২৫ মার্চ, ২০১৭ ২২:৩৯

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে তুরস্কে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠান

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে তুরস্কে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠান

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে গত শুক্রবার তুরস্কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৭তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০১৭ উদযাপন হয়েছে। এ উপলক্ষে আঙ্কারাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবারও সপ্তাহব্যাপী চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। 

এ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু ছিল 'সুন্দরবন ও রয়েল বেঙ্গল টাইগার' এবং 'বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ'। 

আঙ্কারা দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ শনিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।  

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রতিযোগিতায় আঙ্কারাস্থ ব্রিটিশ দূতাবাস স্কুল  (BESA) এবং  OASIS ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এর বিভিন্ন দেশের প্রায় ২০৬ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে। 

ব্রিটিশ দূতাবাস স্কুল এর ২৪ জন এবং OASIS ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এর ১৮ জন ছাত্র-ছাত্রীকে বয়সভিত্তিক বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। 

গত ২০ মার্চ ব্রিটিশ দূতাবাস স্কুলে এবং ২৪ মার্চ OASIS ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে বিজয়ী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. আল্লামা সিদ্দীকী স্মারক ক্রেস্ট এবং সার্টিফিকেট বিতরণ করেন। এসময় রাষ্ট্রদূত এম. আল্লামা সিদ্দীকী উক্ত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ঘটনাবহুল জীবনের বিবরণসহ বাংলাদেশের জন্য বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগ এবং অবদানকে তুলে ধরেন। 

বিভিন্ন দেশের শিশুদের অংশগ্রহণে এ ধরনের অনুষ্ঠান একদিকে যেমন তাদের অন্য দেশ ও জাতি সম্পর্কে জানতে সহায়তা করে তেমনি ভিন্ন সমাজ ও সংস্কৃতি সহিষ্ণু হিসেবে গড়ে তুলতেও সাহায্য করে বলে রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্য উল্লেখ করেন। 

রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রত্যেক জাতিরই রয়েছে মহান জাতীয় ব্যক্তিত্ব, যারা আমাদের পথ পদর্শক। তাদের ভালো কর্ম ও আত্মত্যাগ আমাদের এ পৃথিবীকে শান্তি ও সমৃদ্ধিশালী হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে। 

অনুষ্ঠান শেষে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশন করা হয়।

এর আগে, গত ১৭ মার্চ আঙ্কারা দূতাবাসে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা পর্বের শুরুতেই সকল কর্মর্কতা/কর্মচারী এবং প্রবাসী বাঙালিদের উপস্থিতিতে উক্ত দিবস উপলক্ষে প্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী’র বাণী পাঠ করা হয়। 

পরে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭১ এ স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং বাংলাদেশের শান্তি, সমৃদ্ধি এবং উন্নতি কামনা করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। 

বিডি প্রতিদিন/২৫ মার্চ ২০১৭/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর