উৎসবমূখর আবহে ও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে তুরস্কের আঙ্কারায় বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ৫১তম বার্ষিকী ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। এই দিন সকালে তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার মধ্য দিয়ে দিবসটির কার্যক্রমের সূচনা হয়।
দ্বিতীয়পর্বে দূতাবাসের ৭১ মিলনায়তনে একটি আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে সকলে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন। রাষ্ট্রদূতের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা পবিত্র কুরআন থেকে তিলওয়াত করে শুনান এবং মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করেন রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের মিনিস্টার ও মিশন উপ-প্রধান শাহ্নাজ গাজী।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে শিশু কিশোররা বিভিন্ন দেশাত্মবোধক ছড়া ও কবিতা আবৃত্তি করে এবং নৃত্যও পরিবেশন করে। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন-এর উপর নির্মিত প্রমান্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। এই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান এবং মিনিস্টার ও মিশন উপ-প্রধান শাহ্নাজ গাজী উভয়েই বাংলাদেশের স্বাধীনতার উপর পৃথক পৃথক কবিতা আবৃত্তি করে শোনান। অতপর মু্িক্তযুদ্ধের উপর নির্মিত একটি চলচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শেষাংশে রাষ্ট্রদূত উপস্থিত সকল শিশুদের মাঝে উপহার বিতরণ করেন। রাষ্ট্রদূত স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের বিভিন্ন কার্যক্রমে নিষ্ঠারসাথে নিরলসভাবে কাজ করার জন্য দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ধন্যবাদ দেন এবং তাদের মাঝে বাংলাদেশ ও তুরস্কের দুই মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও কামাল আতাতুর্ক-এর প্রতিকৃতি সম্বলিত বিশেষ টাই উপহার দেন। রাষ্ট্যদূত আমন্ত্রিত অতিথিদের অংশগ্রহনে স্বাধীনতা অর্জনের এই দিনটি উপলক্ষে আনন্দঘন পরিবেশে একটি কেক কাটেন। পরিশেষে, উপস্থিত সকলকে মধ্যাহ্নভোজে আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘটে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল