কানাডার আদালতে বিচারের মুখোমুখি হচ্ছে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডীয়ান নাগরিক কাদির আবদুল।
সঙ্গীসহ সিরিয়া যাওয়ার পথে তুরস্কে আটক হয়ে ফেরত আসা বাংলাদেশি এই তরুনকে গত শুক্রবার অন্টারিও কোর্ট অব জাস্টিসের আদালতে হাজির করা হয়েছিলো। তার দখলে থাকা একটি এ আর-১৫ সেমি অটোমেটিক রাইফেলটি ‘ভেঙ্গে ফেলে দেওয়ার’ দায়ে তার বাবার বিরুদ্ধেও অভিযোগ গঠন করেছে পুলিশ। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর তাদের পূণরায় আদালতে হাজির করা হবে।
গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার মূলপরিকল্পনাকারী হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডীয়ান নাগরিক তামিম চৌধুরী পুলিশের অভিযানে নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে আলোচনার মধ্যেই একজন বাংলাদেশি কানাডীয়ান নাগরিক কানাডার আদালতে বিচারের সম্মুখীন হচ্ছেন।
কাদির আবদুল সিরিয়ার উদ্দেশ্যে টরন্টো ত্যাগ করে গত মার্চ মাসে। ৩১ মার্চ সে তুরস্কের আদানা শহরে গ্রেফতার হয়। স্যামুয়েল এভিলস নামে আরেক কানাডীয়ানসহ সিরিয়ায় যাওয়ার পথে তুর্কি প্রশাসন তাদের গ্রেফতার করে বলে সরকারি সূত্রে জনানো হয়। দুই সপ্তাহ তুরস্কে আটক থাকার পর তাদের কানাডা ফেরত পাঠানো হলে গত ১৫ এপ্রিল কানাডা পুলিশ তাদের টরন্টো পিয়ারসন এয়ারপোর্টে গ্রেফতার করে। গত ১৫ জুলাই কাদির পুলিশের শর্ত মেনে নিয়ে ‘পিচ বন্ড’ এ সম্মত হয়। পিচবন্ডের শর্ত অনুসারে সে পাসপোর্ট এবং আগ্রেন্য়াস্ত্র রাখার অধিকার হারায় এবং সুপারভাইজারের উপস্থিতিছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহারে তারউপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
পিচ বন্ডের শর্তানুসারে কাদির আবদুল আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অধিকার হারালেও তার কাছে এআর-১৫ টাইপের সেমি অটোমেটিক একটি রাইফেল আছে – এই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তার অ্যাপার্টমেন্টে তল্লাশি চালায়। কিন্তু তারা সেটি খুজেঁ পাননি।
ফাঁস হয়ে যাওয়া আইএস এর গোপন নথি অনুসারে ২০১৪ সালের জুলাই মাসে আবদুল মালিক নামে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক তরুন আইএস এ যোগ দেয়। আইএস এর নিবন্ধন ফরমে তার যে ফোন নম্বর দেওয়া আছে সেটি কাদির আবদুল এর বাড়ির ফোন নম্বরের সাথে মিলে যায়। টেলিফোন নম্বরটি কাদির আবদুলের বাবা মোহাম্মদ উদ্দিনের নামে নিবন্ধিত। ধারণা করা হচ্ছে মালিক সিরিয়ায় নিহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, কাদির আবদুলের সঙ্গে আটক হওয়া এভিলসও হুইটবিতে যে অ্যাপার্টমেন্টে থাকতো, সেই অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দা কেভিন ওমর মোহাম্মদ আইএস এ যোগ দিতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছে।
সূত্র: নতুনদেশ ডটকম
বিডি প্রতিদিন/ ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন