৯ এপ্রিল, ২০১৬ ১১:০০

আগামী বছর ঢাকায় অর্থনীতি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন

নিউইয়র্ক থেকে এনআরবি নিউজ:

আগামী বছর ঢাকায় অর্থনীতি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন

তৈরি পোশাক এবং রিয়েল এস্টেট সেক্টরের মত রিটেইল সেক্টরের সম্ভাবনাকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে আগামী বছর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ‘ব্যবসা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন’।  গত ৪ ও ৫ এপ্রিল নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্তের উদ্ধৃতি দিয়ে গতকাল শুক্রবার এ তথ্য জানান সম্মেলনের হোস্ট যুক্তরাজ্যস্থ ‘একাডেমি অব বিজনেস অ্যান্ড রিটেইল ম্যানেজমেন্ট’র নির্বাহী চেয়ার ড. পি আর দত্ত । এ সময় আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনের কো-হোস্ট ‘জার্নাল অব বিজনেস অ্যান্ড রিটেইল ম্যানেজমেন্ট রিসার্চ’র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

ড. দত্ত জানান, ‘বাংলাদেশসহ এশিয়া এবং আফ্রিকার অনেক দেশে মানব কল্যাণমূলক নতুন নতুন বিষয়ে গবেষণা চলছে। মেধাবীদের এসব গবেষণা কর্ম খুব কম সময়েই আন্তর্জাতিক মূলধারায় উঠে আসে। এরফলে গবেষকরা যেমন উৎসাহ হারান, ঠিক তেমনি সংশ্লিষ্ট দেশসহ গোটা বিশ্বের মানবতা বঞ্চিত হন এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে গবেষণালব্ধ ফলাফলকে অনুসরণ করতে। শুধু তাই নয়, ব্যক্তি অথবা বেসরকারি উদ্যোগে মানবতার কল্যাণকর বিষয়গুলোও সমৃদ্ধি পায় না অনেক সময়েই। এসব নানাদিক বিবেচনায় রেখে উন্নত বিশ্বের তুলনায় পিছিয়ে থাকা বিশ্বের গবেষণা-কর্মকেণ্ডের ব্যাপক পরিচিতির লক্ষ্যে ১০ বছর আগে লন্ডনে প্রতিষ্ঠিত ‘দ্য একাডেমি অব বিজনেস এ্যান্ড রিটেইল ম্যানেজমেন্ট’ (এবিআরএম) এর কার্যক্রম এখন ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।’  

সে আলোকেই ৪ ও ৫ এপ্রিল অর্থাৎ সোম ও মঙ্গলবার নিউইয়র্ক সিটির জ্যামাইকায় ক্রাউন প্লাজা হোটেলে অনুষ্ঠিত হলো ‘পঞ্চম ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন বিজনেস এ্যান্ড ইকনোমিক ডেভেলপমেন্ট’ (সিবিইডি)। বাংলাদেশ, কানাডা, ভারত, থাইল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, আযারবাইজান, মধ্যপ্রাচ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যসহ ২২ দেশের শ’ খানেক গবেষক, অধ্যাপক এবং সমাজ পরিবর্তনের কর্মকাণ্ডে খ্যাতি অর্জনকারীরা এতে অংশ নেন। নিজ নিজ দেশের আলোকে বিদ্যমান কর্মকাণ্ড এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার প্রভাব ইত্যাদি নিয়ে শিক্ষা ও গবেষণামূলক বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়। একইসাথে মানবতার সার্বিক কল্যাণে ব্যবসা-বানিজ্যের অবদানকে আরো বিস্তৃত করার অভিপ্রায়ে বিভিন্ন দেশের গবেষণার সমন্বয়ে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক জার্নাল নিয়েও আলোচনা হয়। 

ড. দত্ত বলেন, ‘সামনের বছর ঢাকায় যে সম্মেলনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সেখানে মূলত বাংলাদেশের রিটেইল সেক্টরের উপর আলোচনা, পর্যালোচনা এবং কীভাবে এ সেক্টরকে আরো সমৃদ্ধ করা যায়-সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। এ নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই।’ তিনি বলেন, ‘সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে এখনও কথা হয়নি। শীঘ্রই আমরা ঢাকায় গিয়ে সেটি করবো। তবে ইতোমধ্যেই সম্মেলন আয়োজনে সার্বিক সহায়তা দিতে ইচ্ছুকদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। একটি মিডিয়া হাউজও পাশে থাকার অঙ্গিকার করেছে।’ কৌশলগত কারণে স্পন্সরদের নাম এ সময় প্রকাশে আগ্রহী হননি ড. দত্ত। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সিল্ক সেক্টরের ৪০টি প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা হয়েছে। রিটেইল সেক্টরের সাথেও যোগাযোগ চলছে। বাংলাদেশের বিশাল রিটেইল সেক্টরের মৌলিক সমস্যাগুলোর সমাধান ঘটাতে পারলে রিয়েল এস্টেট এবং গার্মেন্টস সেক্টরের চেয়েও সম্ভাবনার সৃষ্টি করবে এ সেক্টর। 

‘আশার কথা যে, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার এ ব্যাপারে যথেষ্ট মনোযোগ দিয়েছে। আমাদের এ উদ্যোগেও তারা এগিয়ে আসবেন এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই’ বলেন ড. দত্ত।

 


বিডি-প্রতিদিন/ ০৯ এপ্রিল, ২০১৬/ রশিদা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর