ভূমধ্যসাগরে কয়েকশ' অভিবাসী নিয়ে ডুবে যাওয়া নৌযান থেকে জীবিত উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি যাত্রীর বর্ণনায় জানা গেছে গত শনিবার স্থানীয় সময় মধ্যরাতে কেমন করে ডুবে যায় নৌযানটি।
ইতালির গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, জীবিত উদ্ধার হওয়া ওই বাংলাদেশিকে হেলিকপ্টারে করে উদ্ধার করে এনে সিসিলি দ্বীপের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, নৌযানটিতে সাড়ে নয়শ' আরোহী ছিল। ঘটনার সময় তাদের অনেকেই নৌযানটির মালামাল রাখার জায়গায় তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল। ওই বাংলাদেশি জানিয়েছেন, নৌযানটি লিবিয়া থেকে যাত্রা শুরুর সময় এর মালামাল রাখার জায়গাতেই প্রায় ৩০০ অভিবাসী ছিল। সেখানে তাদের তালাবদ্ধ করে রাখে পাচারকারীরা। আর সব মিলিয়ে নৌযানটির সাড়ে নয়শ' আরোহীর মধ্যে ২০০ জন নারীর পাশাপাশি বেশ কয়েকটি শিশুও ছিল।
বাংলাদেশি ওই অভিবাসীর কাছ থেকে রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলিরা জানতে পেরেছেন, লোকে ঠাসা নৌযানটি দুদিন ধরে সাগরে মোটামুটি ঠিকঠাক ভাসলেও শনিবার মধ্যরাতে পাশ দিয়ে একটি বাণিজ্যিক জাহাজ যাওয়ার সময় বিপত্তি ঘটে। কারণ জাহাজটিকে দেখামাত্রই লোকজন নৌযানটির একপাশে ভিড় করে। এতে কাত হয়ে গিয়ে ডুবতে শুরু করে সেটি। এ সময় অনেকে বাঁচার আশায় সাগরে ঝাঁপ দেয়। এতে তাদের বাঁচার আশা আরও ক্ষীণ হয়ে পড়ে।
নৌযানটিতে বাংলাদেশি ছাড়াও আলজেরিয়া, মিসর, সোমালিয়া, নাইজার, সেনেগাল, মালি, জাম্বিয়া ও ঘানার নাগরিক ছিল। ওই বাংলাদেশি বা অন্য কারও নাম-পরিচয়ের ব্যাপারে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি গণমাধ্যমে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২১ এপ্রিল, ২০১৫/ রশিদা