শিরোনাম
প্রকাশ: ১০:৫১, শনিবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৫

দরজায় কিসের আওয়াজ!

গোলাম মাওলা রনি
অনলাইন ভার্সন
দরজায় কিসের আওয়াজ!

আজকের নিবন্ধটি সরকারের সেই সব কর্তাব্যক্তির জন্য যারা সত্যিকার অর্থেই দেশকে ভালোবাসেন এবং যে কোনো মূল্যে দেশের কল্যাণ সাধন করতে চান। তারা প্রকাশ্যে না হলেও মনে মনে স্বীকার করেন যে, বিগত সাতটি বছরে ঘটে যাওয়া ছোটখাটো সমস্যাগুলো সমাধান না করায় আজ অনেকগুলো মারাত্মক সমস্যা জাতির সামনে চলে এসেছে এবং উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কোনো জারিজুরিই আর কাজে আসছে না। রাখাল বালকের ন্যায় মিথ্যা গল্প এবং অহেতুক মশকরা অথবা সাদ্দাম হোসেনের মতো ছলচাতুরী করে পশ্চিমা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং বন্ধু হওয়ার চেষ্টার ভয়ানক ফলাফল থেকে এই জাতিকে উদ্ধারের জন্য যারা চিন্তাভাবনা করেন আজকের নিবন্ধটি হয়তো তাদের কোনো কাজে লাগলেও লাগতে পারে। আজ থেকে বছরখানেক আগে আমার মনে হতো সরকার যদি দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিয়ে দেয় তাহলে হয়তো দেশ অনেক কিছু থেকে রক্ষা পাবে। তারও এক বছর আগে আমার বারবার মনে হয়েছিল, ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করে সরকার নিজেদের এবং পুরো জাতিকে এমন একটি স্থানে নিয়ে যাবে সেখান থেকে ইচ্ছে করলেও তারা ফিরে আসতে পারবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান রহিত করে সংবিধান সংশোধনের পর আমি বহুবার বলেছি এবং লিখেছি যে, কাজটির ফলাফল ভালো হবে না। এরপরের ঘটনা সবারই জানা। গণতন্ত্রের পক্ষে, নির্বাচনের পক্ষে এবং সরকারের দুর্বলতা নিয়ে কথা বলার জন্য দেশের বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক এবং পশ্চিমা দুনিয়ার সব রাজনৈতিক এবং অরাজনৈতিক শক্তিকে সরকার বিদেয় করার চেষ্টা করেছে। ফলে সরকারের অজান্তে শুরু হয়ে গেছে এক অস্বাভাবিক এবং দুঃসহ পরিস্থিতির।

আপাতদৃষ্টিতে অনেকেই মনে করবেন, দেশের বিরাজমান রাজনৈতিক হানাহানি, সরকারের একগুঁয়েমি, নির্যাতন, বিরোধী দলের অপরিপক্বতা এবং নিষ্ক্রিয়তা, বিনিয়োগে মন্দা, সরকারি ব্যয় বেড়ে যাওয়া— বিপরীতে আয়-রোজগার কমে যাওয়া, ব্যাংকে তারল্য বৃদ্ধি, খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া, বহু আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকি, শেয়ার মার্কেট কেলেঙ্কারি, অর্থনীতিতে কালো টাকার সীমাহীন আধিপত্য, দুর্নীতি, দলীয় ক্যাডারদের আধিপত্য, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ইত্যাদি হলো প্রকৃত সমস্যা। আর এসব সমস্যার উদ্ভব হয়েছে ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে। কাজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়ে গেলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। যারা বাংলাদেশের রাজনীতির উল্লিখিত সহজ সমীকরণে বিশ্বাস করেন আমি তাদের সঙ্গে অতীব সম্মানের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করি। আমার মতে, সরকার যদি আগামীকাল পদত্যাগ করে এবং একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে দেয় সে ক্ষেত্রে পরিস্থিতি বর্তমানের চেয়েও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। কারণ গত দুই-তিন বছরে সরকার জ্বর, সর্দি-কাশি এবং হালকা পেট ব্যথার মতো সাধারণ রোগ-বালাই নিরাময় করতে গিয়ে এমন সব উচ্চমাত্রার ওষুধ প্রয়োগ করেছে যাতে রোগীর শরীরে মরণব্যাধি ক্যান্সার সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে।

আজকের দিনে আমাদের অর্থনীতির অবস্থা ঠিক তদ্রূপ যেমনটি ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে পড়ার পূর্বমুহূর্তে। সরকারি দলের সাংগঠনিক অবস্থা হয়েছে সেসব কাপড়ের মতো যেগুলো আপাতদৃষ্টিতে ভালো মনে হয় কিন্তু সামান্য টান দিলেই ফ্যাত করে ছিঁড়ে যায় এবং সেই কাপড়ের পরিধানকারীকে বিব্রত অবস্থায় ফেলে। দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দল এখন বিছানায় শোয়া রোগীতে পরিণত হয়েছে— অনেকের আবার কুড়িকুষ্টি পর্যন্ত হয়ে গেছে। তাদের সঙ্গে অরাজনৈতিক আচরণ করে করে এমন একটি অবস্থায় পৌঁছানো হয়েছে— যে অবস্থান থেকে কেউ কোনো দিন ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ১৯৫৭ সালের তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলোর যেমন অবস্থা হয়েছিল— বর্তমানের পরিস্থিতি তার চেয়েও মন্দ।

সাম্প্রতিককালে সরকারের প্রধান সমস্যা পশ্চিমা বিশ্ব। এই সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া অসম্ভব। কারণ পশ্চিমারা কোনো দিন ক্ষমা করে না— সমঝোতা করে না কিংবা ছাড় দেয় না। তারা হয় পরাজিত হয় নতুবা প্রতিপক্ষকে পরাজিত করে ছাড়ে। গত ৫০ বছরে তারা যেমন বহু রাষ্ট্র, রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক নেতার সর্বনাশ করে ছেড়েছে তেমনি নিজেরাও অনেকের কাছে বারবার অপমানিত, লাঞ্ছিত এবং অবদমিত হয়েছে। গত সাতটি বছর ধরে বাংলাদেশে সরকার অকারণে পশ্চিমা শক্তিসমূহের সঙ্গে যে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ শুরু করেছে তা সাম্প্রতিক সময়ে এসে কতটা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে তা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যেই স্পষ্ট হয়ে পড়েছে। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে কোনো আইএস নেই— পশ্চিমারা জোর করে এ দেশের ললাটে আইএসের কলঙ্ক লেপন করতে চাচ্ছে।

সরকারকে বুঝতে হবে, তাদের বর্তমান ক্ষমতা, কৌশল, শক্তিমত্তা, দমনপীড়ন প্রভৃতির কাছে দেশের বিরোধী দলগুলো যতটা অসহায় এবং ক্ষমতাহীন তার চেয়েও বেশি করুণ অবস্থায় পড়তে হবে সরকারকে পশ্চিমা ধাক্কা সামলানোর জন্য। বর্তমানে সবাই জানে আইএস, আল-কায়েদা এবং তালেবান কাদের দ্বারা সৃষ্টি হয়েছিল। কীভাবে পশ্চিমারা এসব সংগঠনের মাধ্যমে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে এবং দুনিয়াব্যাপী মানবতার ধ্বংস সাধন করেছে। পশ্চিমাদের রোষানলে পড়ে আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়া এবং সাম্প্রতিককালে সিরিয়ার কি হাল হয়েছে তা বর্তমান জমানার শিশু-কিশোররাও জানে। তারা কাউকে টার্গেট করলে সেই টার্গেট পূরণের অভিলাষ থেকে ফিরে আসে না। বিশ্বব্যাপী তাদের লাখ লাখ এজেন্ট, কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ এবং সর্বাধুনিক অস্ত্র এবং প্রযুক্তির সাহায্যে তারা স্বর্গভূমিকে বধ্যভূমি বানিয়ে ফেলে। গত অর্ধশতাব্দীর ইতিহাসে একমাত্র ইরানই পেরেছে পশ্চিমা বিশ্বকে চমত্কার এবং স্মরণযোগ্য উচিত শিক্ষা দিতে। সরকার যদি দেশ ও জাতিকে আগামী দিনের পশ্চিমা চক্রান্ত থেকে বাঁচাতে চায় তবে আধুনিক ইরানের ইতিহাস থেকে প্রয়োজনীয় শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।

ইরানে ইসলামী বিপ্লব হয়েছিল ১৯৭৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। বিপ্লবের আগে দেশটি শাসন করতেন রেজা শাহ পাহলবি। মাত্র ২০ বছর সময়ের মধ্যে রেজা শাহ ইরানের সর্বক্ষেত্রে সে উন্নয়ন সাধন করেছিলেন তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। তিনি মনে করতেন, যেহেতু তিনি যথেষ্ট উন্নয়ন করছেন এবং জনগণকে একটি আধুনিক জীবনমান উপহার দিয়েছেন সেহেতু জনগণ তার পক্ষে রয়েছে। আয়াতুল্লাহ খোমেনির নেতৃত্বে যে আন্দোলন হচ্ছিল তিনি তা শক্ত হাতে দমন করলেন। আয়াতুল্লাহ দেশ থেকে পালিয়ে ইরাক চলে গেলেন। শাহ ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দামকে অনুরোধ করলেন খোমেনিকে মেরে ফেলার জন্য। কিন্তু সাদ্দাম তার কুকর্মটি শুরু করার আগেই খোমেনি ফ্রান্স চলে গেলেন। এ অবস্থায় পুরো ইরান কয়েক বছর কবরের মতো চুপচাপ হয়ে রইল। জনগণ কিছু বলল না বটে কিন্তু মনে মনে শাহকে প্রবলভাবে ঘৃণা করতে আরম্ভ করল। তারা মনে করল, শাহ হলো ইসলাম ধর্মের শত্রু এবং মার্কিনিদের দালাল। ইরানের মতো ঐতিহ্যবাহী জাতি কোনো পাপিষ্ট দ্বারা শাসিত হতে পারে না। ফলে ১৯৭৮ সালের শেষ দিকে এসে তুচ্ছ কয়েকটি ঘটনা নিয়ে পুরো দেশ অচল হয়ে পড়ল। রাস্তাঘাট বিরোধীদের দখলে চলে গেল। খোমেনি ফ্রান্স থেকে দেশে ফিরে এসে জনগণের নেতৃত্ব গ্রহণ করলেন আর শাহ পালিয়ে গেলেন আমেরিকায়।

উপরোক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারকে গভীর প্রজ্ঞা দিয়ে নিজেদের অবস্থান নির্ণয় করতে হবে। যদি তারা মনে করে যে, জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাস এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ববোধ তাদের অনুকূলে সে ক্ষেত্রে তারা ইরানের ইতিহাসের পরবর্তী অংশ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন। ইরানের বিপ্লবী সরকার ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর বাণিজ্য অবরোধ আরোপ করে এবং তাদের দেশসহ অন্যান্য পশ্চিমা দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে ইরান সরকারের জমাকৃত প্রায় আট বিলিয়ন ডলার আটকে দেয়। এ অবস্থায় ইরানি বিপ্লবের তরুণ নেতৃবৃন্দ তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে জরুরি বৈঠক বসে এবং সিদ্ধান্ত নেয় যে, তেহরানস্থ মার্কিন দূতাবাস আক্রমণ করে সবাইকে জিম্মি করা হবে। ১৯৭৯ সালের ৪ নভেম্বর বিপ্লবী ছাত্ররা তেহরানস্থ মার্কিন দূতাবাস আক্রমণ করে ৫২ জন মার্কিন নাগরিককে জিম্মি করে ফেলে। প্রথমদিকে আয়াতুল্লাহ খোমেনি বিষয়টি জানতেন না। পরে যখন তাকে জানানো হলো— তখন তিনি উদ্ভূত পরিস্থিতিকে দ্বিতীয় বিপ্লব আখ্যা দিয়ে ছাত্রদের সমর্থন দিলেন। সারা দুনিয়া হৈচৈ আরম্ভ করল— হ্যাং করেঙ্গা, ত্যাং করেঙ্গা, লাঠিকো আন্ধার মগুর ভরেঙ্গা ইত্যাদি লম্ফঝম্ফের বিরুদ্ধে ইরানি কর্তৃপক্ষ স্থির ও অবিচল হয়ে পড়ে রইল। ছাত্ররা কয়েকটি দাবি পেশ করল। ১. ফ্রিজকৃত ইরানি অর্থ ফেরত দিতে হবে। ২. যুক্তরাষ্ট্রকে দুটি কারণে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। প্রথমটি হলো— ১৯৫৩ সালে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত ইরানি প্রধানমন্ত্রী মোসাদ্দেককে চক্রান্ত করে ক্ষমতাচ্যুত এবং শাহকে ক্ষমতায় বসানোর কারণে এবং দ্বিতীয়টি হলো সুদীর্ঘকাল ধরে ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর কারণে। ৩. পালিয়ে যাওয়া শাহকে বিচারের জন্য ইরানে ফেরত পাঠাতে হবে।

ঘটনার সময় জিমি কার্টার ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বল প্রয়োগের সর্বচেষ্টা করে ব্যর্থ হলেন এবং তড়িঘড়ি করে ইরানের সব দাবি মেনে নিলেন। কারণ অল্প কদিন পরই ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন। কিন্তু জিমি কার্টারের শেষ রক্ষা হলো না। ক্ষমতায় এলেন রোনাল্ড রিগ্যান। তিনি সর্বতো চেষ্টা শুরু করলেন তার পূর্বসূরির অপমানের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য এবং সুযোগও পেয়ে গেলেন। লেবাননে তখন গৃহযুদ্ধ চলছিল। ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ গেরিলাদের উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য মার্কিনিরা তাদের পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে লেবাননে সৈন্য সমাবেশ করল। আত্মঘাতী বোমা হামলার মাধ্যমে একসঙ্গে ২৪১ জন মার্কিন সেনা এবং ৫৮ জন ফরাসি সৈন্যকে মেরে ফেলা হলো। এ অবস্থায় রিগ্যান প্রশাসন সঙ্গে সঙ্গে লেবানন থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নিল। অন্যদিকে হিজবুল্লাহদের হাতে আটক হওয়া বিপুলসংখ্যক মার্কিন ও ফরাসি সৈন্যদের মুক্ত করার জন্য প্রেসিডেন্ট রিগ্যান এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিতেরার ওপর সে দেশের জনগণ মারাত্মক চাপ প্রয়োগ করল।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট কালবিলম্ব না করে ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করলেন এবং সামরিক সরঞ্জাম এবং যুদ্ধাস্ত্র বিক্রির বিনিময়ে ফরাসি সৈন্যদের মুক্ত করলেন। তিনি যে কারণে এত কিছু করলেন তার সবই জলে গেল। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি পরাজিত হলেন। ক্ষমতায় এলেন জ্যাক শিরাক। অন্যদিকে ইরানি কূটনৈতিক চাপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গোপনে অস্ত্র বিক্রির চুক্তি করে মার্কিন সৈন্যদের ছাড়ানোর ব্যবস্থা করলেন। চুক্তি মোতাবেক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ইসরায়েল তার অস্ত্র ভাণ্ডার থেকে ইরানকে অস্ত্র সরবরাহ করবে এবং পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্র সেই অস্ত্র ইসরায়েলকে প্রদান করবে। দুদফায় পুরো অস্ত্রের চালান বুঝে পাওয়ার পর জিম্মিরা মুক্ত হলো বটে কিন্তু রিগ্যান পড়ে গেলেন মহাবিপদে। ইরানকে অস্ত্র সরবরাহের চুক্তিটি ফাঁস হয়ে গেল যা কন্ট্রা কেলেঙ্কারিরূপে মার্কিন সরকারের প্রাণ ওষ্ঠাগত করে ফেলল।

ইরাক-ইরান যুদ্ধের ঘটনায় মার্কিনিরা আরেকবার ইরানিদের কাছে ধরা খেল। ১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সাদ্দাম হোসেন পশ্চিমাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার লোভে কোনো উসকানি ছাড়াই ইরান আক্রমণ করে বসল। এই আক্রমণের অল্প কয়েক দিন পরই পশ্চিমা গোষ্ঠী ঐক্যবদ্ধভাবে ইরানের বিরুদ্ধে ইরাককে সব রকম সাহায্য প্রদান শুরু করল। প্রথমদিকে ইরান খুব মার খেল। কিন্তু লেবাননের ঘটনার পর মার্কিন এবং ফরাসি অস্ত্র এবং যুদ্ধবিমান লাভ করে ইরান যুদ্ধের গতি-প্রকৃতি পাল্টে দিল। এ অবস্থায় সাদ্দাম যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দিতে বাধ্য হন। একের পর এক পরাজয় এবং বিপর্যয়ে মার্কিন প্রশাসন দিশাহারা হয়ে ইরানিদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাতে থাকে। এ লক্ষ্যে তারা তত্কালীন ইরানি প্রেসিডেন্ট রাফসান জানির কাছে দূত প্রেরণ করেন। জবাবে রাফসান জানি বলেন, যেভাবে কাদা ছোড়াছুড়ি হয়েছে তাতে রাতারাতি কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন হলে ইরানি জনগণ তা মানবে না। তিনি মার্কিন দূতকে সময় নিয়ে ধীরে চলার পরামর্শ দেন এবং সাংস্কৃতিক দল, শিল্পী, সাহিত্যিক এবং খেলোয়াড় বিনিময়ের মাধ্যমে পরিস্থিতি সহনীয় করার কথা বলেন। মার্কিনিরা ইরানি প্রেসিডেন্টের কথায় রাজি হয়ে যায় এবং অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই একদল মার্কিন কুস্তিগিরকে তেহরান পাঠায়।

একদিকে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা এবং অন্যদিকে নানারকম চক্রান্ত, কূটকৌশল অবরোধ ইত্যাদির মাধ্যমে তারা অব্যাহতভাবে ইরানকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করে। তাদের সর্বশেষ দুটি চেষ্টা হলো— আফগানিস্তানের তালেবান এবং আল-কায়েদা দিয়ে ইরানকে বিপদে ফেলা। মার্কিন গোয়েন্দা এবং আল-কায়েদার সম্মিলিত অপারেশনে সাবেক আফগান ভাইস প্রেসিডেন্ট, পানসির উপত্যকার শাসক এবং ইরানিদের দক্ষিণহস্ত জেনারেল আহম্মদ শাহ মাসুদকে মেরে ফেলা হয় ২০০১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর। এ ঘটনার দুদিন পর আল-কায়েদা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ হামলা চালিয়ে টুইন টাওয়ার ধ্বংস করে ফেলে। ঠিক তখনই মার্কিনিদের টনক নড়ে। তারা আফগানিস্তানে শুরু করে নির্বিচার বোমাবর্ষণ। কিন্তু ফলাফল শূন্য। এ অবস্থায় তারা আবার ইরানের দারস্থ হয়। ইরান তাদের অনুগত প্রয়াত আহম্মদ শাহ মাসুদের বাহিনীর সাহায্যে কাবুল দখল করে দেয় এবং হামিদ কারজাইকে জোগাড় করে দেয় মার্কিন তাঁবেদার হওয়ার জন্য।

এত কিছুর পরও যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে তাদের চক্রান্ত বন্ধ করেনি। ইরানের পরমাণু কেন্দ্র নিয়ে সাম্প্রতিক চুক্তি এবং সিরিয়ার আইএসবিরোধী যুদ্ধের হালহকিকত সম্পর্কে কমবেশি সবাই জানেন। এ দুটি ঘটনায় ইরান কীভাবে পশ্চিমা শক্তিসমূহকে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে তা নিয়ে আলোচনা না করে আমরা বরং উপসংহারে চলে যাই। আজ বাংলাদেশের দরজায় আইএস নামের শব্দ তুলে মূলত পশ্চিমারা যে আওয়াজ করছে তা বন্ধ করতে হলে দরকার ইরানের মতো শক্তিশালী কূটনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সাংগঠনিক দক্ষতা। অন্যথায় শুধু সরকার নয়— পুরো জাতিকেই দুর্ভোগ পোহাতে হবে। আশা করি সরকার বাহাদুর দয়া করে তার কানগুলো দরজায় রাখবেন এবং দরজার বাইরের আওয়াজ অনুধাবনের চেষ্টা করবেন এবং বিধি-মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।


লেখক : কলামিস্ট

 

বিডি-প্রতিদিন/ ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৫/ রশিদা

এই বিভাগের আরও খবর
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
চেনা যায় সহজেই
চেনা যায় সহজেই
সর্বশেষ খবর
লুজ পাউডার বনাম প্রেসড পাউডার
লুজ পাউডার বনাম প্রেসড পাউডার

১ সেকেন্ড আগে | জীবন ধারা

জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ
জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ

৪ মিনিট আগে | জাতীয়

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন
জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

১৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ
দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ

২১ মিনিট আগে | জাতীয়

তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

২১ মিনিট আগে | জাতীয়

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ

২৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘বিএনপি ক্ষমতায় না এলে ভাত খাব না’ বলা নিজামের পাশে তারেক রহমান
‘বিএনপি ক্ষমতায় না এলে ভাত খাব না’ বলা নিজামের পাশে তারেক রহমান

২৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গণপিটুনিতে যুবক নিহত
গণপিটুনিতে যুবক নিহত

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘অন্যান্য পেশাজীবীর মতো সাংবাদিকদের পেশাগত লাইসেন্স থাকা দরকার’
‘অন্যান্য পেশাজীবীর মতো সাংবাদিকদের পেশাগত লাইসেন্স থাকা দরকার’

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার
চট্টগ্রামে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার

৩৩ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বজ্রপাতে ট্রলি চালকের মৃত্যু
বজ্রপাতে ট্রলি চালকের মৃত্যু

৩৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ইউনিয়নের কমিটি ঘোষণা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ইউনিয়নের কমিটি ঘোষণা

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৫ মে থেকে বাজারে আসবে সাতক্ষীরার আম
৫ মে থেকে বাজারে আসবে সাতক্ষীরার আম

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পুঁজিবাজারে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে
পুঁজিবাজারে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে

৩৮ মিনিট আগে | বাণিজ্য

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ভর্তি ২৯
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ভর্তি ২৯

৪৩ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

ভিয়েতনামের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে সিপিবি নেতা হাসান তারিক
ভিয়েতনামের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে সিপিবি নেতা হাসান তারিক

৪৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

রাখাইনে করিডর নিয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে সরকারের প্রতি সাইফুল হকের আহ্বান
রাখাইনে করিডর নিয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে সরকারের প্রতি সাইফুল হকের আহ্বান

৪৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রামে মৃগী রোগী আছে, পৃথক সেবা নেই
চট্টগ্রামে মৃগী রোগী আছে, পৃথক সেবা নেই

৪৭ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১০০ টাকার জন্য খুন, আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১০০ টাকার জন্য খুন, আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সংযোগ সড়কবিহীন সেতু, ১০ গ্রামবাসীর দুর্ভোগ
সংযোগ সড়কবিহীন সেতু, ১০ গ্রামবাসীর দুর্ভোগ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেশের রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার
দেশের রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় মাসব্যাপী অ্যাথলেটিকস প্রশিক্ষণ
বগুড়ায় মাসব্যাপী অ্যাথলেটিকস প্রশিক্ষণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোবিপ্রবি’তে কর্মকর্তাদের আচরণ ও শৃঙ্খলা বিষয়ক কর্মশালা
গোবিপ্রবি’তে কর্মকর্তাদের আচরণ ও শৃঙ্খলা বিষয়ক কর্মশালা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছাত্রলীগের নির্যাতনের সহযোগী শিক্ষক-কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ
ছাত্রলীগের নির্যাতনের সহযোগী শিক্ষক-কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্র্যাজুয়েশন ডে ২০২৫ উদযাপন
গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্র্যাজুয়েশন ডে ২০২৫ উদযাপন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়ায় ধান চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন
বগুড়ায় ধান চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কলাপাড়ায় বসতবাড়িতে ডাকাতি
কলাপাড়ায় বসতবাড়িতে ডাকাতি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
কাশ্মীর ইস্যু: প্রতিশোধ নিতে সামরিক হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিলেন মোদি
কাশ্মীর ইস্যু: প্রতিশোধ নিতে সামরিক হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিলেন মোদি

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?
‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট
এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’
‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?
চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা
উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’
‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা
আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে পাঠ্যবই থেকে বাদ মোগল-সুলতানি ইতিহাস
ভারতে পাঠ্যবই থেকে বাদ মোগল-সুলতানি ইতিহাস

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘বেগম খালেদা জিয়াকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফেরাতে কাজ করছে সরকার’
‘বেগম খালেদা জিয়াকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফেরাতে কাজ করছে সরকার’

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ
শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস
ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’
‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই
ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প
পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল
বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে
চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম
পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার
গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ
প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ

১১ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

প্রিন্ট সর্বাধিক
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো
বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো

পেছনের পৃষ্ঠা

আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত
আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি
আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না
বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে
চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে

পেছনের পৃষ্ঠা

পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড
পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড

নগর জীবন

মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু
মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু

পেছনের পৃষ্ঠা

পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান
পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবিলা নূরের লুকোচুরি...
সাবিলা নূরের লুকোচুরি...

শোবিজ

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ

পেছনের পৃষ্ঠা

বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না
বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না

পেছনের পৃষ্ঠা

অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা
অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক
গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক

দেশগ্রাম

ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই
ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই

পেছনের পৃষ্ঠা

শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা
শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা

সম্পাদকীয়

শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা
শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা

শোবিজ

আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি
আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কে কারিনা
বিতর্কে কারিনা

শোবিজ

শ্রমিকেরাও মানুষ
শ্রমিকেরাও মানুষ

সম্পাদকীয়

মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা
মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা

মাঠে ময়দানে

গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প
গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প

পেছনের পৃষ্ঠা

চম্পা কেন দূরে
চম্পা কেন দূরে

শোবিজ

১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার
১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার

মাঠে ময়দানে

নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে
নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে

শোবিজ

মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে
মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

কী চায় নতুন দলগুলো
কী চায় নতুন দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা
নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা

মাঠে ময়দানে