শিরোনাম
প্রকাশ: ১০:৫১, শনিবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৫

দরজায় কিসের আওয়াজ!

গোলাম মাওলা রনি
অনলাইন ভার্সন
দরজায় কিসের আওয়াজ!

আজকের নিবন্ধটি সরকারের সেই সব কর্তাব্যক্তির জন্য যারা সত্যিকার অর্থেই দেশকে ভালোবাসেন এবং যে কোনো মূল্যে দেশের কল্যাণ সাধন করতে চান। তারা প্রকাশ্যে না হলেও মনে মনে স্বীকার করেন যে, বিগত সাতটি বছরে ঘটে যাওয়া ছোটখাটো সমস্যাগুলো সমাধান না করায় আজ অনেকগুলো মারাত্মক সমস্যা জাতির সামনে চলে এসেছে এবং উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কোনো জারিজুরিই আর কাজে আসছে না। রাখাল বালকের ন্যায় মিথ্যা গল্প এবং অহেতুক মশকরা অথবা সাদ্দাম হোসেনের মতো ছলচাতুরী করে পশ্চিমা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং বন্ধু হওয়ার চেষ্টার ভয়ানক ফলাফল থেকে এই জাতিকে উদ্ধারের জন্য যারা চিন্তাভাবনা করেন আজকের নিবন্ধটি হয়তো তাদের কোনো কাজে লাগলেও লাগতে পারে। আজ থেকে বছরখানেক আগে আমার মনে হতো সরকার যদি দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিয়ে দেয় তাহলে হয়তো দেশ অনেক কিছু থেকে রক্ষা পাবে। তারও এক বছর আগে আমার বারবার মনে হয়েছিল, ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করে সরকার নিজেদের এবং পুরো জাতিকে এমন একটি স্থানে নিয়ে যাবে সেখান থেকে ইচ্ছে করলেও তারা ফিরে আসতে পারবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান রহিত করে সংবিধান সংশোধনের পর আমি বহুবার বলেছি এবং লিখেছি যে, কাজটির ফলাফল ভালো হবে না। এরপরের ঘটনা সবারই জানা। গণতন্ত্রের পক্ষে, নির্বাচনের পক্ষে এবং সরকারের দুর্বলতা নিয়ে কথা বলার জন্য দেশের বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক এবং পশ্চিমা দুনিয়ার সব রাজনৈতিক এবং অরাজনৈতিক শক্তিকে সরকার বিদেয় করার চেষ্টা করেছে। ফলে সরকারের অজান্তে শুরু হয়ে গেছে এক অস্বাভাবিক এবং দুঃসহ পরিস্থিতির।

আপাতদৃষ্টিতে অনেকেই মনে করবেন, দেশের বিরাজমান রাজনৈতিক হানাহানি, সরকারের একগুঁয়েমি, নির্যাতন, বিরোধী দলের অপরিপক্বতা এবং নিষ্ক্রিয়তা, বিনিয়োগে মন্দা, সরকারি ব্যয় বেড়ে যাওয়া— বিপরীতে আয়-রোজগার কমে যাওয়া, ব্যাংকে তারল্য বৃদ্ধি, খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া, বহু আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকি, শেয়ার মার্কেট কেলেঙ্কারি, অর্থনীতিতে কালো টাকার সীমাহীন আধিপত্য, দুর্নীতি, দলীয় ক্যাডারদের আধিপত্য, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ইত্যাদি হলো প্রকৃত সমস্যা। আর এসব সমস্যার উদ্ভব হয়েছে ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে। কাজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়ে গেলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। যারা বাংলাদেশের রাজনীতির উল্লিখিত সহজ সমীকরণে বিশ্বাস করেন আমি তাদের সঙ্গে অতীব সম্মানের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করি। আমার মতে, সরকার যদি আগামীকাল পদত্যাগ করে এবং একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে দেয় সে ক্ষেত্রে পরিস্থিতি বর্তমানের চেয়েও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। কারণ গত দুই-তিন বছরে সরকার জ্বর, সর্দি-কাশি এবং হালকা পেট ব্যথার মতো সাধারণ রোগ-বালাই নিরাময় করতে গিয়ে এমন সব উচ্চমাত্রার ওষুধ প্রয়োগ করেছে যাতে রোগীর শরীরে মরণব্যাধি ক্যান্সার সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে।

আজকের দিনে আমাদের অর্থনীতির অবস্থা ঠিক তদ্রূপ যেমনটি ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে পড়ার পূর্বমুহূর্তে। সরকারি দলের সাংগঠনিক অবস্থা হয়েছে সেসব কাপড়ের মতো যেগুলো আপাতদৃষ্টিতে ভালো মনে হয় কিন্তু সামান্য টান দিলেই ফ্যাত করে ছিঁড়ে যায় এবং সেই কাপড়ের পরিধানকারীকে বিব্রত অবস্থায় ফেলে। দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দল এখন বিছানায় শোয়া রোগীতে পরিণত হয়েছে— অনেকের আবার কুড়িকুষ্টি পর্যন্ত হয়ে গেছে। তাদের সঙ্গে অরাজনৈতিক আচরণ করে করে এমন একটি অবস্থায় পৌঁছানো হয়েছে— যে অবস্থান থেকে কেউ কোনো দিন ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ১৯৫৭ সালের তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলোর যেমন অবস্থা হয়েছিল— বর্তমানের পরিস্থিতি তার চেয়েও মন্দ।

সাম্প্রতিককালে সরকারের প্রধান সমস্যা পশ্চিমা বিশ্ব। এই সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া অসম্ভব। কারণ পশ্চিমারা কোনো দিন ক্ষমা করে না— সমঝোতা করে না কিংবা ছাড় দেয় না। তারা হয় পরাজিত হয় নতুবা প্রতিপক্ষকে পরাজিত করে ছাড়ে। গত ৫০ বছরে তারা যেমন বহু রাষ্ট্র, রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক নেতার সর্বনাশ করে ছেড়েছে তেমনি নিজেরাও অনেকের কাছে বারবার অপমানিত, লাঞ্ছিত এবং অবদমিত হয়েছে। গত সাতটি বছর ধরে বাংলাদেশে সরকার অকারণে পশ্চিমা শক্তিসমূহের সঙ্গে যে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ শুরু করেছে তা সাম্প্রতিক সময়ে এসে কতটা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে তা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যেই স্পষ্ট হয়ে পড়েছে। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে কোনো আইএস নেই— পশ্চিমারা জোর করে এ দেশের ললাটে আইএসের কলঙ্ক লেপন করতে চাচ্ছে।

সরকারকে বুঝতে হবে, তাদের বর্তমান ক্ষমতা, কৌশল, শক্তিমত্তা, দমনপীড়ন প্রভৃতির কাছে দেশের বিরোধী দলগুলো যতটা অসহায় এবং ক্ষমতাহীন তার চেয়েও বেশি করুণ অবস্থায় পড়তে হবে সরকারকে পশ্চিমা ধাক্কা সামলানোর জন্য। বর্তমানে সবাই জানে আইএস, আল-কায়েদা এবং তালেবান কাদের দ্বারা সৃষ্টি হয়েছিল। কীভাবে পশ্চিমারা এসব সংগঠনের মাধ্যমে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে এবং দুনিয়াব্যাপী মানবতার ধ্বংস সাধন করেছে। পশ্চিমাদের রোষানলে পড়ে আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়া এবং সাম্প্রতিককালে সিরিয়ার কি হাল হয়েছে তা বর্তমান জমানার শিশু-কিশোররাও জানে। তারা কাউকে টার্গেট করলে সেই টার্গেট পূরণের অভিলাষ থেকে ফিরে আসে না। বিশ্বব্যাপী তাদের লাখ লাখ এজেন্ট, কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ এবং সর্বাধুনিক অস্ত্র এবং প্রযুক্তির সাহায্যে তারা স্বর্গভূমিকে বধ্যভূমি বানিয়ে ফেলে। গত অর্ধশতাব্দীর ইতিহাসে একমাত্র ইরানই পেরেছে পশ্চিমা বিশ্বকে চমত্কার এবং স্মরণযোগ্য উচিত শিক্ষা দিতে। সরকার যদি দেশ ও জাতিকে আগামী দিনের পশ্চিমা চক্রান্ত থেকে বাঁচাতে চায় তবে আধুনিক ইরানের ইতিহাস থেকে প্রয়োজনীয় শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।

ইরানে ইসলামী বিপ্লব হয়েছিল ১৯৭৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। বিপ্লবের আগে দেশটি শাসন করতেন রেজা শাহ পাহলবি। মাত্র ২০ বছর সময়ের মধ্যে রেজা শাহ ইরানের সর্বক্ষেত্রে সে উন্নয়ন সাধন করেছিলেন তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। তিনি মনে করতেন, যেহেতু তিনি যথেষ্ট উন্নয়ন করছেন এবং জনগণকে একটি আধুনিক জীবনমান উপহার দিয়েছেন সেহেতু জনগণ তার পক্ষে রয়েছে। আয়াতুল্লাহ খোমেনির নেতৃত্বে যে আন্দোলন হচ্ছিল তিনি তা শক্ত হাতে দমন করলেন। আয়াতুল্লাহ দেশ থেকে পালিয়ে ইরাক চলে গেলেন। শাহ ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দামকে অনুরোধ করলেন খোমেনিকে মেরে ফেলার জন্য। কিন্তু সাদ্দাম তার কুকর্মটি শুরু করার আগেই খোমেনি ফ্রান্স চলে গেলেন। এ অবস্থায় পুরো ইরান কয়েক বছর কবরের মতো চুপচাপ হয়ে রইল। জনগণ কিছু বলল না বটে কিন্তু মনে মনে শাহকে প্রবলভাবে ঘৃণা করতে আরম্ভ করল। তারা মনে করল, শাহ হলো ইসলাম ধর্মের শত্রু এবং মার্কিনিদের দালাল। ইরানের মতো ঐতিহ্যবাহী জাতি কোনো পাপিষ্ট দ্বারা শাসিত হতে পারে না। ফলে ১৯৭৮ সালের শেষ দিকে এসে তুচ্ছ কয়েকটি ঘটনা নিয়ে পুরো দেশ অচল হয়ে পড়ল। রাস্তাঘাট বিরোধীদের দখলে চলে গেল। খোমেনি ফ্রান্স থেকে দেশে ফিরে এসে জনগণের নেতৃত্ব গ্রহণ করলেন আর শাহ পালিয়ে গেলেন আমেরিকায়।

উপরোক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারকে গভীর প্রজ্ঞা দিয়ে নিজেদের অবস্থান নির্ণয় করতে হবে। যদি তারা মনে করে যে, জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাস এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ববোধ তাদের অনুকূলে সে ক্ষেত্রে তারা ইরানের ইতিহাসের পরবর্তী অংশ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন। ইরানের বিপ্লবী সরকার ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর বাণিজ্য অবরোধ আরোপ করে এবং তাদের দেশসহ অন্যান্য পশ্চিমা দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে ইরান সরকারের জমাকৃত প্রায় আট বিলিয়ন ডলার আটকে দেয়। এ অবস্থায় ইরানি বিপ্লবের তরুণ নেতৃবৃন্দ তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে জরুরি বৈঠক বসে এবং সিদ্ধান্ত নেয় যে, তেহরানস্থ মার্কিন দূতাবাস আক্রমণ করে সবাইকে জিম্মি করা হবে। ১৯৭৯ সালের ৪ নভেম্বর বিপ্লবী ছাত্ররা তেহরানস্থ মার্কিন দূতাবাস আক্রমণ করে ৫২ জন মার্কিন নাগরিককে জিম্মি করে ফেলে। প্রথমদিকে আয়াতুল্লাহ খোমেনি বিষয়টি জানতেন না। পরে যখন তাকে জানানো হলো— তখন তিনি উদ্ভূত পরিস্থিতিকে দ্বিতীয় বিপ্লব আখ্যা দিয়ে ছাত্রদের সমর্থন দিলেন। সারা দুনিয়া হৈচৈ আরম্ভ করল— হ্যাং করেঙ্গা, ত্যাং করেঙ্গা, লাঠিকো আন্ধার মগুর ভরেঙ্গা ইত্যাদি লম্ফঝম্ফের বিরুদ্ধে ইরানি কর্তৃপক্ষ স্থির ও অবিচল হয়ে পড়ে রইল। ছাত্ররা কয়েকটি দাবি পেশ করল। ১. ফ্রিজকৃত ইরানি অর্থ ফেরত দিতে হবে। ২. যুক্তরাষ্ট্রকে দুটি কারণে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। প্রথমটি হলো— ১৯৫৩ সালে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত ইরানি প্রধানমন্ত্রী মোসাদ্দেককে চক্রান্ত করে ক্ষমতাচ্যুত এবং শাহকে ক্ষমতায় বসানোর কারণে এবং দ্বিতীয়টি হলো সুদীর্ঘকাল ধরে ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর কারণে। ৩. পালিয়ে যাওয়া শাহকে বিচারের জন্য ইরানে ফেরত পাঠাতে হবে।

ঘটনার সময় জিমি কার্টার ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বল প্রয়োগের সর্বচেষ্টা করে ব্যর্থ হলেন এবং তড়িঘড়ি করে ইরানের সব দাবি মেনে নিলেন। কারণ অল্প কদিন পরই ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন। কিন্তু জিমি কার্টারের শেষ রক্ষা হলো না। ক্ষমতায় এলেন রোনাল্ড রিগ্যান। তিনি সর্বতো চেষ্টা শুরু করলেন তার পূর্বসূরির অপমানের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য এবং সুযোগও পেয়ে গেলেন। লেবাননে তখন গৃহযুদ্ধ চলছিল। ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ গেরিলাদের উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য মার্কিনিরা তাদের পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে লেবাননে সৈন্য সমাবেশ করল। আত্মঘাতী বোমা হামলার মাধ্যমে একসঙ্গে ২৪১ জন মার্কিন সেনা এবং ৫৮ জন ফরাসি সৈন্যকে মেরে ফেলা হলো। এ অবস্থায় রিগ্যান প্রশাসন সঙ্গে সঙ্গে লেবানন থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নিল। অন্যদিকে হিজবুল্লাহদের হাতে আটক হওয়া বিপুলসংখ্যক মার্কিন ও ফরাসি সৈন্যদের মুক্ত করার জন্য প্রেসিডেন্ট রিগ্যান এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিতেরার ওপর সে দেশের জনগণ মারাত্মক চাপ প্রয়োগ করল।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট কালবিলম্ব না করে ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করলেন এবং সামরিক সরঞ্জাম এবং যুদ্ধাস্ত্র বিক্রির বিনিময়ে ফরাসি সৈন্যদের মুক্ত করলেন। তিনি যে কারণে এত কিছু করলেন তার সবই জলে গেল। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি পরাজিত হলেন। ক্ষমতায় এলেন জ্যাক শিরাক। অন্যদিকে ইরানি কূটনৈতিক চাপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গোপনে অস্ত্র বিক্রির চুক্তি করে মার্কিন সৈন্যদের ছাড়ানোর ব্যবস্থা করলেন। চুক্তি মোতাবেক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ইসরায়েল তার অস্ত্র ভাণ্ডার থেকে ইরানকে অস্ত্র সরবরাহ করবে এবং পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্র সেই অস্ত্র ইসরায়েলকে প্রদান করবে। দুদফায় পুরো অস্ত্রের চালান বুঝে পাওয়ার পর জিম্মিরা মুক্ত হলো বটে কিন্তু রিগ্যান পড়ে গেলেন মহাবিপদে। ইরানকে অস্ত্র সরবরাহের চুক্তিটি ফাঁস হয়ে গেল যা কন্ট্রা কেলেঙ্কারিরূপে মার্কিন সরকারের প্রাণ ওষ্ঠাগত করে ফেলল।

ইরাক-ইরান যুদ্ধের ঘটনায় মার্কিনিরা আরেকবার ইরানিদের কাছে ধরা খেল। ১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সাদ্দাম হোসেন পশ্চিমাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার লোভে কোনো উসকানি ছাড়াই ইরান আক্রমণ করে বসল। এই আক্রমণের অল্প কয়েক দিন পরই পশ্চিমা গোষ্ঠী ঐক্যবদ্ধভাবে ইরানের বিরুদ্ধে ইরাককে সব রকম সাহায্য প্রদান শুরু করল। প্রথমদিকে ইরান খুব মার খেল। কিন্তু লেবাননের ঘটনার পর মার্কিন এবং ফরাসি অস্ত্র এবং যুদ্ধবিমান লাভ করে ইরান যুদ্ধের গতি-প্রকৃতি পাল্টে দিল। এ অবস্থায় সাদ্দাম যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দিতে বাধ্য হন। একের পর এক পরাজয় এবং বিপর্যয়ে মার্কিন প্রশাসন দিশাহারা হয়ে ইরানিদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাতে থাকে। এ লক্ষ্যে তারা তত্কালীন ইরানি প্রেসিডেন্ট রাফসান জানির কাছে দূত প্রেরণ করেন। জবাবে রাফসান জানি বলেন, যেভাবে কাদা ছোড়াছুড়ি হয়েছে তাতে রাতারাতি কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন হলে ইরানি জনগণ তা মানবে না। তিনি মার্কিন দূতকে সময় নিয়ে ধীরে চলার পরামর্শ দেন এবং সাংস্কৃতিক দল, শিল্পী, সাহিত্যিক এবং খেলোয়াড় বিনিময়ের মাধ্যমে পরিস্থিতি সহনীয় করার কথা বলেন। মার্কিনিরা ইরানি প্রেসিডেন্টের কথায় রাজি হয়ে যায় এবং অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই একদল মার্কিন কুস্তিগিরকে তেহরান পাঠায়।

একদিকে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা এবং অন্যদিকে নানারকম চক্রান্ত, কূটকৌশল অবরোধ ইত্যাদির মাধ্যমে তারা অব্যাহতভাবে ইরানকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করে। তাদের সর্বশেষ দুটি চেষ্টা হলো— আফগানিস্তানের তালেবান এবং আল-কায়েদা দিয়ে ইরানকে বিপদে ফেলা। মার্কিন গোয়েন্দা এবং আল-কায়েদার সম্মিলিত অপারেশনে সাবেক আফগান ভাইস প্রেসিডেন্ট, পানসির উপত্যকার শাসক এবং ইরানিদের দক্ষিণহস্ত জেনারেল আহম্মদ শাহ মাসুদকে মেরে ফেলা হয় ২০০১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর। এ ঘটনার দুদিন পর আল-কায়েদা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ হামলা চালিয়ে টুইন টাওয়ার ধ্বংস করে ফেলে। ঠিক তখনই মার্কিনিদের টনক নড়ে। তারা আফগানিস্তানে শুরু করে নির্বিচার বোমাবর্ষণ। কিন্তু ফলাফল শূন্য। এ অবস্থায় তারা আবার ইরানের দারস্থ হয়। ইরান তাদের অনুগত প্রয়াত আহম্মদ শাহ মাসুদের বাহিনীর সাহায্যে কাবুল দখল করে দেয় এবং হামিদ কারজাইকে জোগাড় করে দেয় মার্কিন তাঁবেদার হওয়ার জন্য।

এত কিছুর পরও যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে তাদের চক্রান্ত বন্ধ করেনি। ইরানের পরমাণু কেন্দ্র নিয়ে সাম্প্রতিক চুক্তি এবং সিরিয়ার আইএসবিরোধী যুদ্ধের হালহকিকত সম্পর্কে কমবেশি সবাই জানেন। এ দুটি ঘটনায় ইরান কীভাবে পশ্চিমা শক্তিসমূহকে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে তা নিয়ে আলোচনা না করে আমরা বরং উপসংহারে চলে যাই। আজ বাংলাদেশের দরজায় আইএস নামের শব্দ তুলে মূলত পশ্চিমারা যে আওয়াজ করছে তা বন্ধ করতে হলে দরকার ইরানের মতো শক্তিশালী কূটনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সাংগঠনিক দক্ষতা। অন্যথায় শুধু সরকার নয়— পুরো জাতিকেই দুর্ভোগ পোহাতে হবে। আশা করি সরকার বাহাদুর দয়া করে তার কানগুলো দরজায় রাখবেন এবং দরজার বাইরের আওয়াজ অনুধাবনের চেষ্টা করবেন এবং বিধি-মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।


লেখক : কলামিস্ট

 

বিডি-প্রতিদিন/ ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৫/ রশিদা

এই বিভাগের আরও খবর
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
সর্বশেষ খবর
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চিন্ময়কে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ
চিন্ময়কে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

৪ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১
মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১

৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা
উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা

৯ মিনিট আগে | জাতীয়

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

১০ মিনিট আগে | জাতীয়

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

১২ মিনিট আগে | জাতীয়

নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা
নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা

২০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’
‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’

২৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

২৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বরিশালে দুর্ঘটনায় মুদি দোকানির মৃত্যু
বরিশালে দুর্ঘটনায় মুদি দোকানির মৃত্যু

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সরকার ৫ দেশে নতুন মিশন খুলছে
সরকার ৫ দেশে নতুন মিশন খুলছে

৩৩ মিনিট আগে | জাতীয়

পোশাক শিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ : বিজিএমইএ সভাপতি
পোশাক শিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ : বিজিএমইএ সভাপতি

৩৬ মিনিট আগে | অর্থনীতি

বগুড়ায় পিস্তল ও গুলিসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
বগুড়ায় পিস্তল ও গুলিসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার

৪৭ মিনিট আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় শিয়াল শিকারের অপরাধে জরিমানা
কলাপাড়ায় শিয়াল শিকারের অপরাধে জরিমানা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু
গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির সমন্বয় কমিটি ঘোষণা
বগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির সমন্বয় কমিটি ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশিদের বিদেশে নিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি গঠন
বাংলাদেশিদের বিদেশে নিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি গঠন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড
ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুকুরে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
পুকুরে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সে খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন শুরু
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সে খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন শুরু

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এমপিওভুক্ত এক লাখ পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
এমপিওভুক্ত এক লাখ পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জামালপুরে কৃষক হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার দাবি
জামালপুরে কৃষক হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার দাবি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় গোল্ডকাপের উদ্বোধন
অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় গোল্ডকাপের উদ্বোধন

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা
চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে কিশোরের ডান পা বিচ্ছিন্ন
ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে কিশোরের ডান পা বিচ্ছিন্ন

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মোটরসাইকেল থেকে পড়ে নারীর মৃত্যু
মোটরসাইকেল থেকে পড়ে নারীর মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা
প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বগুড়ায় উন্নয়নের দাবীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান
বগুড়ায় উন্নয়নের দাবীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভয়াবহতা দেখে যা বললেন নেতানিয়াহু
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভয়াবহতা দেখে যা বললেন নেতানিয়াহু

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর
ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে যা বলেছে তুরস্ক, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইরাক
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে যা বলেছে তুরস্ক, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইরাক

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু
‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ভয়ে নেতানিয়াহুর ছেলের বিয়ে স্থগিত
ইরানের ভয়ে নেতানিয়াহুর ছেলের বিয়ে স্থগিত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক

১২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান
নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা
সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রও, ট্রাম্পের ইঙ্গিত
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রও, ট্রাম্পের ইঙ্গিত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন
ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত
ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু, ইসরায়েলে ফের সতর্কতা সাইরেন
ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু, ইসরায়েলে ফের সতর্কতা সাইরেন

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’
‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার
তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৮ ঘণ্টায় ভূপাতিত ৪৪টি ইসরায়েলি ড্রোন ও কোয়াডকপ্টার
৪৮ ঘণ্টায় ভূপাতিত ৪৪টি ইসরায়েলি ড্রোন ও কোয়াডকপ্টার

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা
ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা
নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বৃষ্টি ও তাপপ্রবাহ নিয়ে নতুন বার্তা
বৃষ্টি ও তাপপ্রবাহ নিয়ে নতুন বার্তা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা
দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল শিগগিরই চুক্তিতে আসছে— দাবি ট্রাম্পের
ইরান-ইসরায়েল শিগগিরই চুক্তিতে আসছে— দাবি ট্রাম্পের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি হামলায় ইরানে দুই দিনে নিহত ১২৮
ইসরায়েলি হামলায় ইরানে দুই দিনে নিহত ১২৮

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত
ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
তারেক ফিরছেন দেড় মাসের মধ্যে
তারেক ফিরছেন দেড় মাসের মধ্যে

প্রথম পৃষ্ঠা

ইসরায়েলে ধ্বংসস্তূপ
ইসরায়েলে ধ্বংসস্তূপ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশে নতুন বিপর্যয়ের শঙ্কা
দেশে নতুন বিপর্যয়ের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

আমের ‘ঢলন’ প্রথায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষি
আমের ‘ঢলন’ প্রথায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষি

নগর জীবন

হামজাদের দেখে ভারতীয় দলেও প্রবাসী ফুটবলার
হামজাদের দেখে ভারতীয় দলেও প্রবাসী ফুটবলার

মাঠে ময়দানে

কুশাসক-সুশাসক নির্ণয়ের দাঁড়িপাল্লা
কুশাসক-সুশাসক নির্ণয়ের দাঁড়িপাল্লা

সম্পাদকীয়

নাটক-সিনেমায় অনবদ্য তাসনিয়া ফারিণ
নাটক-সিনেমায় অনবদ্য তাসনিয়া ফারিণ

শোবিজ

সাত বছরে হলো কয়েকটি পিলার
সাত বছরে হলো কয়েকটি পিলার

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মাথায় হাত আলুচাষিদের
মাথায় হাত আলুচাষিদের

নগর জীবন

করোনা ঠেকাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার
করোনা ঠেকাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

এক ঘরে দুই পীর থাকতে পারে না
এক ঘরে দুই পীর থাকতে পারে না

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রোটিয়া ক্রিকেটের মহানায়ক টেম্বা বাভুমা
প্রোটিয়া ক্রিকেটের মহানায়ক টেম্বা বাভুমা

মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ
যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

পাঁচ ইসলামি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে, চাকরি হারাবে না কেউ
পাঁচ ইসলামি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে, চাকরি হারাবে না কেউ

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগ ভোটকে হাস্যরসে পরিণত করে
আওয়ামী লীগ ভোটকে হাস্যরসে পরিণত করে

প্রথম পৃষ্ঠা

এটিএম বুথে কিশোরী ধর্ষণ, পলাতক নিরাপত্তাকর্মী
এটিএম বুথে কিশোরী ধর্ষণ, পলাতক নিরাপত্তাকর্মী

পেছনের পৃষ্ঠা

অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধে নতুন কৌশল
অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধে নতুন কৌশল

পেছনের পৃষ্ঠা

এবার ব্যাংক থেকে ফেরার পথে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই
এবার ব্যাংক থেকে ফেরার পথে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই

প্রথম পৃষ্ঠা

সড়কে তবুও মেয়াদোত্তীর্ণ বাস
সড়কে তবুও মেয়াদোত্তীর্ণ বাস

পেছনের পৃষ্ঠা

ইতিহাস গড়লেন রুকসানা
ইতিহাস গড়লেন রুকসানা

মাঠে ময়দানে

হদিস মেলেনি কোটি টাকার, কেউ হয়নি গ্রেপ্তার
হদিস মেলেনি কোটি টাকার, কেউ হয়নি গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু মারা গেছেন
গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু মারা গেছেন

নগর জীবন

শাহিনের বক্তব্যে তোলপাড় বাফুফে
শাহিনের বক্তব্যে তোলপাড় বাফুফে

মাঠে ময়দানে

বিএনপির কমিটি গঠন না হওয়ায় ক্ষোভ
বিএনপির কমিটি গঠন না হওয়ায় ক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

আলোচনার পর ভোটের তারিখ সরকারের দিকে তাকিয়ে ইসি
আলোচনার পর ভোটের তারিখ সরকারের দিকে তাকিয়ে ইসি

প্রথম পৃষ্ঠা

আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইশরাকের
আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইশরাকের

প্রথম পৃষ্ঠা

সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়
সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

জাতীয় বাজেট ও কৃষি খাত
জাতীয় বাজেট ও কৃষি খাত

সম্পাদকীয়

সরকারি পরিত্যক্ত ভবনে চামড়ার আড়ত, দুর্গন্ধে ভোগান্তি
সরকারি পরিত্যক্ত ভবনে চামড়ার আড়ত, দুর্গন্ধে ভোগান্তি

নগর জীবন