বৃহস্পতিবার সিডনির নতুন প্রজন্মের সংগঠন আনন্দধারা, আগমনী ও শঙ্খনাদ-সহ আরও কয়েকটি সংগঠন তিথি নক্ষত্র মেনে বিদ্যা ও জ্ঞানের দেবী সরস্বতী অর্চনার আয়োজন করে।
অস্ট্রেলিয়ায় এদিন সরকারি ছুটির দিন থাকায় প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়। আনন্দধারা, কিয়ার্নসের কিয়ার্নস কমিউনিটি হল, আগমনী অস্ট্রেলিয়া, ক্যাম্বেলটাউন সিভিক সেন্টার ও শঙ্খনাদ, ইস্ট ক্যাম্বেলটাউন কমিউনিটি হলে এ পূঁজার আয়োজন করে।
এ দিনটিতে ভক্তি ও ভাব গাম্ভীর্যের সাথে দেবীর পূজা অর্চনা হয়। ছোট বড় সবাই মিলে পুরোহিতের জলদগম্ভীর মন্ত্রের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে বিদ্যা ও জ্ঞান লাভের মানসে দেবীর পদমুলে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বিদ্যা প্রার্থনা করে। এইদিনে সবাই শ্বেত শুভ্র বসন পরিধান করে পূজা মণ্ডপে এসে ধুপ দ্বীপ নৈবদ্য আর ঢাকের বাদ্যে দেবীর আহ্বান জানায়
পাশাপাশি পূঁজার অবকাশে সবাই মিলন মেলায় একত্রিত হয়ে কুশল ও শুভেচ্ছা বিনিময় করে। আগত সব ভক্তকে পূঁজার প্রসাদ, মধ্যাহ্ন ভোজ ও নৈশভোজে আপ্যায়িত করা হয়।
সরস্বতী পূঁজার বিশেষ আকর্ষণ হলো কীর্তন, ভক্তিগীতি-সহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। শিশু থেকে সব বয়সের ছেলে-মেয়েরা নাচ, গান, একাঙ্কিকা-সহ অন্যান্য কলা পরিবেশন করে সবার মনোরঞ্জন করে। প্রতিটি সংগঠনের নিজস্ব ও অতিথি শিল্পীরা এ পর্বে অংশগ্রহণ করে। বিদ্যাদেবীর বাহন হল শ্বেত-শুভ্র রাজহংস। শ্বেত বসনা দেবীর হাতে সুরের বীনা একটি অপার্থিব ভক্তির আবহ তৈরি করে।
অন্যান্য সংগঠন যারা এইদিন পূজা করতে পারেনি তারা যথারীতি সপ্তাহান্তে অর্থাৎ শনি অথবা রবিবারে দেবীর আরাধনা করবে। সেক্ষেত্রে স্বাত্বিক আবহের চেয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতাবোধ অনেক বেশি কাজ করে। এই স্বাত্বিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই এইদিন সিডনির হিন্দুদের সমস্ত সংগঠন, এমনকি পারিবারিক পর্যায়েও বিদ্যাদেবীর আবাহনে সবাই একত্রিত হয়েছিল বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম