স্পেনের মাদ্রিদে বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন হল রুমে অস্থায়ী পূজা মণ্ডপে সাড়ম্বরে শারদীয় দুর্গোৎসব পালিত হচ্ছে। প্রতি বছরের মতো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ এ ধর্মীয় উৎসব বাংলাদেশি ছাড়াও নেপাল, ভারতের বিপুল সংখ্যক হিন্দু সম্প্রয়দায়ের প্রবাসীরাও এতে অংশ নেন।
এদিকে, সুন্দর, উৎসব পরিবেশে প্রবাসে শারদীয় দুর্গোৎসব উৎযাপন করতে পেরে খুবই উৎফুল্ল প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মাদ্রিদ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উত্তম মিত্র ও সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার সাহা, সহ সভাপতি শ্যামল তালুকদার,বাপ্পি দে, গউরিক প্রভাত চক্রবর্তী, বিকাশ চক্রবর্তী। তারা স্পেনের প্রশাসন, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।
গত ২৮ সেপেম্বর সকালে পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনকালে স্পেন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। যা পৃথিবীর খুব দেশেই কম আছে। আবহবান কাল থেকে বাংলার মুসলমান হিন্ধু সম্প্রদায় এক বৃন্তে দুটি ফুলের মতো নজির স্থাপন করে চলেছেন।
এসময় দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, প্রথম সচিব (শ্রম উইং) মো. শরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। আরও ছিলেন মাদ্রিদে বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এ কে এম জহিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক বকুল খান, স্পেন আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হুসেন, ফয়জুর রহমান, রিজভি আলম, বিএনপি নেতা নাজমুল ইসলাম নাজু প্রমুখ।
আটলান্টিক পাড়ের দেশ স্পেনে পূজা হয় বাঙালি রীতিনীতি অক্ষরে অক্ষরে মেনেই। আর সেই পূজাতে ভিড়ও হয় তেমনই। শুধু সেদেশে বসবাসকারী বাঙালিরাই নন, ভিড় জমান স্প্যানিশসহ উৎসুক বিদেশীরাও। আর উৎসব ,আমাজে মেতে উঠেন সবাই। সেই সঙ্গে বাঙালি মুখরোচক ভুড়িভোজের আয়োজনও থাকে। প্রতিদিন পূজা ও পুষ্পাঞ্জলি ছাড়াও গান, কবিতা, নৃত্য অনুশঠাণ চলে দেশিও আমেজে।
ষষ্ঠী থেকে দশমী। বোধন থেকে সিঁদুর খেলা। দুর্গাপূজার প্রতিটি উপাচার এখানে পালন করা হয়। এখানে প্রতিমা নিরঞ্জন হয় না। দূষণের আশঙ্কায় প্রশাসন সেই অনুমতি দেয় না। প্রতিমা সংরক্ষিত হয়, পরের বছরের জন্য। মাদ্রিদ পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে গত সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের হল রুমে ৫ দিনব্যাপী গত ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে শারদীয় উৎসব উদযাপিত হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭/মাহবুব