যারা মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ‘কটাক্ষ’ করছেন, তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐকমত্য গড়ে তোলার জন্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রবাসের মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিতরা। সরকারের দুই বছর পূর্তিতে জাতির উদ্দেশ্যে ১২ জানুয়ারি নিউইয়র্ক সময় সকাল সাড়ে ৯টায় প্রদত্ত এক ভাষণে শেখ হাসিনা বলেছেন, “মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কারও কোনো কটাক্ষ সহ্য করা হবে না। এদের বিরুদ্ধে ঐকমত্য গড়ে তুলুন। আমরা আপনাদের পাশে আছি”।
বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই তাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে কোনো সমালোচনা অথবা কটাক্ষ সহ্য করা হয় না। এজন্যে যথাযথ আইনও রয়েছে। বাংলাদেশে অবিলম্বে সে ধরনের আইন করার জন্যে জাতীয় সংসদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন প্রবাসের মুক্তিযোদ্ধারা।
বিবৃতি প্রদানকারীদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক ড. এম এ বাতেন, সদস্য-সচিব মশিউল আলম জগলু, মুক্তিযোদ্ধা ও বিজ্ঞানী ড. নূরন্নবী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার নূরনবী, জেনোসাইড একাত্তর ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন ড. প্রদীপ রঞ্জন কর, যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা যুবকমান্ডের সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী এবং সেক্রেটারি শাহীন ইবনে দিলওয়ার, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সভানেত্রী মোর্শেদা জামান এবং সেক্রেটারি আব্দুর রহমান মামুন, যুক্তরাষ্ট্র সম্মিলিত পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের নেতা আশরাফুজ্জামান, ফ্লোরিডাস্থ বাই ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট আতিকুর রহমান, ওয়াশিংটন ডিসিতে বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিক হারুন চৌধুরী, ফিলাডেলফিয়ায় বসবাসরত বীর প্রতিক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের, বোস্টনস্থ আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ চৌধুরী এবং এই সংগঠনের সেক্রেটারি ইকবাল ইউসুফ প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৪ জানুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা