শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:৩৭, রবিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৫

দলীয় ভিত্তিতে স্থানীয় নির্বাচন : ক্ষতিগ্রস্ত হবে ক্ষমতাসীনরাই

আমীর খসরু
অনলাইন ভার্সন
দলীয় ভিত্তিতে স্থানীয় নির্বাচন : ক্ষতিগ্রস্ত হবে ক্ষমতাসীনরাই

এক. উন্নয়নকে বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ওই উন্নয়ন কার্যক্রমে যেন জনঅংশীদারিত্বের ব্যবস্থাটি থাকে তার গ্যারান্টি দেওয়ার লক্ষ্যেই স্থানীয় সরকারকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় বলে গণ্য করা হয়।  এ কথাটি প্রমাণিত সত্য যে, উন্নয়ন কার্যক্রমে যদি জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণ ও অংশীদারিত্বের ব্যবস্থা না থাকে এবং সামগ্রিক ব্যবস্থায় জনগণের ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রতিফলন না ঘটে, তাহলে ওই পুরো উন্নয়নটিই হবে নষ্ট-ভ্রষ্ট অথবা উন্নয়ন নামের কর্মকাণ্ডগুলো থেকে যাবে খাতা-কলমে। যতই দিন যাচ্ছে ততই গণতন্ত্রের সংজ্ঞায় পরিবর্তন এসেছে গণঅংশীদারিত্ব ও প্রতিনিধিত্বশীলতার প্রশ্নে। গণতন্ত্রের উৎকৃষ্ট সংজ্ঞা হচ্ছে, জনগণের অংশীদারিত্ব এবং ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে প্রাধান্য ও নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ক্ষমতার বিকেন্দ্রণ। কারণ কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা দুর্নীতি, জনবিচ্ছিন্নতা এবং কর্তৃত্বপরায়ণতার জন্ম দেয়।

এ ছাড়াও স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাটির গুরুত্ব এ কারণেও যে, তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের চাওয়া-পাওয়া, ইচ্ছা-অনিচ্ছা এবং প্রয়োজন-অপ্রয়োজনের নিরিখে উন্নয়ন নিশ্চিত করার ব্যবস্থা যেমন থাকে, তেমনি জনগণ কোনো না কোনোভাবে উন্নয়নসহ শাসন কার্যক্রমে সংযুক্ত ও অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। এ নিয়ে দুনিয়ার নানা দেশে গণতন্ত্র চর্চার মধ্যেই স্থানীয় পর্যায়ের শাসনকে শক্তিশালীকরণের বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।

এ কথা সত্য যে, আমাদের দেশে রাজনৈতিক দলের যে দশা হয়েছে, তাতে মানুষ এখন রাজনৈতিক দলবিমুখ হওয়ার প্রক্রিয়ায় রাজনীতিবিমুখ হয়ে পড়েছে। সমাজে সৎ, ন্যায়-নিষ্ঠবান ও ন্যায্যতার স্বপক্ষে মানুষগুলো নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন, দুর্নীতিবাজ, অসৎ এবং নষ্ট-ভ্রষ্টের সীমাহীন উৎপাত ও দোর্দণ্ড প্রতাপের কারণে। যেখানে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাটির মধ্যদিয়ে সৎ, ত্যাগী, ন্যায় ও ন্যায্যতাপ্রিয় মানুষগুলোকে আবার ফিরিয়ে আনার যে প্রক্রিয়াটি রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে শুরু করা উচিত ছিল, তার ছিটেফোঁটা সম্ভাবনাও আর অবশিষ্ট নেই। ভবিষ্যতে থাকবে এমন কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। উল্টা বর্তমান সরকার সে পথ রুদ্ধ এবং বন্ধ করে দিয়েছে।

স্থানীয় সরকারের গোড়ার দিকের ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায় ব্রিটিশ আমলে অর্থাৎ ১৮৭০ সালেও পঞ্চায়েত ব্যবস্থা বিদ্যমান ছিল। তবে তার সামাজিক কর্তৃত্ব যতটা ছিল, উন্নয়ন বা প্রশাসনিকভাবে তার কোনো ক্ষমতা ছিল না। আর এই পঞ্চায়েত ব্যবস্থাটি গঠিত হতো সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে। ১৮৮২ সালে পঞ্চায়েত ব্যবস্থার কিছুটা পরিবর্তন সাধন করা হয়। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, পঞ্চায়েতের নেতৃত্বে আসতে গেলে গণ্যমান্য হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্যাক্স বা খাজনা দেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। স্থানীয় পর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ পুলিশের এক ধরনের সহযোগী হিসেবে চৌকিদার, দফাদার ব্যবস্থাটিও তখন চালু হয়। তবে পুরো বিষয়টি একদিকে ছিল ব্রিটিশ শাসনকে সুসংহত করা, অন্যদিকে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা। ১৯০০ সালের দিকে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় আরও বেশ কিছু পরিবর্তন আসে এবং এর কাঠামোগত একটি রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। গঠিত হয় ইউনিয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সংস্থাগুলো, যা পঞ্চায়েত ব্যবস্থা থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী রূপ। এ সময় ইউনিয়ন বোর্ডের পাশাপাশি থানা বোর্ড, জেলা বোর্ড এবং কোথাও কোথাও পৌরসভার ব্যবস্থাগুলোর সৃষ্টি করা হয়। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে এসব সংস্থা গঠিত হলেও এর প্রধান ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা পদাধিকার বলে। তবে এরও কিছুকাল পরে নির্বাচন ব্যবস্থাটি প্রবর্তন করা হয়, তবে অনেকটা শিথিল ছিল। গণ্যমান্য ব্যক্তিরাই কোনো না কোনোভাবে এর নেতৃত্বে চলে আসতেন।

১৯৫৮ সালে আইয়ুব খানের সামরিক শাসন জারির পরে আসলে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে সত্য, তবে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাটিকে প্রথমবারের মতো যুক্ত করা হয় রাজনীতির সঙ্গে, ক্ষমতার স্বার্থে। আর দুর্নীতিকেও প্রবিষ্ট করানো হয় তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত। এটা সামরিক শাসনের একটি ধারা। ১৯৫৯ সালের এক আদেশ বলে ১৯৬০ সালে ইউনিয়ন বোর্ডের নাম পরিবর্তন করে গঠন করা হয় ইউনিয়ন কাউন্সিল। এই কাউন্সিল গঠিত হতো মৌলিক গণতন্ত্র বা বেসিক ডেমোক্রেসি নামে এক অদ্ভুত ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে। এই মৌলিক গণতন্ত্র সামরিক শাসনের গণতন্ত্রবিনাশী একটি কর্মকাণ্ড হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে আছে। আর এটি আইয়ুবের সামরিক শাসনের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে পরবর্তীতে আবির্ভূত হয়। দেশে মৌলিক গণতন্ত্রী অর্থাৎ ভোটারের সংখ্যা ছিল সারা দেশে ৬০ হাজার। এদের ভোটেই আইয়ুব প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। এমপি-এমএনএসহ অন্যান্য পদ নির্বাচনেও এই মৌলিক গণতন্ত্রীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এর মাধ্যমে আইয়ুব সমাজে এমন একটি শ্রেণির সৃষ্টি করলেন যারা স্থানীয় পর্যায়ে আইয়ুবের প্রতিনিধি বলেই খ্যাত ছিল।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ক্রমান্বয়ে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাটি শক্তিশালী হতে থাকে এবং এ পুরো ব্যবস্থার সঙ্গে রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততাও বাড়তে থাকে। বাংলাদেশে সংবিধানে স্থানীয় সরকারব্যবস্থাকে শক্তিশালীকরণের ওপর যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করা হয়। যদিও সংবিধান প্রণেতাদের মনোজগতে স্থানীয় সরকারকে জনসম্পৃক্ত একটি সংস্থা হিসেবেই চিন্তা করা হয়েছিল। তবে বরাবরই ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক নেতৃত্বের চাপ এবং স্থানীয় সরকারব্যবস্থাকে সমূলে বিনাশ করার আমলাতান্ত্রিক উদ্যোগ সফলও হতে থাকে দিনে দিনে।

দুই.

এই প্রথমবারের মতো স্থানীয় সরকারব্যবস্থার সর্বস্তর অর্থাৎ ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা পরিষদ, পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশন নির্বাচন দলীয় ভিত্তিতে ও দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতদিন দলের সমর্থন প্রবল এবং প্রচণ্ড থাকলেও নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠিত হতো দলীয় পরিচয়ের বাইরে অর্থাৎ নির্দলীয় ভিত্তিতে। গত ১২ অক্টোবর খুবই তাড়াহুড়া করে মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্থানীয় সরকারের পাঁচ স্তরেই দলীয় ভিত্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানে আইনের অনুমোদন দেওয়া হয়। তাড়াহুড়াটা এমন যে, প্রথমে সরকার অধ্যাদেশ জারি করে। এরপরে সংসদে স্থানীয় সরকার সংশোধনী আইন পাস করা হয়। এখানে একটি বিষয় বলা প্রয়োজন, তাড়াহুড়াটা সেই পর্যায়ে গেছে যাতে এই নভেম্বর মাসেই অধ্যাদেশ জারি করা হয়, সংসদে আইন পাস হয় এবং নির্বাচন কমিশনও আচরণবিধি ঘোষণা করে।

বর্তমান সরকারের অধীনে অতীতে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকারব্যবস্থার সব নির্বাচনের নজির খুবই ন্যক্কারজনক এবং একই সঙ্গে ভীতিকরও। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, ভোটারবিহীন, একদলীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে আমাদের যেমন ধারণা ও অভিজ্ঞতা আছে, তেমনি উপজেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ অন্যান্য যেসব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এই সরকারের অধীনে, সে সম্পর্কেও আমরা তিক্ত অভিজ্ঞতায় অভিজ্ঞ। ভোটারবিহীন নজির সৃষ্টিকারী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল পাঁচ দফায়। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলেও বিরোধী দল বিএনপিসহ অন্যান্য দল এতে অংশগ্রহণ করেছিল। এই নির্বাচনটিতেও দলীয় বাহিনীর সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবহারসহ নৈরাজ্যপূর্ণ, তাণ্ডবের এক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছিল। স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়ায় কিছুসংখ্যক মানুষ স্বাভাবিক কারণেই ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়ে কী ভীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন, তাও বোধকরি সবারই মনে আছে। জাতীয় নির্বাচনটি যে সত্যিকার অর্থেই একেবারেই সৃষ্টি ছাড়া খারাপ উদাহরণ সৃষ্টিকারী ঘটনা ছিল, তা আবারও বদ্ধমূলভাবে প্রতিষ্ঠিত করে দেয় উপজেলা নির্বাচন। পরবর্তীকালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনসমূহ আবারও প্রমাণ করে যে, এই সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন তো সম্ভবই নয়, এটা চিন্তা করাও সমীচীন হবে না। কারণ অবাধ, সুষ্ঠু, সব দলের অংশগ্রহণে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠান করা আইনি বিধানসম্মত ও গণতান্ত্রিক চর্চার অন্তর্ভুক্ত ক্ষমতাসীনদের চিন্তা, চেতনা, মনোজগৎসহ সামগ্রিক সংস্কৃতিতে এই বিষয়গুলো আদৌ প্রবহমান ও ক্রিয়াশীল নয়।

ক্ষমতাসীনরা ন্যায্য ও অবাধ নির্বাচনকে তাদের জন্য বিড়ম্বনার বিষয় বলেই মনে করে, এমনটা বিভিন্ন নির্বাচনের মাধ্যমেই প্রমাণিত হয়েছে। সরকার এ কারণেই দলীয় ভিত্তিতে ও প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথটি বেছে নিয়েছে। কারণ ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন ও প্রতীক ব্যবহার করলে, নির্বাচন অনুষ্ঠানের যেসব পূর্বশর্ত থাকে অর্থাৎ প্রার্থীর যোগ্যতা, দল এবং প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা, দক্ষতা, প্রজ্ঞা ও নেতৃত্বের গুণাবলী সর্বোপরি জনপ্রিয়তা- তার আর কোনো প্রয়োজন হবে না। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বারবার উদাহরণ দেওয়া হচ্ছে, যুক্তরাজ্য, ভারতসহ বহু দেশে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় ভিত্তিতে হয়ে থাকে। তাহলে প্রশ্ন উত্থাপন জরুরি যে, ১. যুক্তরাজ্য, ভারতসহ ওই দেশগুলোতে ৫ জানুয়ারির মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতাবিহীন, ভোটারবিহীন, একদলীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় কিনা বা এমন উদাহরণ তাদের যুগ-যুগান্তরের রাজনৈতিক ইতিহাসে রয়েছে কিনা? ২. ওই সব দেশে বিরোধী দল ধ্বংস ও বিনাশ করে একদলীয় শাসন ও এককের সীমাহীন ক্ষমতা সৃষ্টির মাধ্যমে রাজনৈতিক ভারসাম্যহীনতার নজির রয়েছে কিনা? ৩. স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সরকার আদৌ হস্তক্ষেপ করে কিনা? ৪. এমন নির্বাচন কমিশন ওই সব দেশে আছে কিনা? ৫. যেসব দেশের কথা বলা হয়েছে সেসব দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ পুরো প্রশাসন এমন পক্ষপাতদোষে-দুষ্ট কিনা? ৬. ওই সব দেশে বিরোধী পক্ষের কেউ জাতীয় বা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিজয়ী হলে তাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে, গ্রেফতার করে বরখাস্ত করার নজির রয়েছে কিনা? জবাব যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে দেশবাসী সবাই এই সরকারের সঙ্গে সহমত পোষণ করতে রাজি আছে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগেও ক্ষমতাসীনরা বলেছিল, ক্ষমতাসীন দলের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নজির পশ্চিমা দুনিয়াসহ বহু দেশে রয়েছে। তবে বাংলাদেশের নজির তারা ওই সময়ই দেখেছেন।

পৌরসভা নির্বাচনে বিরোধী দল বিএনপি অংশ নেবে এমন সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে বলা যায়। ইতিমধ্যে বিএনপি নিজে বৈঠক করেছে এবং ২০ দলের সঙ্গেও আলোচনা করেছে। এটি বিএনপির পক্ষ থেকে যথাযথ ও বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত তাতে কোনো সন্দেহ নেই। যদি ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের সময়ে রণেভঙ্গ দিয়ে চলে না গিয়ে তারা মাঠে থাকতেন এবং নির্বাচনে অংশ নিতেন তাহলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত।

বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ে পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পক্ষে ইতিবাচক হাওয়া থাকলেও, মামলা-মোকদ্দমা, হয়রানি, নির্যাতন, গ্রেফতারসহ নানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেক গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয় প্রার্থীও নির্বাচনে অংশ নিতে ভয় পাচ্ছেন ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে। তাছাড়া বহু নেতা-কর্মী হয় জেলে রয়েছেন, না হয় মামলা মাথায় নিয়ে গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে পালিয়ে এলাকা ছাড়া অথবা স্থানীয় ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে আপসরফা করে নিশ্চুপ। বিএনপির জন্য দাপটের সঙ্গে নির্বাচন অনুষ্ঠান তো দূরের কথা, প্রার্থী খুঁজে পাওয়াই সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।

স্থানীয় সরকারব্যবস্থার নির্বাচন দলীয় ভিত্তিতে অনুষ্ঠানে ক্ষমতাসীনরা সীমাহীন লাভবান হবে এমনটাই তারা ধারণা করছে। কিন্তু বাস্তবে বিএনপিসহ বিরোধী দল যতটা না ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তারচেয়ে ঢের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে। কারণ এমনিতেই ক্ষমতাসীন দল হিসেবে তাদের মধ্যকার বড় ধরনের অন্তর্দ্বন্দ্ব বিদ্যমান। দলীয় ভিত্তিতে নির্বাচনে এটি আরও প্রকট এবং ভয়াবহ রূপ নেবে। দলের বর্তমানে বিদ্যমান থাকা নানা উপদলীয় সংঘাত, সহিংসতা, কোন্দল ব্যাপকতর হবে। আর এতে দলের ঊর্ধ্বতন পর্যায় থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের সক্রিয়তা থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। সব মিলিয়ে দলের অভ্যন্তরীণ সংকট ও জটিলতা আরও ব্যাপকতর ও প্রকট হবে। কারণ ক্ষমতাসীনদের আগ্রহী প্রার্থীরা মনে করছেন, দলীয় মনোনয়ন পেলেই তিনি নিশ্চিতভাবে নির্বাচিত হবেন। কাজেই পদ-পদবি আর ক্ষমতার কাছাকাছি গিয়ে তা হাতছাড়া করার এমন মানসিকতা অধিকাংশেই দেখাবে, এটা ভাবা ঠিক হবে না। কোন উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে এটা কার্যকর হবে তা ভাবাও উচিত হবে না। কাজেই ক্ষমতার দ্বন্দ্ব-বিবাদ বিস্তৃত হবে ব্যাপকতর। তারা এক দলে থাকলেও আরও অনৈক্য, আরও দ্বন্দ্ব-বিবাদ, সংঘাত ভবিষ্যতে তাদের পিছু ধাওয়া করবে।

এ কথাটি মনে রাখতে হবে, রাজনৈতিক ভারসাম্যহীনতা এবং এ থেকে সৃষ্ট চরম শূন্যতার সময়ে এক দলই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ও সর্বেসর্বা থাকে। সবকিছু নির্ধারিত হয় এক, একক এবং একপক্ষের মাধ্যমেই।  সেখানে অন্য দলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা নেই, কারণ তাদের কোনো প্রতিপক্ষই নেই।  দলীয় ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠান তাই দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে এসব কারণে চরম মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত করার সঙ্গে সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক নৈরাজ্য ও সংকটকে যেমন প্রকটতর করবে, তেমনি এটি প্রলম্বিতও হবে। রাজনৈতিক ভারসাম্যহীনতা ও চরম শূন্যতা ক্ষমতাসীনদের সংঘাত, বিবাদকে নিয়ে যাবে চরম থেকে চরমতম পর্যায়ে।

লেখক : সম্পাদক, আমাদের বুধবারডটকম

এই বিভাগের আরও খবর
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
চেনা যায় সহজেই
চেনা যায় সহজেই
সর্বশেষ খবর
গোবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
গোবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ
জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ

১২ মিনিট আগে | জাতীয়

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন
জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

২৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ
দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ

২৯ মিনিট আগে | জাতীয়

তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

২৯ মিনিট আগে | জাতীয়

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘বিএনপি ক্ষমতায় না এলে ভাত খাব না’ বলা নিজামের পাশে তারেক রহমান
‘বিএনপি ক্ষমতায় না এলে ভাত খাব না’ বলা নিজামের পাশে তারেক রহমান

৩৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গণপিটুনিতে যুবক নিহত
গণপিটুনিতে যুবক নিহত

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘অন্যান্য পেশাজীবীর মতো সাংবাদিকদের পেশাগত লাইসেন্স থাকা দরকার’
‘অন্যান্য পেশাজীবীর মতো সাংবাদিকদের পেশাগত লাইসেন্স থাকা দরকার’

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার
চট্টগ্রামে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার

৪১ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বজ্রপাতে ট্রলি চালকের মৃত্যু
বজ্রপাতে ট্রলি চালকের মৃত্যু

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ইউনিয়নের কমিটি ঘোষণা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ইউনিয়নের কমিটি ঘোষণা

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৫ মে থেকে বাজারে আসবে সাতক্ষীরার আম
৫ মে থেকে বাজারে আসবে সাতক্ষীরার আম

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পুঁজিবাজারে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে
পুঁজিবাজারে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে

৪৬ মিনিট আগে | বাণিজ্য

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ভর্তি ২৯
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ভর্তি ২৯

৫১ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

ভিয়েতনামের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে সিপিবি নেতা হাসান তারিক
ভিয়েতনামের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে সিপিবি নেতা হাসান তারিক

৫২ মিনিট আগে | রাজনীতি

রাখাইনে করিডর নিয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে সরকারের প্রতি সাইফুল হকের আহ্বান
রাখাইনে করিডর নিয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে সরকারের প্রতি সাইফুল হকের আহ্বান

৫৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রামে মৃগী রোগী আছে, পৃথক সেবা নেই
চট্টগ্রামে মৃগী রোগী আছে, পৃথক সেবা নেই

৫৪ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১০০ টাকার জন্য খুন, আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১০০ টাকার জন্য খুন, আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সংযোগ সড়কবিহীন সেতু, ১০ গ্রামবাসীর দুর্ভোগ
সংযোগ সড়কবিহীন সেতু, ১০ গ্রামবাসীর দুর্ভোগ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেশের রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার
দেশের রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় মাসব্যাপী অ্যাথলেটিকস প্রশিক্ষণ
বগুড়ায় মাসব্যাপী অ্যাথলেটিকস প্রশিক্ষণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোবিপ্রবি’তে কর্মকর্তাদের আচরণ ও শৃঙ্খলা বিষয়ক কর্মশালা
গোবিপ্রবি’তে কর্মকর্তাদের আচরণ ও শৃঙ্খলা বিষয়ক কর্মশালা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছাত্রলীগের নির্যাতনের সহযোগী শিক্ষক-কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ
ছাত্রলীগের নির্যাতনের সহযোগী শিক্ষক-কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্র্যাজুয়েশন ডে ২০২৫ উদযাপন
গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্র্যাজুয়েশন ডে ২০২৫ উদযাপন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়ায় ধান চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন
বগুড়ায় ধান চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কলাপাড়ায় বসতবাড়িতে ডাকাতি
কলাপাড়ায় বসতবাড়িতে ডাকাতি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
কাশ্মীর ইস্যু: প্রতিশোধ নিতে সামরিক হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিলেন মোদি
কাশ্মীর ইস্যু: প্রতিশোধ নিতে সামরিক হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিলেন মোদি

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?
‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট
এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’
‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?
চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা
উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’
‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা
আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে পাঠ্যবই থেকে বাদ মোগল-সুলতানি ইতিহাস
ভারতে পাঠ্যবই থেকে বাদ মোগল-সুলতানি ইতিহাস

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘বেগম খালেদা জিয়াকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফেরাতে কাজ করছে সরকার’
‘বেগম খালেদা জিয়াকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফেরাতে কাজ করছে সরকার’

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ
শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস
ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’
‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই
ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প
পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল
বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে
চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম
পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ
প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ

১১ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার
গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো
বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো

পেছনের পৃষ্ঠা

আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত
আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি
আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না
বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে
চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে

পেছনের পৃষ্ঠা

পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড
পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড

নগর জীবন

মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু
মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু

পেছনের পৃষ্ঠা

পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান
পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবিলা নূরের লুকোচুরি...
সাবিলা নূরের লুকোচুরি...

শোবিজ

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ

পেছনের পৃষ্ঠা

বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না
বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না

পেছনের পৃষ্ঠা

অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা
অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক
গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক

দেশগ্রাম

শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা
শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা

সম্পাদকীয়

ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই
ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই

পেছনের পৃষ্ঠা

শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা
শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা

শোবিজ

আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি
আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কে কারিনা
বিতর্কে কারিনা

শোবিজ

শ্রমিকেরাও মানুষ
শ্রমিকেরাও মানুষ

সম্পাদকীয়

মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা
মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা

মাঠে ময়দানে

গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প
গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প

পেছনের পৃষ্ঠা

চম্পা কেন দূরে
চম্পা কেন দূরে

শোবিজ

১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার
১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার

মাঠে ময়দানে

নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে
নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে

শোবিজ

মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে
মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

কী চায় নতুন দলগুলো
কী চায় নতুন দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা
নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা

মাঠে ময়দানে