বিশ্ব অর্থনীতিতে বিরাজমান মন্দার কারণে ইন্দোনেশিয়ার রপ্তানি আয়ে ভাটা পড়েছে। একই সাথে কমেছে সরকারের কর আহরণ ক্ষমতাও। ২০১৬ সালের বাজেটের অর্থায়নেও ঘাটতির শঙ্কা বিরাজমান ছিল।
ইন্দোনেশিয়ার সংবিধান অনুযায়ী, বাজেট ঘাটতি বার্ষিক জিডিপির ৩% এর বেশি হলে সরকারকে ইম্পিচমেন্ট ভোটের মুখে পড়তে হয়। বাজেটের ঘাটতি অর্থায়ন মেটাতে এবং ভবিষ্যতের কর আহরণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে জুলাই মাসে কালো টাকা এবং সম্পত্তির বৈধতা দিতে কর অব্যাহতি কর্মসূচী ঘোষণা করে দেশটির সরকার। ২০১৬ সালের জুলাই থেকে শুরু হওয়া তিন পর্যায়ে বিভক্ত এ কর্মসূচী চলবে ২০১৭ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত। জুলাই-সেপ্টেম্বর ৪%, অক্টোবর-ডিসেম্বর ৬% এবং জানুয়ারী-মার্চ ৮% কর দিয়ে এ সুযোগ নিতে পারবে দেশটির নাগরিকরা। ধারণা করা হচ্ছে, শুধুমাত্র সিঙ্গাপুরের ব্যাংকগুলোতেই নাকি ইন্দোনেশিয়ানদের ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি কালো টাকা রয়েছে।
জানা যায়, ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া প্রথম পর্যায়েই বিশ্ব রেকর্ড করে ফেলেছে এ কর্মসূচি। দেশে-বিদেশে থাকা ২৮০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের কালো টাকা এবং সম্পত্তি বৈধ করার সুযোগ নিয়েছে দেশটির রাজনীতিবিদ, শিল্পপতি, সেনা-পুলিশ, সরকারি আমলা এবং সকল স্তরের নাগরিক। কর হিসেবে সরকার আদায় করেছে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার।
প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বে পৃথিবীর বহু দেশ বিভিন্ন সময়ে কর অব্যাহতি কর্মসূচী ঘোষণা করেছে। ২০০৯ সালে ইতালিতে প্রায় ৯০ বিলিয়ন ডলারের কালো টাকা ও সম্পত্তির রেকর্ড ছিল। ইন্দোনেশিয়ার ঘোষিত কর অব্যাহতি কর্মসূচীর প্রথম পর্যায়েই তার ৩ গুণ অর্জন করেছে। আগামী মার্চ পর্যন্ত আরও অনেক বেশি কর অর্জণের আশা ব্যক্ত করেছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী শ্রী মুলিয়ানি।
বিডি-প্রতিদিন/এ মজুমদার