ম্যানচেষ্টারে যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং উৎসবমুখর পরিবেশে ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উদযাপন করা হয়েছে। ২২ মার্চ ম্যানচেষ্টারস্থ সেলফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত ‘বাংলাদেশ উদ্যাপন’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫১-তম বার্ষিকী ও জাতীয় দিবসের প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সেলফোর্ড শহরের মেয়র, অন্যান্য শহরের উপ-মেয়র, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, শিক্ষাবিদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত ভাষণে ম্যানচেষ্টারের সহকারী হাই-কমিশনার কাজী জিয়াউল হাসান সেলফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশ উদযাপনের’ উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি স্বাধীনতার ৫১-তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
চ্যান্সারী ভবনে আয়োজিত দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানের শুরুতেই সহকারী হাই-কমিশনার জাতীয় পতাকা উত্তোলণ করেন। এরপর ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করাসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হয়।
সহকারী হাই-কমিশন ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উদযাপন উপলক্ষ্যে ২৬ মার্চ ম্যানচেস্টারস্থ পাঁচ তারকা ‘দি এডওয়ারডিন রেডিসন ব্লু’ হোটেলে ম্যানচেষ্টারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, কনসাল জেনারেলসহ অংশগ্রহণকারী কূটনীতিকবৃন্দদের উপস্থিতিতে কূটনৈতিক রিসিপশনের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ম্যানচেষ্টারস্থ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও মেয়রদের উপস্থিতিতে টোস্টিং এবং কেক কাটার মধ্য দিয়ে জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। অনুষ্ঠানে ম্যানচেষ্টারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, মেয়র, কাউন্সিলর এবং কনসাল জেনারেলসহ অংশগ্রহণকারী কূটনীতিকবৃন্দ বিজয়ের ৫১তম বার্ষিকীতে বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানান এবং বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। অতঃপর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল