অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেফতার অভিযানের অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কসেও অভিযান চালিয়ে অন্তত ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই অভিযানের সময় আইস, এফবিআইসহ বিভিন্ন সংস্থার লোকজনের সাথে ছিলেন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী ক্রিস্টি নয়েমও।
সুসজ্জিত বাহিনীর অর্ধ শতাধিক সদস্যের এ অভিযানে আশেপাশের বাসা-অফিস-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু অযথা কাউকে হয়রানির তথ্য পাওয়া যায়নি। অভিযানের আগেই গুরুতর অপরাধী অবৈধ অভিবাসীদের অবস্থান নিশ্চিত হয় বলে জানা গেছে।
ব্রঙ্কসের ৩টি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে অভিযান পরিচালনা করা হয়। উল্লেখ্য, ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের পরই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেফতার অভিযান শুরু করেছেন। গুরুতর অপরাধী অভিবাসী হিসেবে প্রথম টার্গেট হচ্ছে বেআইনিভাবে সীমান্ত অতিক্রমকারীরা। এরপর রয়েছে দণ্ডিত অপরাধীরা। সে অনুযায়ীই এ যাবত সাড়ে ৫ হাজার জনকে গ্রেফতারের তথ্য দিয়েছে আইস (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট)। অভিযানে সহায়তা দিচ্ছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশন টাস্কফোর্স (আইটিএফ)।
গ্রেফতার অভিযানে সন্ত্রস্ত কমিউনিটিকে অভয় দিতে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী এই সংবাদদাতাকে বলেন, যারা কোনো প্রোগ্রামে আবেদন করেছেন তারা অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত হবেন না। তবে যাদের বিরুদ্ধে কোর্ট থেকে বহিষ্কারের আদেশ জারি হয়েছে তারা অবশ্যই চলতি অভিযানের টার্গেট। কারণ, তারা হলেন ফেরার। আর যারা মেক্সিকো সীমান্ত অতিক্রম করেছে বেআইনিভাবে তারাও এই অভিযানের টার্গেট। চলতি গ্রেফতার ও বহিষ্কার অভিযানে শঙ্কিত না হয়ে নিজ নিজ অ্যাটর্নির পরামর্শ অনুযায়ী নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিত।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল