একটা সময় আমি খুব আনকুথ ছিলাম। দেশে শাড়ি আর সালোয়ার কামিজ পরতাম। ইউরোপে যেতে হবে, এবার কী করি। ওসব দেশী পোশাকে তো চলবে না। তাছাড়া ইউরোপ খুব ঠাণ্ডা। শালে আর পাতলা সোয়েটারে ওই শীত মানবে না। নিজে যে কিছু গরম কাপড়-চোপড় বানিয়ে নেবো বা কিনে নেবো, তা মাথায় আসেনি। আমি আমার ন'বছরের বড় ছোটদার কাছে তার কিছু সার্ট প্যান্ট কোট চাইলাম। সে দিব্যি তার পুরোনো আর বেঢপ কিছু কাপড় আমাকে দিয়ে দিলো, যেগুলো সেও হয়তো পরে না। আর ওই উদ্ভট, বেসাইজ, রংচটা, আদিম কাপড়ই হয়ে উঠলো বিদেশে আমার সম্পদ।
তখন আমাকে ইউরোপের প্রধানমন্ত্রীরা নেমন্তন্ন করেন, প্রেসিডেন্ট আমার অনারে অফিসিয়াল ডিনার পার্টি দেন, এমন অবস্থা। আমি তো ওসব পরেই যাই। আমার যে হাতে কোনও টাকা ছিল না, তা নয়। সার্ট প্যান্ট থাকতে আবার সার্ট প্যান্ট কেনার কোনও যুক্তি আমি দেখিনি বলেই কিনিনি। ছেলেদের আর মেয়েদের সার্ট আর কোটে যে তফাৎ আছে, তাও আমি জানতাম না। আমি যে এখনও আনকুথ নই, তা নিশ্চিত করে বলতে পারবো না।