শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ০৯ জুন, ২০১৫

প্রতিবেশী মহান নেতার মহাআড়ম্বর সফর

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
অনলাইন ভার্সন
প্রতিবেশী মহান নেতার মহাআড়ম্বর সফর

৭ জুন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন হয়ে থাকতে পারে। '৬৬-র ৭ জুন স্বাধিকার আন্দোলনে এদেশের মানুষ ফুঁসে উঠেছিল। '৬৯-এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান, '৭০-এর নির্বাচন, পরবর্তীতে স্বাধীনতার যুদ্ধ- সবই এক সুতোয় গাঁথা। এবার ৬ এবং ৭ জুন মহান প্রতিবেশী ভারতের সাড়া জাগানো নেতা ৩০ বছরের কোয়ালিশন সরকারের অবসান ঘটিয়ে একক দলীয় সরকার গঠনের প্রধান পথিকৃৎ নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদির বাংলাদেশ সফর ভাবীকাল কীভাবে মূল্যায়ন করবে সেটাই দেখার বিষয়। স্বাধীনতার পর ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে ভিভি গিরি প্রথম এসেছিলেন। আর বাঙালির অহঙ্কার বর্ষীয়ান জননেতা প্রণব মুখার্জি রাষ্ট্রপতি হিসেবে সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেছেন। তার সফরে বিরোধী দলের নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে সাক্ষাতের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সে যাত্রায় সাক্ষাৎ না করে বাঙালির সৌজন্যের মহান ঐতিহ্যে কালিমা লেপন করেছিলেন। রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির বাংলাদেশ সফরের আগে বেগম খালেদা জিয়া ভারত সফরে গিয়েছিলেন। প্রণব মুখার্জির চেষ্টাতেই সে যাত্রায় রীতিনীতি ভেঙে তাকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয়েছিল। হায়দরাবাদ প্যালেসে রেখে বিশেষ বিমানে আজমীর, আগ্রা ঘুরানো হয়েছিল। খামখেয়ালি করে সে সম্মানের বদলা দিয়েছিলেন ভারতীয় রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সফরে এলে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ না করে। সেই খামখেয়ালির বদলা পেতে বেশি সময় লাগেনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরে তার সাক্ষাতের জন্য বেগম জিয়াকে অনেক খড়কুটো পুড়িয়ে সামান্য সময় নিতে হয়েছে। আমরা ছোট মানুষ, ২৮ জানুয়ারি থেকে দেশব্যাপী অবস্থান কর্মসূচিতে রাস্তায় রাস্তায় আছি। তারপরও দাওয়াত পেয়েছি। কর্মসূচিতে না থাকলে অবশ্যই যেতাম। কারণ আমার যৌবনের সোনার দিনগুলো ভারতে কাটিয়েছি। স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতীয় সৈন্যের রক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের সঙ্গে মিশে আছে। তাই ভারতীয় কোনো নেতাকে যথার্থ সম্মান জানাতে পারলে সব সময়ই ঋণ মুক্তি অনুভব করি। আল্লাহ যদি কখনো ভারত সফরের সুযোগ দেন নিশ্চয়ই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ভোটবঞ্চিত দেশবাসীর শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানিয়ে আসব।

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় ভাটি বাংলায় পানিতে ভাসতে থাকায় কোনো পত্রপত্রিকা দেখতে পারিনি। গত পাঁচ মাস টিভির সঙ্গে দেখা নেই। তাই অনেক কিছুই দেখতে-শুনতে পাই না। তবু ভালোয় ভালোয় তার সফর শেষ হওয়ায় আল্লাহকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এত কিছুর পরও প্রকৃত বিরোধী দলের নেতা হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নরেন্দ্র মোদি রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছেন, তার জন্য তাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও ধন্যবাদ। সংসদের বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ হলেও এখনো সাধারণ মানুষের বিরোধী দলের নেতা বেগম খালেদা জিয়া। যেভাবে নানা কলাকৌশল করে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির সাক্ষাৎ না হওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল তাতে ভীষণ বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতো। বহু ভারতীয় নেতার সঙ্গে ব্যক্তিগত পরিচয় থাকলেও নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তেমন ঘনিষ্ঠ ছিলাম না। তবু বলতে পারি তিনি যে ঝড়-তুফান তুলে দেশবাসীকে মাতিয়ে ভোটযুদ্ধে জয়ী হয়ে মহান ভারতের নেতৃত্ব নিয়েছেন তাতে তার যোগ্যতা দক্ষতা অহঙ্কার করার মতো না হয়ে পারে না। আগেই বলেছি, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর জন্য সবচেয়ে গৌরবের হবে যদি তিনি বাংলাদেশের প্রাণ খুঁজে পান। কোনো গোষ্ঠী, দল বা ব্যক্তির নয়। ভারতের সম্পর্ক হবে বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মহান নেতাকে স্বাগত জানাতে আরও জনসম্পৃক্ততা করা যেত। জাতির অহঙ্কার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাড়ি। সেখানে অতিথিকে স্বাগত জানাতে আরও প্রবীণরা থাকতে পারতেন। বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে সারা জীবন বঙ্গবন্ধুকে গালি দেওয়া মতিয়া চৌধুরী অমনভাবে না ঘুমালেও পারতেন। কী এমন কাজ করেন যে অমন সম্মানী একজন বিদেশি মেহমানের সম্মানে আয়োজিত অনুষ্ঠানেও ঘুমাতে হবে? এতে আমাদের দেশের সম্মান বেড়েছে, না কমেছে? কী ধারণা হবে মহান অতিথির? আমাদের দেশের সিনিয়র মন্ত্রী বিদেশি মেহমানের সম্মানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এভাবে ঘুমায়?

অবস্থানের ১৩০তম দিনে কাকতালীয়ভাবে ভাসতে ভাসতে ভাটি বাংলার প্রাণকেন্দ্র ইটনায় গিয়েছিলাম- সে এক বিস্ময়কর ব্যাপার। ব্রিটিশ ভারতের ধ্যান-জ্ঞান-সাধনার প্রাণকেন্দ্র ছিল বৃহত্তর ময়মনসিংহ। ভাইসরের পিভি কাউন্সিলের সাত সদস্যের পাঁচজনই একসময় ছিল ময়মনসিংহের। জগদ্বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়, রবীন্দ্রসংগীতের প্রবাদপুরুষ জর্জ বিশ্বাস, কমিউনিস্ট নেতা মণি সিং, তৈলক্ষনাথ মহারাজ, নগেন সরকার, আনন্দমোহন বোস, গুরুদয়াল সরকার- কেউ কিশোরগঞ্জের, কেউ নেত্রকোনার, টাঙ্গাইল, শেরপুর, জামালপুর, কেউ ময়মনসিংহ সদরের। স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম পুরোধা, স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের যশোদলে। জয়সিদ্ধির স্যার আনন্দমোহন বোস, ধনপুরের কাঠইরের গুরুদয়াল সরকার, ঠিক তেমনি ইটনার একসময়ের প্রজাহিতৈষী জমিদার মহেষ গুপ্তের ছেলে কমিউনিস্ট আন্দোলনের প্রবাদপুরুষ ভুপেশ গুপ্ত। আরও কতজন যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন ভাবা যায় না। মসনদ-ই-আলা ঈসা খাঁর জঙ্গলবাড়ি, বীরত্বগাথার ১১ সিন্ধু।

চামটাঘাট থেকে রওনার সময় ভেবেছিলাম, রাস্তায় কোথাও জুমার নামাজ আদায় করব। গত ৩-৪ বছর ২-১ ওয়াক্তের নামাজ ছুট গেলেও জুমার নামাজ বাদ পড়েনি। চলতে চলতে বেলা পৌনে ১টায় ট্রলারচালককে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, 'আর কতদূর'? ছেলেটি বলেছিল, '১৫ মিনিট লাগবে।' কিন্তু ইটনা পৌঁছতে ৪০ মিনিট লেগে যায়। নামাজ পাব না মনে করে মনটা বেশ খারাপ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ছুটে গিয়ে এক রাকাত ইমামের পিছনে, আরেক রাকাত একাই আদায় করি। নামাজে দাঁড়ানোর আগে যে বেদনা ছিল নামাজ পেয়ে তা অনেকটাই কেটে যায়। ২টা বেজে গিয়েছিল, তাই বেশ ক্ষুধা অনুভব করছিলাম। করিমগঞ্জের বহু পুরনো কর্মী আদম আলী ট্রলারে খাবার দিয়ে দিয়েছিল। প্রথম প্রথম উঠেছিলাম মুক্তিযোদ্ধা ছাত্রাবাসে। একেবারে পরিত্যক্ত অপরিষ্কার। তবু সেখানেই খেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কয়েক পা এগিয়েই দেখি উপমহাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের প্রবাদপুরুষ ভারতের রাজ্যসভার আজীবন সদস্য ভুপেশ চন্দ্রগুপ্তের বাড়ি। '৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের কিছু দিন আগে ভুপেশ চন্দ্রগুপ্তের আত্মীয়স্বজন এক বিয়েতে কলকাতা গিয়েছিল। ঠিক সে সময় দুই দেশের যুদ্ধ বাধে। তারপর তাদের আর ইটনায় ফেরা হয়নি। হালের গরু, বাড়ির উঠানে ধান অনেক দিন পড়ে থাকে। সেই বাড়ি বহুদিন ভূমি অফিস হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। ছেলেবেলায় শুনেছিলাম, 'মাগনা পেলে কেউ কেউ জুতার কালি খায়'। বিনাশ্রমে কোনো কিছু পেলে আমরা যে তা রেখে খেতে পারি না- সেটাই ভুপেশ চন্দ্রগুপ্তের বাড়ি বড় প্রমাণ। ৬০-৬৫ বছর যাবৎ বাড়িটি সরকারের হেফাজতে। রক্ষণাবেক্ষণ করলে এখনো ঝকঝকে তকতকে থাকত। ৪০ ইঞ্চি মোটা সীমানা প্রাচীর ধসে পড়ত না, ৩০ ইঞ্চির ভবনের দেয়ালগুলো খসে যেত না। সোনারগাঁ পানাম নগরীর যে দশা, এখানেও সেই একই অবস্থা।

শ্রী ভুপেশ চন্দ্রগুপ্ত ভারত উপমহাদেশে কমিউনিস্ট আন্দোলনের এক পথিকৃৎ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে বিলেতে লেখাপড়া করতেন। দুজনের দারুণ সুন্দর সম্পর্ক ছিল। এখন মুক্তিযুদ্ধের কত ইতিহাস রচনা করা হয়, ডি.পি. ধর, পি.এন. হাঙার ছিলেন সরকারি কর্মচারী। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত দূত হিসেবে সারা দুনিয়া চষে বেড়িয়েছিলেন ভারতের দ্বিতীয় গান্ধী সর্বোদয় নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণ। এখন কত নাম নিয়ে আলোচনা হয় কিন্তু শ্রী জয়প্রকাশ নারায়ণ, শ্রী ভুপেশ চন্দ্রগুপ্তের নাম আসে না, আসে না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর শান্তিময় রায়ের নাম।

ইটনার ভুপেশ চন্দ্রগুপ্ত এবং সরিষাবাড়ির শান্তিময় রায়কে স্বাধীনতার পরপরই চিনতাম। '৭২-এর জানুয়ারিতে শান্তিময় রায় আমার কাছে এসেছিলেন তার গ্রামের বাড়ি সরিষাবাড়ি যেতে। তাকে লোকজন, গাড়ি দিয়ে বাড়ি পাঠিয়েছিলাম। এরপর শান্তিময় রায় যখন যেভাবে পেরেছেন আমাকে সাহায্য করেছেন। বঙ্গবন্ধু নিহত হলে আমার যখন ঠিকানা ছিল না, মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল না, তখন তিনি তার যাদবপুরের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছেন। ঠিক তেমনি ভুপেশ গুপ্তও একজন মহান মানুষ। ইন্দিরা গান্ধী সরকারের পতনের পর আমার যখন চরম দুর্দিন, চারদিকে নিদারুণ অন্ধকার, অথৈই পানিতে যেন ভাসছি, কোনো কূলকিনারা পাচ্ছি না, তখন নেতাজী সুভাস বোসের ছায়াসঙ্গী ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতা সমর গুহ এমপি এবং ইটনার জমিদার মহেশ গুপ্তের পুত্র ভুপেশ গুপ্ত রাজ্য এবং লোকসভায় একের পর এক প্রশ্নবাণে মোরারজি দেশাইর সরকারকে নাস্তানাবুদ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ সংগ্রামীদের যাতে জিয়াউর রহমানের হাতে তুলে দেওয়া না হয় তার জন্য লোকসভা এবং রাজ্যসভায় একের পর এক প্রস্তাব তুলেছিলেন। তারা দুজনই আমাকে অভয় দিতে বর্ধমান আসতেন। তাই ইটনার জরাজীর্ণ বাড়ির দক্ষিণে তাঁবু ফেলে রাত কাটানো এবং সেখানে বসে দুই কথা লিখতে গিয়ে পরোপকারী ভুপেশ দার কথা বারবার মনে পড়ছে। এই অঞ্চলে স্কুল-কলেজ-খেলার মাঠ যেখানে যা প্রয়োজন তার পূর্ব পুরুষরা করেছেন। ইটনার তার পৈতৃক বাড়ি সরকারি হেফাজতে থাকলে তাতে কোনো দোষ ছিল না। কিন্তু যদি যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ হতো, উপজেলা তহসিল অফিস বানিয়ে ধ্বংস করা না হতো- সেটা হতো সম্মানের। মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদের একসময়ের নির্বাচনী এলাকা ইটনা। এমপি হিসেবে কিছু করতে পারেননি সেটা মেনে নেওয়া গেলেও রাষ্ট্রপতি হিসেবে কিছুই করতে পারবেন না সেটা মেনে নেওয়া যাবে না। অপেক্ষায় রইলাম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ ভূমিকা রাখা প্রাতঃস্মরণীয় এই মানুষটির পৈতৃক নিবাস আরও কিছুকাল সগৌরবে দাঁড়িয়ে থাকবে নাকি মহাকালের করাল গ্রাসে ধ্বংস হয়ে যাবে।

ইটনা আসার আগে ছিলাম করিমগঞ্জের বৌলাই। সে এক মর্মান্তিক হৃদয়বিদারক ঘটনা। আজ থেকে ১৫ বছর আগে ১৪ জুলাই করিমগঞ্জে এক জনসভার কথা ছিল। নতুন দল সবার মধ্যে নতুন উদ্দীপনা। অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান ভাটি বাংলার এক অবিসংবাদিত নেতা, মিঠামইনের অ্যাডভোকেট ফরিদ, কিশোরগঞ্জের হান্নান মোল্লা, ফারুক আহমেদ, অ্যাডভোকেট আজিজ আরও কতজন নতুন সম্ভাবনার স্বপ্ন নিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের গামছা ধরেছিল। কিশোরগঞ্জের শহীদি মসজিদে নামাজ আদায় করে অ্যাডভোকেট আজিজের বাড়ি খাবার খেয়ে করিমগঞ্জের পথ ধরেছিলাম। তখনকার দাপুটে নেতা করিমগঞ্জের হর্তাকর্তা বিধাতা অধ্যাপক মিজানুর রহমানের লোকজন বৌলাতে আমাদের বাধা দেয়। তারা স্লোগান তুলে, 'করিমগঞ্জের মাটি, মিজান স্যারের ঘাঁটি।' শুধু মিজান স্যারই করিমগঞ্জে থাকবেন, আর কেউ না। আসর, মাগরিব, এশার নামাজ আদায় করে সেখান থেকে ফিরেছিলাম। করিমগঞ্জের ওসি, ইউএনও, কিশোরগঞ্জের এডিসি আরও অনেক পুলিশ কর্মকর্তা তামাশা দেখতে গিয়েছিল। রাস্তায় বাধা দেওয়ার জন্য থানায় ডায়েরি করলেও তার কোনো প্রতিকার হয়নি। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছিলাম, থানার ডায়েরিতে কাজ না হলেও আল্লাহর ডায়েরিতে কাজ হয়েছে। করিমগঞ্জ এখন আর মিজান স্যারের ঘাঁটি নেই, মিজান স্যারও নেই। দয়াময় আল্লাহ সেদিন যেমন দয়া করেছিলেন, আজও করছেন।

বছরটা মনে নেই, বৌলাই অবরোধের পর করিমগঞ্জ গিয়েছিলাম। কলেজ মাঠে মিটিং ছিল। সোহেল নামে ছোট এক বাচ্চা আকুল হয়ে কাঁদছিল। 'কী হয়েছে?' জিজ্ঞেস করতেই সে বলেছিল, ভৈরব রেলস্টেশনে মোবাইল কোর্ট তার বাবাকে ধরে জেলে পাঠিয়েছে। তখনই গাজীপুরের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকীকে বলেছিলাম, জেলে গিয়ে জরিমানা দিয়ে সোহেলের বাবাকে বাড়ি পাঠিয়ে দিতে। রেল বিভাগের কাগজ জেলগেটে ছিল না। তাই সে রাতে সে বেরুতে পারেনি। কমলাপুর স্টেশনের লোকজন খুব সাহায্য করেছিল। পরদিন সকালে তারা স্পেশাল ম্যাসেঞ্জার দিয়ে কাগজপত্র গাজীপুর পাঠিয়েছিল। যে কারণে সে সকালেই জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরেছিল। এখন সোহেল বাবার সঙ্গে চায়ের দোকান করে। অপূর্ব সুন্দর সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এক যুবক। কিন্তু সেদিন তার দুই চোখের পানিতে বুক ভাসছিল। অনেক বছর পর বাপ-বেটাকে একসঙ্গে দেখে কী যে ভালো লাগল লিখে বুঝাতে পারব না। লিখলে অনেকেই কেমন ভাববেন জানি না, কিন্তু তবু ব্যাপারটি সত্য। '৭১-এর ১৮ ডিসেম্বর পল্টনে সভা করতে যাওয়ার পথে যখন তাদের বাড়ি গিয়েছিলাম তখন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাও বাবার জন্য আকুল হয়ে কেঁদেছিলেন। কখন কে কাঁদে আর কে হাসে সবই সময়ের ব্যাপার। বীরউত্তম জিয়াউর রহমানের বাড়ি যখন যেতাম ভাবী খালেদা জিয়াও কত যত্ন করতেন। তিনিও প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। এখন তো তারাই দেশের নেতা। কত কিছু দেখলাম, আল্লাহ কত কিছু দেখালেন। ভাটি বাংলার প্রাণকেন্দ্র ইটনায় ভুপেশ গুপ্তের বাড়ির আঙ্গিনায় তাঁবুতে বসে লিখতে গিয়ে কত কথা মনে পড়ছে। বিকালে একটি অনির্ধারিত মতবিনিময় সভায় তিল ধরার জায়গা ছিল না। এর আগে যতবার এসেছি, ফজলুর রহমানের সঙ্গে এসেছি। এবারই প্রথম আল্লাহর ভরসায় আবুল খায়েরের সঙ্গে অল্প বয়সী কিছু কর্মী নিয়ে এসেছি। শুনতে, জানতে, দেখতে এসেছিলাম হাওরে বাঁওড়ে যে শত শত গামছায় উড়ত তারা কি সবাই ফজলুর রহমানের সঙ্গে চলে গেছে, নাকি মানুষের গামছায় এখনো মানুষ আছে। বড় খুশি হয়েছি, ফজলুর রহমান গামছা ছেড়ে গেলেও ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রামের মানুষ তাদের গামছা তারা ছাড়েনি। ব্যাপারটা দেখে হৃদয় মন আনন্দে নেচে উঠেছে।

লেখক : রাজনীতিক।

 

এই বিভাগের আরও খবর
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
সর্বশেষ খবর
মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১
মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১

১ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা
উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা

২ মিনিট আগে | জাতীয়

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

৩ মিনিট আগে | জাতীয়

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৪ মিনিট আগে | জাতীয়

নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা
নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’
‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’

২০ মিনিট আগে | রাজনীতি

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

২০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বরিশালে দুর্ঘটনায় মুদি দোকানির মৃত্যু
বরিশালে দুর্ঘটনায় মুদি দোকানির মৃত্যু

২৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সরকার ৫ দেশে নতুন মিশন খুলছে
সরকার ৫ দেশে নতুন মিশন খুলছে

২৬ মিনিট আগে | জাতীয়

পোশাক শিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ : বিজিএমইএ সভাপতি
পোশাক শিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ : বিজিএমইএ সভাপতি

২৯ মিনিট আগে | অর্থনীতি

বগুড়ায় পিস্তল ও গুলিসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
বগুড়ায় পিস্তল ও গুলিসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার

৩৯ মিনিট আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় শিয়াল শিকারের অপরাধে জরিমানা
কলাপাড়ায় শিয়াল শিকারের অপরাধে জরিমানা

৫৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু
গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির সমন্বয় কমিটি ঘোষণা
বগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির সমন্বয় কমিটি ঘোষণা

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশিদের বিদেশে নিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি গঠন
বাংলাদেশিদের বিদেশে নিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি গঠন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড
ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুকুরে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
পুকুরে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সে খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন শুরু
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সে খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন শুরু

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এমপিওভুক্ত এক লাখ পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
এমপিওভুক্ত এক লাখ পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জামালপুরে কৃষক হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার দাবি
জামালপুরে কৃষক হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার দাবি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় গোল্ডকাপের উদ্বোধন
অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় গোল্ডকাপের উদ্বোধন

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা
চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে কিশোরের ডান পা বিচ্ছিন্ন
ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে কিশোরের ডান পা বিচ্ছিন্ন

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মোটরসাইকেল থেকে পড়ে নারীর মৃত্যু
মোটরসাইকেল থেকে পড়ে নারীর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা
প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বগুড়ায় উন্নয়নের দাবীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান
বগুড়ায় উন্নয়নের দাবীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি

২ ঘণ্টা আগে | ডেঙ্গু আপডেট

গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার
গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হবিগঞ্জে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার বাস চালককে আদালতে প্রেরণ
হবিগঞ্জে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার বাস চালককে আদালতে প্রেরণ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভয়াবহতা দেখে যা বললেন নেতানিয়াহু
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভয়াবহতা দেখে যা বললেন নেতানিয়াহু

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর
ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে যা বলেছে তুরস্ক, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইরাক
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে যা বলেছে তুরস্ক, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইরাক

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু
‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ভয়ে নেতানিয়াহুর ছেলের বিয়ে স্থগিত
ইরানের ভয়ে নেতানিয়াহুর ছেলের বিয়ে স্থগিত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক

১২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান
নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা
সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রও, ট্রাম্পের ইঙ্গিত
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রও, ট্রাম্পের ইঙ্গিত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন
ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত
ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু, ইসরায়েলে ফের সতর্কতা সাইরেন
ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু, ইসরায়েলে ফের সতর্কতা সাইরেন

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’
‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার
তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৮ ঘণ্টায় ভূপাতিত ৪৪টি ইসরায়েলি ড্রোন ও কোয়াডকপ্টার
৪৮ ঘণ্টায় ভূপাতিত ৪৪টি ইসরায়েলি ড্রোন ও কোয়াডকপ্টার

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা
ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা
নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বৃষ্টি ও তাপপ্রবাহ নিয়ে নতুন বার্তা
বৃষ্টি ও তাপপ্রবাহ নিয়ে নতুন বার্তা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা
দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল শিগগিরই চুক্তিতে আসছে— দাবি ট্রাম্পের
ইরান-ইসরায়েল শিগগিরই চুক্তিতে আসছে— দাবি ট্রাম্পের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি হামলায় ইরানে দুই দিনে নিহত ১২৮
ইসরায়েলি হামলায় ইরানে দুই দিনে নিহত ১২৮

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত
ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
তারেক ফিরছেন দেড় মাসের মধ্যে
তারেক ফিরছেন দেড় মাসের মধ্যে

প্রথম পৃষ্ঠা

ইসরায়েলে ধ্বংসস্তূপ
ইসরায়েলে ধ্বংসস্তূপ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশে নতুন বিপর্যয়ের শঙ্কা
দেশে নতুন বিপর্যয়ের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

আমের ‘ঢলন’ প্রথায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষি
আমের ‘ঢলন’ প্রথায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষি

নগর জীবন

হামজাদের দেখে ভারতীয় দলেও প্রবাসী ফুটবলার
হামজাদের দেখে ভারতীয় দলেও প্রবাসী ফুটবলার

মাঠে ময়দানে

কুশাসক-সুশাসক নির্ণয়ের দাঁড়িপাল্লা
কুশাসক-সুশাসক নির্ণয়ের দাঁড়িপাল্লা

সম্পাদকীয়

নাটক-সিনেমায় অনবদ্য তাসনিয়া ফারিণ
নাটক-সিনেমায় অনবদ্য তাসনিয়া ফারিণ

শোবিজ

সাত বছরে হলো কয়েকটি পিলার
সাত বছরে হলো কয়েকটি পিলার

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মাথায় হাত আলুচাষিদের
মাথায় হাত আলুচাষিদের

নগর জীবন

করোনা ঠেকাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার
করোনা ঠেকাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

এক ঘরে দুই পীর থাকতে পারে না
এক ঘরে দুই পীর থাকতে পারে না

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রোটিয়া ক্রিকেটের মহানায়ক টেম্বা বাভুমা
প্রোটিয়া ক্রিকেটের মহানায়ক টেম্বা বাভুমা

মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ
যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

পাঁচ ইসলামি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে, চাকরি হারাবে না কেউ
পাঁচ ইসলামি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে, চাকরি হারাবে না কেউ

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগ ভোটকে হাস্যরসে পরিণত করে
আওয়ামী লীগ ভোটকে হাস্যরসে পরিণত করে

প্রথম পৃষ্ঠা

এটিএম বুথে কিশোরী ধর্ষণ, পলাতক নিরাপত্তাকর্মী
এটিএম বুথে কিশোরী ধর্ষণ, পলাতক নিরাপত্তাকর্মী

পেছনের পৃষ্ঠা

অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধে নতুন কৌশল
অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধে নতুন কৌশল

পেছনের পৃষ্ঠা

এবার ব্যাংক থেকে ফেরার পথে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই
এবার ব্যাংক থেকে ফেরার পথে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই

প্রথম পৃষ্ঠা

সড়কে তবুও মেয়াদোত্তীর্ণ বাস
সড়কে তবুও মেয়াদোত্তীর্ণ বাস

পেছনের পৃষ্ঠা

ইতিহাস গড়লেন রুকসানা
ইতিহাস গড়লেন রুকসানা

মাঠে ময়দানে

হদিস মেলেনি কোটি টাকার, কেউ হয়নি গ্রেপ্তার
হদিস মেলেনি কোটি টাকার, কেউ হয়নি গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু মারা গেছেন
গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু মারা গেছেন

নগর জীবন

শাহিনের বক্তব্যে তোলপাড় বাফুফে
শাহিনের বক্তব্যে তোলপাড় বাফুফে

মাঠে ময়দানে

বিএনপির কমিটি গঠন না হওয়ায় ক্ষোভ
বিএনপির কমিটি গঠন না হওয়ায় ক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

আলোচনার পর ভোটের তারিখ সরকারের দিকে তাকিয়ে ইসি
আলোচনার পর ভোটের তারিখ সরকারের দিকে তাকিয়ে ইসি

প্রথম পৃষ্ঠা

আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইশরাকের
আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইশরাকের

প্রথম পৃষ্ঠা

সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়
সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

জাতীয় বাজেট ও কৃষি খাত
জাতীয় বাজেট ও কৃষি খাত

সম্পাদকীয়

সরকারি পরিত্যক্ত ভবনে চামড়ার আড়ত, দুর্গন্ধে ভোগান্তি
সরকারি পরিত্যক্ত ভবনে চামড়ার আড়ত, দুর্গন্ধে ভোগান্তি

নগর জীবন