শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:১২, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৫

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী— প্লিজ! দয়া করুন!

গোলাম মাওলা রনি
অনলাইন ভার্সন
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী— প্লিজ! দয়া করুন!

প্রিয় নেত্রী! সালাম ও শুভেচ্ছা। বহু দিন ধরেই আপনাকে একটি কথা বলব বলে মনের মধ্যে শব্দমালা গাঁথার চেষ্টা করছি। কিন্তু কোনো উপলক্ষ পাচ্ছিলাম না। গত ২০ ডিসেম্বর তারিখে পত্রিকায় প্রকাশিত ছোট্ট একটি সংবাদ পাঠ করার পর মনে হলো কথাটি এখন আর না বললেই নয়। নবম সংসদে আপনার দলীয় একজন সংসদ সদস্য হিসেবে আমার জীবনে বিরল কিছু অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ হয়েছিল।  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফেলো হিসেবে দেশে এবং বিদেশে অনেকগুলো সভা-সমিতি এবং সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছিলাম। ফলে স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে এমন অনেকগুলো এনজিও, বিদেশি পার্লামেন্ট, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বিশ্ব সংস্থার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত যোগাযোগ গড়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় আমি, চুমকী আপু এবং পাপিয়া প্রায় এক মাস সুইডিশ পার্লামেন্টে অতিথি হিসেবে সুইডেন ভ্রমণ করি। আইপি ইউর অর্থায়নে আমরা সুইডেনের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, মাতৃমঙ্গল এবং শিশু কল্যাণ নিয়ে ব্যাপকভাবে কাজ করার সুযোগ লাভ করি। সুইডেন থেকে ফেরার পর আমার কেবলই মনে হতে লাগল, স্বাস্থ্য খাতে আমাদের জন্য অবশ্য করণীয় এমনতরো অনেক বিষয় রয়েছে যা আমরা আজ অবধি শুরু করতে পারিনি।

আমাদের দেশের লোকজনের শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা করতে গিয়ে আমার কেন জানি মানুষের অমরত্ব লাভের আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে অতীত-বর্তমানের বিভিন্ন কীর্তি কাহিনী মনের পর্দায় উঁকি-ঝুঁকি দিতে আরম্ভ করল। মহামতী সাইরাস, জুলিয়াস সিজার কিংবা নেপোলিয়ন বোনাপার্টের অমরত্বের রহস্য কি সাগরের ওপর কুড়িমাইল লম্বা একখানা ব্রিজ, প্রবল খরস্রোতা রাইন নদীর ওপর একখানা পুল নির্মাণ কিংবা ফ্রান্সের সম্রাট হওয়ার মধ্যে নিহিত! নাকি অন্য কিছু? ভারতের চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য, অশোক, কিংবা শেরশাহ তাদের কারও কোনো নির্মাণশৈলী আজ আর অবশিষ্ট নেই। আমরা জানি না বনু আমালিক, আদ ও সামুদ জাতির সেসব নেতার নাম সারী পাহাড়ের গা খোদাই করে পেত্রা নগরী নির্মাণ করেছিলেন। চীনের মহাপ্রাচীর, ব্যাবিলনের ঝুলন্ত বাগান, রোডস দ্বীপের মন্দির এবং পিরামিড নির্মাণকারী ফেরাউনদের খোঁজখবর রাখার লোকজনই বা কয়জন আছে তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা প্রয়োজন।

ইতিহাসের অনাদিকালের উপরোক্ত তথ্য-উপাত্ত যদি সত্য হয় তবে এ কথা নিশ্চিত যে, হাতিরঝিল, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, বিদ্যুত্ উত্পাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, মেট্রোরেল, ওভারব্রিজ, লুই কানের নকশা মোতাবেক নতুন সচিবালয় নির্মাণ, পারমাণবিক বিদ্যুত্ কেন্দ্র নির্মাণ, বিস্ময়কর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গড়ে তোলা, দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্প, রেল ও সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি ইত্যাদি কর্মের জন্য আপনি অমরত্ব পাবেন না। মানুষ প্রথাগতভাবেই এসব ভুলে যাবে। কিন্তু আপনার আমলে প্রণীত শিক্ষানীতি, আপনার পৃষ্ঠপোষকতায় পাটের জিনোম আবিষ্কার এবং বাংলাদেশের খাদ্যশস্য উত্পাদন আগামী ৩০-৩৫ বছরের মধ্যে দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে পটুয়াখালী জেলার দশমিনার ভুতুমচরে এশিয়ার বৃহত্তম বীজবর্ধন খামার প্রতিষ্ঠার জন্য আপনি ইতিহাস হয়ে থাকবেন। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী প্রকাশ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, সমুদ্রসীমার বিরোধ নিষ্পত্তি, স্থলসীমানা চুক্তি এবং ছিটমহল বিনিময়ের সফলতার জন্য অনাগত ভবিষ্যত্ যেমন আপনাকে স্মরণ রাখতে বাধ্য হবে তেমনি পুরান ঢাকার নিমতলীর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সবকিছু হারানো দুটো অসহায় মেয়েকে দত্তক গ্রহণ, ধর্ষিত পূর্ণিমাকে নিজের মেয়ের মর্যাদায় লালন-পালনসহ আপনার অনেক গোপন দান-খয়রাত জমিনের বুকে সদগায়ে জারিয়ারূপে কেয়ামত পর্যন্ত আপনার আত্মাকে প্রশান্তি দান করবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! আপনি হয়তো এতক্ষণে আমার প্রতি বেশ বিরক্ত হয়ে উঠেছেন এবং মনে মনে ভাবছেন— নিন্ধকার ধান ভানতে শিবের গীত আরম্ভ করেছে। অন্যদিকে আপনি যদি মনে করেন আপনার দলের একজন সাবেক সংসদ সদস্য তার নেত্রীকে পরামর্শ দিচ্ছে সেক্ষেত্রে দেশের প্রচলিত প্রথামতে আপনার রাগান্বিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ বিদ্যমান রয়েছে। কাজেই আপনাকে পত্র লিখতে গিয়ে আমি অবশ্যই আমার মাত্রাজ্ঞানের সর্বোচ্চ ব্যবহার করার চেষ্টা করব। আমি আপনাকে অনেক কিছু বলার ভরসা পাই— সাহসেরও কোনো অভাব হয় না। আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, প্রজ্ঞা এবং কাজ করার পদ্ধতির কারণেই হয়তো সেই নির্ভরতার জায়গাটুকু আপনি নিজেই সৃষ্টি করেছেন। আপনার সমালোচকদের সবচেয়ে বড় বিপদ হলো— তারা আপনাকে চিনে না, চেনার চেষ্টা করেনি এবং সম্ভবত করবেও না।

অন্য কেউ না জানলেও আমি জানতাম যে, ২০০৯ সাল থেকেই আপনি বিশ্বব্যাংকের টাকা ছাড়াই পদ্মা সেতু নির্মাণের ব্যাপারে দৃঢ় ছিলেন। বিশ্বব্যাংকের দেশীয় এজেন্ট এবং সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা লোকজনের কারণে আপনার যেমন দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হয়েছিল তেমনি ওই সুযোগে বিশ্বব্যাংক নামক পশ্চিমা শক্তির হাতিয়ারটি আমাদের জাতি, রাষ্ট্র ও সরকারকে যাচ্ছেতাইভাবে অপমান করার অপচেষ্টা চালাতে থাকে। নবম পার্লামেন্টের অধীনে গঠিত সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং আমলা সম্পর্কে বহুমুখী অভিযান সর্বমহলে সমালোচিত হতে থাকে। আশার কথা হলো— বর্তমান সরকারে আপনি বলতে গেলে অতীতের অভিযুক্ত প্রায় সবাইকে বাদ দিয়েছেন। দলের সিনিয়র নেতা, মহাজোটের ভিতরকার যোগ্যতম লোকদের মন্ত্রী পরিষদে স্থান দেওয়া এবং ১/১১’র সময়ে সংস্কারবাদী বলে সমালোচিতদের ক্ষমা করার বিষয়ে আপনার শুভার্থীদের দাবির প্রতিও আপনি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করেছেন। আর এ কারণেই আপনাকে কথা বলতে ভরসা পাই—

পত্রের শুরুতেই বলেছিলাম যে, পত্রিকায় একটি সংবাদ আমাকে প্রেরণা জোগাচ্ছে মনের ভিতরকার কথাগুলো অকপটে বলার জন্য। পত্রিকা মারফত জানতে পারলাম যে, সরকার বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো সরকারি খরচে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্যবীমা চালু করেছে। টাঙ্গাইল জেলার একলাখ মানুষকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্বাস্থ্যবীমার অধীন আনতে সরকারের মোট খরচ হবে ১০ কোটি টাকা। অন্যদিকে, জনগণ বীমার আওতায় চিকিত্সা সুবিধা পাবে ৫০০ কোটি টাকার সমমূল্যের। দেশের শীর্ষ একটি বেসরকারি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মাধ্যমে পরিচালিত পাইলট প্রকল্পটি সফল হলে আগামী দিনে হয়তো স্বাস্থ্যবীমার কর্মপরিধি বিস্তৃত হবে।

মাননীয় নেত্রী! আপনার উপরোক্ত উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। আমি মনে করি দেশের স্বাস্থ্যসেবায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন, পরিবর্ধন এবং উন্নয়ন ঘটিয়ে আপনি বাংলাদেশের মানুষের হূদয়ে অমর হয়ে থাকতে পারবেন। আপনার সরকার জনপ্রিয়তা পাবে এবং আপনার শত্রুরা পরাজিত হবে। মিসরে গিয়ে দেখলাম হোসনি মোবারকের রুটি বিতরণ কর্মসূচির জনপ্রিয়তা। সুইডেন আজ নিরাপদ মাতৃত্ব, নিরাপদ গর্ভধারণ ও প্রসব, নবজাতক এবং প্রসূতি মায়ের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য রক্ষায় পৃথিবীর এক নম্বর রোল মডেল। অন্যদিকে, নতুন একটি স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করে তুরস্ক আজ পৃথিবীর এক নম্বর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী দেশ। গত ১০ বছরে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় তুরস্ক তাদের দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণকে যে চিকিত্সাসেবা দিচ্ছে তার গুণগতমান, পদ্ধতিগত শ্রেষ্ঠত্ব, গ্রহণযোগ্যতা, নির্ভরতা এবং জনপ্রিয়তার ধারেকাছেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিংবা উন্নত ইউরোপীয় দেশগুলো পৌঁছতে পারেনি। তামাম দুনিয়ার বুকে আলোড়ন তোলা তুরস্কের ইউনিভার্সেল হেলথ কেয়ার রিফর্ম প্রকল্প এবং হেলথ ট্যুরিজম সম্পর্কে আপনার অধীনস্থ বিভাগের লোকজন কতটুকু ওয়াকিবহাল আছেন তা আপনি জেনে নিলে আমার আজকের পত্র লেখা কিছুটা হলেও সার্থকতা পাবে।

তুরস্কের বর্তমান স্বাস্থ্যনীতি এবং চিকিত্সাসেবা নিয়ে কিছু বলার আগে বলে নিই নীতিটি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের পূর্বাপর প্রেক্ষাপট। দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নাম জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি। ২০০১ সালের ১৪ আগস্ট ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়ের এরদোগান দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার মাত্র এক বছর পরই জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে এবং ক্রমবর্ধমান হারে জনপ্রিয়তা লাভ করতে থাকে। ফলে ২০০২ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মোট ৪টি জাতীয় নির্বাচনে তারা জয়লাভ করার মাধ্যমে তুরস্কের রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সমাজ ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়। দলটি তাদের মূল নীতিতে রক্ষণশীল গণতন্ত্র এবং ইসলামীকরণকে প্রাধান্য দেওয়ায় পুরো পশ্চিমা দুনিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের অনেকগুলো দেশ প্রথম থেকেই মারাত্মক শত্রুতা, অসহযোগিতা, বিরূপ প্রচার-প্রপাগান্ডা শুরু করে দেয়। এ অবস্থায় দলটির নীতিনির্ধারণী ব্যক্তিবর্গ নিজেদের টিকে থাকার জন্য তুর্কি জনগণের আস্থা, সমর্থন এবং ভালোবাসা অর্জনের জন্য উঠেপড়ে লাগেন। তাদের অনেক জনপ্রিয় কর্মের মধ্যে ইউনিভার্সেল হেলথ কেয়ার রিফর্ম এক পরম মহৌষধ হিসেবে তাদের সফলতার স্বর্ণ শিখরে পৌঁছে দেয়।

সম্মানিত প্রধানমন্ত্রী, আপনার সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় করে আপনিও বাংলাদেশের চিকিত্সা ব্যবস্থায় তুর্কি মডেল অনুসরণ করতে পারেন। আপনার সদয় অবগতি এবং পাঠকদের জ্ঞাতার্থে তুরস্কের স্বাস্থ্যসেবার উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় নিম্নে বর্ণনা করা হলো— ১. দেশের ১০ লাখ সামর্থ্যবান লোককে বাধ্যতামূলকভাবে স্বাস্থ্যবীমার অধীন আনা হয়েছে। বীমার সেই অর্থের সঙ্গে সরকারি অনুদান যোগ করে দেশের প্রতিটি নাগরিককে স্বাস্থ্যবীমা প্রদান করা হয়েছে বিনামূল্যে। সরকারি হাসপাতাল এবং সরকার মনোনীত প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে বীমাকৃত রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়। এ ক্ষেত্রে হাসপাতালগুলোর পেছনে সরকারের কোনো খরচ করতে হয় না। তারা রোগীর চিকিত্সা বাবদ বীমা কোম্পানি থেকে যে টাকা পায় তা দিয়েই আনুষঙ্গিক ব্যয় নির্বাহ করে। ফলে প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল নিজেদের অস্তিত্বের স্বার্থে পরস্পরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সেবা প্রদান করে থাকে।

২. সমগ্র দেশে একটি সমন্বিত জরুরি বিভাগ চালু করা হয়েছে। স্থল-নৌ-আকাশ পথের সমন্বয় করে যে কোনো রোগীর টেলিফোন পাওয়ার ২ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে জরুরি সেবার জন্য অ্যাম্বুলেন্স, হেলিকপ্টার, সি প্লেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে। দেশের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের সব রকম যানবাহন এক্ষেত্রে এমনভাবে ব্যবহার করা হয় যেমনটি করা হয় যুদ্ধাবস্থায়। জরুরি অবস্থায় যে কোনো রোগীকে যে কোনো সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গ্রহণ করতে বাধ্য। এমনকি যেসব প্রাইভেট হাসপাতাল বীমাকৃত রোগীদের চিকিত্সার জন্য তালিকাভুক্ত নয় তারাও বিনামূল্যে জরুরি বিভাগের রোগীকে তত্ক্ষণাত্ চিকিত্সাসেবা দিতে বাধ্য। পরবর্তীতে রোগী যদি হাসপাতালের বিল পরিশোধে ব্যর্থ হয় বা অনীহা প্রকাশ করে তবে সরকারি তহবিল থেকে সংশ্লিষ্ট রোগীর চিকিত্সার খরচ পরিশোধ করে দেওয়া হয়।

৩. প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল এবং তালিকাভুক্ত প্রাইভেট হাসপাতালকে বাধ্যতামূলকভাবে হোম সার্ভিস প্রদান করা হয়। যেসব রোগী শয্যাগত এবং হাসপাতালে গিয়ে চিকিত্সা নিতে অপারগ সেসব রোগীর বাড়িতে গিয়ে ডাক্তাররা চিকিত্সাসেবা প্রদান করে থাকেন। কোনো একটি একাকায় যদি অধিক সংখ্যক হোম সার্ভিসযোগ্য রোগী থাকে তবে সেখানকার হাসপাতালটিকে বিশেষ মর্যাদা প্রদান করা হয়।

৪. ডাক্তারদের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট সিস্টেমটি কমন করা হয়েছে। ফোন, ই-মেইল ইত্যাদি আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে পূর্বনির্ধারিত অ্যাপয়েন্টমেন্টের মাধ্যমে রোগী দেখা এবং চিকিত্সাসেবা প্রদান করা হয়। এর বাইরে শুধু জরুরি চিকিত্সা— মাঝামাঝি কোনো তদবির বা প্রভাব প্রতিপত্তির বালাই নেই। জরুরি চিকিত্সাসেবার মতো ইনটেনসিভ কেয়ার সেবাটিও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করা হয় এবং সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি সেবার মতোই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

৫. সরকারের সবচেয়ে বড় সফলতা হলো— তারা দেশের সব ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ এবং মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যে সবাইকে ওষুধ বিক্রি করতে হয়। এ ক্ষেত্রেও সরকার এমনভাবে ওষুধ কোম্পানিগুলোকে ভর্তুকি দেয় যাতে ওষুধের বাজারমূল্য জনসাধারণের ক্রয়সীমার মধ্যে থাকে। দেশি-বিদেশি সব রোগীর জন্যই একই মূল্য প্রযোজ্য। ফলে কম মূল্যে ওষুধ এবং চিকিত্সাসেবার জন্য পৃথিবীর নানা দেশ থেকে লাখ লাখ লোক তুরস্কে আসছেন। সরকার এই আগমনের নাম দিয়েছে হেলথ ট্যুরিজম।

৬. ডাক্তার, নার্স, মিডওয়াইফ এবং হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যেমন নির্ধারিত বেতন-ভাতা রয়েছে তেমনি অতিরিক্ত আয়ের জন্য রয়েছে প্রচুর ইনসেনটিভ, বোনাস এবং পদোন্নতি। সে যত বেশি রোগীর সেবা করতে পারে এবং যে প্রতিষ্ঠান যত বেশি আয় করতে পারে তার ওপর নির্ভর করে সবার ভাগ্য। ফলে একটি সমবায়ের মতো প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক আলাদা একটি ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠেছে।

৭. তুরস্ক সরকার বর্তমানে স্বাস্থ্য খাতে মাথাপিছু ব্যয় করে মাত্র ১০১ ডলার। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় ৫২৬ ডলার। তারা আশা করছে আগামীতে হেলথ ট্যুরিজমের মাধ্যমে রাষ্ট্রের যে আয় হবে তাতে মাথাপিছু ব্যয় দ্বিগুণ করলেও সরকারি তহবিলে কোনো সমস্যা হবে না।

৮. তামাকের বিরুদ্ধে আন্দোলন, নিরাপদ গর্ভধারণ এবং প্রসব, শিশুস্বাস্থ্য, মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশ এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টির জন্য রাষ্ট্র সর্বশক্তি নিয়োগ করে আসছে। উন্নত যন্ত্রপাতি, হাসপাতালের কর্মপরিবেশ এবং চিকিত্সাসেবার মান এমনভাবে সমন্বয় করা হয়েছে যাতে করে রোগীরা শতভাগ নিরাপত্তা ও তৃপ্তি অনুভব করতে পারে। তুরস্ক তাদের দেশের চিকিত্সাসেবা, পদ্ধতি এবং নিয়মনীতির ব্যাপারে এমন একটি পর্যায়ে চলে এসেছে যার জন্য উন্নত দুনিয়া এখন তাদের দেশে তুর্কি মডেল চালু করার জন্য চেষ্টা-তদ্বির আরম্ভ করেছে।

আমার প্রিয় প্রধানমন্ত্রী! আল্লাহ আপনাকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছেন। আপনার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন এবং আপনাকে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত প্রদান করা আমার জন্য ফরজ। এই চিঠির মাধ্যমে আমি কেবল একজন নাগরিকের দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করলাম— আপনার দৃষ্টিতে কোনো ভুলভ্রান্তি হলে ক্ষমা চাচ্ছি। অনেক অনেক দোয়া এবং শুভ কামনা। আমার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ হাফেজ।  আরজ গুজারে— গোলাম মাওলা রনি।

লেখক : কলামিস্ট।

এই বিভাগের আরও খবর
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
সর্বশেষ খবর
লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ
লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা
কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’
‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৩৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের
মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস
লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ
ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা
জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক
ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বোয়ালমারীতে সাপের কামড়ে গৃহবধূর মৃত্যু
বোয়ালমারীতে সাপের কামড়ে গৃহবধূর মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বোলিংয়ে রাবেয়া-ফাহিমার উন্নতি, ব্যাটিংয়ে মোস্তারির
বোলিংয়ে রাবেয়া-ফাহিমার উন্নতি, ব্যাটিংয়ে মোস্তারির

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

কক্সবাজারে দেশীয় অস্ত্রসহ সিএনজি চালক গ্রেফতার
কক্সবাজারে দেশীয় অস্ত্রসহ সিএনজি চালক গ্রেফতার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফরিদপুরে বাসের ধাক্কায় শিক্ষার্থী নিহত
ফরিদপুরে বাসের ধাক্কায় শিক্ষার্থী নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের তিন কাশির সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা জারি
ভারতের তিন কাশির সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা জারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড : আলামত সংগ্রহ করছে সিআইডি
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড : আলামত সংগ্রহ করছে সিআইডি

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’
‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

১১ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর, কিন্তু রয়ে গেছে অনেক প্রশ্ন
গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর, কিন্তু রয়ে গেছে অনেক প্রশ্ন

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন
গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ
শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর
মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা
বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ
রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের
আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বাটা বাংলাদেশের প্রথম নারী এমডি ফারিয়া ইয়াসমিন
বাটা বাংলাদেশের প্রথম নারী এমডি ফারিয়া ইয়াসমিন

২৩ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’
চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক
স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?
কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাবিতে মধ্যরাতে র‍্যাগিং, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৬ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার
জাবিতে মধ্যরাতে র‍্যাগিং, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৬ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার

১৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রিন্ট সর্বাধিক
আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮

নগর জীবন

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ শিকার, আটক ৪৫
নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ শিকার, আটক ৪৫

দেশগ্রাম

শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের
শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের

খবর

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত
মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত

খবর

বিয়ে বাড়িতে পানিতে ডুবে মৃত্যু তিন শিশুর
বিয়ে বাড়িতে পানিতে ডুবে মৃত্যু তিন শিশুর

দেশগ্রাম

ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন
ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন

নগর জীবন

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

আমার বন্ধু হাসান হাফিজ
আমার বন্ধু হাসান হাফিজ

সম্পাদকীয়

জমি নিয়ে বিরোধে কুপিয়ে হত্যা
জমি নিয়ে বিরোধে কুপিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা