৩ জুলাই, ২০২০ ২৩:১৬

দেশের মেধাবী সন্তান ড. আসিফ বিদেশের নিরাপদ জীবন নেয়নি এটা অপরাধ?

পীর হাবিবুর রহমান

দেশের মেধাবী সন্তান ড. আসিফ বিদেশের নিরাপদ জীবন নেয়নি এটা অপরাধ?

পীর হাবিবুর রহমান

বায়োটেকের গবেষক ড. আসিফ মাহমুদ করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়ে আমাদের গর্বিত করেছে। পৃথিবীর উন্নত কত ধনবান দেশ দাবি করেও এখনো দিতে পারেনি। আমাদের সোনার ছেলে আসিফ সফল হলে দেশের গর্বই নয় ইতিহাস হবে পৃথিবীর বুকে।

নটরডেম কলেজের মেধাবী তরুণ আসিফ আইডিয়াল স্কুল থেকে এসএসসিতে ঢাকা বিভাগে মেধা তালিকায় ৭ম হয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইক্রোবায়োলজিতে অনার্সে প্রথম শ্রেণিতে তৃতীয়, এমএসসিতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়েছিল। জাপানের নাম করা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছে। মানুষের কঠিন দুঃসময়ে তার এই চেষ্টা মানবতার দায়বদ্ধতাই দেখায় না গভীর দেশ প্রেমের পরিচয় দেয়। তার আবেগ অনুভূতি আমার হৃদয় স্পর্শ করেছে।

যারা তার উদ্যোগ নিয়ে বিদ্রুপ করছেন তাদের জন্য চরম করুনা হচ্ছে। কেনো করছেন?
দেশের গরীব জনগণের টাকায় বুয়েটে, মেডিকেলে পড়াশোনা করে অনেক অনেক প্রকৌশলী, ডাক্তার জীবিকার তাগিদে যেভাবে বিদেশে বসতি গড়েছে তাতে তাদের স্বার্থপরতাই বড় করেছে। তাদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন আছে।

ড. আসিফ চরম স্বার্থপর হয়নি, বিদেশের নিরাপদ জীবন নেয়নি, দেশপ্রেমে কাজ করছে এটা অন্যায়? এবার বিসিএসে দেখুন ডাক্তার হয়ে মেয়েটি কূটনীতিক হয়েছে। ময়মনসিংহে যাকে করোনায় অপমান অবেহেলা করেছেন সেই ডাক্তার মেয়েটিও প্রশাসন ক্যাডারে চলে গেছে। কেনো যাচ্ছে? কারণ সরকারি ডাক্তার প্রকৌশলীর চেয়ে আমলাদের দাপটে নত হওয়া স্বভাব আমাদের। মানবতার সেবকরা দিনরাত খাটলেও অপমান অসম্মান তাই। একদল সরকারি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, প্রকৌশলী, পাবলিক সার্ভেন্ট দুর্নীতি করেন। তাই বলে সবাই নন। কিন্তু আমাদের সমাজ নষ্ট, মানসিক রুচির অবক্ষয়ে জ্ঞান মেধা সৃজনশীলতা মুগ্ধ করে না, তথাকথিত ক্ষমতা নত করে একজন ওসি, বা একজন ইউএনও'র বারান্দায় বসে থাকা আনন্দের, জাতির মেধাবী সন্তানকে সম্মান দানে সুখ নেই!

দেশের সোনার ছেলে ড. আসিফকে নিয়ে আসুন গর্ব করি, অভিবাদন জানাই। সে আমাদের ভাই, আমাদের সন্তান। জনগণের সাথে বেঈমানি করেনি। দেশপ্রেমের প্রমাণ দিয়েছে। সে জয়ী হলে আমরাই জয়ী হবো। দেশের মেধাবী সন্তানদের দেশের জন্য ধরে রাখতে হলে যোগ্য সৎ দেশপ্রেমিকদের সম্মান মর্যাদা দিতে হয়। আসিফ এখনো জয়ের পথে, সফল না হলেও দুঃখ নেই। সে লড়াই করেছে।

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন 

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

সর্বশেষ খবর