জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস সেন্টারে ১১ মে সোমবার শুরু হয়েছে 'গ্লোবাল সামিট অন হেলথ-টেকনোলজি-এডুকেশন : ফাইন্ডিং এফোর্ডেবল সল্যুশন্স ফর আর্জেন্ট সোস্যাল এন্ড হিউম্যান প্রবলেমস' শীর্ষক ৩দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন।
ড. মুহম্মদ ইউনূসের চিন্তা-চেতনার আলোকে দারিদ্র্য জনগোষ্ঠির জন্যে উপযোগী চিকিৎসা সেবা নিয়ে সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণের জন্যে এ সম্মেলনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসের পরামর্শে তার নেতৃত্বাধীন 'ইউনূস ক্রিয়েটিভ ল্যাব' নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী অলাভজনক সংস্থার ব্যানারে। প্রস্তুতিও ছিল সেভাবেই। কিন্তু মাঝপথে এই 'ইউনূস ক্রিয়েটিভ ল্যাব'র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী ভূইয়ার কিছু কার্যকলাপ নিয়ে আটলান্টা সিটি মেয়র কাসিম রীড প্রকাশ্যে অভিযোগ উত্থাপন করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশী-আমেরিকান মোহাম্মদ আলী ভূঁইয়া স্থানীয় মিডিয়ায় ড. ইউনূসের নামে একটি বিবৃতি বিতরণ করেন-যা জানতে পেরে বিরক্তি প্রকাশ করেন ড. ইউনূস এবং এক পর্যায়ে এই সংস্থার চেয়ারম্যান পদসহ সকল পর্যায়ের সম্পর্ক থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করার ঘোষণা দেন ড. ইউনূস।
গত মাসের শেষার্ধে পদত্যাগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার কথা মিডিয়াকে জানান নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস। অথচ ড. মুহম্মদ ইউনূসের নাম দেখেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী বিভিন্ন সংস্থা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই সম্মেলনে যুক্ত হয় এবং ফি প্রদানের মাধ্যমে ৩ শতাধিক ব্যক্তি নাম তালিকাভুক্ত করেন। বেশ কটি সংস্থা স্পন্সর হিসেবেও সম্মেলনের পাশে দাঁড়ায়। সকলেই উপস্থিত হয়েছেন সম্মেলন কেন্দ্রে। সকলেই কৌতুহলী দৃষ্টি নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন উদ্বোধনের আগ পর্যন্ত। কিন্তু হতাশ হতে হয় সকলকে। প্রধান ব্যক্তি আসছেন না-এ তথ্য আগে জানানো হয়নি রেজিস্ট্রেশনকারীদের। এমনকি এই সম্মেলনের সাংগঠনিক কমিটির সদস্যরাও জানতে পারেননি মোহাম্মদ আলী ভূইয়ার কাছে থেকে।
সাংগঠনিক কমিটির অন্যতম সদস্য ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ বিষয়টি জানতে সক্ষম হন ঢাকায় ড. ইউনূসের সাথে যোগাযোগ করে। তবুও জিয়াউদ্দিন থেমে থাকেননি। কারণ, সম্মেলনে আসার জন্যে ব্যক্তিগত কানেকশন কাজে লাগিয়ে তিনিও অনেককে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সকলেই এসেছেন এবং সকলকে এক প্ল্যাটফরমে রেখে মানবতার সেবায় নবউদ্যমে কাজ শুরুর সংকল্প ব্যক্ত করেন ফিলাডেলফিয়ায় বসবাসরত সমাজকর্মী ডা. জিয়াউদ্দিন।