৩১ মার্চ, ২০২৩ ০৮:২৮

লিসবনে জমে উঠেছে ইফতার বাজার

রনি মোহাম্মদ (লিসবন, পর্তুগাল)

লিসবনে জমে উঠেছে ইফতার বাজার

পবিত্র রমজান মাসের শুরুতেই জমে উঠেছে ইউরোপের দেশ পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের ইফতার বাজার। প্রতিদিন দুপুর থেকে বাহারি দেশীয় ইফতারের পসরায় সাজিয়ে বসে লিসবনের ডাউনটাউনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত মুরারিয়া এলাকার মাতৃমনিজের রুয়া দো বেনফরমোসোর প্রবাসী বাংলাদেশি রেস্টুরেন্টগুলোতে।

লিসবনের এই এলাকাটিকে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাও বলা চলে। কারণ এই এলাকায় এবং এর আশেপাশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পরিচালনায় রয়েছে ৫টি এবং আফ্রিকার মুসলমানদের পরিচালনায় ২ টি মসজিদ।
রোজার প্রথম দিন থেকেই রুয়া দো বেনফরমোসোর বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট গুলোতে দুপুরের পর থেকে দেখা যায় নানান ধরনের দেশীয় ইফতারের পসরা। আর এই রাস্তায় ২ টি মসজিদ থাকায় আসর নামাজের পর থেকে শুরু হয় কেনাবেচা। তবে ইফতারের সময় ঘনিয়ে আসতেই বিক্রেতাদের হাঁকডাক, ব্যস্ততা ও ক্রেতার উপস্থিতি বাড়তে থাকে।

রেস্টুরেন্টের কর্মচারি এবং মালিকদের সাথে আলোচনা করে জানা যায় দেশীয় বুট ভাজা, পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, ডিম চপ, জিলাপি, বিরিয়ানির চাহিদা বেশি।

মাতৃ ভাণ্ডারের এনামুল জানান, ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যোদ্ধের ফলে গত বছর থেকে এবার ইফতারের দাম কিছুটা বেড়েছে, ফলে এখানকার সীমিত আয়ের বসবাসকারী প্রবাসীদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। সেই কারণে আয়ের সাথে তুলনা করে পরিমাণে অনেকেই কম কিনতে হচ্ছে।

বিগ বাজারের রাজু জানান, ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে এই বার স্বাভাবিকের চেয়ে ফল খাওয়ার পরিমাণ অনেক কমিয়ে দিয়েছে অনেক প্রবাসী। কারণ, বর্তমানে কলা ১.২৯ ইউরো, পেয়ারা প্রকার ভেদে ৭ থেকে ৯ ইউরো, আপেল ২.৫০ থেকে ৩ ইউরো, আঙ্গুর ৩.৫ থেকে ৫ ইউরো, আম ৪ ইউরো, মাল্টা ১.৫ ইউরো, টমেটো ২.৫ ইউরো, পেঁয়াজ ১.৫ ইউরো কেজিতে বিক্রি করতে হচ্ছে। যা গত বছর থেকে প্রায় ৩০ শতাংশ বেশী দাম।

পর্তুগালের অভিবাসন ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে সহজ হওয়ায় এখানে প্রতিদিন বিভিন্ন দেশে থেকে ভিড় করছে অভিবাসন প্রার্থী প্রবাসীরা। এখানে বেকার এবং ন্যূনতম বেতনের আয়ের মানুষের সংখ্যা বেশি।  

বেঙ্গল রেস্টুরেন্টের মালিক পক্ষের সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানান, রমজানের শুরু থেকে বিক্রি মোটামুটি ভালোই। তবে গত বছর থেকে কয়েকটি পণ্যের বিশেষ করে মিষ্টান্ন জিনিসের দাম বাড়ালেও দেশীয় ইফতারের দাম আগের মতোই রাখা হয়েছে।

বাংলা রেস্টুরেন্টের মালিক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, কাঁচা মালের দামের ঊর্ধ্বগতির ফলেও রোজা উপলক্ষ্যে প্রবাসীদের কথা ভেবে ইফতার সাধ্যের মধ্যে যেন কিনতে পারে তাই ৩.৫ থেকে ৫ ইউরোর বিশেষ প্যাকেজ রাখা হয়েছে আমাদের রেস্টুরেন্টে।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর