কাতারে বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। চলমান পরিস্থিতিতে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে বাংলাদেশ কমিউনিটি।
মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ কাতারে তথাকথিত ফ্রি ভিসায় এসে বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কয়েকটি মাদকের চালান ধরার পাশাপাশি সম্প্রতি বাংলাদেশীি অধ্যুষিত এলাকা দোহার ন্যাশনালে একটি হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন। মূলত এই সব ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাতারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রবাসী বাংলাদেশিদের (ইকামা বা আইডি) চ্যাকের পাশাপাশি ধরপাকড়ের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আবার অনেক সময় নিরাঅপরাধ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে।
বর্তমান কাতারে সারে চার লাখের মত বাংলাদেশি বিভিন্ন পেশায় কর্মরত রয়েছে। ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে স্টেডিয়ামসহ ব্যাপক অবকাঠামোর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে। অদক্ষ জনশক্তির ফলে অনেকেই কাজ না পেয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।
বাংলাদেশ কমিউনিটি দীর্ঘদিনে কাতারে যে সুনাম মর্যাদা অর্জন করেছিলেন বর্তমান সময়ে কতিপয় দুস্কৃতিকারির কারণে তা পথে বসে চলেছে। তাছাড়া বিভিন্ন অপরাধে ২৪০ জন সাজাপ্রাপ্ত আসামি কাতার জেলে বন্দি রয়েছে। তারমধ্যে ভিসা, চেক জালিয়াতি, অপহরণ, চুরি ছিনতাইসহ অসামাজিক কাজ অন্যতম।
কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ বলেন, বর্তমান সময়ে কাতারস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটি চরম ক্রান্তিকাল অতিবাহিত করছে। জনশক্তি রপ্তানিতে কাতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় মাদকের মত অপরাধে জড়িয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।
শুধু তাই নয় বিদেশ আসার পূর্বে ফ্রি নামক ভিসায় কাজের কোন চুক্তিপত্র না থাকায় অল্প সময়ে বেশি টাকা ইনকাম করার প্রবণতা কারণে বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে বাংলাদেশিরা। তারপরও বর্তমান সময়ের ধরপাকড়ের ব্যাপারে কাতার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও শ্রম মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। তাই বৈধ কাগজপত্র সাথে নিয়ে চলাচলের পাশাপাশি যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য দূতাবাসে যোগাযোগ করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ