শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৪ জুন, ২০১৫

বিএনপির মোদিপ্রিয়তা কি নীতিগত না কৌশলগত?

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
বিএনপির মোদিপ্রিয়তা কি নীতিগত না কৌশলগত?

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর শেষ হয়েছে সাত দিন আগে। কিন্তু এ সফর নিয়ে আলোচনা শেষ হচ্ছে না। সমালোচনাও শুরু হয়েছে কিছু কিছু। মনে হয় এসব চলবে আরও অনেক দিন। তার আসার আগে আলোচনা ছিল, মোদি কি বাংলাদেশকে কিছু দিতে আসছেন না কি বাংলাদেশ থেকে নিতে আসছেন? তার এ সফরে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কি আগের মতো নাতিশীতোষ্ণ থাকবে না কি উষ্ণতা ছড়াবে? পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গাটা দৃঢ় হবে কি? তার চলে যাওয়ার পর আলোচনা শুরু হয়েছে, তিনি আমাদের কী দিলেন আর ভারতের জন্য কী নিয়ে গেলেন? দিন যত যাচ্ছে, মনে হচ্ছে 'মোদি-ঘোর' বুঝি কেটে যাচ্ছে। তার এ সফরকে উভয় দেশের স্বার্থে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলতে হবে। মাত্র ৩৫ ঘণ্টার সফরকালে উভয় দেশের মধ্যে ২২টি চুক্তি, প্রটোকল ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। ৬৫ দফা যৌথ ঘোষণাও এসেছে। বলা বাহুল্য, দুই দেশের কাছেই পারস্পরিক স্বার্থ আছে পরস্পরের। ভারতের মোটা দাগের স্বার্থ- ১. ট্রানজিট-কানেকটিভিটি ২. ইনসারজেন্সি রোধে সহযোগিতা ৩. পুঁজি বিনিয়োগ ও রেমিট্যান্স আয় বৃদ্ধি ৪. বাণিজ্য সম্প্রসারণ ৫. চট্টগ্রাম ও মংলাবন্দর ব্যবহারের সুযোগ এবং জঙ্গি দমনে সহযোগিতা। বাংলাদেশের স্বার্থ মোটা দাগে- ১. পানি সমস্যা ২. সীমান্ত হত্যা ৩. সন্ত্রাসী, বিচ্ছিন্নতাবাদী ও মৌলবাদীদের আশ্রয় ও ভূমি-সহযোগিতা বন্ধ ৪. বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার ও বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি কমানো ৫. বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যবহারে ক্ষতিপূরণ ও ন্যায্য শুল্ক প্রাপ্তির নিশ্চয়তা এবং মৌলবাদ-জঙ্গিবাদ দমনে কার্যকর পারস্পরিক সহযোগিতার প্রতি আন্তরিকতা। উল্লিখিত বিষয়াবলি ছাড়াও আরও অনেক স্বার্থ আছে দুই দেশেরই।

নরেন্দ্র মোদির এই সফরের তাৎক্ষণিক ফলাফল আশা করা ঠিক নয়। তবে ভারতের কোনো রাষ্ট্রনেতার বাংলাদেশ সফর এমন সর্বদলীয় বরণমালায় ইতিপূর্বে কখনো ধন্য হয়নি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করার জন্য বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে আগ্রহের কমতি ছিল না বললেই চলে, বলা চলে উভয় দলের মধ্যে একটা দৃষ্টকটু, রুচিহীন প্রতিযোগিতাই যেন হয়েছে। আওয়ামী লীগের লোকজন ভারতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে ঐতিহাসিক বলে বর্ণনা করে অসীম তৃপ্তিবোধ করেন। তবে অনেক বাংলাদেশি যেমন জানেন যে, এ সম্পর্কটা গড়ে উঠেছে সেই দেশের প্রাচীন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান 'অল ইন্ডিয়া কংগ্রেসের মাধ্যমে, তা বিজেপি নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও না জানার কথা নয়। ভারতের সরকারি-বেসরকারি নেতা-নেত্রীর ব্যাপারে আওয়ামী লীগের স্বাভাবিক আগ্রহের চেয়ে নরেন্দ্র মোদির ব্যাপারে আগ্রহী এবার দুই কারণে অনেকটা বেশি বলে মনে হয়েছে। এর মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বিতর্কিত, আদর্শবর্জিত নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত লীগ সরকারের স্বীকৃতি। বিশ্বের প্রায় সব গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র এবং কমনওয়েলথ, ইইউ, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক প্রভাবশালী মহল কর্তৃক প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনটির ব্যাপারে মোদি সরকারের এমন একটা স্বীকৃতি লীগ সরকারের জন্য তাদের নীতিনির্ধারকরা জরুরি মনে করাটা অস্বাভাবিক নয়। কারণ বাংলাদেশের মানুষ জানেন যে, ওই নির্বাচনটি তারা একতরফাভাবে করতে পেরেছিলেন ভারতের তৎকালীন ক্ষমতাসীন কংগ্রেসি সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে। নির্বাচনের আগে সে দেশের কংগ্রেসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশীদ এবং পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিংয়ের বাংলাদেশে আগমন ও তৎপরতা সম্পর্কে দেশ-বিদেশের সচেতন মহলের জানা আছে। উল্লেখ্য, মোদি সরকার সুজাতা সিংকে পদচ্যুত করেছে। লীগ সরকারের মধ্যে দুর্ভাবনা থাকা অস্বাভাবিক নয়। বাংলাদেশের মানুষের মধ্যেও একটা ধারণা আছে যে, কংগ্রেস বা কংগ্রেসি সরকারের কাছ থেকে আওয়ামী লীগ বা সরকার যে সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়ার কথা বিজেপি বা বিজেপি সরকারের কাছ থেকে তা নিশ্চয়ই পাবে না। এতে লীগ সরকার একটা দুর্বলতায় ভোগার কথা। নরেন্দ্র মোদির সফরকে পুঁজি করে তারা জনগণকে এ ধারণা দিতে চেয়েছে যে, ভারতে দল বড় কথা নয়, সরকার বলে কথা। ভারতে যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক, তারা আওয়ামী লীগের পক্ষেই থাকবে। দ্বিতীয় কারণটি হচ্ছে, কংগ্রেসের সঙ্গে অনেকটা 'সাপে-নেউলে' সম্পর্কের বিজেপির প্রতি নিঃশর্ত আনুগত্য প্রকাশ করে দল হিসেবে বিজেপির সঙ্গেও সখ্য গড়ে তোলা। মনে হয় ভারত রাষ্ট্রের চেয়ে ক্ষমতাসীন দল ও সরকারই গুরুত্ব পেয়েছে বেশি।

বিস্ময়কর ছিল বিএনপির ভূমিকা। দলটির পক্ষ থেকে এখন যাই বলা হোক না কেন, তাদের ভারত-বৈরী মনোভাব কারোই অজানা থাকার কথা নয়। জন্মের পর থেকে এ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার সময় বাদ দিয়ে ভারতের কোনো রাষ্ট্র নেতা-নেত্রীর ব্যাপারে বিএনপি কখনো এমন আগ্রহ দেখায়নি। বাংলাদেশ প্রশ্নে ভারতের কোনো পদক্ষেপকেই সাধুবাদ জানায়নি দলটি। বাংলাদেশ-ভারত নানা সমস্যা নিয়ে, 'ফেলানীদের' লাশ নিয়ে কথাবার্তা এ দেশের দলবহির্ভূত বা বাম প্রগতিশীল দলসমূহও বলেছে। ওইসব বক্তব্য আর ভারত-বৈরিতা কিন্তু এক নয়। অন্যদের সঙ্গে বিএনপির পার্থক্যটা ছিল এক জায়গায় যে, অন্যদের বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো ইস্যুভিত্তিক বক্তব্যে ভারতের প্রসঙ্গ এসেছে, আসে; আর বিএনপি ভারত-বৈরী অবস্থান থেকেই কোনো একটা ইস্যুকে অ্যাড্রেস করে। অথচ আমরা অনেকে বহু আগে থেকেই বলার চেষ্টা করেছি যে, বিএনপির ভারতনীতি ভুল। ভারত-বৈরী নীতি নিয়ে বাংলাদেশে 'নীতিবাগিশ' বাগাড়ম্বরের রাজনীতি করা যাবে, দেশ ও জনগণের কল্যাণের জন্য যে রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়া দরকার সেই ক্ষমতায় রাজনীতিকরা যাবে না। পৃথিবীর কোথাও বৃহৎ নিকট প্রতিবেশীর সঙ্গে বৈরী আচরণ করে কোনো রাষ্ট্র ও জাতির কল্যাণ হয়নি। ভারত বাংলাদেশের অতি নিকট ও বৃহৎ প্রতিবেশী। ভারতের আয়তনই শুধু বড় নয়, বৃহৎ অর্থনীতির দেশ ভারত, বিশ্বের উঠতি পরাশক্তি তারা এবং বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ভারত। এমন প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক, সদ্ভাব, আয়তন ও অর্থনীতির দিকসহ নানা সক্ষমতার প্রশ্নে পিছিয়ে থাকা দেশের উন্নতি, অগ্রগতি, শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য খুবই জরুরি। বন্ধু পাল্টানো যায়, কিন্তু প্রতিবেশী পাল্টানো যায় না। প্রতিবেশী ছোট হোক কিংবা বড় হোক, খারাপ সম্পর্ক রেখে ভালো থাকা যায় না। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব আর ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বকে একই দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা ঠিক হবে না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সশস্ত্র আক্রমণের মুখে এক কোটি বাঙালি শরণার্থীকে ভারত ছাড়া অন্য কোনো দেশ আশ্রয় দেয়নি, মুক্তিযুদ্ধে সর্বতো সহযোগিতা ভারত ছাড়া অন্য কোনো দেশ করেনি, সর্বোপরি আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় জওয়ানরা ছাড়া অন্য কোনো দেশের সৈন্য রক্ত ও জীবন দেয়নি। কাজেই ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের স্তরটা নির্ণয় করতে হবে এই নিরিখে। তাই বলে কোনো বিষয়ের সমালোচনা হবে না? করা যাবে না? নিশ্চয়ই যাবে। তবে তা হতে হবে বন্ধুকে বন্ধুর সমালোচনার মতো, শত্রুকে শত্রুর সমালোচনার মতো নয়। বিএনপির সাবেক মহাসচিব মরহুম আবদুল মান্নান ভূঁইয়া ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের এই মৌলিক বিষয়টিতে ছিলেন খুবই সেনসেটিভ। উভয় দেশের স্বার্থরক্ষা ও সংকট নিরসনে তিনি দুই দেশের মধ্যে একটা 'প্যাকেজ ডিল'-এর কথা বলতেন প্রায়শ। সে জন্য তাকে কখনো বলা হতো কমিউনিস্ট, কখনো নামাজ কালাম না পড়া নাস্তিক আবার কখনো বলা হতো ভারতের দালাল। বিএনপির অভ্যন্তরে বর্তমানে জামায়াত ঘনিষ্ঠ শক্তিশালী চরম দক্ষিণপন্থি যে প্রতিক্রিয়াশীলরা বিএনপি নিয়ন্ত্রণ করে তারাই এসব বলত।

বেগম খালেদা জিয়ার 'মোদি ইস্যুতে' গৃহীত অবস্থান দেখে মনে হচ্ছে ওই চক্রের প্রাচীর তিনি ভাঙার চেষ্টা করছেন। তবে দেখতে হবে এটা কতটা নীতিগত, কতটা কৌশলগত। এটাও মনে করার কারণ আছে যে, এবার দল পুনর্গঠনের যে কথা শোনা যাচ্ছে তাতে দলের প্রগতিশীল গণতন্ত্রী ক্যারিয়ার রাজনীতিবিদ ও আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক, মেধাবী এবং সাহসী তরুণদের সামনে আনা হতে পারে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যাপারে বিএনপির ভূমিকা অবশ্যই মোদিকে শুধু নয়, তার দল বিজেপিকে জয় করার একটি প্রচেষ্টা। ভারতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে বিএনপির কখনোই কোনো সম্পর্ক ছিল না। এক দেশের এক দলের সঙ্গে আরেক দেশের আরেক দলের বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ক থাকতে পারে। তাতে দুই দলের মধ্যেই শুধু নয়, এর মাধ্যমে দুই দেশের জনগণের মধ্যেও একটা মৈত্রীর সেতু নির্মিত হয়। এই মৈত্রী দেশের কাজে লাগে। বিজেপি কংগ্রেসের প্রতিপক্ষ- বিএনপি-আওয়ামী লীগের মতো। সে ক্ষেত্রে বিএনপি বিজেপির সঙ্গে মৈত্রীবন্ধন গড়তে আগ্রহী হতে পারে এই ভেবে যে, কংগ্রেসের সঙ্গে আওয়ামী লীগের মৈত্রী অবিনাশী, ক্ষমতায় না থাকলে আওয়ামী লীগ আবারও ফিরে যাবে কংগ্রেসের কাছে তা বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদিও জানেন। আওয়ামী লীগ নেতারা, তাদের পক্ষের বুদ্ধিজীবীরা, টকশোতে তাদের 'দলদাস'রা এমনকি কোনো কোনো উপস্থাপক-উপস্থাপিকাও মোদির সঙ্গে বেগম জিয়ার বৈঠক নিয়ে নানা উপহাস করছেন। ওদের 'পেটের কামড়টা' কেন তা বোঝা যায়। তারা চায় না কোনো রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের উন্নতি হোক। তারা চান সম্পর্ক যা থাকার আওয়ামী লীগের সঙ্গেই থাক। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মৌলবাদ, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, একই সঙ্গে তিনি গণতন্ত্রের পক্ষে- এ কথাও বলেছেন। আওয়ামী লীগের 'দলদাস'রা এ কথার মর্মার্থ কী উপলব্ধি করতে পারেন? পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, বিএনপির বর্তমান অবস্থান বাস্তবসম্মত ও যথার্থ। এটা স্পষ্টতই বিএনপির ভারতনীতির পরিবর্তন। বিএনপি কখনো ভারতবিরোধী ছিল না- এই ধরনের বাকোয়াজের মাধ্যমে ধূম্রজাল সৃষ্টি না করে তাদের বলা উচিত, হ্যাঁ, আমাদের আগের ভারতনীতি ভুল ছিল, তা আমরা শুধরে নিলাম। হঠাৎ আবার প্রতিক্রিয়াশীলদের পেইড এজেন্ট কোনো কর্মচারী আবার যেন বিবৃতি দিয়ে না বসে যে, 'বিএনপির ভারতনীতিতে কোনো পরিবর্তন হবে না।' বেগম জিয়ার সর্বশেষ ভারত সফরের সময় এমন একটি কাণ্ড কিন্তু ঘটেছিল। বিএনপির কিছু ইনসিগনিফিকেন্ট লোক ৩-৪ দিন ধরে কিন্তু এমন কিছু কথাবার্তা বলছেন, যা বেগম খালেদা জিয়ার ভারত প্রশ্নে দৃঢ় অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এসব নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। বিএনপি বরং এখন ভারতের বন্ধুপ্রতিম সরকারের কাছে এখনো যে সব বিষয় অমীমাংসিত রয়েছে সেসবের মীমাংসার প্রস্তাব ও পরামর্শ তুলে ধরতে পারে। তিস্তার বিষয়টি আলোচনায় আনা যায়। এর মীমাংসা এখন রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেই হতে হবে। এক সময় প্রতি বছর ফেব্রুয়ারির প্রথম ১০ দিন বাংলাদেশ অংশে তিস্তার পানির প্রবাহ ছিল ৫ হাজার ৯৮৬ কিউসেক। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তা নেমে আসে ৯৬৩ কিউসেকে। আর এবার মধ্য মার্চে তিস্তার নাব্যতা নেমে এসেছিল ২৭৮ কিউসেকে। তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন খসড়া চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রস্তাব রয়েছে যে, ৪০ ভাগ পানি ভারত পাবে, বাংলাদেশ পাবে ৪০ ভাগ এবং ২০ ভাগ থাকবে তিস্তার নাব্যতা রক্ষার জন্য। ভারতের পক্ষ থেকে তাতে সম্মতিও জানানো হয়।

শেখ হাসিনার আগের সরকারের আমলে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরকালে চুক্তিটি হয়নি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির প্রতিবন্ধকতার কারণে। এবারও তাই হলো। পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার উজানে নির্মিত গজলডোবা ব্যারাজসহ আরও প্রায় ১০টি ব্যারাজের মাধ্যমে তিস্তার পানি প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। ২০১২ সালে তিস্তার পানি প্রবাহ ভালো থাকায় তিস্তা সেচ প্রকল্প এলাকায় ৬০ হাজার হেক্টর জমি সেচের আওতায় আনা হয়েছিল। ২০১৫ সালে আবাদি জমির পরিমাণ দাঁড়ায় ১০ হাজার হেক্টরে। স্বপ্নের গঙ্গা ব্যারাজ আটকে আছে ভারতের অনুমতি মিলছে না বলে। এটি নির্মাণের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে রাজবাড়ী জেলার পাংশায়। এর মাধ্যমে ১৯ লাখ হেক্টরে সেচ সুবিধা দেওয়া যেত। প্রতি বছর নিট আয় দাঁড়াত ৭ হাজার কোটি টাকা। ২৬ লাখ টন অতিরিক্ত খাদ্যশস্য উৎপাদন হতো এবং ২ লাখ ৪০ হাজার টন মাছ পাওয়া যেত। সেই সঙ্গে ১২৩টি ছোট নদী পুনরুজ্জীবিত হতো। গঙ্গা কপোতাক্ষ প্রকল্প পানির অভাবে ভুগতো না। উত্তর রাজশাহী সেচ প্রকল্প রক্ষা পেত। রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র পরিচালনায় যে পরিমাণ পানির প্রয়োজন হতো তা সরবরাহেও কোনো বেগ পেতে হতো না। ফেনী নদীর হিস্যা নিয়ে নতুন প্রশ্ন তোলায় দেশের তৃতীয় বৃহত্তম সেচ প্রকল্প 'মুহুরি প্রজেক্ট' বিপদের সম্মুখীন। বন্ধুসুলভ দৃষ্টিতে বিএনপি এসব বিষয় দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের কথা বলতে পারে ভারতের বিজেপি সরকারের কাছে। ট্রানজিট-কানেকটিভিটি প্রশ্নে বিএনপি ভারতের স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বার্থের কথা তুলে ধরতে পারে। আমাদের অবকাঠামো আমাদের দেশের জনগণের খাজনা-ট্যাক্সে নির্মিত। এর ক্ষতি ও শুল্ক সুবিধা নিয়ে আলোচনার কথা বলতে পারে বিএনপি। তৃতীয় দেশ ছাড়া ভারতের এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে পণ্য পরিবহনে শুল্কের বিষয়টি পরিষ্কার করার কথাও বলতে পারে। চট্টগ্রাম ও মংলাবন্দর ব্যবহারে বাংলাদেশের ক্ষতি পুষিয়ে বন্দর ব্যবহারের সুবিধাবলি নিয়েও বন্ধু হিসেবে বন্ধুর কাছে জানতে চাইতে পারে বিএনপি। তবে 'জান দেব-ট্রানজিট দেব না', 'প্রাণ দেব, বন্দর দেব না'- এসব অবাস্তব ও আবেগী অবস্থান থেকে সরে এসে বিএনপি প্রশংসনীয় কাজ করেছে।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট

ই-মেইল :  [email protected]

 

এই বিভাগের আরও খবর
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
সর্বশেষ খবর
চিন্ময়কে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ
চিন্ময়কে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১
মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা
উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা

৫ মিনিট আগে | জাতীয়

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

৬ মিনিট আগে | জাতীয়

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৮ মিনিট আগে | জাতীয়

নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা
নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’
‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’

২৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

২৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বরিশালে দুর্ঘটনায় মুদি দোকানির মৃত্যু
বরিশালে দুর্ঘটনায় মুদি দোকানির মৃত্যু

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সরকার ৫ দেশে নতুন মিশন খুলছে
সরকার ৫ দেশে নতুন মিশন খুলছে

২৯ মিনিট আগে | জাতীয়

পোশাক শিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ : বিজিএমইএ সভাপতি
পোশাক শিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ : বিজিএমইএ সভাপতি

৩২ মিনিট আগে | অর্থনীতি

বগুড়ায় পিস্তল ও গুলিসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
বগুড়ায় পিস্তল ও গুলিসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার

৪৩ মিনিট আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় শিয়াল শিকারের অপরাধে জরিমানা
কলাপাড়ায় শিয়াল শিকারের অপরাধে জরিমানা

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু
গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির সমন্বয় কমিটি ঘোষণা
বগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির সমন্বয় কমিটি ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশিদের বিদেশে নিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি গঠন
বাংলাদেশিদের বিদেশে নিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি গঠন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড
ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুকুরে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
পুকুরে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সে খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন শুরু
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সে খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন শুরু

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এমপিওভুক্ত এক লাখ পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
এমপিওভুক্ত এক লাখ পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জামালপুরে কৃষক হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার দাবি
জামালপুরে কৃষক হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার দাবি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় গোল্ডকাপের উদ্বোধন
অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় গোল্ডকাপের উদ্বোধন

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা
চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে কিশোরের ডান পা বিচ্ছিন্ন
ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে কিশোরের ডান পা বিচ্ছিন্ন

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মোটরসাইকেল থেকে পড়ে নারীর মৃত্যু
মোটরসাইকেল থেকে পড়ে নারীর মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা
প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বগুড়ায় উন্নয়নের দাবীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান
বগুড়ায় উন্নয়নের দাবীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি

২ ঘণ্টা আগে | ডেঙ্গু আপডেট

গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার
গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভয়াবহতা দেখে যা বললেন নেতানিয়াহু
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভয়াবহতা দেখে যা বললেন নেতানিয়াহু

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর
ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে যা বলেছে তুরস্ক, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইরাক
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে যা বলেছে তুরস্ক, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইরাক

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু
‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ভয়ে নেতানিয়াহুর ছেলের বিয়ে স্থগিত
ইরানের ভয়ে নেতানিয়াহুর ছেলের বিয়ে স্থগিত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক

১২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান
নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা
সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রও, ট্রাম্পের ইঙ্গিত
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রও, ট্রাম্পের ইঙ্গিত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন
ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত
ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু, ইসরায়েলে ফের সতর্কতা সাইরেন
ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু, ইসরায়েলে ফের সতর্কতা সাইরেন

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’
‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার
তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৮ ঘণ্টায় ভূপাতিত ৪৪টি ইসরায়েলি ড্রোন ও কোয়াডকপ্টার
৪৮ ঘণ্টায় ভূপাতিত ৪৪টি ইসরায়েলি ড্রোন ও কোয়াডকপ্টার

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা
ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা
নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বৃষ্টি ও তাপপ্রবাহ নিয়ে নতুন বার্তা
বৃষ্টি ও তাপপ্রবাহ নিয়ে নতুন বার্তা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা
দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল শিগগিরই চুক্তিতে আসছে— দাবি ট্রাম্পের
ইরান-ইসরায়েল শিগগিরই চুক্তিতে আসছে— দাবি ট্রাম্পের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি হামলায় ইরানে দুই দিনে নিহত ১২৮
ইসরায়েলি হামলায় ইরানে দুই দিনে নিহত ১২৮

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত
ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
তারেক ফিরছেন দেড় মাসের মধ্যে
তারেক ফিরছেন দেড় মাসের মধ্যে

প্রথম পৃষ্ঠা

ইসরায়েলে ধ্বংসস্তূপ
ইসরায়েলে ধ্বংসস্তূপ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশে নতুন বিপর্যয়ের শঙ্কা
দেশে নতুন বিপর্যয়ের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

আমের ‘ঢলন’ প্রথায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষি
আমের ‘ঢলন’ প্রথায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষি

নগর জীবন

হামজাদের দেখে ভারতীয় দলেও প্রবাসী ফুটবলার
হামজাদের দেখে ভারতীয় দলেও প্রবাসী ফুটবলার

মাঠে ময়দানে

কুশাসক-সুশাসক নির্ণয়ের দাঁড়িপাল্লা
কুশাসক-সুশাসক নির্ণয়ের দাঁড়িপাল্লা

সম্পাদকীয়

নাটক-সিনেমায় অনবদ্য তাসনিয়া ফারিণ
নাটক-সিনেমায় অনবদ্য তাসনিয়া ফারিণ

শোবিজ

সাত বছরে হলো কয়েকটি পিলার
সাত বছরে হলো কয়েকটি পিলার

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মাথায় হাত আলুচাষিদের
মাথায় হাত আলুচাষিদের

নগর জীবন

করোনা ঠেকাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার
করোনা ঠেকাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

এক ঘরে দুই পীর থাকতে পারে না
এক ঘরে দুই পীর থাকতে পারে না

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রোটিয়া ক্রিকেটের মহানায়ক টেম্বা বাভুমা
প্রোটিয়া ক্রিকেটের মহানায়ক টেম্বা বাভুমা

মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ
যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

পাঁচ ইসলামি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে, চাকরি হারাবে না কেউ
পাঁচ ইসলামি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে, চাকরি হারাবে না কেউ

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগ ভোটকে হাস্যরসে পরিণত করে
আওয়ামী লীগ ভোটকে হাস্যরসে পরিণত করে

প্রথম পৃষ্ঠা

এটিএম বুথে কিশোরী ধর্ষণ, পলাতক নিরাপত্তাকর্মী
এটিএম বুথে কিশোরী ধর্ষণ, পলাতক নিরাপত্তাকর্মী

পেছনের পৃষ্ঠা

অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধে নতুন কৌশল
অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধে নতুন কৌশল

পেছনের পৃষ্ঠা

এবার ব্যাংক থেকে ফেরার পথে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই
এবার ব্যাংক থেকে ফেরার পথে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই

প্রথম পৃষ্ঠা

সড়কে তবুও মেয়াদোত্তীর্ণ বাস
সড়কে তবুও মেয়াদোত্তীর্ণ বাস

পেছনের পৃষ্ঠা

ইতিহাস গড়লেন রুকসানা
ইতিহাস গড়লেন রুকসানা

মাঠে ময়দানে

হদিস মেলেনি কোটি টাকার, কেউ হয়নি গ্রেপ্তার
হদিস মেলেনি কোটি টাকার, কেউ হয়নি গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু মারা গেছেন
গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু মারা গেছেন

নগর জীবন

শাহিনের বক্তব্যে তোলপাড় বাফুফে
শাহিনের বক্তব্যে তোলপাড় বাফুফে

মাঠে ময়দানে

বিএনপির কমিটি গঠন না হওয়ায় ক্ষোভ
বিএনপির কমিটি গঠন না হওয়ায় ক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

আলোচনার পর ভোটের তারিখ সরকারের দিকে তাকিয়ে ইসি
আলোচনার পর ভোটের তারিখ সরকারের দিকে তাকিয়ে ইসি

প্রথম পৃষ্ঠা

আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইশরাকের
আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইশরাকের

প্রথম পৃষ্ঠা

সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়
সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

জাতীয় বাজেট ও কৃষি খাত
জাতীয় বাজেট ও কৃষি খাত

সম্পাদকীয়

সরকারি পরিত্যক্ত ভবনে চামড়ার আড়ত, দুর্গন্ধে ভোগান্তি
সরকারি পরিত্যক্ত ভবনে চামড়ার আড়ত, দুর্গন্ধে ভোগান্তি

নগর জীবন