মরিশাসে বাংলাদেশ হাইকমিশন (পোর্ট লুইস) যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে জাতীয় শোক দিবস ও ১৯৭৫ সালের এই দিনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহিদ অন্যান্য সদস্যের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন করেছে।
তবে করোনাবিধির প্রটোকল অনুযায়ী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ৫০ জনের মধ্যে সীমিত রাখা হয়েছে। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা অর্ধ-নমিতকরণ, কালো ব্যাজ ধারণ, বিশেষ মোনাজাত, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, এক মিনিট নিবরতা পালন, বাণী পাঠ এবং বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের নানাদিক তুলে ধরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় মরিশাসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সড়ক ও রেল মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এলান গানু প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
দিবসের শুরুতে হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে বিশ্ব পরিমন্ডলে বাঙালি জাতির পরিচয়ের গৌরব প্রতিষ্ঠা করেন। আজ বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু আমরা তার স্বপ্নকে আমরা ধারণ করছি এবং তা পূরণে বদ্ধপরিকর।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, মরিশাস সরকার মানবতার প্রতি বঙ্গবন্ধুর অবদানের জন্য পোর্ট লুইসে 'শেখ মুজিব স্ট্রীট' নামে একটি রাস্তার নামকরণ করেছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, মরিশাস এবং বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান বর্তমান সম্পর্ক সামনের দিনগুলোতে আরও সুদৃঢ় হবে।
অনুষ্ঠানে সাবেক ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি, লর্ড মেয়র, পোর্ট লুইস, দক্ষিণ আফ্রিকা, মিশর, জাপান এবং চায়নার রাষ্ট্রদূতরা, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ইন্ডিয়া, ঘানা, সৌদি আরব, লিবিয়া ও মাদাগাস্কার মিশনের প্রতিনিধিরা, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, আইওআরা, মরিশাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা, প্রবাসী বাংলাদেশি এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির