠন করেন আহমদ নজির, রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী, শাহিনা খানদের নিয়ে। পরে তারা আবার ফিরে আসেন। এতসব টারময়েলের পরও এরশাদবিরোধী আন্দোলনে একঝাঁক দক্ষ 'মাঝি মাল্লার' সাহায্য-সহযোগিতায়ই বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতির সঠিক বন্দরে 'জাহাজ' নোঙর করতে পেরেছিলেন। দল ক্ষমতায়ও আসে। 'সহ-নাবিকরা' বেগম জিয়াকে শহীদ জিয়ার পথ থেকে স্খলিত হতে দেননি। আরও একটা বিষয় গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে, তখন দলে ও সরকারি কাজে তারেক রহমানের কোনো ভূমিকা ছিল না, ছিল না 'হাওয়া ভবন' বা 'গুলশান-বাজার কুটির'। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে সাফল্যের পর সরকার গঠনে বিএনপিকে জামায়াত সমর্থন করেছে কিন্তু তাদের বাড়িতে-গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়নি।

ছিয়ানব্বইয়ের নির্বাচনে পরাজয়ের পর আবার নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় বিএনপির সামনে। প্রবীণ নেতাদের মধ্যে অনেকে মৃত্যুবরণ করেন, কেউ কেউ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদারের মৃত্যুর পর আবদুল মান্নান ভূঁইয়া দলের মহাসচিব নিযুক্ত হন। ১৯৯৭ সাল থেকেই দলে চরম দক্ষিণপন্থি প্রবণতা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। দলের ভিতর দলের জন্ম হয়। মিডিয়ায় একটি গ্রুপ নিজেদের জাহির করে 'কট্টরপন্থি' হিসেবে। মান্নান ভূঁইয়াকে বলা হয় 'নরমপন্থি', 'আপসকামী', ভারতের দালাল, কখনোবা সরকারের দালাল। দৈনিক ইনকিলাব হয়ে যায় তাদের 'মুখপত্র'। দুই 'জাতীয়তাবাদী বিদ্বান' পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠাজুড়ে তত্ত্ব দিতে থাকেন। মান্নান ভূঁইয়ার চৌদ্দগুষ্টির 'শ্রাদ্ধ' করে ছাড়েন তারা। ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে ৩ মাস অবিবেচকের মতো অবরোধ-হরতাল করে বেগম খালেদা জিয়া-তারেক রহমান যেমন সরকার ফেলে দিতে চেয়েছেন এবং চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন, ওই কট্টরপন্থিরাও তখন এমন একটি 'বিপ্লব' করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু একজন আবদুল মান্নান ভূঁইয়া তার দক্ষতায়, যোগ্যতায়, আন্দোলনের কৌশল নির্ধারণের নিপুণ বিচক্ষণতায় ওদের বাড়াবাড়ি ঠেকিয়েছেন এবং বেগম জিয়ার নেতৃত্বে পরবর্তী নির্বাচনে দলকে 'জয়ের বন্দরে' পৌঁছাতে স্মরণীয় ভূমিকা রেখেছেন। স্বীকার করতে হবে, সেই নির্বাচনে (অষ্টম সংসদ) জয়ের পেছনে তারেক রহমানেরও যথেষ্ট অবদান ছিল। সেই নির্বাচনে বিএনপির এমন একটা পরিষ্কার সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল যে, জামায়াতিদের মন্ত্রিত্ব দেওয়ার কোনো প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু যারা মান্নান ভূঁইয়াকে ছাঁটাই করে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী কিংবা খোন্দকার মোশাররফ হোসেনকে পার্টির মহাসচিব বানাতে চেয়েছিলেন, তারা ইতিমধ্যেই দলকে শহীদ জিয়ার পথ থেকে সরিয়ে একটি দক্ষিণপন্থি দলের কণ্টকিত সড়কে তুলে দিয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে দলটিকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলেছে। দলের এই স্খলন ঠেকাতে পারেননি মহাসচিব মান্নান ভূঁইয়া। বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান দলের দক্ষিণপন্থি প্রতিক্রিয়াশীলদের দ্বারা খুবই প্রভাবিত ছিলেন। খুব ঠেকায় না পড়লে জিয়ার নামও তাদের মুখে উচ্চারিত হয়েছে কম। ওই গ্রুপটাই এখন দলে প্রভাবশালী।

জিয়াউর রহমান দল গঠন করেছিলেন এর মাধ্যমে দেশ ও জাতির স্বার্থ রক্ষার জন্য বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের কালোত্তীর্ণ দর্শনের ভিত্তিকে দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদীদের ঐক্যবদ্ধ করার জন্য, একটি আত্মনির্ভরশীল সমৃদ্ধ দেশ গড়ার লক্ষ্যে। দলের ঘোষণাপত্রের শুরুতেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি ঘোষণা করেছেন অঙ্গীকার। আজীবন তিনি সৎ থেকেছেন, সততার আদর্শের আলো বিলিয়েছেন। তার সঙ্গে যারা কাজ করেছেন অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী, কর্নেল (অব.) অলি, মান্নান ভূঁইয়াদের মতো অনেকে ছিলেন- যাদের বিরুদ্ধে কখনো দুর্নীতির কোনো অভিযোগ শোনা যায়নি। দলে তিনি নতুন প্রাণের স্ফূরণ দেখতে চেয়েছেন। মন্ত্রী, এমপিদের দলের নেতা হতে দেননি। তাদের হাতে দলকে বন্দী করেননি। গণকল্যাণমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়নে চারণের বেশে ঘুরেছেন সারা দেশ। অসৎ দুর্নীতিবাজদের না প্রশ্রয় দিয়েছেন দলে, না দিয়েছেন সরকারে। আর এখন? শহীদ জিয়ার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে স্খলিত বিএনপি, জামায়াত তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার 'পঙ্খীরাজ'। তার সঙ্গে যারা কাজ করেছেন তাদের মধ্যে যাদের বিরুদ্ধে শত সহস্র কোটি টাকার মালিক, বিভিন্ন ব্যাংক বীমা-করপোরেট হাউসের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ, এত মামলা-মোকদ্দমা দুদকের, তারা এসব করেছেন এই বিএনপির আমলে। শহীদ জিয়ার আমলে দলের সুনির্দিষ্ট একটি কর্মসূচি ছিল ১৯ দফা তার মধ্যেও মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার পূরণের প্রত্যয় আছে। সেই অঙ্গীকারে অটল নেই বর্তমান বিএনপি। দল চালায় কর্মচারীরা। যাদের বিভিন্ন দলীয় পদে বসানো হয়, প্রয়োজনে নেত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য ওই কর্মচারীদের কাছে গিয়ে তাদেরও হাত কচলাতে হয়। বিএনপিতে এখনো অনেক লোক আছেন যারা জিয়ার সময় থেকে দল করছেন। অনেক নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়ে আছেন যারা জিয়ার আদর্শ ধারণ ও লালন করছেন বুকে। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার আশপাশে যারা আছে তারা কবে থেকে বিএনপি করে? এরা কি বিএনপির আদর্শ ধারণ করে? সব তো চেনা মুখ। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, এরাই শহীদ জিয়ার প্রকৃত অনুসারীদের বেগম জিয়ার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে। এমনকি বেগম জিয়া এবং দলের সিনিয়র নেতাদের মধ্যেও কৌশলে দেয়াল তুলে রেখেছে এরা। এসব বিষয় এখন আলোচনায় আসছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব অধ্যাপক বি. চৌধুরী বেগম জিয়ার সামনে যথার্থই বিএনপিকে আত্ম-উপলব্ধি ও আত্ম-অনুসন্ধান করতে বলেছেন। এ জন্যই তো বলেছেন, বিএনপি বিএনপির জায়গায় নেই। আসল জায়গাটা খুঁজে নিতে হবে। তার এই বক্তব্যের সঙ্গেই সামঞ্জস্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন দলের প্রবীণ নেতা ও শহীদ জিয়ার সঙ্গী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেছেন, 'এই' বিএনপি দিয়ে হবে না। তিনি বিএনপি দিয়ে হবে না বোঝাননি। বোঝাতে চেয়েছেন, বিএনপির বর্তমান অক্ষমতা ঘোচাতে হবে, যোগ্য ও সক্ষম বিএনপিই পারবে লক্ষ্য অর্জন করতে। এই অক্ষম বিএনপি পারবে না। তিনি এবং অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসনের জন্য বিএনপির অপরিহার্যতার কথাই বলেছেন প্রকারান্তরে।

পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, তারা যে বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করেছেন, সেই বিএনপি চাইলে প্রথমে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কাগুজে ২০-দলীয় জোট ভেঙে দিয়ে নতুন কার্যকর জোট বিন্যাসের অর্থাৎ একটা গ্র্যান্ড ডেমোক্রেটিক এলায়েন্সের কথা ভাবতে হবে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টা স্পষ্ট করতে হবে। সাংগঠনিক প্রশ্নে সবার আগে গুলশান অফিসে তালা লাগিয়ে দিতে হবে এবার বেগম জিয়াকেই। এ অফিসটি এখন বিএনপির গলার কাঁটা। নয়াপল্টন অফিসে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে হবে, তরুণদের নেতৃত্বে আনতে হবে, ঢাকায় বসে জেলা ও থানার কমিটি বেচা-কেনা বন্ধ করতে হবে। দল পুনর্গঠনের কথা শোনা যাচ্ছে। দল আসলে পুনরুদ্ধার করতে হবে। পুরনো সব লোক খুঁজে বের করতে হবে, তাদের মর্যাদা দিতে হবে। নতুন-পুরানের সমন্বয় ঘটাতে হবে। ইদানীং পত্রপত্রিকায় ঘন ঘন লেখা হচ্ছে, সংস্কারপন্থিদের দলে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, তারা ক্ষমা চাইলে নাকি ফেরত নেওয়া হবে। কে কার কাছে ক্ষমা চাইবে? মান্নান ভূঁইয়ার উত্থাপিত সংস্কার প্রস্তাব তো ছিল দলের স্বার্থে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষাবলম্বন, গণতন্ত্র চর্চা, দুর্নীতিবাজদের বিতাড়ন, নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীকে মূল্যায়ন ও পরিবারতন্ত্র পরিহার- এ সবই ছিল সংস্কার প্রস্তাবের প্রতিপাদ্য। এখন তো জিয়ার বিএনপি পুনরুদ্ধারে এসবই প্রয়োজন জরুরিভাবে। সংস্কার প্রস্তাব উত্থাপনকারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে অন্যায় তো করেছেন দলীয় নেতৃত্ব। তাদেরই না দুঃখ প্রকাশ করার কথা। সংস্কারপন্থিদের মধ্যে যারা দল থেকে সুবিধা ভোগের কথা ভাবেন, দলে যারা বসন্তের কোকিল, বেগম জিয়ার আমলের শেষ দিকে যারা বিএনপি চিনেছেন, তারা পদলেহন করে হলেও দলে ঢোকার জন্য উন্মাদ হয়ে যেতে পারেন, কিন্তু যারা আদর্শবাদী, বারবার ক্ষমতার সঙ্গে থেকেও কোনো সুবিধা নেননি এবং যারা শহীদ জিয়ার প্রকৃত অনুসারী তারা অবিচারকারীদের কাছে ক্ষমা চাইবে কেন? মনে রাখা দরকার, রাজনীতিতে আত্মমর্যাদাহীন, পদলেহনকারীরা কোনো উপকারে আসে না। এটাও ওই দক্ষিণপন্থি প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের 'পেইড এজেন্টদের কারসাজি কিনা কে জানে! দলে যাদের প্রয়োজন, আবার দল যাদের প্রাণ, তাদের দলে নিতে হবে সম্মানের সঙ্গে। আবর্জনা সাফ করে এদের যোগ্য স্থান দেওয়া দরকার দলের স্বার্থেই।

মান্নান ভূঁইয়ার অনুসারী সংস্কারপন্থিরা দলের বোঝা নয়, সম্পদ হিসাবে বিবেচিত হতে পারেন। বিএনপির ওপর থেকে নিচে সারা দেশে মান্নান ভূঁইয়ার নীরব অনুসারীর সংখ্যা বিপুল। দলের নেতারা তাদের হয়তো চেনেনই না। মান্নান ভূঁইয়ার প্রতি অবমাননায় এদের হৃদয়ে এখনো রক্তক্ষরণ হয়। এই কর্মী-শক্তিই বেশি প্রয়োজন এখন দলের। মান্নান ভূঁইয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে, তাকে মরণোত্তর দলীয় সম্মান দিয়ে তার অনুরাগীদের আবার প্রাণোচ্ছল করা যায়। বেগম জিয়ার দলে মান্নান ভূঁইয়ার দীর্ঘদিনের অবদানের কথা মনে করেও কি একবার 'সরি' বলতে পারেন না? এতে তো তার হৃদয়ের বিশালতাই প্রমাণিত হবে। তিনি যদি একবার মান্নান ভূঁইয়ার কবর জিয়ারত করতে যান, তাতে সর্বত্র এই বার্তাটাও তো পৌঁছে যেতে পারে, বিএনপি চরম ডানপন্থিদের ত্যাগ করেছে বা করছে। দেশে-বিদেশে এতে দলের প্রকৃত ঐক্যের বার্তা যাবে এবং দলের মর্যাদা বেড়ে যাবে অনেক। সরকারি অপপ্রচারও তখন মুখ-থুবড়ে পড়বে। বাম প্রগতিশীল ও অন্যান্য গণতান্ত্রিক শক্তির সঙ্গে নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণের দুয়ারও খুলে যাবে। সেই উপযুক্ত পরিবেশে অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী, কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ, শেখ রাজ্জাক আলীদেরও দলে ফেরার আমন্ত্রণ জানানো যেতে পারে।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট

ই-মেইল : [email protected]

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
বিবিসিতে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার : দূরদৃষ্টির অনন্য দৃষ্টান্ত
বিবিসিতে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার : দূরদৃষ্টির অনন্য দৃষ্টান্ত
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
সর্বশেষ খবর
'কালি মুছে গেলেও জাল ভোটের সুযোগ নেই'
'কালি মুছে গেলেও জাল ভোটের সুযোগ নেই'

৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

মালয়েশিয়ায় দুই বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় দুই বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ উদ্ধার

৫ মিনিট আগে | পরবাস

১০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা কাঠের সেতু এখন অকেজো
১০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা কাঠের সেতু এখন অকেজো

১১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শুক্রবার থেকে সারাদেশে বৃষ্টির আভাস
শুক্রবার থেকে সারাদেশে বৃষ্টির আভাস

২৬ মিনিট আগে | জাতীয়

'অশ্লীল' তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ করা হয় মাধুরীর গান
'অশ্লীল' তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ করা হয় মাধুরীর গান

২৭ মিনিট আগে | শোবিজ

মা ইলিশ রক্ষায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভা
মা ইলিশ রক্ষায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভা

৩১ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা স্ত্রীর, বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ স্বামী
গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা স্ত্রীর, বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ স্বামী

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দরিদ্র ভ্যানচালকের ৬ মেয়ের শিক্ষার দায়িত্ব নিলো ছাত্রদল
দরিদ্র ভ্যানচালকের ৬ মেয়ের শিক্ষার দায়িত্ব নিলো ছাত্রদল

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টানা জয়ের বিশ্বরেকর্ড এককভাবে মরক্কোর
টানা জয়ের বিশ্বরেকর্ড এককভাবে মরক্কোর

৩৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাকচাপায় জাবি ছাত্রী নিহত
ট্রাকচাপায় জাবি ছাত্রী নিহত

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৫ দফা দাবিতে গোপালগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন
৫ দফা দাবিতে গোপালগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

একজন ধনী ব্যক্তি মার্কিন সেনাদের বেতন দিতে চান
একজন ধনী ব্যক্তি মার্কিন সেনাদের বেতন দিতে চান

৪৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পঞ্চগড়ে ‘ঘরে ঘরে জনে জনে’ কর্মসূচিতে মিলছে সাড়া
পঞ্চগড়ে ‘ঘরে ঘরে জনে জনে’ কর্মসূচিতে মিলছে সাড়া

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে, প্রয়োজনে আমরাই করব: ট্রাম্প
হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে, প্রয়োজনে আমরাই করব: ট্রাম্প

৫৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কর জাল সম্প্রসারণে এনবিআরের ১২ নতুন ইউনিট গঠন
কর জাল সম্প্রসারণে এনবিআরের ১২ নতুন ইউনিট গঠন

৫৫ মিনিট আগে | জাতীয়

১৬ লাশের মধ্যে সাত লাশ হস্তান্তর হতে পারে
১৬ লাশের মধ্যে সাত লাশ হস্তান্তর হতে পারে

৫৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

তারেক রহমানের নেতৃত্বেই গড়ে উঠবে সম্প্রীতির বাংলাদেশ
তারেক রহমানের নেতৃত্বেই গড়ে উঠবে সম্প্রীতির বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদপুরে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে আটক ৬১ জেলে
চাঁদপুরে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে আটক ৬১ জেলে

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই-আগস্টের ৭ মামলায় সালমান-আনিসুলসহ ৪৫ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির
জুলাই-আগস্টের ৭ মামলায় সালমান-আনিসুলসহ ৪৫ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুদকের পরিচালক হলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা
দুদকের পরিচালক হলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উষ্ণায়নের ফলে ধ্বংসের পথে প্রবাল প্রাচীর
উষ্ণায়নের ফলে ধ্বংসের পথে প্রবাল প্রাচীর

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আবারও সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলা পাকিস্তান-আফগানিস্তানের
আবারও সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলা পাকিস্তান-আফগানিস্তানের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমাদের সম্মান বাড়বে: চবি উপাচার্য
নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমাদের সম্মান বাড়বে: চবি উপাচার্য

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে স্থায়ীভাবে অপসারণ
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে স্থায়ীভাবে অপসারণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন
সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জামায়াত নেতা হত্যা: একজনের আমৃত্যুসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন
জামায়াত নেতা হত্যা: একজনের আমৃত্যুসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত
নারায়ণগঞ্জে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯
যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার
ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ব্রিকসের দেশগুলোকে শুল্ক দিতে হবে, হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
ব্রিকসের দেশগুলোকে শুল্ক দিতে হবে, হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

২৩ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঝালকাঠিতে জলাতঙ্কে যুবকের মৃত্যু
ঝালকাঠিতে জলাতঙ্কে যুবকের মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১৯৬৭ সালের আগের সীমান্ত অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের আহ্বান
১৯৬৭ সালের আগের সীমান্ত অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের আহ্বান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার
ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন আমদানি বন্ধ চীনের, ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি
যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন আমদানি বন্ধ চীনের, ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯
যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের তিন কাশির সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা জারি
ভারতের তিন কাশির সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা জারি

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবতীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবতীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ট্যারিফ আজ থেকে, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা
চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ট্যারিফ আজ থেকে, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আগামী ৫ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল অধিদপ্তর
আগামী ৫ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল অধিদপ্তর

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

নারীকে জড়িয়ে ভয়ংকর অপতথ্যের জাল
নারীকে জড়িয়ে ভয়ংকর অপতথ্যের জাল

পেছনের পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

রাকিবের গোলে ১ পয়েন্ট
রাকিবের গোলে ১ পয়েন্ট

মাঠে ময়দানে

অধরাই বিকল্প বাজার
অধরাই বিকল্প বাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

১২ বছর চলছে ১১ কিমি সড়কের কাজ!
১২ বছর চলছে ১১ কিমি সড়কের কাজ!

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮

নগর জীবন