পিপলএনটেকের মাধ্যমে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ৬ মাসে মার্কিন আইটি সেক্টরে ২১০ বাংলাদেশি উচ্চ বেতনে চাকরি পেয়েছেন। গত এক দশকে জ্ঞান, দক্ষতা ও কর্পোরেট পরিবেশ সম্পর্কে প্রশিক্ষিত চার হাজার জনকে আইটি সেক্টরে চাকুরির ব্যবস্থা করেছে এ প্রতিষ্ঠান। আর এভাবেই স্বপ্নের দেশে আগত বাংলাদেশিদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরন্তর সহযোগী হিসেবে নির্ভরতার সঙ্গে পাশে রয়েছে পিপলএনটেক।
বাংলাদেশ থেকে বিভিন্নভাবে যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর যে সব উচ্চ শিক্ষিত এবং উদ্যমী প্রবাসী অডজব করতে করতে এক ধরনের হতাশায় নিপতিত হয়েছিলেন তাদের জীবন-ধারা পাল্টে দিতে পিপলএনটেক নিয়ামক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার আবু হানিপ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের স্বপ্নের উন্নত জীবন গড়া এবং স্বদেশ উন্নয়নের অংশিদার হবার লক্ষ সামনে রেখে একনিষ্ঠতার সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে পিপলএনটেক। এজন্য উন্নত পেশার প্রফেশনাল আইটি কোর্সে প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিসহ সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। নবাগতদের মধ্যে যাদের আর্থিক সমস্যা রয়েছে তাদের জন্যে রয়েছে স্কলারশিপসহ কিস্তির ব্যবস্থা। চাকরি লাভের পরও ফি পরিশোধের সুযোগ রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানে। ভার্জিনিয়া, নিউজার্সি, নিউইয়র্ক প্রভৃতি স্থানে পিপলএনটেকের ক্যাম্পাস রয়েছে। এর বাইরে রয়েছে অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা। ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, এশিয়ার অনেক দেশ থেকে উদ্যমীরা অনলাইটেন পিপলএনটেকের লেসন নিচ্ছেন এবং ইতোমধ্যেই অনেকে চাকরিও পেয়েছেন।
পিপলএনটেক-এর লক্ষ্য হচ্ছে, তরুণ প্রজন্মকে তথ্য প্রযুক্তির প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা যেন সেই তরুণরা জীবনকে যেমনি অতিদ্রুত বদলে দিতে পারে, তেমনি দেশ হবে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী। সেই ধারাবাহিকতায় অদূর ভবিষ্যতে এই সেক্টরটি হবে জাতীয় অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। তাই স্বদেশের জনশক্তিকে দক্ষ জনসম্পদে পরিণত করা এবং জাতীয় উন্নয়নের অংশিদারিত্বের লক্ষ্য নিয়ে পিপলএনটেক নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এটি হচ্ছে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধনে তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষার এক অনবদ্য প্রতিষ্ঠান।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর প্রতিটি থেকে প্রতি বছর একজন করে পিপলএনটেকের কোর্স নিতে পারছেন বিনা ফি-তে। এ প্রক্রিয়ায় প্রতিবছর ৫০০ জনকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এর ফলেও বিপুলসংখ্যক প্রবাসী উপকৃত হচ্ছেন। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান থেকে কম্যুনিটির পিছিয়ে থাকা লোকজনকে উচ্চ বেতনে চাকরির পথ সুগম করে দেয়ার ক্ষেত্রে পিপলএনটেকের এ কর্মসূচি সকলের প্রশংসা পাচ্ছে। এ কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হতে ন্যূনতম ব্যাচেলর ডিগ্রি থাকতে হয়। ইংরেজী জানতে হয় এবং কম্প্যুটারের মৌলিক জ্ঞান লাগে। পাশাপাশি আগ্রহীদের অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের বৈধ কাগজ থাকতে হয়। এরপর পিপলএনটেকের মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। চলতি বছরের কোর্সে ফ্রি সুযোগ নিতে আগ্রহীদের সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি এবং সেক্রেটারির সুপারিশে আবেদন করতে হবে ১৪ আগস্টের মধ্যে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০১ জুলাই, ২০১৫/ রশিদা