বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অনন্যসাধারণ সৃজন-প্রতিভার অবদানে বাংলাসাহিত্য, সংগীত, সমাজ ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধ হয়েছে। এই রবীন্দ্র ও নজরুল সংগীতের বাণী ও সুরের মূর্ছনায় দর্শকদের আবারও মোহিত করতে অনুষ্ঠিত হয়েছে রবীন্দ্র ও নজরুল জয়ন্তী অনুষ্ঠান।
পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে রবিবার সন্ধ্যা ৭ টায় লাগারগো ক্যাফ ইন্টেন্ডেতে এ আয়োজন করা হয়। ল্যাগো রেসিডেনসিয়ার ও বাংলাদেশ দূতাবাসের যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
পর্তুগালের বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত রুহুল আলম সিদ্দিকীর স্বাগত বক্তব্য ও উভয় কবির বিখ্যাত কয়েকটি কবিতা আবৃতির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
সংগীত পরিবেশন করেন পর্তুগালের বিখ্যাত বাংলাদেশী লোক সংগীতের গায়ক মোস্তফা আনোয়ার ও লিসবন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাখি চন্দ্র রায়। হারমোনিয়াম, তবলা, কিবোর্ডে, গিটার আর ভায়োলিনের সুরে মোস্তফা আনোয়ার ও রাখীর পরিবেশনায় সারা হল জুড়ে ভক্তি আর ভক্তিমূলক সংগীতের অপূর্ব পরিবেশ বিরাজ করে।
লোক সংগীত গায়ক মোস্তফা আনোয়ার রবীন্দ্র ও নাজরুল সংগীত থেকে কবিদ্বয়ের বাছাইকৃত কালজয়ী কিছু গান পর্তুগিজ সংস্করণ করেন এবং তা অনুষ্ঠানে পরিবেশন করেন। এই সময় দর্শক সারিতে প্রবাসী বাংলাদেশী ছাড়াও প্রচুর সংখ্যক স্থানীয় পর্তুগীজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার জন্য উপস্থিত সকলে এই সময় রাষ্ট্রদূতের প্রশংসা করেন। সামনের সময়ে আরো ব্যাপক আকারে এমন ধরনের অনুষ্ঠান উদযাপনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।
অনুষ্ঠানে শেষে বিশ্ব কবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবনি ও তাদের বাংলা সাহিত্যে আবদানের উপর প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান