বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলার বিষয়টি স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং জাতিসংঘের দৈনন্দিন প্রেস ব্রিফিংয়ে স্থান পেয়েছে।
২০ এপ্রিল শনিবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রেস ব্রিফিংকালে জনৈক সংবাদদাতা প্রশ্ন করেছিলেন যে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় সিটি কর্পোরেশনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ভোট প্রার্থনার সময় বিরোধী দল বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং এহেন ভয়ংকর পরিস্থিতির প্রতিবাদে বিএনপি হরতাল ডেকেছে। এ ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোন পর্যবেক্ষণ রয়েছে কিনা।
জবাবে স্টেট ডিপার্টমেন্টের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র ম্যারী হার্ফ বলেছেন যে, তিনি এখন পর্যন্ত কিছুই জানেন না। বিষয়টি জানার চেষ্টা করবেন। এ সময় আরেক প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয় যে, এমন পরিস্থিতির মধ্যেই বেগম খালেদা জিয়ার বাসা থেকে পুলিশ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় স্টেট ডিপার্টমেন্টের কোন বক্তব্য রয়েছে কিনা। জবাবে একইকথা বলেন মুখপাত্র। তিনি বলেছেন, আমি সংশ্লিষ্ট কাছে থেকে বিষয়টি জেনে নেয়ার চেষ্টা করবো।
জাতিসংঘ সদর দফতরে একইদিন দুপুরে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংকালে জনৈক সংবাদদাতা একই প্রসঙ্গের অবতারণা করে এধরনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জাতিসংঘের কোন ভূমিকা রয়েছে কিনা জানতে চান। জবাবে মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফ্যানি ডুজারিক বলেছেন, 'আমি অবশ্যই বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নেব এবং দেখি সেখানে কী ঘটছে।
এদিকে বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলার প্রতিবাদ এবং এহেন অপকর্মে লিপ্তদের কঠোর শাস্তি দাবিতে ২০ এপ্রিল সোমবার রাতে নিউইয়র্কে বৃহত্তর ঢাকা জাতীয়তাবাদি ফোরামের উদ্যোগে এক সমাবেশ হয়। ঢাকা দক্ষিণ এবং উত্তরের মেয়র পদে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে পূর্বঘোষিত সমাবেশটি প্রতিবাদ সমাবেশে পরিণত হয়।
জ্যাকসন হাইটসে ফুডকোর্ট মিলনায়তনের এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন হোস্ট সংগঠনের প্রধান আজহারুল হক মিলন। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সহসভাপতি গিয়াস আহমেদ, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক এম এ বাতিন, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রদলের সভাপতি আতাউর রহমান আতা, সেক্রেটারি মাজহারুল ইসলাম জনি, বাংলাদেশ সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, বিএনপি নেতা ওয়েস আহমেদ আব্দুল করিম, মনিরুজ্জামান বিল্লাল, জাহাঙ্গির সোহরাওয়ার্দি, মাইনুল ইসলাম মুহিত প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/ ২১ এপ্রিল ১৫/ সালাহ উদ্দীন