যুক্তরাজ্যে অ্যাসাইলাম আবেদনকারীদের বরাবরই কটু দৃষ্টিতে দেখা হয়। এবার আবেদনকারীদের পক্ষে পজিটিভ পরামর্শ দিয়ে ব্রিটিশ সরকারকে বিষয়টি বিবেচনায় আনতে একদল গবেষক যুক্তি তুলে ধরেছেন।
গবেষকরা বলছেন, কাজের অনুমতি পেলে আয়কর খাতে ও ন্যাশনাল ইন্সুরেন্স খাতে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড আয় বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারবে যুক্তরাজ্যের অ্যাসাইলাইম সিকাররা।
গবেষকদের মতে, অ্যাসাইলাম আবেদন করার ৬ মাস পর যদি তাদের আবেদনের ব্যাপারে সিদ্বান্ত না হয়, সেক্ষেত্রে কাজের অনুমতি এই রাজস্ব বৃদ্ধিতে সহয়তা করতে পারে। অ্যাসাইলাম শিকারদের কাজ করার ওপর নিষেজ্ঞা তুলে দিলে ব্রিটিশ সরকার বছরে প্রায় ৯৮ মিলিয়ন পাউন্ড আয় করতে পারবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, অর্থনীতিবিদ, নিয়োগ কাজে নিযুক্ত ফার্ম, বাণিজ্য সংস্থা, শরণার্থী সংস্থাসহ নিয়ে গঠিত ‘দ্য লিফট দ্য ব্যান কোয়ালিশন’ এই ক্ষেত্রে মন্ত্রীপরিষদকে বিচক্ষণ বুদ্ধিমত্তা দিয়ে চিন্তা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
নতুন একটি রির্পোট অনুসারে, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশগুলোতে শরণার্থীদের কাজের অনুমতি পাওয়ার ক্ষেত্রে স্বল্প সময়সীমা এবং শিথীল নিয়মের উদাহরণ দেন তারা। সোস্যাল কেয়ার ও স্বাস্থ্যখাতের মত পরিসরে পূববর্তী কাজের অভিজ্ঞা থাকায় অনেক অ্যাসাইলাম সিকার ইউকের দক্ষকর্মী হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকবে।
রিফিউজি অ্যাকশন ক্যাম্পেনেইর প্রধান মারিয়াম ক্যাম্পেল বলেন, শরণার্থীদের কাজের অনুমতি আমাদের অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করে তুলবে এবং সরকারের ১০ মিলিয়ন পাউন্ড বেচেঁ যাবে যা দিয়ে শরণার্থীদের জীবনযাত্রার মান আরো উন্নত করা যাবে।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা প্রাদুর্ভাবের পর অর্থনৈতিক খাতের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে দক্ষ কর্মীদের কাজের অনুমতি না দেওয়াটা সরকারের ভুল সিদ্বান্ত হবে। শরণার্থীদের কাজের বিষয়ে প্রচলিত নিয়মটি যুুক্তরাজ্যকে অর্থনৈতিকভাবে আরো পিছিয়ে দিচ্ছে।
রিপোর্টটির দেয়া তথ্য মতে, চলতি বছরের মার্চের শেষ থেকে এ যাবত কালের সর্বোচ্চ সংখ্যক অ্যাসাইলাম শিকার (৩২ হাজার) কাজ করার অনুমতি পাওয়ার অপেক্ষা করছে। বিগত বছরের তুলনায় তাদের সংখ্যা ৬৮ শতাংশ বেড়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার