শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:৩৭, রবিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৫

দলীয় ভিত্তিতে স্থানীয় নির্বাচন : ক্ষতিগ্রস্ত হবে ক্ষমতাসীনরাই

আমীর খসরু
অনলাইন ভার্সন
দলীয় ভিত্তিতে স্থানীয় নির্বাচন : ক্ষতিগ্রস্ত হবে ক্ষমতাসীনরাই

এক. উন্নয়নকে বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ওই উন্নয়ন কার্যক্রমে যেন জনঅংশীদারিত্বের ব্যবস্থাটি থাকে তার গ্যারান্টি দেওয়ার লক্ষ্যেই স্থানীয় সরকারকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় বলে গণ্য করা হয়।  এ কথাটি প্রমাণিত সত্য যে, উন্নয়ন কার্যক্রমে যদি জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণ ও অংশীদারিত্বের ব্যবস্থা না থাকে এবং সামগ্রিক ব্যবস্থায় জনগণের ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রতিফলন না ঘটে, তাহলে ওই পুরো উন্নয়নটিই হবে নষ্ট-ভ্রষ্ট অথবা উন্নয়ন নামের কর্মকাণ্ডগুলো থেকে যাবে খাতা-কলমে। যতই দিন যাচ্ছে ততই গণতন্ত্রের সংজ্ঞায় পরিবর্তন এসেছে গণঅংশীদারিত্ব ও প্রতিনিধিত্বশীলতার প্রশ্নে। গণতন্ত্রের উৎকৃষ্ট সংজ্ঞা হচ্ছে, জনগণের অংশীদারিত্ব এবং ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে প্রাধান্য ও নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ক্ষমতার বিকেন্দ্রণ। কারণ কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা দুর্নীতি, জনবিচ্ছিন্নতা এবং কর্তৃত্বপরায়ণতার জন্ম দেয়।

এ ছাড়াও স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাটির গুরুত্ব এ কারণেও যে, তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের চাওয়া-পাওয়া, ইচ্ছা-অনিচ্ছা এবং প্রয়োজন-অপ্রয়োজনের নিরিখে উন্নয়ন নিশ্চিত করার ব্যবস্থা যেমন থাকে, তেমনি জনগণ কোনো না কোনোভাবে উন্নয়নসহ শাসন কার্যক্রমে সংযুক্ত ও অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। এ নিয়ে দুনিয়ার নানা দেশে গণতন্ত্র চর্চার মধ্যেই স্থানীয় পর্যায়ের শাসনকে শক্তিশালীকরণের বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।

এ কথা সত্য যে, আমাদের দেশে রাজনৈতিক দলের যে দশা হয়েছে, তাতে মানুষ এখন রাজনৈতিক দলবিমুখ হওয়ার প্রক্রিয়ায় রাজনীতিবিমুখ হয়ে পড়েছে। সমাজে সৎ, ন্যায়-নিষ্ঠবান ও ন্যায্যতার স্বপক্ষে মানুষগুলো নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন, দুর্নীতিবাজ, অসৎ এবং নষ্ট-ভ্রষ্টের সীমাহীন উৎপাত ও দোর্দণ্ড প্রতাপের কারণে। যেখানে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাটির মধ্যদিয়ে সৎ, ত্যাগী, ন্যায় ও ন্যায্যতাপ্রিয় মানুষগুলোকে আবার ফিরিয়ে আনার যে প্রক্রিয়াটি রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে শুরু করা উচিত ছিল, তার ছিটেফোঁটা সম্ভাবনাও আর অবশিষ্ট নেই। ভবিষ্যতে থাকবে এমন কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। উল্টা বর্তমান সরকার সে পথ রুদ্ধ এবং বন্ধ করে দিয়েছে।

স্থানীয় সরকারের গোড়ার দিকের ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায় ব্রিটিশ আমলে অর্থাৎ ১৮৭০ সালেও পঞ্চায়েত ব্যবস্থা বিদ্যমান ছিল। তবে তার সামাজিক কর্তৃত্ব যতটা ছিল, উন্নয়ন বা প্রশাসনিকভাবে তার কোনো ক্ষমতা ছিল না। আর এই পঞ্চায়েত ব্যবস্থাটি গঠিত হতো সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে। ১৮৮২ সালে পঞ্চায়েত ব্যবস্থার কিছুটা পরিবর্তন সাধন করা হয়। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, পঞ্চায়েতের নেতৃত্বে আসতে গেলে গণ্যমান্য হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্যাক্স বা খাজনা দেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। স্থানীয় পর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ পুলিশের এক ধরনের সহযোগী হিসেবে চৌকিদার, দফাদার ব্যবস্থাটিও তখন চালু হয়। তবে পুরো বিষয়টি একদিকে ছিল ব্রিটিশ শাসনকে সুসংহত করা, অন্যদিকে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা। ১৯০০ সালের দিকে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় আরও বেশ কিছু পরিবর্তন আসে এবং এর কাঠামোগত একটি রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। গঠিত হয় ইউনিয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সংস্থাগুলো, যা পঞ্চায়েত ব্যবস্থা থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী রূপ। এ সময় ইউনিয়ন বোর্ডের পাশাপাশি থানা বোর্ড, জেলা বোর্ড এবং কোথাও কোথাও পৌরসভার ব্যবস্থাগুলোর সৃষ্টি করা হয়। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে এসব সংস্থা গঠিত হলেও এর প্রধান ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা পদাধিকার বলে। তবে এরও কিছুকাল পরে নির্বাচন ব্যবস্থাটি প্রবর্তন করা হয়, তবে অনেকটা শিথিল ছিল। গণ্যমান্য ব্যক্তিরাই কোনো না কোনোভাবে এর নেতৃত্বে চলে আসতেন।

১৯৫৮ সালে আইয়ুব খানের সামরিক শাসন জারির পরে আসলে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে সত্য, তবে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাটিকে প্রথমবারের মতো যুক্ত করা হয় রাজনীতির সঙ্গে, ক্ষমতার স্বার্থে। আর দুর্নীতিকেও প্রবিষ্ট করানো হয় তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত। এটা সামরিক শাসনের একটি ধারা। ১৯৫৯ সালের এক আদেশ বলে ১৯৬০ সালে ইউনিয়ন বোর্ডের নাম পরিবর্তন করে গঠন করা হয় ইউনিয়ন কাউন্সিল। এই কাউন্সিল গঠিত হতো মৌলিক গণতন্ত্র বা বেসিক ডেমোক্রেসি নামে এক অদ্ভুত ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে। এই মৌলিক গণতন্ত্র সামরিক শাসনের গণতন্ত্রবিনাশী একটি কর্মকাণ্ড হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে আছে। আর এটি আইয়ুবের সামরিক শাসনের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে পরবর্তীতে আবির্ভূত হয়। দেশে মৌলিক গণতন্ত্রী অর্থাৎ ভোটারের সংখ্যা ছিল সারা দেশে ৬০ হাজার। এদের ভোটেই আইয়ুব প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। এমপি-এমএনএসহ অন্যান্য পদ নির্বাচনেও এই মৌলিক গণতন্ত্রীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এর মাধ্যমে আইয়ুব সমাজে এমন একটি শ্রেণির সৃষ্টি করলেন যারা স্থানীয় পর্যায়ে আইয়ুবের প্রতিনিধি বলেই খ্যাত ছিল।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ক্রমান্বয়ে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাটি শক্তিশালী হতে থাকে এবং এ পুরো ব্যবস্থার সঙ্গে রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততাও বাড়তে থাকে। বাংলাদেশে সংবিধানে স্থানীয় সরকারব্যবস্থাকে শক্তিশালীকরণের ওপর যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করা হয়। যদিও সংবিধান প্রণেতাদের মনোজগতে স্থানীয় সরকারকে জনসম্পৃক্ত একটি সংস্থা হিসেবেই চিন্তা করা হয়েছিল। তবে বরাবরই ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক নেতৃত্বের চাপ এবং স্থানীয় সরকারব্যবস্থাকে সমূলে বিনাশ করার আমলাতান্ত্রিক উদ্যোগ সফলও হতে থাকে দিনে দিনে।

দুই.

এই প্রথমবারের মতো স্থানীয় সরকারব্যবস্থার সর্বস্তর অর্থাৎ ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা পরিষদ, পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশন নির্বাচন দলীয় ভিত্তিতে ও দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতদিন দলের সমর্থন প্রবল এবং প্রচণ্ড থাকলেও নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠিত হতো দলীয় পরিচয়ের বাইরে অর্থাৎ নির্দলীয় ভিত্তিতে। গত ১২ অক্টোবর খুবই তাড়াহুড়া করে মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্থানীয় সরকারের পাঁচ স্তরেই দলীয় ভিত্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানে আইনের অনুমোদন দেওয়া হয়। তাড়াহুড়াটা এমন যে, প্রথমে সরকার অধ্যাদেশ জারি করে। এরপরে সংসদে স্থানীয় সরকার সংশোধনী আইন পাস করা হয়। এখানে একটি বিষয় বলা প্রয়োজন, তাড়াহুড়াটা সেই পর্যায়ে গেছে যাতে এই নভেম্বর মাসেই অধ্যাদেশ জারি করা হয়, সংসদে আইন পাস হয় এবং নির্বাচন কমিশনও আচরণবিধি ঘোষণা করে।

বর্তমান সরকারের অধীনে অতীতে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকারব্যবস্থার সব নির্বাচনের নজির খুবই ন্যক্কারজনক এবং একই সঙ্গে ভীতিকরও। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, ভোটারবিহীন, একদলীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে আমাদের যেমন ধারণা ও অভিজ্ঞতা আছে, তেমনি উপজেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ অন্যান্য যেসব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এই সরকারের অধীনে, সে সম্পর্কেও আমরা তিক্ত অভিজ্ঞতায় অভিজ্ঞ। ভোটারবিহীন নজির সৃষ্টিকারী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল পাঁচ দফায়। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলেও বিরোধী দল বিএনপিসহ অন্যান্য দল এতে অংশগ্রহণ করেছিল। এই নির্বাচনটিতেও দলীয় বাহিনীর সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবহারসহ নৈরাজ্যপূর্ণ, তাণ্ডবের এক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছিল। স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়ায় কিছুসংখ্যক মানুষ স্বাভাবিক কারণেই ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়ে কী ভীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন, তাও বোধকরি সবারই মনে আছে। জাতীয় নির্বাচনটি যে সত্যিকার অর্থেই একেবারেই সৃষ্টি ছাড়া খারাপ উদাহরণ সৃষ্টিকারী ঘটনা ছিল, তা আবারও বদ্ধমূলভাবে প্রতিষ্ঠিত করে দেয় উপজেলা নির্বাচন। পরবর্তীকালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনসমূহ আবারও প্রমাণ করে যে, এই সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন তো সম্ভবই নয়, এটা চিন্তা করাও সমীচীন হবে না। কারণ অবাধ, সুষ্ঠু, সব দলের অংশগ্রহণে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠান করা আইনি বিধানসম্মত ও গণতান্ত্রিক চর্চার অন্তর্ভুক্ত ক্ষমতাসীনদের চিন্তা, চেতনা, মনোজগৎসহ সামগ্রিক সংস্কৃতিতে এই বিষয়গুলো আদৌ প্রবহমান ও ক্রিয়াশীল নয়।

ক্ষমতাসীনরা ন্যায্য ও অবাধ নির্বাচনকে তাদের জন্য বিড়ম্বনার বিষয় বলেই মনে করে, এমনটা বিভিন্ন নির্বাচনের মাধ্যমেই প্রমাণিত হয়েছে। সরকার এ কারণেই দলীয় ভিত্তিতে ও প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথটি বেছে নিয়েছে। কারণ ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন ও প্রতীক ব্যবহার করলে, নির্বাচন অনুষ্ঠানের যেসব পূর্বশর্ত থাকে অর্থাৎ প্রার্থীর যোগ্যতা, দল এবং প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা, দক্ষতা, প্রজ্ঞা ও নেতৃত্বের গুণাবলী সর্বোপরি জনপ্রিয়তা- তার আর কোনো প্রয়োজন হবে না। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বারবার উদাহরণ দেওয়া হচ্ছে, যুক্তরাজ্য, ভারতসহ বহু দেশে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় ভিত্তিতে হয়ে থাকে। তাহলে প্রশ্ন উত্থাপন জরুরি যে, ১. যুক্তরাজ্য, ভারতসহ ওই দেশগুলোতে ৫ জানুয়ারির মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতাবিহীন, ভোটারবিহীন, একদলীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় কিনা বা এমন উদাহরণ তাদের যুগ-যুগান্তরের রাজনৈতিক ইতিহাসে রয়েছে কিনা? ২. ওই সব দেশে বিরোধী দল ধ্বংস ও বিনাশ করে একদলীয় শাসন ও এককের সীমাহীন ক্ষমতা সৃষ্টির মাধ্যমে রাজনৈতিক ভারসাম্যহীনতার নজির রয়েছে কিনা? ৩. স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সরকার আদৌ হস্তক্ষেপ করে কিনা? ৪. এমন নির্বাচন কমিশন ওই সব দেশে আছে কিনা? ৫. যেসব দেশের কথা বলা হয়েছে সেসব দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ পুরো প্রশাসন এমন পক্ষপাতদোষে-দুষ্ট কিনা? ৬. ওই সব দেশে বিরোধী পক্ষের কেউ জাতীয় বা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিজয়ী হলে তাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে, গ্রেফতার করে বরখাস্ত করার নজির রয়েছে কিনা? জবাব যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে দেশবাসী সবাই এই সরকারের সঙ্গে সহমত পোষণ করতে রাজি আছে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগেও ক্ষমতাসীনরা বলেছিল, ক্ষমতাসীন দলের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নজির পশ্চিমা দুনিয়াসহ বহু দেশে রয়েছে। তবে বাংলাদেশের নজির তারা ওই সময়ই দেখেছেন।

পৌরসভা নির্বাচনে বিরোধী দল বিএনপি অংশ নেবে এমন সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে বলা যায়। ইতিমধ্যে বিএনপি নিজে বৈঠক করেছে এবং ২০ দলের সঙ্গেও আলোচনা করেছে। এটি বিএনপির পক্ষ থেকে যথাযথ ও বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত তাতে কোনো সন্দেহ নেই। যদি ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের সময়ে রণেভঙ্গ দিয়ে চলে না গিয়ে তারা মাঠে থাকতেন এবং নির্বাচনে অংশ নিতেন তাহলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত।

বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ে পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পক্ষে ইতিবাচক হাওয়া থাকলেও, মামলা-মোকদ্দমা, হয়রানি, নির্যাতন, গ্রেফতারসহ নানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেক গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয় প্রার্থীও নির্বাচনে অংশ নিতে ভয় পাচ্ছেন ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে। তাছাড়া বহু নেতা-কর্মী হয় জেলে রয়েছেন, না হয় মামলা মাথায় নিয়ে গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে পালিয়ে এলাকা ছাড়া অথবা স্থানীয় ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে আপসরফা করে নিশ্চুপ। বিএনপির জন্য দাপটের সঙ্গে নির্বাচন অনুষ্ঠান তো দূরের কথা, প্রার্থী খুঁজে পাওয়াই সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।

স্থানীয় সরকারব্যবস্থার নির্বাচন দলীয় ভিত্তিতে অনুষ্ঠানে ক্ষমতাসীনরা সীমাহীন লাভবান হবে এমনটাই তারা ধারণা করছে। কিন্তু বাস্তবে বিএনপিসহ বিরোধী দল যতটা না ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তারচেয়ে ঢের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে। কারণ এমনিতেই ক্ষমতাসীন দল হিসেবে তাদের মধ্যকার বড় ধরনের অন্তর্দ্বন্দ্ব বিদ্যমান। দলীয় ভিত্তিতে নির্বাচনে এটি আরও প্রকট এবং ভয়াবহ রূপ নেবে। দলের বর্তমানে বিদ্যমান থাকা নানা উপদলীয় সংঘাত, সহিংসতা, কোন্দল ব্যাপকতর হবে। আর এতে দলের ঊর্ধ্বতন পর্যায় থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের সক্রিয়তা থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। সব মিলিয়ে দলের অভ্যন্তরীণ সংকট ও জটিলতা আরও ব্যাপকতর ও প্রকট হবে। কারণ ক্ষমতাসীনদের আগ্রহী প্রার্থীরা মনে করছেন, দলীয় মনোনয়ন পেলেই তিনি নিশ্চিতভাবে নির্বাচিত হবেন। কাজেই পদ-পদবি আর ক্ষমতার কাছাকাছি গিয়ে তা হাতছাড়া করার এমন মানসিকতা অধিকাংশেই দেখাবে, এটা ভাবা ঠিক হবে না। কোন উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে এটা কার্যকর হবে তা ভাবাও উচিত হবে না। কাজেই ক্ষমতার দ্বন্দ্ব-বিবাদ বিস্তৃত হবে ব্যাপকতর। তারা এক দলে থাকলেও আরও অনৈক্য, আরও দ্বন্দ্ব-বিবাদ, সংঘাত ভবিষ্যতে তাদের পিছু ধাওয়া করবে।

এ কথাটি মনে রাখতে হবে, রাজনৈতিক ভারসাম্যহীনতা এবং এ থেকে সৃষ্ট চরম শূন্যতার সময়ে এক দলই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ও সর্বেসর্বা থাকে। সবকিছু নির্ধারিত হয় এক, একক এবং একপক্ষের মাধ্যমেই।  সেখানে অন্য দলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা নেই, কারণ তাদের কোনো প্রতিপক্ষই নেই।  দলীয় ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠান তাই দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে এসব কারণে চরম মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত করার সঙ্গে সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক নৈরাজ্য ও সংকটকে যেমন প্রকটতর করবে, তেমনি এটি প্রলম্বিতও হবে। রাজনৈতিক ভারসাম্যহীনতা ও চরম শূন্যতা ক্ষমতাসীনদের সংঘাত, বিবাদকে নিয়ে যাবে চরম থেকে চরমতম পর্যায়ে।

লেখক : সম্পাদক, আমাদের বুধবারডটকম

এই বিভাগের আরও খবর
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
সর্বশেষ খবর
সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ
সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ

এই মাত্র | রাজনীতি

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চিন্ময়কে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ
চিন্ময়কে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

৯ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১
মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা
উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা

১৫ মিনিট আগে | জাতীয়

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

১৫ মিনিট আগে | জাতীয়

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

১৭ মিনিট আগে | জাতীয়

নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা
নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’
‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’

৩৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৩৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বরিশালে দুর্ঘটনায় মুদি দোকানির মৃত্যু
বরিশালে দুর্ঘটনায় মুদি দোকানির মৃত্যু

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সরকার ৫ দেশে নতুন মিশন খুলছে
সরকার ৫ দেশে নতুন মিশন খুলছে

৩৯ মিনিট আগে | জাতীয়

পোশাক শিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ : বিজিএমইএ সভাপতি
পোশাক শিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ : বিজিএমইএ সভাপতি

৪২ মিনিট আগে | অর্থনীতি

বগুড়ায় পিস্তল ও গুলিসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
বগুড়ায় পিস্তল ও গুলিসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার

৫২ মিনিট আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় শিয়াল শিকারের অপরাধে জরিমানা
কলাপাড়ায় শিয়াল শিকারের অপরাধে জরিমানা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু
গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির সমন্বয় কমিটি ঘোষণা
বগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির সমন্বয় কমিটি ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশিদের বিদেশে নিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি গঠন
বাংলাদেশিদের বিদেশে নিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি গঠন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড
ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুকুরে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
পুকুরে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সে খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন শুরু
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সে খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন শুরু

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এমপিওভুক্ত এক লাখ পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
এমপিওভুক্ত এক লাখ পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জামালপুরে কৃষক হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার দাবি
জামালপুরে কৃষক হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার দাবি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় গোল্ডকাপের উদ্বোধন
অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় গোল্ডকাপের উদ্বোধন

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা
চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে কিশোরের ডান পা বিচ্ছিন্ন
ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে কিশোরের ডান পা বিচ্ছিন্ন

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মোটরসাইকেল থেকে পড়ে নারীর মৃত্যু
মোটরসাইকেল থেকে পড়ে নারীর মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা
প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর
ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে যা বলেছে তুরস্ক, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইরাক
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে যা বলেছে তুরস্ক, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইরাক

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু
‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ভয়ে নেতানিয়াহুর ছেলের বিয়ে স্থগিত
ইরানের ভয়ে নেতানিয়াহুর ছেলের বিয়ে স্থগিত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক

১২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান
নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা
সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রও, ট্রাম্পের ইঙ্গিত
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রও, ট্রাম্পের ইঙ্গিত

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন
ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত
ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু, ইসরায়েলে ফের সতর্কতা সাইরেন
ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু, ইসরায়েলে ফের সতর্কতা সাইরেন

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’
‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার
তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৮ ঘণ্টায় ভূপাতিত ৪৪টি ইসরায়েলি ড্রোন ও কোয়াডকপ্টার
৪৮ ঘণ্টায় ভূপাতিত ৪৪টি ইসরায়েলি ড্রোন ও কোয়াডকপ্টার

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা
ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা
নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বৃষ্টি ও তাপপ্রবাহ নিয়ে নতুন বার্তা
বৃষ্টি ও তাপপ্রবাহ নিয়ে নতুন বার্তা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা
দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল শিগগিরই চুক্তিতে আসছে— দাবি ট্রাম্পের
ইরান-ইসরায়েল শিগগিরই চুক্তিতে আসছে— দাবি ট্রাম্পের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি হামলায় ইরানে দুই দিনে নিহত ১২৮
ইসরায়েলি হামলায় ইরানে দুই দিনে নিহত ১২৮

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত
ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী
১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
তারেক ফিরছেন দেড় মাসের মধ্যে
তারেক ফিরছেন দেড় মাসের মধ্যে

প্রথম পৃষ্ঠা

ইসরায়েলে ধ্বংসস্তূপ
ইসরায়েলে ধ্বংসস্তূপ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশে নতুন বিপর্যয়ের শঙ্কা
দেশে নতুন বিপর্যয়ের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

আমের ‘ঢলন’ প্রথায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষি
আমের ‘ঢলন’ প্রথায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষি

নগর জীবন

হামজাদের দেখে ভারতীয় দলেও প্রবাসী ফুটবলার
হামজাদের দেখে ভারতীয় দলেও প্রবাসী ফুটবলার

মাঠে ময়দানে

কুশাসক-সুশাসক নির্ণয়ের দাঁড়িপাল্লা
কুশাসক-সুশাসক নির্ণয়ের দাঁড়িপাল্লা

সম্পাদকীয়

নাটক-সিনেমায় অনবদ্য তাসনিয়া ফারিণ
নাটক-সিনেমায় অনবদ্য তাসনিয়া ফারিণ

শোবিজ

সাত বছরে হলো কয়েকটি পিলার
সাত বছরে হলো কয়েকটি পিলার

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মাথায় হাত আলুচাষিদের
মাথায় হাত আলুচাষিদের

নগর জীবন

করোনা ঠেকাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার
করোনা ঠেকাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

এক ঘরে দুই পীর থাকতে পারে না
এক ঘরে দুই পীর থাকতে পারে না

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রোটিয়া ক্রিকেটের মহানায়ক টেম্বা বাভুমা
প্রোটিয়া ক্রিকেটের মহানায়ক টেম্বা বাভুমা

মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ
যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

পাঁচ ইসলামি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে, চাকরি হারাবে না কেউ
পাঁচ ইসলামি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে, চাকরি হারাবে না কেউ

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগ ভোটকে হাস্যরসে পরিণত করে
আওয়ামী লীগ ভোটকে হাস্যরসে পরিণত করে

প্রথম পৃষ্ঠা

এটিএম বুথে কিশোরী ধর্ষণ, পলাতক নিরাপত্তাকর্মী
এটিএম বুথে কিশোরী ধর্ষণ, পলাতক নিরাপত্তাকর্মী

পেছনের পৃষ্ঠা

অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধে নতুন কৌশল
অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধে নতুন কৌশল

পেছনের পৃষ্ঠা

এবার ব্যাংক থেকে ফেরার পথে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই
এবার ব্যাংক থেকে ফেরার পথে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই

প্রথম পৃষ্ঠা

সড়কে তবুও মেয়াদোত্তীর্ণ বাস
সড়কে তবুও মেয়াদোত্তীর্ণ বাস

পেছনের পৃষ্ঠা

ইতিহাস গড়লেন রুকসানা
ইতিহাস গড়লেন রুকসানা

মাঠে ময়দানে

হদিস মেলেনি কোটি টাকার, কেউ হয়নি গ্রেপ্তার
হদিস মেলেনি কোটি টাকার, কেউ হয়নি গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু মারা গেছেন
গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু মারা গেছেন

নগর জীবন

শাহিনের বক্তব্যে তোলপাড় বাফুফে
শাহিনের বক্তব্যে তোলপাড় বাফুফে

মাঠে ময়দানে

বিএনপির কমিটি গঠন না হওয়ায় ক্ষোভ
বিএনপির কমিটি গঠন না হওয়ায় ক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

আলোচনার পর ভোটের তারিখ সরকারের দিকে তাকিয়ে ইসি
আলোচনার পর ভোটের তারিখ সরকারের দিকে তাকিয়ে ইসি

প্রথম পৃষ্ঠা

আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইশরাকের
আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইশরাকের

প্রথম পৃষ্ঠা

সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়
সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

জাতীয় বাজেট ও কৃষি খাত
জাতীয় বাজেট ও কৃষি খাত

সম্পাদকীয়

সরকারি পরিত্যক্ত ভবনে চামড়ার আড়ত, দুর্গন্ধে ভোগান্তি
সরকারি পরিত্যক্ত ভবনে চামড়ার আড়ত, দুর্গন্ধে ভোগান্তি

নগর জীবন